পথচলতি প্রশ্ন ও উত্তর
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পথচলতি প্রশ্ন ও উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই পথচলতি প্রশ্ন ও উত্তর সমাধান করে বিশেষভাবে উপকৃত হবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
পথচলতি প্রশ্ন ও উত্তরঃ
১) সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের আত্মজীবনীর নাম কী ?
উঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের আত্মজীবনীর নাম হল ‘জীবনকথা।
২) ভাষাতত্ত্ব বিষয়ে কোন গ্রন্থ রচনার জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন ?
উঃ ভাষাতত্ত্ব বিষয়ে লেখা ‘The Origin and Development of the Bengali Language 9625 Gall তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন।
৩) লেখকের কোন্ ট্রেন ধরার কথা ছিল ?
উঃ লেখকের ‘দেহরাদুন এক্সপ্রেস’ ধরার কথা ছিল।
৪) একটা তৃতীয় শ্রেণির বগির কাছে একেবারেই লােকের ভিড় নেই কেন ?
উঃ একটা তৃতীয় শ্রেণির বগির কাছে একেবারেই লােকের ভিড় না-থাকার কারণ হল- কিছু কাবুলিওয়ালা পুরাে বগিটির দখল নিয়ে অন্য কোনাে যাত্রীদের উঠতে দিচ্ছিল না।
৫) পাঠানদের মাতৃভাষা কী ?
উঃ পাঠানদের মাতৃভাষা পশতু।
৬) বৃদ্ধ পাঠানের ডেরা বাংলাদেশের কোথায় ছিল ?
উঃ বৃদ্ধ পাঠানের ডেরা ছিল বাংলাদেশের বরিশাল জেলার বন্দর অঞ্চলে পটুয়াখালিতে ছিল।
৭) খুশ-হাল খাঁ খট্টক কে ছিলেন ?
উঃ খুশ-হাল খাঁ খট্টক ছিলেন সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সময়কালের পশতু ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি।
৮) আদম খাঁ ও দুরখানির কিসসার কাহিনি কেমন ?
উঃ আদম খাঁ ও দুরখানির কিসসার কাহিনি দিল-ভাঙার অর্থাৎ, দুঃখের।
৯) এই পাঠ্যে কোন্ বাংলা মাসিকপত্রের উল্লেখ আছে ?
উঃ এই পাঠ্যে বাংলা মাসিক পত্রিকা প্রবর্তক-এর উল্লেখ আছে।
১০) রােজার উপপাসের আগে কাবুলিওয়ালারা ভরপেট কী খেয়েছিলেন ?
উঃ রােজার উপবাসের আগে কাবুলিওয়ালারা ভরপেট রােটা ও কাবাব খেয়েছিলেন।
১১) তসবিহ’ শব্দের অর্থ কী ?
উঃ ‘তসবিহ’ শব্দের অর্থ মালা জপ করা।
১২) আরবি ভাষায় ঈশ্বরের নিরানব্বইটি পবিত্র ও সুন্দর নামকে কী বলা হয় ?
উঃ আরবি ভাষায় ঈশ্বরের নিরানব্বইটি পবিত্র ও সুন্দর নামকে বলা হয়—‘নব্বদ-ও নও-অসমা-ই-হাসানা”।
১৩) সন্ধি বিচ্ছেদ করােঃ
হুংকার= হুম + কার।
স্বস্তি= সু + অস্তি।
বিষয়ান্তর= বিষয় + অন্তর।
১৪) প্রকৃতি-প্রত্যয় নির্ণয় করােঃ
ফিরতি= ফির + তি ।
আভিজাত্য= অভিজাত + স্ন্য(য)।
জবরদস্ত= জবর + দস্ত।
নিবিষ্ট= নি-√বিশ + ক্ত।
উৎসাহিত= উৎ + সহ + অ + ইত।
১৫) ব্যাসবাক্য-সহ সমাসের নাম লেখােঃ
শীতবস্ত্র = শীতের বস্ত্র – সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
মাতৃভাষা = মায়ের ভাষা- সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
শিশুসুলভ = শিশুর ন্যায় সুলভ – উপমান কর্মধারয় সমাস।
ত্রিসীমানা = ত্রি (তিন) সীমানার সমাহার – দ্বিগু সমাস।
১৬) নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করােঃ
১৬.১) গাড়িতে সেদিন অসম্ভব ভিড় দেখা গেল। (না-সূচক বাক্যে)
উঃ গাড়িতে সেদিন কম ভিড় দেখা গেল না।
১৬.২) কাবুলিওয়ালা পাঠানদের মাতৃভাষা পশতুর সম্মান তখন ছিল না। (প্রশ্নবােধক বাক্যে)
উঃ কাবুলিওয়ালা পাঠানদের মাতৃভাষা পশতুর সম্মান তখন ছিল কি?
