পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ‘পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না’ ভাবসম্প্রসারণটি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদান করা হলো। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না

পরের জন্য তোমার হৃদয় কুসুমকে প্রস্ফুটিত করিও। 

 

ভাবসম্প্রসারণঃ 

পরের উপকারের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেওয়াই হচ্ছে জীবনের সার্থকতা। ফুলের মতোই মানুষের জীবন। পুষ্প কিন্তু নিজের জন্য ফোটে না তার কাজ হচ্ছে নিজের সৌন্দর্য ও সুবাস অন্যদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া। এভাবে সে নিজের সার্থকতা খুঁজে পায়। তদ্রুপ অপরের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারলেই জীবন সুখময় এবং আনন্দময় হয়ে উঠে। সেখানেই জীবনের প্রকৃত সুখ।

মহান সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর সব বস্তুকে অন্যের উপকারের জন্য সৃষ্টি করেছেন। অপরের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করার মধ্যে রয়েছে মানব জীবনের প্রকৃত সার্থকতা। মানুষ অপরের মঙ্গলের জন্য নিজের প্রচেষ্টা নিয়োজিত করলে তাতে তার মহান চরিত্রের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। ফুলকে এখানে রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।

ফুলের সৌন্দর্য ও ঘ্রাণ কিছুই নিজের জন্য নয়। অন্যের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার মধ্যেই ফুলের সার্থকতা। এভাবে নিজেকে বিলিয়ে যখন ফুলের জীবনের অবসান ঘটে তখন উজাড় করা ভালোবাসা মানুষের স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকে। পৃথিবীতে যারা মহৎ ব্যক্তি তারা অন্যের উপকারে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। ফুল এবং মহৎ ব্যক্তি আদর্শের প্রতীক। অপরের জন্য জীবন উৎসর্গ কখনও জীবনের সমাপ্তি নয়, বরং তা জীবনের সার্থকতা। ‘বিশ্বমানবতাকে উদার হৃদয়ে গ্রহণ করে মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দেয়াই মানুষের নীতি হওয়া উচিত।’

মানুষের জীবনও অনেকটা ফুলের মত। মানুষের চারিত্রিক মাধুর্য হ ওয়া উচিত ফুলের মত সুন্দরও সুরভিত। ফুলের মতোই তা নিবেদিত হওয়া উচিত। পরের জন্য সমাজের স্বার্থে মানুষ শুধু ভোগবিলাস স্বার্থের জন্যই জন্মগ্রহণ করেন পরের কল্যাণে জীবনকে উৎসর্গ করার মাঝেই তাদের জীবনের চরম সার্থকতা। সব মানুষ যেদিন ফুলের আদর্শ ভেবে পরের কল্যাণে জীবনকে বিলিয়ে দিতে পারবে সেই দিনই সমাজ জীবনে দুঃখ যন্ত্রণা অবসান ঘটবে মানুষের জীবন হয়ে উঠুক আনন্দময় কল্যাণময়।

মানুষ যেদিন ফুলের আদর্শ ভেবে পরের কল্যাণে জীবনকে বিলিয়ে দিতে পারবে সেদিনই সমাজ জীবনে দুঃখ যন্ত্রণা বৈষম্যের অবসান হবে। মানুষের জীবন হয়ে উঠবে আনন্দময় ও কল্যাণময় তাই মানুষকে ব্যক্তি স্বার্থের কথা না ভেবে সবার স্বার্থের কথা ভাবতে হবে।

আলোচনায় আমরা পরিশেষে বলতে পারি যে, মানুষ যদি নিজের জন্ম লাভের মূল উদ্দেশ্য নিজেকে পুষ্পের মত বিকশিত করা মনে করে এবং স্বীয় স্বার্থ সামর্থ্য অনুযায়ী কল্যাণকর কাজের মাধ্যমে বিশ্ব মানবের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে তাহলেই মানব জীবনের যথার্থ সার্থকতা হয়। ফুল যেমন সুগন্ধ ছড়িয়ে মানুষের মনকে আমোদিত করে। মানুষও তেমনি পরের দুঃখ দূর করার জন্য , পরের মন জয় করার জন্য সাধনায় আত্মনিয়োগ করবে তাতেই জীবনের সার্থকতা পরিচয় পাওয়া যাবে।

এমনই আরো অনেক ভাবসম্প্রসারণ দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ sikkhalaya

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি বিজ্ঞাপন ব্লক করতে এক্সটেনশন ব্যবহার করছেন। এই বিজ্ঞাপন ব্লকার নিষ্ক্রিয় করে আমাদের সমর্থন করুন।

Powered By
Best Wordpress Adblock Detecting Plugin | CHP Adblock

You cannot copy content of this page

Need Help?