দিন ফুরোলে কবিতার প্রশ্ন উত্তর

দিন ফুরোলে কবিতার প্রশ্ন উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা দিন ফুরোলে কবিতার প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই দিন ফুরোলে কবিতার প্রশ্ন উত্তর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য কবিতাটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

দিন ফুরোলে কবিতার প্রশ্ন উত্তরঃ 

১) লক্ষ, বা তা হতেও পারে (একশো/হাজার কোটি)। 

উঃ  একশো

২) কেই বা খুলে দেখছে (মিষ্টির/রঙের/কাঠের) বাক্স। 

উঃ রঙের। 

৩) (অন্ধকার/নিশীথ/ আঁধার) ফেলে ঘরের দিকে উড়ছে। 

উঃ আঁধার।   

৪) এক (ঘড়া/কলশি/গঙ্গা) জল নিয়ে তাই ধুচ্ছি।  

উঃ গঙ্গা।   

৫) তেমনি এবার (যেতে আসতে/ফিরতে হবে সত্যি। 

উঃ ফিরতে। 

৬) সুয্যি ডুবে যাওয়ায় কথকরা ‘দুচ্ছাই’ বলছে কেন ? 

উঃ সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় তাদেরও খেলার সময় শেষ হল। 

৭) কে এক্ষুনি আকাশ জুড়ে লক্ষ রঙের দৃশ্যে চমকে দেবেন ?

উঃ ঈশ্বর এক্ষুনি আকাশ জুড়ে লক্ষ রঙের দৃশ্যে চমকে দেবেন। 

৮) কথকরা কেন সেই দৃশ্য দেখতে পাবে না ?

উঃ দিন ফুরিয়ে আসায় তাদের বাড়ি যেতে হবে বলে কথকরা সেই দৃশ্য দেখতে পাবে না। 

৯) কথকরা কেন বলেছে, ‘কেই বা খুলে দেখেছে রঙের বাক্স’ ? 

উঃ বাক্সটি ঈশ্বরের, তাই ইচ্ছে ছাড়া সেটিকে খুলে দেখা যাবে না। 

১০) বাপ-মায়েরা কী হলে মুচ্ছো যাবেন ? 

উঃ বাচ্চাদের ফিরতে দেরি হলে বাপ-মায়েরা মুচ্ছো যাবেন।  

১১) পাখিরা কোথা থেকে কোথায় উড়ে যায় ? 

উঃ পাখিরা ধানের খেত থেকে ঘরের দিকে উড়ে যায়। 

১২) কথকরা কেন বলেছেন তাদের নিজের নিজের মন খারাপের গর্তে’ ফিরতে হবে ?

উঃ খেলা থেকে বাড়ি ফেরাটা বাচ্চাদের কাছে মন খারাপের হয়। 

১৩) বাবা কী বলবেন ?  

উঃ বাবা বলবেন যে অন্ধকার হওয়ার পরেও এইটুকু সব বাচ্চারা মাঠ ছাড়ে না। 

১৪) মা-ই বা বাড়ি ফিরলে কী বলবেন ?

উঃ মা বলবেন পাগুলো কুৎসিত তাই একগঙ্গা জল দিয়ে তিনি ধুচ্ছেন। 

১৫) কথকরা কেন ‘একগঙ্গা জল’ দিয়ে পা ধুচ্ছে ?  

উঃ পায়ে ময়লা লেগেছে বলে কথকরা পা ধুচ্ছে। 

১৬) ব্যাখ্যা করোঃ 

ক) “সুয্যি নাকি… ..ডুব দিয়েছে ?” 