১৬.৩) কলকাতার ভাষা তাঁর আয়ত্ত হয়নি। (জটিল বাক্যে)
উঃ কলকাতার যে ভাষা, তা তাঁর আয়ত্ত হয়নি।
১৬.৪) দুই-একজন মাঝে-মাঝে এক-আধ লবজ ফারসি বললে বটে, কিন্তু এদের বিদ্যেও বেশিদূর এগােল না। (সরল বাক্যে)
উঃ দুই-একজন মাঝে মাঝে এক-আধ লবজ ফারসি বললেও এদের বিদ্যেও বেশিদূর এগােল না।
১৬.৫) বাংলাদেশে তােমার ডেরা কোথায় ? (নির্দেশক বাক্যে)
উঃ বাংলাদেশে তােমার ডেরা কোথায় জানতে চাইছি।
১৭) প্রসঙ্গ উল্লেখ করে টীকা লেখােঃ
কাবুলিওয়ালাঃ
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’-এর লেখা ‘পথচলতি’ গদ্যাংশ থেকে আলােচ্য কথাটি নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গঃ
গয়া থেকে ফেরার সময় দেহরাদুন এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠবার প্রসঙ্গে কাবুলিওয়ালা কথাটি এসেছে।
তাৎপর্যঃ
টিকিট থাকা সত্ত্বেও অত্যধিক ভিড় ঠেলে ট্রেনটিতে লেখকের প্রবেশের সাধ্য ছিল না। অথচ, তিনি দেখলেন একটি বগিতে কয়েকজন মাত্র কাবুলিওয়ালা দিব্যি আরামে শুয়ে বসে আছে। কেউ সেখানে ঢুকতে পারছে না। কেউ ঢুকতে গেলে তারা তাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে সাহস করছে না কেউ। কাবুল দেশের পাঠান জাতির এই মানুষগুলি ব্যাবসায়ী। তারা সুদের কারবার-সহ এদেশে নানারকম শুকনাে ফল ও মশলার ব্যাবসা করত। এই কাবুলিওয়ালাদের নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি অতি বিখ্যাত গল্প আছে। এদের মধ্যে ব্যাবসায়ী মানসিকতার সঙ্গে বরাবরই একটি শিশুসুলভ লক্ষণ দেখা যায়।
পশতুঃ
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’-এর লেখা ‘পথচলতি’ গদ্যাংশ থেকে ‘পশতু’ শব্দটি নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গঃ
কাবুলিওয়ালা-পাঠানদের মাতৃভাষা ও তার সম্মান প্রসঙ্গে ‘পশতু’ কথাটির ব্যবহার হয়েছে।
তাৎপর্যঃ
পশতু আফগানিস্থানের লােকভাষা। এটি মূলত পাঠান জাতির কথ্য ভাষা। গয়া থেকে ফেরার সময় লেখক লক্ষ করেন, ট্রেনের একটি কামরা কয়েকজন কাবুলিওয়ালা দখল করে রেখেছে। তাঁরা পশতু ভাষায় কথােপকথন করছিলেন। লেখক বলেছেন, এই ভাষার তেমন সম্মান না থাকায় । পশতু ভাষায় তেমন সাহিত্যিক নিদর্শন ছিল না। তবে পাঠ্যাংশে পশতু ভাষার বিখ্যাত কবি খুশ-হাল খাঁ খট্টক এবং আদম খান-দুরখানির প্রেমের প্রসঙ্গটি এসেছে।
ফারসিঃ
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’-এর লেখা ‘পথচতি’ গদ্যাংশে ‘ফারসি’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
প্রসঙ্গঃ
ট্রেনের কামরা অধিকার করে থাকা কাবুলিওয়ালাদের সঙ্গে আলাপ জমানাের অভিপ্রায়। প্রসঙ্গে ফারসি লেখক ফারসি ভাষার ব্যবহার করেছেন।
তাৎপর্যঃ
আমরা এই প্রসঙ্গে জানতে পারি যে, ফারসি মূলত পারস্য উপসাগরীয় পাঠান জাতির ভাষা। অবশ্য এই ভাষা শিক্ষিত লােকের ভাষা। বিশেষত, আফগানিস্তানের শিক্ষিত, উচ্চ ও ভদ্র সমাজের লােকেরা। এই ভাষা ব্যবহার করে। এটি সেখানকার সরকারি ভাষাও বটে।
