একটি চড়ুই পাখি প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা একটি চড়ুই পাখি প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই একটি চড়ুই পাখি প্রশ্ন উত্তর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য কবিতাটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
একটি চড়ুই পাখি প্রশ্ন উত্তরঃ
১) তারাপদ রায় কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন ?
উঃ তারাপদ রায় ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন ।
২) তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উঃ তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থ হলো দারিদ্র্যরেখা, জলের মতো কবিতা।
৩) কবিতায় চড়ুই পাখিকে কোথায় বাসা বাঁধতে দেখা গেছে ?
উঃ কবির ঘরের মধ্যে চড়ুই পাখিটিকে বাসা বাঁধতে দেখা গেছে।
৪) চড়ুই পাখি এখান-সেখান থেকে কী কী সংগ্রহ করে আনে ?
উঃ চড়ুই পাখিটি এ বাড়ি থেকে খড়কুটো , ও বাড়ি থেকে ধান প্রভৃতি সংগ্রহ করে আনে।
৫) কবির ঘরের কোন্ কোন্ জিনিস চড়ুই পাখিটির চোখে পড়ে ?
উঃ কবির ঘরের জানালা, দরজা, টেবিল, ফুলদানি, বই-খাতা এ সবই চড়ুই পাখিটির চোখে পড়ে।
৬) ইচ্ছে হলেই চড়ুই পাখি কোথায় চলে যেতে পারে ?
উঃ ইচ্ছে হলেই চড়ুই পাখিটি বাড়ি বা এ পাড়ায় ওপাড়ায় , বোসেদের , পালেদের বাড়ি চলে যেতে পারে।
৭) ‘চতুর চড়ুই এক ঘুরে ফিরে আমার ঘরেই বাসা বাঁধে’- চড়ুই পাখিকে এখানে চতুর বলা হলো কেন ?
উঃ কবির মনে হয়েছে চড়ুই পাখিটি খুবই চতুর। সে জানে কবি তার ঘরে একা থাকেন। সকালে বের হলে সে তো সন্ধেবেলা ফেরে। ঘরে থাকে খুব কম সময়ের জন্য, ফলে গোটা ঘরে তার অবাধ রাজত্ব। তাই কবির ঘরটি তার বাসা বাধার উপযুক্ত মনে করেছিল। যদিও সে এমনভাব করে যেন সে দয়া করে কবির ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। ইচ্ছে করলেই চলে যেতে পারে তবে যায় না। সে যেন বোঝে কবির একাকীত্ব, তাই ইচ্ছে করলেও কবি তাকে তাড়িয়ে দেবেন না। তাই কবি তাকে চতুর বলেছেন।
৮) কবিতার বিধৃত চিত্রকল্পগুলি দৃষ্টান্তসহ আলোচনা করো।
উঃ কবির বিবৃত উল্লেখযোগ্য চিত্রকল্পগুলো হলো-
ক) কার্নিশে বসে চাহনিতে তাচ্ছিল্য মজার ভাব, যেন এই বাজে ঘরে দয়া করে আছি, কারণ দয়ার শরীর।
খ) কখনো কবিকে কৌতূহলী দৃষ্টিতে দেখে ভাবে এই লোকটা চলে গেলে এই ঘর-দোর-জানালা-টেবিলের ফুলদানি-বইপত্র সব বিধাতা তাকে দেবে।
গ) সন্ধ্যা ফেরে-সন্ধ্যাকাল আসার চিত্র ফুটে উঠেছে।
৯) ‘হয়তো ভাবে’- চড়ুই পাখি কী ভাবে বলে কবি মনে করেন ?
উঃ কবি মনে করেন যে, চড়ুই পাখিটি হয়ত ভাবে কবি চলে গেলে কবির ঘর, জানলা, দোর, টেবিলের ফুলদানি, বইখাতা সব চড়ুই পাখিটির হবে। বিধাতা তাকেই কবির সব জিনিস দিয়ে দেবেন।
১০) ‘আবার কার্নিশে বসে চাহনিতে তাচ্ছিল্য মজার’- তাচ্ছিল্য ভরা মজার চাহনিতে তাকিয়ে চড়ুই কী ভাবে ?
উঃ কার্নিশে উড়ে এসে বসে একটি ছোটো চড়ুই পাখি। তাচ্ছিল্য ভরা চাহনিতে তাকিয়ে চড়ুই ভাবে সে একটা বাজে ঘরে আছে নিতান্ত তার মায়ার শরীর বলে। ইচ্ছে করলেই সে আজকেই এ পাড়ায় ও পাড়ায় ‘পালেদের’ ‘বোসেদের’ বাড়ি চলে যেতে পারে। কবির নিঃসঙ্গতা অনুভব করেই যেন সে চলে যায় নি।
১১) চড়ুই পাখিকে কেন্দ্র করে কবির ভাবনা কী ভাবে আবর্তিত হয়েছে তা কবিতা অনুসরণে আলোচনা করো।
উঃ ছোট্ট একটি চড়ুই পাখি, তাকে কেন্দ্র করে কবি মেলে ধরেছেন তাঁর কল্পনার জাল। সারাদিন পাখিটি কবির ঘরে। কতো কি না বয়ে আনে খড়কুটো, ধান আর কবিকে দেখে ভাবে এই লোকটা চলে গেলে ঘরের সবকিছুই আমার হবে। কখনো সে দয়ার দৃষ্টিতে দেখে কবিকে, ভাবে যেন দয়া করে আছি এই ঘরে, যখন ইচ্ছা হবে উড়ে চলে যাব। তবু সে যায় না, কবির প্রতি সে যেন এইটুকু দয়া করে। দিন শেষে রাত্রি নামে কবি ফিরে আসেন, দেখেন রাত্রে চড়ুই পাখি তার ঘরেই আশ্রয় নিয়েছে। নির্জন রাত বেড়ে চলে ঘরে কবি ও পাখি একাকী অথচ পাশাপাশি বাস করেন।
১২) ‘তবুও যায় না চলে এতটুকু দয়া করে পাখি’- পঙ্ক্তিটিতে কবি মানসিকতার কীরূপ প্রতিফলন হয়েছে ?
উঃ কবি খুব রসিক প্রকৃতির মানুষ, কবিতায় তাঁর কথার ভঙ্গি, পরিহাসপ্রিয়তা সর্বত্রই ফুটে উঠেছে। কবি বুঝতে পারেন যে, চড়াই পাখিটি ইচ্ছে করলেই এ পাড়ায় ও পাড়ায় পালেদের বোসেদের বাড়ি চলে যেতে পারে তবুও সে কবির প্রতি মমতা অনুভব করে সেখানে থেকে যায়। কবি বুঝতে পারেন সেও নির্জন ঘরে নিঃসঙ্গ কবিকে পছন্দ করে। তাই কবি মনে মনে চড়ুইটির প্রতি কৃতজ্ঞতা অনুভব করেন।
১৩) ছোট্ট চড়ুই পাখির জীবনবৃত্ত কিভাবে কবিতার ক্ষুদ্র পরিসরে আঁকা হয়েছে তার পরিচয় দাও।
উঃ চড়ুই পাখি লোকালয়ে থাকতে ভালোবাসে। গাছ গাছালিতে বাসা না বেঁধে ঘরের কার্নিশে, চালে বাসা বাঁধে। সারাদিন খড়কুটো বয়ে বয়ে বেড়ায়, ধানের খোসা ছাড়িয়ে ধান খায়। সে গোটা ঘরময় কিচমিচ শব্দ করে গান গায় নানা শব্দের জাল বোনে। কখনো সে কবির কাছাকাছি এসে কৌতূহল। নিয়ে দেখে আর ভাবে লোকটা চলে গেলে তার সবই চড়ুইটির নিজের হবে। আবার কবির নিঃসঙ্গ জীবনেও পাখিটি বৈচিত্র্য নিয়ে এসে কবিমনকে ভরিয়ে রাখতে পেরেছে। কবির ঘরেই শুধু নয় কবির মনেও সে স্থান করে নিয়েছে।
১৪) ‘কৌতূহলী দুই চোখ মেলে অবাক দৃষ্টিতে দেখে’- চড়ুই পাখির চোখ, কৌতূহলী, কেন ? তার চোখে কবির সংসারের কোন্ চালচিত্র ধরা পড়ে ?
