শৈলীবিজ্ঞান ।। ভাষাবিজ্ঞান ।। দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা

শৈলীবিজ্ঞান ।। ভাষাবিজ্ঞান ।। দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে উচ্চমাধ্যমিক দিতে চলা দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ভাষাবিজ্ঞান থেকে ‘শৈলীবিজ্ঞান ।। ভাষাবিজ্ঞান ।। দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা’ আলোচনাটি প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই ‘শৈলীবিজ্ঞান ।। ভাষাবিজ্ঞান ।। দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা’ প্রশ্নের উত্তরটি তৈরি করে তাদের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা ভাষাবিজ্ঞান থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ ‘শৈলীবিজ্ঞান ।। ভাষাবিজ্ঞান ।। দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা’ নোটটি শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে প্রদান করা হলো। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।

শৈলীবিজ্ঞান ।। ভাষাবিজ্ঞান ।। দ্বাদশ শ্রেণি বাংলাঃ 

১) শৈলীবিজ্ঞান সম্পর্কে আলোচনা করো। ৫ 

উঃ ইংরেজি ‘Style’ শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হলো ‘শৈলী’। আর এই শৈলী সম্পর্কে ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় আলোচনা করা হয় তাকে বলে শৈলীবিজ্ঞান।

সংস্কৃত রীতিবাদের মধ্যে আমাদের দেশে শৈলীবিজ্ঞানের প্রাথমিক ধারণা সুপ্ত অবস্থায় লুকায়িত ছিল। তবে বাংলা সাহিত্যে শৈলী সম্পর্কিত আলোচনা মূলত পাশ্চাত্য কেন্দ্রীক। পাশ্চাত্যের শৈলী সম্পর্কিত আলোচনায় কবির স্বভাব-ধর্মকেই প্রাধান্য প্রদান করা হয়েছে। বুঁফো বলেছিলেন, “Style is the man himself”. অর্থাৎ শৈলী হবে মানুষের আঙুলের ছাপের মতো সম্পূর্ণ নিজস্ব ও স্বতন্ত্র।

ফার্দিন্যান্দ দ্য স্যোসুরের মতে শৈলী প্রধানত দুটি ভাগে বিভক্ত। যথা- লাঙ্‌ ও পারোল। ‘লাঙ’ হলো ভাষা ব্যবহারের একটি বিন্যাস এবং তার আশ্রয় হলো ‘পারোল’। শিল্পী পারোলকে আশ্রয় করেই লাঙকে গড়ে তোলেন।

একজন রচয়িতা তার শৈলীর মাধ্যমেই তার পাঠকের সাথে অন্তরের সংযোগ রচনা করেন। অর্থাৎ শৈলী হল তার সচেতন কিম্বা অচেতন ভাবে সৃষ্ট এক ভাষাগত উপায়, যার দ্বারা তিনি তার পাঠকের সাথে মানসিক সম্পর্ক প্রতিস্থাপন করেন।

শৈলী একান্তভাবেই রচয়িতার ব্যক্তিগত বিষয় বা দক্ষতা। ব্যক্তিভেদে তাই শৈলীরও পার্থক্য সূচিত হয়ে থাকে। চিত্রশিল্পীদের মধ্যে যেমন রঙের ব্যবহারে তারতম্য পরিলক্ষিত হয়, খেলোড়ায়দের মধ্যে যেমন দক্ষতার প্রভেদ সূচিত হয়, ঠিক তেমনই রচয়িতাদের মধ্যেও ভাষা ব্যবহারের তারতম্য লক্ষ্য করা যায়।

উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি, ‘কল্লোল’ যুগের লেখকদের রচনাশৈলী আর বঙ্কিমের রচনাশৈলী এক নয়। আবার বিদ্যাসাগর যে গদ্য রীতিতে রচনা করেছেন তার সাথে প্রমথ চৌধুরীর গদ্য রীতির বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। এই রীতি যে স্বতন্ত্র হবে তা স্বাভাবিক। কারণ এদের মধ্যে কালগত ব্যবধান সুস্পষ্ট।

আবার বিষয়ভেদেও একই রচয়িতার লেখার মধ্যেও শৈলীগত পার্থক্য সূচিত হয়ে থাকে। বঙ্কিমচন্দ্রের রোমান্সধর্মী উপন্যাস “কপালকুণ্ডলার” শৈলী আর ঐতিহাসিক উপন্যাস “রাজসিংহের” শৈলী কখনোই এক হবে না। বিদ্যাসাগরও তার গদ্য রচনা করেছেন নিখুঁত সাধু ভাষায়। কিন্তু তিনি ছদ্মনামে লেখা নানা লঘু রচনায় বিদেশি শব্দের বহুল ব্যবহার অনায়াস দক্ষতার সাথেই করে গিয়েছেন।

আলোচনার পরিশেষে আমরা বলতে পারি, শৈলী নির্ধারণে ভাষা, নির্বাচন, আদর্শ গঠন ও বিচ্যুতি, সমান্তরলতা প্রভৃতি বিষয়গুলির প্রতি দৃষ্টি প্রদান করতে হয়। 

ভাষাবিজ্ঞান থেকে আরো প্রশ্নের উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

উচ্চমাধ্যমিক ২০২৫ সালের বাংলা সাজেশন দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

higher-secondary-bengali-suggestion-2025

দ্বাদশ শ্রেণি অধ্যায়ভিত্তিক বাংলা নোট দেখতে নিম্নের লিঙ্কগুলি অনুসরণ করোঃ 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

 

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি বিজ্ঞাপন ব্লক করতে এক্সটেনশন ব্যবহার করছেন। এই বিজ্ঞাপন ব্লকার নিষ্ক্রিয় করে আমাদের সমর্থন করুন।

Powered By
Best Wordpress Adblock Detecting Plugin | CHP Adblock

You cannot copy content of this page

Need Help?