আফগানিস্তানঃ
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’-এর ‘পথচলতি’ গদ্যাংশ থেকে ‘আফগানিস্তান’ শব্দটি গৃহীত হয়েছে।
প্রসঙ্গঃ
ফারসি ভাষা ও কাবুলিওয়ালাদের ভাষা পশতুর সম্পর্কে আলােচনা-প্রসঙ্গে আফগানিস্তান কথাটি এসেছে।
তাৎপর্যঃ
আফগানিস্তান মধ্য এশিয়ার পর্বতসঙ্কুল দেশ এই দেশের তাপমাত্রা ৫° থেকে ৫৫ পর্যন্ত ওঠা-নামা করে। দেশটির আয়তন ৬,৫২,০৯০ বর্গকিলােমিটার। এর রাজধানী কাবুল। এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষি। প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, লবণ, তামা এখানকার প্রধান খনিজ সম্পদ। টাটকা ফল, শুকনাে আখরােট, বাদাম, পেস্তা, কার্পেট আফগানিস্তানের প্রধান রপ্তানি দ্রব্য।
বরিশালঃ
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’-এর লেখা ‘পথচলতি’ গদ্যাংশে ‘বরিশাল’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
প্রসঙ্গঃ
কথাটি জনৈক কাবুলিওয়ালার ব্যাবসাকেন্দ্র ও ডেরা প্রসঙ্গে এসেছে।
তাৎপর্যঃ
বরিশাল জেলা বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশের একটি নদীবহুল অঞ্চল। প্রচলিত ছন্দে স্থানটি সম্পর্কে বলা হত- “ধান নদী খাল/এই তিনে বরিশাল”। স্থানটির নামকরণ প্রসঙ্গে বহু কিংবদন্তি ও লােককথা চালু আছে। বর্তমানে এটি একটি বাংলাদেশের বিভাগও বটে। এই বিভাগে মােট ৬টি জেলা আছে। এক বৃদ্ধ কাবুলিওয়ালা আগা সাহেব বরিশালের বরিশালি ভাষাকে মাতৃভাষার মতাে ব্যবহারে সক্ষম বলে, লেখক তার প্রশংসা করেছেন।
গজলঃ
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’-এর লেখা ‘পথচলতি’ নামক গদ্যাংশে ‘গজল’ কথাটি উদ্ধৃত হয়েছে।
প্রসঙ্গঃ
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে গয়া থেকে কলকাতায় আসার পথে সহযাত্রী কাবুলিওয়ালাদের এই জিজ্ঞাসা করেন, তাঁদের মধ্যে কেউ পশতু ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি খুশ হাল খাঁ ঘট্টকের গজল জানেন কিনা। লেখকের এই জিজ্ঞাসার সূত্র ধরে ‘গজল’ কথাটি এসেছে।
তাৎপর্যঃ
‘গজল’ আরবি শব্দ। যার অর্থ প্রেম বিষয়ক কবিতা। পারস্যে এই কবিতার সৃষ্টি হয়েছে। পরে তা গান হিসেবে পরিবেশিত হতে থাকে। পারস্যবিদ্রা বলেন, ভাবের দিক থেকে গজল দ্ব্যর্থক। সাধকেরা এর মধ্যে যেমন পারমার্থিক ব্যঞ্জনা খুঁজে পান, তেমনই প্রণয়ী এর মাঝে নর-নারীর প্রেমের ব্যঞ্জনাও পেতে পারেন। এই গানগুলি সাধারণত উর্দু ভাষায় রচিত। এই গানে রাগের আভাস মিললেও একে ঠিক মার্গসংগীতের পর্যায়ভুক্ত করা হয় না।
উর্দুঃ
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’-এর লেখা ‘পথচলতি’ গদ্যাংশ থেকে ‘উর্দু’ কথাটি গৃহীত হয়েছে।
প্রসঙ্গঃ
লেখকের ট্রেনের তৃতীয় শ্রেণিতে কাবুলিওয়ালাদের সঙ্গে চলার প্রসঙ্গে ‘উর্দু’ বিষয়টি এসেছে।
তাৎপর্যঃ
