শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা ব্যাকরণের বিবিধ আলোচনা নিয়মিত প্রদান করা হয়। এখানে বাংলা ব্যাকরণের শব্দ ও পদ থেকে বিশেষণ পদ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। এই প্রশ্নের উত্তরগুলি শিক্ষার্থীরা তৈরি করলে বাংলা ব্যাকরণের শব্দ ও পদ বিষয়ে সুস্পষ্ট জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।
বিশেষণ পদ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরঃ
১) বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ যে পদ বিশেষ্য, সর্বনাম, ক্রিয়া প্রভৃতি পদের গুণ, ধর্ম, অবস্থা, ক্রম, সংখ্যা প্রভৃতিকে প্রকাশ করে তাকে বিশেষণ পদ বলে।
যেমনঃ
তুমি ভালো ছেলে।
২) নাম বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ যে বিশেষণ পদ দ্বারা কোন বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, পরিমাণ, উপাদান ইত্যাদি বোঝায় তাকে নাম বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
রাম সুন্দর ছবি আঁকে।
৩) বিশেষ্যের বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ যে বিশেষণ পদ দ্বারা কোন বিশেষ্য পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, পরিমাণ, উপাদান ইত্যাদি বোঝায় তাকে বিশেষ্যের বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
তোমার নীল ছাতাটি আমাকে দাও।
৪) সর্বনামের বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ যে বিশেষণ পদ দ্বারা কোন সর্বনাম পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, পরিমাণ, উপাদান ইত্যাদি বোঝায় তাকে সর্বনাম বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
বরণীয় আপনি।
৫) বিশেষণের বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ যে বিশেষণ পদ দ্বারা কোন বিশেষণ পদেরই দোষ, গুণ, অবস্থা, পরিমাণ, উপাদান ইত্যাদি বোঝায় তাকে বিশেষণের বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
ছেলেটি খুব ভালো ক্রিকেট খেলে।
৬) অব্যয়ের বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ যে বিশেষণ পদ দ্বারা কোন অব্যয় পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, পরিমাণ, উপাদান ইত্যাদি বোঝায় তাকে অব্যয়ের বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
হঠাৎ করে শব্দ হলো।
বাংলা বিষয়ে MCQ প্রশ্নের মক টেষ্ট প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
৭) সংখ্যাবাচক বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ যে বিশেষণ পদ দ্বারা সংখ্যা বোঝানো হয়, তাকে সংখ্যাবাচক বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
আমার বাড়ি পাঁচ কিলোমিটার দূরে।
৮) পূরণবাচক বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ যে বিশেষণ পদ দ্বারা সংখ্যার ক্রমকে নির্দেশ করা হয় তাকে পূরণবাচক বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
অমল বিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
৯) সম্মন্ধ বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ যদি কোন বিশেষণ পদকে সম্মন্ধ রূপে প্রযুক্ত করা হয়, তখন তাকে সম্মন্ধ বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
টিফিনের ঘন্টা পড়লে খেলতে যাবো।
১০) ক্রিয়া বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ যে বিশেষণ পদ দ্বারা ক্রিয়ার প্রকৃতিকে নির্দেশ করা হয় তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
তুমি জোরে পড়ো।
১১) অবস্থাবাচক বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ নামপদের অবস্থার পরিচায়ক বিশেষণকে অবস্থাবাচক বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
মোটা বই, ঠান্ডা জল
১২) পরিমাণবাচক ও আয়তনবাচক বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ বস্তুবোধক নামপদের পরিমাণ ও আয়তন বোঝালে, তাকে পরিমাণবাচক বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
কত লোক, প্রকান্ড বাড়ি
১৩) বর্ণবাচক বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ নামপদের বর্ণ চিহ্নিত করলে তাকে বর্ণবাচক বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
সবুজ গাছ, কালো পতাকা
১৪) উপাদানবাচক বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ নামপদের উপাদান চিহ্নিত করলে তাকে উপাদানবাচক বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
পান্তা ভাত, পাতার মুকুট
১৫) মাত্রাবাচক বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ নামপদের মাত্রা নির্দেশ করলে তাকে মাত্রাবাচক বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
সরু গলি, সংকীর্ণ মন
১৬) সর্বনামীয় বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ সর্বনাম পদ যখন বিশেশণরূপে ব্যবহৃত হয়, তখন তাকে সর্বনামীয় বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
এই বইইটি আমার পছন্দের।
১৭) একপদী বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ একটি মাত্র পদের সাহায্যে যে বিশেষণ পদ গঠিত হয়, তাকে বলে একপদী বিশেষণ।
যেমনঃ
নির্মল জল, হিংস্র পশু
১৮) বহুপদী বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ বহুপদ নিয়ে তৈরি বিশেষণকে বহুপদী বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
একেবারে ধবধবে সাদা সাদা ফুলে গাছটি ভরে গেছে।
১৯) ধ্বন্যাত্ম্যক বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ ধ্বন্যাত্ম্যক শব্দকে বিশেষণরূপে ব্যবহার করা হলে তাকে ধ্বন্যাত্ম্যক বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
ঝমঝমে বৃষ্টি, কনকনে শীত
২০) শব্দদ্বৈতাশ্রয়ী বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ শব্দদ্বৈত যখন বিশেষণরূপে ব্যবহৃত হয়, তখন তাকে শব্দদ্বৈতাশ্রয়ী বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
হাসিহাসি মুখ, ঢুলুঢুলু চোখ
২১) পদান্তরিত বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ অন্য কোন পদকে বিশেষণ পদরূপে ব্যবহার করলে তাকে পদান্তরিত বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
চলন্ত বাস, সোনা রোদ
২২) প্রশ্নবাচক বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ যে বিশেষণ পদ দ্বারা প্রশ্ন বোঝানো হয় তাকে প্রশ্নবাচক বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
কেমন করে এ কথা বললে তুমি?
২৩) উদ্দেশ্য বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ যে বিশেষণ বিশেষ্য পদের পূর্বে বসে তাকে উদ্দেশ্য বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
ভালো বই, প্রিয় বন্ধু
২৪) বিধেয় বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ যে বিশেষণ বাক্যের বিধেয়রূপে পূর্ববর্তী বিশেষ্য পদকে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেশণ করে, তাকে বিধেয় বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
বইটি ভালো, মেজাজ গরম
২৫) বাক্যাশ্রয়ী বিশেষণ কাকে বলে?
উঃ বাক্যের কোনো অংশকে বিশেষণরূপে ব্যবহার করা হলে, তাকে বাক্যাশ্রয়ী বিশেষণ বলে।
যেমনঃ
অনেক দেখে শুনে কাজ শিখেছে
বাংলা ব্যাকরণের বিবিধ আলোচনা দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