দুটি গানের জন্মকথা প্রশ্ন উত্তর

দুটি গানের জন্মকথা প্রশ্ন উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা দুটি গানের জন্মকথা প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই দুটি গানের জন্মকথা প্রশ্ন উত্তর সমাধানের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য বিষয়টি সম্পর্কে বিষদ জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

দুটি গানের জন্মকথা প্রশ্ন উত্তরঃ 

১) ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীতটি কোন উপলক্ষে প্রথম গাওয়া হয়েছিল ?

উঃ ভারতের জাতীয় কংগ্রেস-এর ২৬তম বার্ষিক অধিবেশন উপলক্ষ্যে জাতীয় সংগীতটি প্রথম গাওয়া হয়।

২) ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকায় ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীতটির কোন্‌ পরিচয় দেওয়া হয়েছিল ? 

উঃ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীতটির পরিচয় দেওয়া হয়েছিল – ব্রহ্মসংগীত হিসেবে।

৩) রবীন্দ্রনাথ ‘জনগনমন’র যে ইংরেজি নামকরণ করেন সেটি লেখো।

উঃ রবীন্দ্রনাথ জনগমন-র যে ইংরেজি নামকরণ করেন, সেটি হল – ‘The Morning song of India’।

৪) ভারতবর্ষের জাতীয় মন্ত্রটি কী? সেটি কার রচনা ?

উঃ ভারতবর্ষের জাতীয় মন্ত্রটি হল – বন্দেমাতরম। এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনা।

৫) জাতীয় মন্ত্রের প্রথম চারটি পঙ্‌ক্তি শিক্ষকের থেকে জেনে খাতায় লেখো।

উঃ জাতীয় মন্ত্রের প্রথম চারটি পঙ্‌ক্তিটি হল – “বন্দেমাতরম্‌ সুজলাং সুফলাং মলয়জ-শীতলাং শস্য-শ্যামলাং, মাতরম্‌।”

৬) টীকাঃ 

জাতীয় সংগীতঃ 

জাতীয় সংগীত একটি দেশের সার্বিক ঐক্যহ্যের ধারক ও বাহক। বিশ্বের প্রত্যেক দেশের একটি জাতীয় সংগীত আছে। আমাদের দেশের জাতীয় সংগীত রবীন্দ্রনাথের লেখা। অবশ্য ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫-ই আগস্টের আগে বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বন্দেমাতরম’ গানটি জাতীয় সংগীত হিসেবে ব্যবহার করা হত।

মঘোৎসবঃ 

মাঘ মাসে পালিত উৎসব। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে মাঘ মাসে এই উৎসব পালিত হত। এই উৎসব উপলক্ষে প্রতিবার ঠাকুরবাড়ি সেজে উঠত। বাড়ির সদস্যরা নাচ, গান, নাটক করত। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন লেখার এই উৎসবের কথা আছে।

বিশ্বভারতীঃ 

বিশ্বভারতী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের কাছে এটি আজ স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। শান্তিনিকেতনের মতো এটিও ভারত-সহ বিশ্ববাসীর কাছে অতি পবিত্র।

পুলিনবিহারী সেনঃ 

দেশসেবক ও সুচিকিৎসক। খ্যাতনামা রবীন্দ্র-বিশারদও বটে। প্রবাসী পত্রিকার সম্পাদকরূপে তাঁর কর্মজীবনের সূচনা হয়। বহু পুরস্কারে ভূষিত এই মানুষটি ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু হয়। 

নীলরতন সরকারঃ 

বিখ্যাত চিকিৎসক। তাঁর নামেই কলকাতার এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ ও হসপিটাল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে তাঁর জন্ম হয়। মৃত্যু ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে। 

৭) জনগনমন-কে জাতীয় সংগীত রূপে গ্রহণ করতে বিরোধিতা হয়েছিল কেন? রবীন্দ্রনাথের ব্যাখ্যায় সেই বিরোধিতার অবসান কীভাবে ঘটেছিল ? 

উঃ জনগণমনকে জাতীয় সংগীতরূপে গ্রহণ করতে বিরোধিতা হয়েছিল। কারণ – রবীন্দ্রবিরোধীরা মনে করতেন, এই গানটি পঞ্চম জর্জের ভারতে আগমন উপলক্ষ্যে রচিত। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের ব্যাখ্যায় এই ধারণায় অবসানও হয়। তিনি জানান গানটি লেখার কারণ, তাঁর এক বন্ধুর অনুরোধ। অবশ্য ওই বছর ভারত সম্রাটের আগমনের আয়োজন চলছিল। বন্ধুর অনুরোধ তাঁকে বিস্মিত করে। তিনি প্রবল প্রতিক্রিয়ায় ভারতভাগ্যবিধাতার জয় ঘোষণা করেন। আর এই বিধাতা কোনো পঞ্চম বা ষষ্ঠ জর্জ নন। তিনি জনগণের অন্তর্যামী, পথপরিচায়ক। ব্যাপারটি রবীন্দ্রনাথের রাজভক্ত বন্ধুও উপলব্ধি করেন। 

৮) “রবীন্দ্রনাথ গানটিকে পরেও নানা উপলক্ষ্যে ব্যবহার করেছেন।” – ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী সময়ে রবীন্দ্রনাথ কীভাবে এই গানটি ব্যবহার করেন ?

উঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের পর রবীন্দ্রনাথ গানটিকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছেন। কখনও ব্রহ্মসংগীত হিসেবে আবার কখনও বা The morning song of India হিসেবে। গানটির সুর ও অর্থগৌরব উপলব্ধি করে থিয়োসফিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ গানটিকে প্রতিদিনের অ্যাসেম্বলি সং বা বৈতালিকরূপে চালু করে। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে জেনিভা সফরের পর রাশিয়াতে গিয়েও তিনি সেখানকার অনাথ বালক-বালিকাদের এই গানটি নিজে গেয়ে শুনিয়েছিলেন। 

দুটি গানের জন্মকথা থেকে MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

click here

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

You cannot copy content of this page

Need Help?