‘উর্দু’ একটি ভাষা। এতে আরবি ও ফারসি শব্দের বাহুল্য রয়েছে। ভাষাটি হিন্দির কাছাকাছি হলেও বর্তমানে সম্পূর্ণ পৃথক রূপ নিয়েছে। বর্তমানে ফারসি অক্ষরে উর্দু ভাষা লেখা হয়। লেখক তাঁর সামনে বসা দুই পাঠানের কথােপকথনের সূত্রে পশতু ভাষার প্রসঙ্গ ধরে উর্দু ভাষার ব্যাপারে কিছু কথা বলেছেন। তাঁর মতে, উর্দুতে আরবি-ফারসি শব্দ আছে বলে তাঁর পক্ষে সহজে তা বােঝা সম্ভব হয়েছে। আর তাতে তিনি বুঝলেন, এরা বলছে। যে, লােকটি (লেখক) বিদ্বান ও বুদ্ধিমান।
নমাজঃ
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘পথচলতি’ গদ্যাংশ থেকে ‘নমাজ’ কথাটি নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গঃ
এখানে পাঠান মুসলমানদের গাড়ির মধ্যে আল্লার উপাসনা প্রসঙ্গে লেখক কথাটি বলেছেন।
তাৎপর্যঃ
‘নমাজ’ হল মুসলমানদের কোরানবিধিত ঈশ্বরােপাসনা। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মােট পাঁচবার নমাজ পড়েন। পাঁচবেলার এই নমাজকে ফজর, জোহর, আশর, মাগরির ও এষার নমাজ বলে। নমাজের এই বিভাগকে আবার ‘রাকাত’ হিসেবে ভাগ করা হয়। এই সময় অন্তত চারবার রাকাত পড়তে হয়। পাঠ্যাংশে ভােরবেলায় উঠে অনেকে যে নমাজ পড়ছিল, তা হল- ফজরের নমাজ।
১৮) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর কয়েকটি বাক্যে লেখােঃ
১৮.১) স্টেশনে পৌঁছে লেখক কী দেখেছিলেন ?
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’ ‘পথচলতি’ গদ্যাংশের রচয়িতা।
স্টেশনের দৃশ্যঃ
গদ্যাংশের বর্ণিত ঘটনা অনুসারে স্টেশনে পৌছে লেখক দেখলেন- ট্রেন যথাকালে এলেও গাড়িতে অসম্ভব ভিড়। মধ্যম শ্রেণির কামরায় ওঠা যায়। দ্বিতীয় শ্রেণির গাড়ির মেঝেতে লােক বিছানা নিয়েছে। কোথাও বা বসে ও দাঁড়িয়ে তােক যাচ্ছে। তবে তৃতীয় শ্রেণির বগির কাছে কোনাে ভিড় নেই। সেখানে গুটিকতক কাবুলিওয়ালা বিরাট কামরাখানা দখল করে বসে আছে। কাউকে সেখানে ঢুকতে দিচ্ছে। তাদের হুংকারে সবাই তটস্থ। রেলের কর্মচারী বা পুলিশও তাদের ত্রি-সীমানাতে ঘেঁষছে না।
১৮.২) দু-চারটি ফারসি কথা বলতে পারার ক্ষমতা লেখককে কী রকম সাহস দিয়েছিল ?
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’ ‘পথচলতি’ গদ্যাংশের রচয়িতা।
দু-চারটি ফারসি কথা বলতে পারার সুবিধাঃ
গদ্যাংশ থেকে আমরা জানতে পারি- দু-চারটি ফারসি বলতে পারার ক্ষমতা লেখককে কাবুলিওয়ালাদের দখল নেওয়া কামরায় ওঠবার সাহস দিয়েছিল। তিনি ভেবেছিলেন, ফারসি যেহেতু আফগানিস্তানের শিক্ষিত ভদ্র সমাজের সরকারি ভাষা, সেহেতু কথার মাধ্যমে তিনি তাঁর অবস্থা বােঝাতে সক্ষম হবেন। তা ছাড়া ফারসি বলা শিক্ষা ও আভিজাত্যের লক্ষণ এবং ফারসিতে দু-একটা কথা বলে তিনি সবাইকে অবাক করে দেবেন। তারপর বাঙালির মুখে ফারসি শুনে তারা হয়তাে জায়গাও করে দিতে পারে। ফারসি ভাষা বলতে পারার ক্ষমতা লেখককে এই অসমসাহসিক কাজে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
১৮.৩) ‘আলেম’ শব্দের মানে কী ? লেখককে কারা, কেন ‘এক মস্ত আলেম’ ভেবেছিলেন ?
