কর্মকারক ও তার শ্রেণিবিভাগ
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত বাংলা ব্যাকরণের বিবিধ বিষয়ে আলোচনা প্রদান করা হচ্ছে। বিগত আলোচনায় আমরা জেনেছিলাম কর্তৃকারক ও তার বিবিধ শ্রেণিবিভাগগুলি সম্পর্কে। আজকে আমরা জানবো কর্মকারক ও তার শ্রেণিবিভাগগুলি সম্পর্কে।
কর্মকারকঃ
বাক্যের কর্তা যাকে আশ্রয় করে বা অবলম্বন করে ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে বলা হয় কর্ম এবং ক্রিয়াপদের সঙ্গে উক্ত কর্মের সম্পর্ককে বলা হয় কর্মকারক।
নিম্নে বিভিন্ন প্রকার কর্মকারকের সংজ্ঞাসহ উদাহরণ দেওয়া হল-
(ক) মুখ্য কর্মঃ
বস্তুবাচক কর্মকে বলা হয় মুখ্য কর্ম।
যেমনঃ সে আম খাচ্ছে।
(খ) গৌণ কর্মঃ
প্রাণিবাচক কর্মকে বলা হয় গৌণ কর্ম।
যেমনঃ তুমি আমাকে বলেছিলে।
(গ) সমধাতুজ কর্মঃ
বাক্যের ক্রিয়া এবং কর্ম একই ধাতু থেকে নিষ্পন্ন হলে কর্মটিকে বলা হয় সমধাতুজ কর্ম।
যেমনঃ পন্থ কী খেলাই খেললো।
(ঘ) উদেশ্য ও বিধেয় কর্মঃ
যদি একটি বাক্যে দুটি কর্ম থাকে এবং উভয়ে একই ব্যক্তি, বস্তু বা বিষয়কে ইঙ্গিত করে তবে তাদের মধ্যে প্রধান বা প্রথমটিকে উদ্দেশ্য কর্ম এবং অপ্রধান বা দ্বিতীয় কর্মটিকে বিধেয় কর্ম বলে।
যেমনঃ অনেকেই অর্থকে পরমার্থ মনে করে। (বাক্যে দুটি কর্ম- ‘অর্থকে’ এবং ‘পরমার্থ’। ‘অর্থকে’ উদ্দেশ্য কর্ম এবং ‘পরমার্থ’ বিধেয় কর্ম)
(ঙ) অক্ষুণ্ন কর্মঃ
সাধারণত মুখ্য কর্মকে অর্থাৎ অপ্রাণিবাচক বা বস্তুবাচক কর্মকে বলা হয় অক্ষুন্ন কর্ম। কারণ, বাচ্য পরিবর্তন করার পরেও মুখ্য কর্মটি অক্ষুন্ন অবস্থায় থাকে।
যেমনঃ সে বই পড়ছে (কর্তৃবাচ্য)
তার দ্বারা বই পঠিত হচ্ছে। (কর্মবাচ্য)
- উদাহরণে ‘বই’ হল অক্ষুণ্ন কর্ম। বাচ্য পরিবর্তন করার পরেও কর্মটির কোনোরূপ পরিবর্তন হয়নি।
(চ) কর্মের বীপ্সাঃ
বাক্যে কর্মের পুনরাবৃত্তি ঘটলে তাকে বলা হয় কর্মের বীপ্সা।
যেমনঃ অতো পড় পড় করো না তো!
কারক থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার লিঙ্কসমূহঃ
২) বিভক্তি ও অনুসর্গের পার্থক্য
৪) কর্তৃকারক ও তার শ্রেণিবিভাগ