একাদশ শ্রেণি বাংলা প্রাচীন বাঙলার সমাজ ও সাহিত্য
একাদশ শ্রেণি বাংলা প্রাচীন বাঙলার সমাজ ও সাহিত্য থেকে এখানে বিবিধ নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট অপশনে টাচ বা ক্লিক করে নোটগুলি দেখতে পারবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
একাদশ শ্রেণি বাংলা প্রাচীন বাঙলার সমাজ ও সাহিত্যঃ
MCQ প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
১) বাংলা সাহিত্যের যুগবিভাগ করে প্রতিটি যুগের প্রধান প্রধান সাহিত্যকীর্তির পরিচয় দাও।
উত্তরঃ- আনুমানিক সপ্তম-অষ্টম শতাব্দীতে মাগধী অপভ্রংশ-অবহট্ঠ ভাষা থেকে বাংলা ভাষার জন্ম হয়।বাংলা সাহিত্যের এই সুবিশাল সময়কালকে প্রধানত তিনটি যুগে বিভক্ত করা হয়ে থাকে।
আদি যুগঃ
৮০০ থেকে ১২০৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত অর্থাৎ প্রাক-তুর্কি আক্রমণ থেকে অন্ধকারময় যুগের পূর্ব পর্যন্ত সময়কালকে বাংলা সাহিত্যের আদি যুগ বলে মনে করা হয়।
এই যুগের একমাত্র সাহিত্যিক নিদর্শন হল চর্যাপদ, যা ছিল বৌদ্ধ সাধনসঙ্গীত। তবে এই সময়কালে সংস্কৃত, প্রাকৃত প্রভৃতি ভাষায় যে সাহিত্য রচিত হয়েছে তার মধ্যে নিহিত ছিল পরবর্তি যুগের বাংলা সাহিত্যের ধারাএ বীজ।যেমন এ প্রসঙ্গে আমরা উল্লেখ করতে পারি কবি জয়দেব রচিত “গীতগোবিন্দম” কাব্যের কথা।
মধ্য যুগঃ
তুর্কি আক্রমণ থেকে কবি রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের মৃত্যু পর্যন্ত অর্থাৎ ১২০৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মধ্য যুগ বলা হয়ে থাকে।এই যুগকে আবার দুটি পর্যায়ে বিভক্ত করা হয়, প্রাক-চৈতন্য যুগ এবং উত্তর চৈতন্য যুগ।
প্রাক চৈতন্য যুগের সাহিত্য কীর্তিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, কৃত্তিবাস ওঝার ‘রামায়ণ’, বড়ু চন্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’, মালাধর বসুর ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’, বিদ্যাপতি ও চন্ডদাসের বৈষ্ণব পদাবলী এবং মনসামঙ্গল কাব্য।
চৈতন্য পরবর্তি যুগের বাংলা সাহিত্যগুলির মধ্যে সবিশেষ উল্লেখযোগ্য হলো, চৈতন্যদেবকে কেন্দ্র করে রচিত বিবিধ জীবনিকাব্য, জ্ঞানদাস ও গোবিন্দদাসের রচিত বৈষ্ণব পদাবলী, কাশীরামদাসের ‘মহাভারত’, বিবিধ মঙ্গলকাব্য, আরাকান রাজসভার কবিদ্বয়– দৌলত কাজি ও সৈয়দ আলাওল রচিত অনুবাদ কাব্যসমূহ।
আধুনিক যুগঃ
ইংরেজরা আমাদের দেশে আসার পরবর্তিকালে ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে তাদের প্রয়োজনে ফোর্টউইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে আধুনিক বাংলা যুগের সূচনা ঘটে, যা বর্তমান সমকাল পর্যন্ত বহমান।
সাময়িক পত্র, সংবাদপত্র, মহাকাব্য, গীতিকাব্য, নাটক, প্রহসন, উপন্যাস, ছোটগল্প প্রভৃতি সাহিত্যের বিবিধ ধারার ও অসামান্য সাহিত্যিকদের সাহিত্য রচনার মধ্য দিয়ে আধুনিক বাংলা যুগ নিজেকে সম্মৃদ্ধ করে চলেছে।এই প্রসঙ্গে আমরা উল্লেখ করতে পারি মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে জীবনানন্দ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বিজন ভট্টাচার্য, শঙ্খ ঘোষ, লীলা মজুমদার প্রমুখ সাহিত্যিক ও রচনাকারদের কথা, যাদের দ্বারা বাংলা সাহিত্য সম্মৃদ্ধ হয়েছে বা হয়ে চলেছে।
বাংলা সাহিত্যের এই তিনটি যুগ তাদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য দ্বারা সাহিত্যের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে।
চর্যাপদে প্রাপ্ত সমাজজীবন সম্পর্কে আলোচনা করো।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