উঃ লেখকের মনে হয় সূর্য নাকি সত্যি নিজের ইচ্ছায় সন্ধেবেলা ডুব দেয় না। তার মনে হয় কোনো এক ঈশ্বরের ইচ্ছায় সূর্যকে ডুব দিতে হয়েছে। কারণ এই প্রকৃতির চালক ঈশ্বর, তাঁর ইচ্ছাতেই সব হয় বলে মানুষ বিশ্বাস করে।

খ) “আকাশ জুড়ে………… লক্ষ রঙের দৃশ্য।”

উঃ এক ঈশ্বর আকাশ জুড়ে লক্ষ রঙের দৃশ্য এঁকে চমকে দেবেন। কারণ সূর্য অস্ত যাওয়ার পর আকাশ জুড়ে অদ্ভুত এক রঙের খেলা দেখা যায়। সেই অপরূপ রঙের যে দৃশ্য তা বোধহয় ঈশ্বরের সৃষ্টি। 

গ) “লক্ষ, বা তা হতেও পারে………… রঙের বাক্স।”

উঃ কবির মনে হয় সূর্য অস্ত্র যাওয়ার পর আকাশ জুড়ে যে রঙের দৃশ্য দেখা যায় তা লক্ষ না হয়ে একশো হতে পারে কারণ কেউ রঙের বাক্স খুলে দেখতে যায়নি। সেটি ঈশ্বরের নিজের বাক্স, তাতে কী আছে জানার উপায় নেই কারণ সেটি খুলে দেখা যাবে না। 

ঘ) “আমরা কি আর………. যাবেই তবে মুচ্ছো।” 

উঃ ছেলেদের আফশোস সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে আকাশ জুড়ে এই সুন্দর রঙের খেলা তারা দেখতে পাবে না, কারণ অন্ধকার হবার পরেও মাঠে থাকলে মা-বাবা ভয়েই মুচ্ছো অর্থাৎ মূৰ্চ্ছা যাবেন। সন্ধ্যা হবার পর সকলকেই ফিরতে হয় না হলে বাবা মা চিন্তা করবেন। বাবা আশ্চর্য হয়ে বলবেন দিন ফুরোবার পরও এই বাচ্ছা ছেলেগুলো মাঠ থেকে ঘরে ফেরেনা। 

১৭) কবিতাটি অবলম্বনে তোমার দেখা একটি গোধূলির রূপ বর্ণনা করো। 

উঃ সূর্য পশ্চিম প্রান্তে হেলে পড়েছে। গাছপালার মাথায়, আকাশের মেঘে লালরঙের ছোঁয়া লেগেছে। পুব আকাশে একফালি চাঁদ উকি মারছে। আকাশে কোথাও কোথাও দু-একটা তারা ঘুম ভেঙে উঠছে। পাখিরা আকাশে সারি বেঁধে নানারকম নকশা তৈরি করতে করতে ঘরে ফিরছে। সন্ধেবেলার মৃদুমন্দ শীতল বাতাস বইতে শুরু করেছে। দিনের শেষে সবাই কাজ থেকে বাড়ি ফিরছে। এই সময়টা বাচ্চাদের খেলার থেকে ঘরে ফিরতে হয়। কোনো কোনো গৃহস্থ বাড়িতে শাঁখ ও দেবালয়ে ঘণ্টা ও ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। প্রকৃতিতে সন্ধ্যা নেমে এলো। 

১৮) কবিতাটিতে ছোটো ছেলেমেয়েদের কাদের সাথে তুলনা করা হয়েছে? সন্ধেবেলায় ঘরে ফেরাকে ‘মন খারাপের গর্তে ফেরা বলে কেন মনে হয়েছে? খেলা থেকে সন্ধেবেলা বাড়ি ফেরার দুঃখ নিয়ে তোমার অনুভূতি লেখো। 

উঃ কবিতাটিতে ছোটো ছেলেমেয়েদের সঙ্গে পাখির তুলনা করা হয়েছে। খেলা থেকে ফিরে সন্ধেবেলা আবার পড়তে বসতে হয়। বাবা-মা বা বাড়ির অন্যান্য বড়োদের কাছে বকাবকি শুনতে হয়। ছোটো ছেলেরা চায় সন্ধ্যার পর আকাশ জুড়ে রঙের খেলা দেখতে। তাই সন্ধেবেলাতে ছোটো ছেলেমেয়েদের ঘরে ফেরাকে মন খারাপের গর্তে ফেরা বলে মনে করা হয়েছে। 

খেলা থেকে যখন সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরি তখন পা আর চলে না। ঘড়ির কাঁটা দ্রুত ঘুরতে থাকে। মনে হয় যেন চারিদিকটা শূন্য হয়ে গেছে। বাড়ি ফিরলেই সেই একঘেঁয়ে ‘পড়তে বস’, ‘পড়তে বস’ আওয়াজ শুনতে আর ভালো। লাগে না। মনে হয় কবে যে এর থেকে মুক্তি পাব।

১৯) এবার কোথায় ফিরতে হবে ? 

উঃ ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের এবার নিজেদের ‘মন খারাপের গর্তে অর্থাৎ নিজের বাড়িতে ফিরতে হবে। 

২০) পাখির সারি কী করছে ? 

উঃ পাখির সারি ধানের গোছায় আঁধার অর্থাৎ ছায়া ফেলে ঘরের দিকে ফিরছে।  

২১) আকাশে কে কীভাবে চমকে দেবেন ? 

উঃ আকাশ জুড়ে এক ঈশ্বর চমকে দেবেন লক্ষ রঙের দৃশ্যে। 

২২) বাবা কী বলবেন ?  

উঃ বাবা বলবেন এইটুকু বাচ্চা ছেলেরা দিন ফুরোলেও মাঠ ছাড়ে না। 

২৩) বাপ-মায়েদের কী হবে বলে কবি বলেছেন ? 

উঃ বাপ-মায়েরা মুর্ছা যাবে বলে কবি বলেছেন।  

২৪) মা কী বলবেন ? 

উঃ মা বলবেন ঠ্যাং দুটো কী কুচ্ছি‍। 

২৫) ‘সন্ধে হলো?’ কীভাবে সন্ধে হলো? কবি একে ‘দুচ্ছাই’ বলছেন কেন ?

উঃ সূর্য সত্যি সত্যি নিজের ইচ্ছের অথবা অন্য কারোর ইচ্ছার জন্য ডুব দেওয়ায় সন্ধে হলো। কবি এজন্যই একে “দুচ্ছাই’ বলেছেন যে সন্ধে হলেই আবার তাদের নিজেদের মন খারাপের জগতে ফিরে যেতে হবে খেলার মাঠকে ভুলে। 

২৬) ‘আমরা কি আর দেখতে পাব ভাবছ?’- কবি কী দেখার কথা বলছেন ?

উঃ সূর্য ডুবে যাওয়ার পর আকাশ জুড়ে দেখা করে এক লক্ষ রঙের দৃশ্যের খেলা, কোনো এক ঈশ্বর তিনি এই খেলা দেখিয়ে চমকে দেবেন, তাঁর এই দৃশ্যে কত যে রঙ তা তার বাক্স খুলে কেউ দেখেনি, জানেও না। কিন্তু কবি ও তার সঙ্গীদের ফিরে যেতে হবে, তাই তারা এই সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাবেন না। যদি এতক্ষণ তারা মাঠে থাকে তাদের বাপ মায়েরা শুনেই মূৰ্চ্ছা যাবেন। 

২৭) ‘তেমনি এবার ফিরতে হবে সত্যি’- কেমন ভাবে তাদের ফিরতে হবে ?

উঃ সারা দিনের খেলা ও আনন্দের পর ছেলেদের নিজেদের মন খারাপের জগতে ফিরতে হবে। ঠিক যেভাবে দিনের শেষে পাখির দল, ধানের গুচ্ছে আঁধার ফেলে দিয়ে ঘরের দিকে ফেরে, সেভাবেই তাদের ফিরতে হবে। 

দিন ফুরোলে কবিতা থেকে MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

click here

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

You cannot copy content of this page

Need Help?