উঃ পাখির দুটি চোখ কৌতূহলী কারণ সে কবিকে দেখে তার বাড়িঘর পর্যবেক্ষণ করে আর ভাবে এই মানুষটি চলে গেলে, এই বাড়িঘর, দোর জানালা-টেবিলের ফুলদানি সব তার। পাখির চোখে ধরা পড়ে কবির সংসারের চালচিত্র। কবি একাকী শান্ত প্রকৃতির মানুষ। পাখি এতো নোংরা করলেও তাকে তাড়ান না। কবির বাড়ির গুছানো। পরিষ্কার টেবিল তাতে ফুলদানি পাশে বইপত্র। বাড়িটি অতি সাধারণ এবং কবি একলাই বাস করেন। কবির এই নিঃসঙ্গতা কখনও এতটাই প্রবল হয়ে ওঠে যে চড়ুই পাখিটির কবির ঘরে না থাকা কবির মনকে উতলা করে তোলে। তাই কবি বলেছেন ইচ্ছা করলেই সে চলে যেতে পারে; কিন্তু কবির প্রতি কৃপাবশত চড়ুই পাখিটি কোথাও যায় না।
১৫) ‘রাত্রির নির্জন ঘরে আমি আর চড়ুই একাকী’- পঙ্ক্তিটিতে ‘একাকী’ শব্দটি প্রয়োগের সার্থকতা বুঝিয়ে দাও।
উঃ ‘একাকী’ কথাটির মধ্যে দিয়ে কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে, তিনি এই পৃথিবীতে একদম একা, তাঁর আপনজন বলতে কেউ নেই তাই তিনি একা। তিনি যেমন একা প্রিয়জনহীন তেমনি চড়ুইটিও একা থাকে। হয়তো সে কবির সঙ্গ পছন্দ করে কিন্তু তা তার ভাবভঙ্গীতে বোঝা যায় না। তাই একই ঘরে চড়ুই ও কবি একসাথে থাকলেও কবি মনের দিক দিয়ে একাই থাকেন। সেই অর্থে ‘একাকী’ শব্দটি কবির নিঃসঙ্গ জীবনের বেদনাকে আরও গভীর করে তুলেছে।
১৬) ‘একটি চড়ুই পাখি’ ছাড়া কবিতাটির অন্য কোনো নামকরণ করো। কেন তুমি এমন নাম দিতে চাও, তা বুঝিয়ে লেখো।
উঃ কবিতাটির নামকরণ করা যেতে পারে- ‘চড়ুই-এর ভাবনা’। কবিকে লক্ষ্য করে চড়ুই পাখিটির ভাবনার অন্ত নেই। পাখিটি ভাবে এই লোকটি চলে গেলে এই ঘরদোর জানালা -টেবিলের ফুলদানি -বইপত্র সবই তার হবে। আবার কখনো কবির দিকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে সে তাকায়। ভাবখানা যেন সে ইচ্ছা করলেই কবির বাড়ি ছেড়ে যেতে পারে, যায় না কারণ তার দয়ার শরীর মনে হলেই সে পালেদের, বোসেদের বাড়ি যেখানে খুশি যেতে পারে, তাই কবিতাটির নামকরণ ‘চড়ুই-এর ভাবনা’ অযৌক্তিক হবে বলে মনে হয় না।
অষ্টম শ্রেণি বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
প্রথম ইউনিট টেষ্টের সাজেশন দেখতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কঃ
- বোঝাপড়া
- অদ্ভুত আতিথেয়তা
- চন্দ্রগুপ্ত
- বনভোজনের ব্যাপার
- সবুজ জামা
- চিঠি
- পরবাসী
- পথচলতি
- একটি চড়ুই পাখি
- দাঁড়াও
- ছন্নছাড়া
- পল্লীসমাজ
- গাছের কথা
- হাওয়ার গান
- কী করে বুঝব
- পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি
- নাটোরের কথা
- গড়াই নদীর তীরে
- জেলখানার চিঠি
- স্বাধীনতা
- আদাব
- শিকল পরার গান
- হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
- ঘুরে দাঁড়াও
- সুভা
- পরাজয়
- মাসিপিসি
- টিকিটের অ্যালবাম
- লোকটা জানলই না
- বাংলা ব্যাকরণ
- পথের পাঁচালী
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