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’ ‘পথচলতি’ গদ্যাংশের রচয়িতা।
আলেম শব্দের অর্থঃ
‘আলেম’ কথার অর্থ সর্বজ্ঞ অর্থাৎ সব বিষয়ে যিনি পারদর্শী।
ঘটনার বিবরণঃ
গাড়ির মধ্যে থাকা কাবুলিওয়ালাদের অনেকে লেখককে ‘আলেম’ ভেবেছিলেন। জোরপূর্বক কামরায় ঢুকে লেখক যেভাবে তাদের সঙ্গে ফরাসি ভাষায় কথা বলেছিলেন, তাতে সবাই বিস্মিত হয়। কথাবার্তার মাধ্যমে লােকগুলির যে ফারসি বলার ক্ষমতা নেই, তা বুঝে লেখক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় খানিকটা তাচ্ছিল্য করে ব্যঙ্গধ্বনিতে বলেন তারা আফগানিস্তানের কোথা থেকে আসছে যে, ফারসি জানে না। তাতেই তারা বােঝে যে, লেখক বাঙালি হলেও অনেক জানে। ফলে তারা সমীহ করে তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেয় এবং তাঁকে ‘আলেম’ মনে করে।
১৮.৪) আগা-সাহেব সম্বন্ধে যা জানা গেল, সংক্ষেপে লেখাে।
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’ ‘পথচলতি’ গদ্যাংশের রচয়িতা।
আগা সাহেবের বর্ণনাঃ
রচনাংশে আগা সাহেবের কথা জানা যায়। শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে তিনি দেহরাদুন এক্সপ্রেসের তৃতীয় শ্রেণির কামরায় অন্যান্য কাবুলিওয়ালাদের সঙ্গে আগা সাহেবের সাক্ষাৎ পান। আগা সাহেব লেখকের থেকে একটু দূরে বাংকের ওপর শুয়েছিলেন। লেখককে দেখে তিনি জানতে চাইলেন যে, তিনি বাংলাদেশ থেকে এসেছেন কি না। লেখক তাঁর কাছে জানতে পারলেন—বৃদ্ধ পাঠান আগা সাহেব বাংলাদেশের লােক, সাহেব পূর্ববঙ্গের পটুয়াখালি অঞ্চলে ব্যাবসা করেন। সেখানে শীতবস্ত্র আর হিং বিক্রি করেন আর চাষিদের টাকা ধার দেন। তিনি বরিশালের ভাষা তাঁর মাতৃভাষার মতােই বলতে পারেন। কিন্তু কলকাতার ভাষা তাঁর আয়ত্ত হয়নি।
১৮.৫) লেখকের সামনের বেঞ্চির দুই পাঠান সহযাত্রী নিজেদের মধ্যে যে আলােচনা করছিলেন তা নিজের ভাষায় লেখাে। লেখক কীভাবে সেই কথার অর্থ বুঝতে পারলেন ?
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’ ‘পথচলতি’ গদ্যাংশের রচয়িতা।
পাঠান যাত্রীদের আলোচনাঃ
লেখকের সামনের বেঞ্চিতে বসা দুই পাঠান সহযাত্রী নিজেদের মধ্যে তাঁর সম্পর্কে পশতু ভাষায় আলােচনা করছিলেন। তাঁদের বক্তব্যের বিষয় ছিল, লেখকের পাণ্ডিত্য ও জ্ঞান। তাঁরা বলছিলেন, এই বাবু তাদের অনেক খবর জানে। আর শুধু তাই নয়, ইংরেজের লেখা সব বই পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইনি ফারসিও পড়েন। লােকটি ভারি বিদ্বান ও বুদ্ধিমান।
লেখকের বুঝতে পারার কারণঃ
লেখক উর্দু জানতেন। সেই সঙ্গে এটাও তাঁর জানা ছিল যে, পশতু ভাষায় প্রচুর ফারসি ও আরবি শব্দ আছে। উর্দু জানা থাকলে পশতু, তা সে দেহাতি পশতু হলেও বােঝা যায়। কিছু শব্দ জেনে ও বাকিটা বুদ্ধি দিয়ে পাঠান সহযাত্রীর কথার অর্থ লেখক বুঝতে পেরেছিলেন।
১৯) নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখােঃ
১৯.১) পাঠ্য গদ্যটির ভাবের সঙ্গে ‘পথচলতি’ নামটি কতখানি সংগতিপূর্ণ হয়েছে বিচার করা।
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’ ‘পথচলতি’ গদ্যাংশের রচয়িতা।
নামকরণের সার্থকতাঃ
আলােচ্য গল্পটির নামকরণ করা হয়েছে বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে। পথে বহু মানুষের সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়। পারস্পরিক সৌহার্দে সেই আলাপ বেশ কিছুটা আন্তরিক হয়ে ওঠে, খুঁজে পাওয়া যায় মনের রসদ। লেখক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় দেহরাদুন এক্সপ্রেসে চড়ে কলকাতা ফেরার সময় ভিড়ের কারণে ট্রেনের মধ্যম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে স্থান পাননি। তিনি লক্ষ করেন, তৃতীয় শ্রেণির একটি কামরা কিছু কাবুলিওয়ালা দখল করে রেখেছে। লেখক ফরাসি ভাষা জানার সুবাদে ওই কাবুলিওয়ালাদের সঙ্গে অনায়াসেই বার্তালাপ করতে পারেন এবং এর ফলে তিনি কামরায় অনায়াসে জায়গা করে নেন। তাঁদের সঙ্গে কলকাতায় ফেরার অভিজ্ঞতাই আলােচ্য গল্পটির কেন্দ্রীয় বিষয়।
সমগ্র গল্পটাই পথের অভিজ্ঞতাতে পরিপূর্ণ। তাই চলার পথের অভিজ্ঞতাই যেহেতু এই গল্পের মূল বিষয়, সেজন্য তাকে কেন্দ্র করে নামকরণটি করা হয়েছে। সুতরাং, বিষয়বস্তুর বিচারে ‘পথচলতি’ নামটি সর্বাঙ্গে সার্থক ও সুন্দর হয়ে উঠেছে।
১৯.২) পাঠ্য গদ্যাংশটি থেকে কথকের চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্যগুলি তােমার চোখে ধরা পড়েছে বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করে লেখাে।
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’ ‘পথচলতি’ গদ্যাংশের রচয়িতা।
কথকের চরিত্র বৈশিষ্ট্যঃ
‘পথচলতি’ রচনাটি লেখকের একটি চলার পথের অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতাটির মাধ্যমে লেখকের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্যের পরিচয় আমরা পাই।
‘পথচলতি’ পাঠ্যাংশে আমরা লক্ষ করি, কথক তথা লেখক সাহসী, বিচক্ষণ, ভাষাবিদ, আলাপী, সংগীত রসিক, বিদ্বান, সাহিত্যপ্রেমী ইত্যাদি গুণের অধিকারী। যে কামরায় রেলের কর্মচারী বা পুলিশ পর্যন্ত যেতে পারেনি, যেখানে সাহস করে কেউ ঢােকেনি, সেখানে তিনি অবলীলায়, নির্দ্বিধায় ঢুকতে সচেষ্ট হন। ভাষাবিদ বলেই তিনি জানেন, আফগানিস্তানের লােকেরা ফারসি জানবে। তারপর ফারসি বলার পর যখন এঁরা সে ভাষাও বুঝল না, তখন বিচক্ষণতার গুণে তিনি উপলব্ধি করলেন, এরা ওখানকারই কোনাে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ। যে কারণে ফারসি আভিজাত্যের লক্ষণ এদের মধ্যে নেই। বিচক্ষণ বলেই লেখক ব্যাপারটি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। লেখক সংগীত রসিক বলেই তাঁদের কাছে ঔরঙ্গজেবের সমকালীন মানুষ খুশ-হাল খাঁ খট্টক-এর গজল শােনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাঁর মাধ্যমেই জানা যায়, তিনি পশতু ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি। তারপর আদম খান ও দুরখানির কিত্সার প্রসঙ্গ আসে। এভাবে গান ও সাহিত্যের সমন্বয়ে গাড়িতে যেন একটি পশতু-সাহিত্য-গােষ্ঠী বা সম্মেলন শুরু হল। এভাবে আমরা লেখকের নানান বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবহিত হতে পারি। সেইসঙ্গে উপলদ্ধি করা যায়, লেখক বাস্তববােধসম্পন্ন। কারণ, তিনি জানেন গাড়ির এই সঙ্গসুখ লাভ কেবল ওই একটি মাত্র রাত্রির জন্যই। পরে কখনও তাদের মধ্যে আবার সাক্ষাৎ নাও হতে পারে। তাই লেখক সমগ্র অভিজ্ঞতাটি সহজ, সরল, কৌতুহলােদ্দীপক ভাষায় নাটকীয় ভঙ্গিতে অগণিত পাঠকদের জন্য রচনা করে গিয়েছেন।
