ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা ।। কে বাঁচায়, কে বাঁচে ।। দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্প থেকে ‘ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা ।। কে বাঁচায়, কে বাঁচে ।। দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা’ পোষ্টটি প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই ‘ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা ।। কে বাঁচায়, কে বাঁচে ।। দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা’ নোটটি তৈরি করলে উপকৃত হবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা ।। কে বাঁচায়, কে বাঁচে ।। দ্বাদশ শ্রেণি বাংলাঃ
১) “ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা”- কোন বিষয়কে ‘পাশবিক স্বার্থপরতা’ বলা হয়েছে? ‘পাশবিক স্বার্থপরতা’ বলার কারণ কী? ২+৩
উৎসঃ
কল্লোল গোষ্ঠীর অন্যতম লেখক “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “কে বাঁচায়, কে বাঁচে” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
পাশবিক স্বার্থপরতাঃ
১৩৫০-এর মন্বন্তরের পটভূমিতে রচিত আলোচ্য গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় অনাহার ক্লিষ্ট নিরন্ন মানুষদের মুখে ক্ষুধার অন্ন তুলে দিতে বদ্ধপরিকর। ফুটপাথে দেখা মৃত্যুদৃশ্য তাকে এতোটাই প্রভাবিত করেছিল যে, সে নিজের মাইনের পুরোটাই সহকর্মী নিখিলের মাধ্যমে রিলিফ ফান্ডে প্রদান করতে চেয়েছে। এমনকি মৃত্যুঞ্জয় ও তার স্ত্রী একবেলা না খেয়ে সেই অন্ন অভাবী মানুষদের মুখে তুলে দিয়েছে।
বাস্তববাদী নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের এই আত্মহননের পথ অনুসরণ করাকে মেনে নিতে পারে নি। তার কথায়- “ভূরিভোজনটা অন্যায়, কিন্তু না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই।” নিখিলের মতে জীবন্ধারণের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু গ্রহণ করার মধ্যে কোন অন্যায় নেই। সে বিশ্বাস করে- “দশজনকে খুন করার চেয়ে একজনকে না খাইয়ে মারা বড়ো পাপ।” নিখিলের এই মনোভাবকে মৃত্যুঞ্জয় ‘পাশবিক স্বার্থপরতা’ বলে অভিহিত করেছে।
উক্তির কারণঃ
পাশবিক মানসিকতায় আত্মস্বার্থই বড়ো হয়ে দাঁড়াও। নিজের ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য অপরকে বঞ্চিত করতে এই মানসিকতার অধিকারী মানুষেরা বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত হয় না। নিজের প্রয়োজনের খাদ্য সংগ্রহের জন্য দয়া-মায়া প্রদর্শন করা যাবে না বলে নিখিল মন্তব্য করেছে। এমনকি আত্মপক্ষ সমর্থনের উদ্দেশ্যে নিখিল সমাজধর্মের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছে।
কিন্তু সমাজধর্মের অপর একটি দিক হলো পরার্থে স্বার্থত্যাগ- “আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে।” আর তাই মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের মানসিকতার প্রতিবাদ করে তার ভাবনাকে ‘পাশবিক স্বার্থপরতা’ বলে অভিহিত করেছে।
দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা নোট দেখতে নিম্নের লিঙ্কগুলি অনুসরণ করোঃ
- কে বাঁচায়, কে বাঁচে
- ভাত
- ভারতবর্ষ
- রূপনারানের কূলে
- শিকার
- মহুয়ার দেশ
- আমি দেখি
- ক্রন্দনরতা জননীর পাশে
- বিভাব
- নানা রঙের দিন
- পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন
- অলৌকিক
- আমার বাংলা
- শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস
- ভাষাবিজ্ঞান
- প্রবন্ধ
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে