আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার SAQ প্রশ্নের উত্তর
আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার SAQ প্রশ্নের উত্তরঃ
১) ‘আমাদের কথা কে বা জানে‘ বলার কারণ কী ?
উঃ এই ব্যক্তিসর্বস্ব বিচ্ছিন্নতার যুগে, সাধারণ মানুষের সামান্য প্রয়োজনীয়তার কথায় যেন কেউ দৃপাত করে না। সেজন্যই কবি এ কথা বলেছেন।
২) ‘তবু তো কজন আছি বাকি’ বলার কারণ কী ?
উঃ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা অনুসারে এই রাজনৈতিক, সামাজিক অবক্ষয়ের যুগেও কিছু মানুষ এখনও মানবতায় বিশ্বাস হারায়নি। সেই শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষগুলোকে নিয়েই কবি জোটবাঁধার কথা বলেছেন।
৩) ‘আয় আরো হাতে হাত রেখে’ – এই পঙ্ক্তিটির অন্তর্নিহিত অর্থ লেখো।
উঃ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আস্ফালনে মানুষ আজ ঘরছাড়া, পথহারা, ইতিহাস – বিকৃত চিরভিখারিতে পরিণত। প্রত্যয়ী কবি এই ধ্বংসের মাঝেও বিবেকবান ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে সংঘবদ্ধ করার উদ্দেশ্যে প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন।
৪) ‘আমাদের পথ নেই আর’ – কবির এরকম বলার কারণ কী ?
উঃ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি‘ কবিতায় কবি লক্ষ আজকের পৃথিবীতে সাধারণ মানুষের অসহায়তা। শাসকের আগ্রাসন – সাম্রাজ্যবাদ – মৌলবাদ – সমাজ – রাজনৈতিক অবক্ষয় ও হানাদারি শত্রুর স্বেচ্ছাচারে মানুষের স্বাভাবিক বেঁচে থাকার অধিকারটুকুও এখন বিপন্ন। পরিস্থিতির এই প্রতিকূলতাকে কবি উদ্ধৃতাংশটির মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন ।
৫) ‘আমাদের পথ নেই আর’- আমাদের বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে ?
উঃ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি‘ কবিতায় কবিকণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর। তাই ‘আমাদের’ বলতে তিনি এ পৃথিবীর সমস্ত নিরন্ন, খেটে খাওয়া ও নিরাপত্তাহীন অসহায় মানুষকেই বুঝিয়েছেন।
৬) ‘আমাদের শিশুদের শব / ছড়ানো রয়েছে ?
উঃ আজকের পৃথিবীতে যুদ্ধ-দাঙ্গা ও হিংসার উন্মত্ততায় শিশুদেরও রেহাই নেই। নিয়মিত দূরে কিংবা কাছেই ঘটে চলা এমন শিশুঘাতী সন্ত্রাসের খবরে আমরা শিউরে উঠি। উদ্ধৃতাংশে কবি এ কথাই বলতে চেয়েছেন।
৭) ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা অনুসারে আমাদের ইতিহাসের পরিচয় দাও।
উঃ পৃথিবীর সামগ্রিক ইতিহাসই আসলে ক্ষমতাবানদের ইতিহাস। অসহায় ও দুর্বল সাধারণ মানুষের কথা তাই তথাকথিত সভ্যতার আয়নায় ফুটে ওঠে না। তারা ইতিহাসহীন অথবা বিকৃত ইতিহাসের আড়ালে থাকার দৈন্যে বিস্মৃত ও নিরুত্তর।
৮) ‘আমাদের শিশুদের শব’ কোথায় ছড়ানো রয়েছে ?
উঃ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা অনুসারে আমাদের শিশুদের শব কাছে ও দুরে ছড়ানো রয়েছে। অর্থাৎ আজকের সমগ্র পৃথিবী জুড়েই শিশুরা হিংসাশ্রয়ী যুদ্ধ আর সন্ত্রাসের বলি।
৯) আমাদের ডান পাশে, বাঁয়ে, মাথায় ও পায়ে যা আছে তা ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা অনুসারে লেখো।
উঃ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা অনুসারে আমাদের ডান পাশে ধস এবং বাঁয়ে গিরিখাদ, আর মাথার উপরে বোমারু ও পায়ে হিমানীর বাঁধ।
১০) ‘পৃথিবী হয়তো গেছে মরে’ – এমন বলার কারণ কী ?
উঃ শাসনের ষড়যন্ত্রে, সমাজ-রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অবক্ষয়ে হতভাগ্য সাধারণ মানুষের জীবনে বেঁচে থাকার অর্থটাই হারিয়ে গেছে। মানবতার এই ঘোর দুর্দিনে প্রাণধারণের যে দৈন্য ফুটে ওঠে, তা মানবজীবনের দিশাহীন অর্থহীনতার প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়।
১১) ‘আমাদের মাথায় বোমারু’- ‘বোমারু’ শব্দটির অর্থ কী ?
উঃ ‘বোমারু‘ শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল যা থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়।
১২) ‘আমাদের পথ নেই আর’ তাহলে আমাদের করণীয় কী ?
উঃ এই সমাজ রাজনৈতিক পচন ও পতনের মাঝে, সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সংঘবন্ধতাই হল তার মুক্তির একমাত্র পথ।
১৩) ‘আমাদের’ বলতে কবি কাদের বুঝিয়েছেন ?
উঃ কবি ‘শঙ্খ ঘোষ’ তাঁর কবিতায় ‘আমাদের’ বলতে দেশকালের সীমা অতিক্রম করে সাম্রাজ্যবাদী ও হানাদারি শত্রুর হাতে আক্রান্ত সাধারণ মানুষদের বুঝিয়েছেন ।
১৪) ‘ডান পাশে ধ্বস’ ও ‘বাঁয়ে গিরিখাদ’ বলতে আসলে কবি কী বুঝিয়েছেন ?
উঃ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় ‘ডান পাশে ধ্বস’ ও ‘বাঁয়ে গিরিখাদ‘ বলতে কবি আসলে মানুষের পদে পদে বিপদ এবং পতনের আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন।
১৫) ‘আমাদের ডান পাশে ধ্বস’ – ’ধ্বস’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ কী ?
উঃ ‘ধ্বস’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ খসে পড়া। পাঠ্য কবিতায় সাধারণ মানুষের চলার প্রতি পদে পদে বিপদের সম্ভাবনাকে ফুটিয়ে তুলতে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
১৬) ‘আমাদের বাঁয়ে গিরিখাদ’ – ‘গিরিখাদ’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ লেখো।
উঃ ‘গিরিখাদ’ হল দুই পর্বতের মাঝে সৃষ্ট গভীর খাদ। পাহাড়ি পথের বিপদসংকুলতার মতোই বর্তমান বিশ্বে মানুষের জীবনে ছড়িয়ে থাকা প্রতিকূলতাকে বোঝাতে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
১৭) ‘আমাদের মাথায় বোমারু‘ বলতে কী বলা হয়েছে ?
উঃ যুদ্ধবাজ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যেমন বোমারু বিমান থেকে অতর্কিতে আক্রমণ চালায়, তেমনই আচমকা আক্রমণে মানুষের জীবন আজ বিপন্ন। কবিতায় সেই বিপন্নতার কথাই বলা হয়েছে।
১৮) ‘পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ’ – ‘পায়ে পায়ে’ বলতে কবিতায় কী বোঝানো হয়েছে ?
উঃ পাঠ্য কবিতায় ‘পায়ে পায়ে’ বলতে মানুষের প্রতি পদক্ষেপকে বোঝানো হয়েছে। মানুষের চলার পথে নানান প্রতিকূলতা প্রতি মুহূর্তে বরফের দেয়ালের মতোই বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ‘হিমানীর বাঁধ’ সেই বাধার প্রতীক।
১৯) ‘আমাদের পথ নেই কোনো’ বলার কারণ কী ?
উঃ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি‘ কবিতা অনুসারে বর্তমান পৃথিবীতে মানুষ বড়ো অসহায় ও নিরুপায়। প্রতিনিয়ত তার চলার পথের প্রতিকূলতা এবং দিশাহীনতাকে ফুটিয়ে তুলতেই কবি এমন মন্তব্য করেছেন।
২০) ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় ‘আমাদের ঘর উড়ে গেছে’ কথাটি কেন বলা হয়েছে ?