এই রচনায় লেখকের অন্যান্য গুণের সঙ্গে তিনি যে একজন সার্থক রসগ্রাহী গদ্যকার, সেই সত্যটিও প্রকাশিত হয়েছে।
১৯.৩) কথকের সঙ্গে কাবুলিওয়ালাদের প্রারম্ভিক কথােপকথনটি সংক্ষেপে বিবৃত করাে।
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’ ‘পথচলতি’ গদ্যাংশের রচয়িতা।
কথকের সঙ্গে কাবুলিওয়ালাদের কথোপকথনঃ
গদ্যাংশে লেখক দেহরাদুন এক্সপ্রেসে গয়া থেকে কলকাতা ফেরার কাহিনি বর্ণনা করেছেন। ভিড় কামরায় ওঠা অসম্ভব বিবেচনা করে লেখক, কাবুলিওয়ালাদের সম্পূর্ণ দখলে থাকা ভিড়হীন কামরার হাতল ধরলেন। ভিতর থেকে পাঁচ-ছয়জন হুংকার দিয়ে বলল- সে কোথায় আসছে। এই গাড়ি কেবলমাত্র পাঠানদের জন্য। তােমার জন্য নয়। লেখক ফারসিতে বললেন- খালি একজন লােকের জায়গা দাও। ফারসি বুঝতে না-পেরে হতভম্ব হয়ে একজন জানতে চাইল সে কী চাইছে, তিনি আবার ফারসিতে বললেন- তারা কি ফারসি জানে ? ফারসি বলতে পারে না? ওদের মধ্যে ফারসি জানা কেউ না-থাকায় লেখক তখন গলা চড়িয়ে তাচ্ছিল্যভরে বললেন যে, তারা আফগানিস্তানের কোন এলাকা থেকে আসছে যে, ফারসিতে কথা বলার ক্ষমতা তাদের নেই। তারা নিজেদের মধ্যে মুখ চাওয়াচাওয়ি করে নেওয়ার পর একজন বলল, সে ফারসি জানে। তখন লেখক তাদেরকে গাড়িতে জায়গা দেওয়ার অনুরােধ করলেন। তখন সেই ছােকরা ছেলেটি জানতে চাইল, তিনি কোথায় যাবেন। জবাবে তিনি বললেন, কলকাতায় যাবেন। তারপর সে ইশারায় লেখককে ভিতরে আসতে বললো। লেখক ভিতরে ঢুকলেন এবং তাঁকে জ্ঞানী ব্যক্তি মনে করে, যথেষ্ট সমীহ দেখিয়ে তারা একটি পুরাে বেঞ্চ খালি করে দিল।
১৯.৪) কথক কেন বলেছেন ‘যেন এক পশতু-সাহিত্য গােষ্ঠী বা সম্মেলন লাগিয়ে দিলুম’? সেই সাহিত্য সম্মেলনের বর্ণনা দাও।
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’ ‘পথচলতি’ গদ্যাংশের রচয়িতা।
কথকের মন্তব্যের কারণঃ
গদ্যাংশে লেখক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় দেহরাদুন এক্সপ্রেসে গয়া থেকে কলকাতা ফেরার কাহিনি বর্ণনা করেছেন। আসলে অনেক সময় চলতি পথে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পারস্পরিক আলাপ আলােচনার মাধ্যমে অকৃত্রিম আন্তরিকতা যেমন ফুটে ওঠে, তেমনই মনের রসদ, সাহিত্যের রসের স্বাদ মেলে। তেমনই গল্পে দেখা গিয়েছে, দেহরাদুন এক্সপ্রেসের পশতু-সাহিত্য-গােষ্ঠী বা সম্মেলন শুরু হয় খুশ-হাল খাঁ খট্টকের গজল বিষয়ে প্রশ্নের মাধ্যমে। ঔরঙ্গজেবের সমকালীন এই কবি পশতু ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি।
সাহিত্য সম্মেলনের বর্ণনাঃ
লেখকের আগ্রহে জনৈক যাত্রী গজল শােনালেন। এরপর হল, আদম খান আর দুরখানির মহব্বতের কিসার কথা। আর শুধু লেখককেই বা কেন- গাড়ির সমস্ত যাত্রীরা অবধারিতভাবে মন দিয়ে সেই কাহিনি শুনল। পাঠানের গলা যদিও কর্কশ, তবে সে গুরুগম্ভীরভাবে কাহিনিটি কিছুটা গান করে আবার কিছুটা পাঠ করে সবাইকে মােহিত করে রাখল। এভাবে সেই তৃতীয় শ্রেণির গাড়িতে গানে, আবৃত্তিতে ও পাঠে যেন এক পশতু-সাহিত্য-গােষ্ঠী বা সম্মেলন হল।
১৯.৫) ‘পথচলতি’ রচনায় ভাষা ও সংস্কৃতির বিভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও যে সহজ বন্ধুত্ব ও উদার সমানুভূতির ছবিটি পাওয়া যায় তার স্বরূপ বিশ্লেষণ করাে। বর্তমান সময়ে এই বন্ধুত্ব ও সমানুভূতির প্রাসঙ্গিকতা বুঝিয়ে দাও।
উৎসঃ
‘সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়’ ‘পথচলতি’ গদ্যাংশের রচয়িতা।
সহজ বন্ধুত্ব ও উদার সমানুভূতির ছবিঃ
ভারতবর্ষ বহু ভাষা ও সংস্কৃতির দেশ। কিন্তু এই ভিন্নতা মানববন্ধনের প্রতিবন্ধকতা নয়। আলােচ্য কাহিনিতে আমরা সেই প্রতিবন্ধকতাহীন বন্ধুত্ব ও উদারতার পরিচয় পাই। কাহিনির সূচনা আপাত বিরােধিতা দিয়ে হলেও, তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পারস্পরিক আচরণ ও একে অন্যকে নিজের মনােভাব বােঝানাের মধ্য দিয়ে সবাই একাত্ম হয়েছে। দুর্ধর্ষ পাঠানরা লেখককে ‘মস্ত আলেম’ অর্থাৎ, বিদ্বান ও বুদ্ধিমান ভেবে সমীহ করেছে। তারপর সবাই পরস্পরের বিষয়ে জ্ঞাত হয়েছে। সারারাত ধরে একসঙ্গে ঘুমিয়েছে। আবার সকাল হলে পটুয়াখালির বৃদ্ধ আগা-সাহেব স্বাভাবিক ভদ্রতা প্রণােদিত হয়ে লেখককে জিজ্ঞাসা করেছে তার ঘুম হয়েছিল কি না। অর্থাৎ, সবাই ভদ্রতা দেখিয়েছে। এভাবেই পথচতি’ রচনায় আমরা ভাষা ও সংস্কৃতির বিভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও মানুষের মধ্যেকার বন্ধুত্ব ও উদার সহানুভূতির পরিচয় পাই।
বর্তমান সময়ে এই বন্ধুত্ব ও সমানুভূতির প্রাসঙ্গিকতাঃ
বর্তমান সময়ে এই বন্ধুত্ব ও সহানুভূতি একান্ত আবশ্যক। কারণ, বর্তমানে আমাদের দেশে বিচ্ছিন্নতাবাদ বেশি করে মাথা চাড়া দিয়েছে। ভাষাকেন্দ্রিক স্বাতন্ত্রের দাবি উঠেছে। ধর্ম ও সংস্কৃতির ভিন্নতা মানুষকে মানবিক বােধে উদ্বুদ্ধ করছে না—বরং সংকীর্ণতাকে উগ্র করে তুলছে। এই সংকীর্ণতা ও বিচ্ছিন্নতা থেকে মানুষকে মুক্ত করতে পারে কেবল উদারতা, বন্ধুত্ব ও সহানুভূতি। তাহলেই, সমাজে ও দেশে শান্তি ও প্রতিভাব বজায় রাখা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বিচ্ছিন্নতাবাদী অশুভ শক্তির অমানবিক চেষ্টা মানুষের উদারতা, বন্ধুত্ব ও সহানুভূতির জাগরণে পিছু হটতে বাধ্য হবে।
অষ্টম শ্রেণি বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
প্রথম ইউনিট টেষ্টের সাজেশন দেখতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কঃ
- বোঝাপড়া
- অদ্ভুত আতিথেয়তা
- চন্দ্রগুপ্ত
- বনভোজনের ব্যাপার
- সবুজ জামা
- চিঠি
- পরবাসী
- পথচলতি
- একটি চড়ুই পাখি
- দাঁড়াও
- ছন্নছাড়া
- পল্লীসমাজ
- গাছের কথা
- হাওয়ার গান
- কী করে বুঝব
- পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি
- নাটোরের কথা
- গড়াই নদীর তীরে
- জেলখানার চিঠি
- স্বাধীনতা
- আদাব
- শিকল পরার গান
- হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
- ঘুরে দাঁড়াও
- সুভা
- পরাজয়
- মাসিপিসি
- টিকিটের অ্যালবাম
- লোকটা জানলই না
- বাংলা ব্যাকরণ
- পথের পাঁচালী
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