উঃ বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধ, দাঙ্গা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রতিনিয়ত বহু মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। একথা বোঝাতেই কৰি মন্তব্যটি করেছেন।
২১) ‘আমাদের শিশুদের শব / ছড়ানো রয়েছে কাছে দুরে’ একথা বলার অর্থ কী ?
উঃ যুদ্ধ, দাঙ্গা ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসকবলিত আজকের দুনিয়ায় হিংস্রতার হাত থেকে রেহাই পায়নি শিশুরাও। তারই ভয়াবহতা বোঝাতে এই উক্তি।
২২) ‘আমাদের শিশুদের শব’ পড়ে থাকার মধ্যে দিয়ে কোন বিষয়টি ধরা পড়েছে ?
উঃ বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ, দাঙ্গা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার বলি হচ্ছে আগামী প্রজন্মও। তাই কবির আশঙ্কা – তবে কি এভাবেই শেষ হয়ে যাবে মানবসমাজ !
২৩) ‘আমরাও তবে এইভাবে / এ – মুহূর্তে মরে যাব না কি ?’ একথা বলার অর্থ কী ?
উঃ চারদিকের প্রতিকূলতা, হানাদারি শত্রুর আক্রমণে গৃহহারা মানুষ চোখের সামনে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মৃত্যু দেখে নিজের বেঁচে থাকাতেও সংশয় প্রকাশ করে ও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতি থেকেই সাধারণ মানুষের প্রতিভূ কবির এই উক্তি।
২৪) ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ বলার কারণ কী ?
উঃ বিশ্বব্যাপী প্রতিকূলতার মাঝে চারদিকে হতাশার ছবি স্পষ্ট হলেও কবির বিশ্বাস পারস্পরিক সাহচর্য ও ঐক্যের জোরেই সমস্ত কিছু জয় করা সম্ভব। তাই কবি একতা আর সংঘবদ্ধতার কথা বলেছেন।
২৫) ‘আমাদের ইতিহাস নেই’ – এ কথা বলা হয়েছে কেন ?
উঃ এ কবিতায় কবি সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি। আর সাধারণ মানুষ কোনোদিনই ইতিহাসে স্থান পায় না। তাদের ইতিহাস জনসমক্ষে প্রতিফলিত হয় না। তাই এমন উক্তি।
২৬) ‘আমাদের চোখমুখ ঢাকা’ – ‘চোখমুখ ঢাকা’র কারণ কী ?
উঃ পৃথিবীর সমস্ত ইতিহাসই ক্ষমতাবানের ইতিহাস। দুর্বল, বিপন্ন মানুষের ইতিহাস কখনোই সভ্যতার দর্পণে প্রতিফলিত হয় না। প্রকৃত সত্য জেনেও সাধারণ মানুষ অন্ধ, আসল অবস্থা বুঝেও তারা বোবা। তাই তাদের ‘চোখমুখ ঢাকা‘।
২৭) ‘আমরা ভিখারি বারোমাস’ বলার কারণ কী ?
উঃ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির শোষণে নিপীড়িত, বর্ণিত ও হতভাগ্য জনগণ আজ আশ্রয় ও জীবিকা হারিয়ে চিরভিখারিতে পরিণত হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রতিকূলতা ও যুগযন্ত্রণায় ভীরু-দুর্বল সাধারণ মানুষের সামগ্রিক দৈন্যও আজ বড়ো প্রকট। তাই কবি এ কথা বলেছেন।
২৮) ‘পৃথিবী হয়তো বেঁচে আছে / পৃথিবী হয়তো গেছে মরে’ বলার অন্তর্নিহিত কারণ কী ?
উঃ পারিপার্শ্বিক প্রতিকূলতার মাঝে পীড়িত, ঘরহারা ও ইতিহাসে ঠাই না পাওয়া মানুষগুলির কাছে বেঁচে থাকার অর্থটাই হারিয়ে গেছে। তাই পৃথিবীর বেঁচে থাকা বা না থাকায় তাদের কিছু যায় আসে না।
আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার আরো প্রশ্নের উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
দশম শ্রেণির অধ্যায়ভিত্তিক বাংলা প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে