অনুবাদ কাব্য MCQ প্রশ্নের উত্তর । একাদশ শ্রেণি বাংলা প্রথম সেমিস্টার
একাদশ শ্রেণির প্রথম সেমিস্টার বাংলা পরীক্ষার প্রস্তিত লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য অনুবাদ কাব্য MCQ প্রশ্নের উত্তর । একাদশ শ্রেণি বাংলা প্রথম সেমিস্টার প্রদান করা হলো। একাদশ শ্রেণির বাংলা বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য শিক্ষার্থীরা এই MCQ প্রশ্নের উত্তরগুলি ভালো করে তৈরি করবে। শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির লক্ষ্যে বিবিধ বিষয় থেকে ইতিমধ্যেই শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়েছে, যার লিঙ্ক নিম্নে দেওয়া হয়েছে।
অনুবাদ কাব্য MCQ প্রশ্নের উত্তর :
১) অনুবাদ সাহিত্যের শাখাটি যে যুগের বাংলা সাহিত্যে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে – মধ্যযুগের
২) সাহিত্য অনুবাদের ধারার মাধ্যমে সমাজের যে ছবি ফুটে উঠেছিল – অসাম্প্রদায়িক ঔদার্যের
৩) যে রাজাদের মধ্যে আর্যশাস্ত্র-সংহিতা, পুরাণ- মহাকাব্যের প্রতি আনুকূল্য দেখা যায় – বৌদ্ধ পাল রাজাদের
৪) বাংলা ভাষায় রামায়ণের প্রথম অনুবাদক হলেন – কৃত্তিবাস ওঝা
৫) আনুমানিক যত খ্রিস্টাব্দে কৃত্তিবাস ওঝার জন্ম হয় – ১৩৯৯
৬) কৃত্তিবাস ওঝা জন্মগ্রহণ করেন – নদিয়া জেলার ফুলিয়ায়
৭) কৃত্তিবাসের পিতার নাম – বনমালী
৮) কৃত্তিবাসী রামায়ণ প্রথম মুদ্রিত করেন – শ্রীরামপুরের খ্রিস্টীয় যাজকরা
৯) প্রথম কৃত্তিবাসী রামায়ণ মুদ্রিত হয় – ১৮০২-১৮০৩
১০) কৃত্তিবাস অনূদিত রামায়ণের নাম – শ্রীরাম পাঁচালি
১১) কৃত্তিবাসের মাতার নাম – মালিনী
১২) কৃত্তিবাস যে শতাব্দীর কবি ছিলেন – পঞ্চদশ
১৩) ‘কৃত্তিবাসী রামায়ণ’-এর দুই খণ্ডে দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেন – জয়গোপাল তর্কালঙ্কার
১৪) কৃত্তিবাসী রামায়ণে খণ্ড আছে – সাতটি
১৫) চৈতন্যোত্তর যুগের রামায়ণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – অদ্ভুতাচার্যের রামায়ণ
১৬) ‘অদ্ভুতাচার্যের রামায়ণের’ রচয়িতা হলেন – নিত্যানন্দ আচার্য
১৭) নিত্যানন্দ আচার্য ছাড়া আর যাঁরা বাংলায় রামায়ণ রচনা করেছিলেন তাঁরা হলেন – কৈলাস বসু, দ্বিজ ভবানীদাস, দ্বিজ শ্রীলক্ষণ চক্রবর্তী, কবিচন্দ্র প্রমুখ
১৮) অদ্ভুতাচার্যের রামায়ণ যে শতকে রচিত হয় – সপ্তদশ শতকে
১৯) রামায়ণ অনুবাদক নিত্যানন্দ আচার্যের ছদ্মনাম ছিল – অদ্ভুত আচার্য
২০) রামায়ণ-মহাভারতের কাহিনি সামাজিক যে ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে – লোকশিক্ষার ক্ষেত্রে
২১) আনুমানিক যে সময়ে বাংলায় মহাভারত রচনা শুরু হয় – ষোড়শ শতকে
২২) বাংলায় সংস্কৃত মহাভারতের প্রথম কবি সম্ভবত হলেন – পরমেশ্বর দাস
২৩) পরমেশ্বর দাস যে উপাধি ব্যবহার করেছেন – কবীন্দ্র
২৪) কবীন্দ্র পরমেশ্বরের কাব্যের নাম হল – পাণ্ডববিজয় পাঞ্চালিকা
২৫) যার আদেশে কবীন্দ্র পরমেশ্বর তাঁর কাব্য রচনা করেন – পরাগল খানের
২৬) কবীন্দ্র পরমেশ্বরের কাব্যটি আর যে নামে পরিচিত – পরাগলী মহাভারত
২৭) পরাগলী মহাভারত যে কয়টি পর্বে সমাপ্ত – আঠারো
২৮) যার নির্দেশে শ্রীকর নন্দী মহাভারতের অশ্বমেধ পর্বের বিস্তৃত অনুবাদ করেন – নসরৎ খানের
২৯) নসরৎ খান যে নামে পরিচিত ছিলেন – ছুটি খান বা ছোটে খাঁ
৩০) ছুটি খান শাসক ছিলেন – চট্টগ্রামের
৩১) শ্রীকর নন্দী প্রকৃতপক্ষে মহাভারতের অশ্বমেধ পর্বের কাহিনি গ্রহণ করেছেন – জৈমিনী সংহিতা
৩২) ছুটি খানের সভাকবি ছিলেন – শ্রীকর নন্দী
৩৩) ষোড়শ শতকে একজন বৈয়ব কবি জৈমিনী সংহিতা অবলম্বনে অশ্বমেধ পর্ব অনুবাদ করেছিলেন, তিনি হলেন – রামচন্দ্র খান
৩৪) ষোড়শ শতকে মহাভারতের নল-দময়ন্তী কাহিনি নিয়ে কাব্য রচনা করেছিলেন – পীতাম্বর দাস
৩৫) ষোড়শ শতকে ‘অশ্বমেধ পাঁচালি’ রচনা করেন – কবি দ্বিজ রঘুনাথ
৩৬) ষোড়শ শতকে ‘ভারত-পাঁচালি’ রচনা করেন – কবি অনিরুদ্ধ
৩৭) কবি অনিরুদ্ধ যার প্রেরণায় ‘ভারত-পাঁচালি’ রচনা করেন – কোচবিহারের রাজা নরনারায়ণের ভাই শুক্লধ্বজের
৩৮) সপ্তদশ শতাব্দীতে মহাভারতের উদ্যোগ ও দ্রোণ পর্ব অনুবাদ করেছিলেন – নন্দরাম দাস
৩৯) সপ্তদশ শতকে নিত্যানন্দ ঘোষ ও শ্রীনাথ ব্রাহ্মণ রচিত অনুবাদ কাব্যটি হল – ভারত-পাঁচালি
৪০) সপ্তদশ শতকে ‘মহাভারতের আদিপর্ব’ রচনা করেন – রামেশ্বর নন্দী
৪১) অষ্টাদশ শতাব্দীতে রচিত রাজীব সেনের মহাভারত কাহিনিটির নাম – উদ্যোগ পর্ব
৪২) দ্বিজ ঘনশ্যাম, দ্বিজ কৃষ্ণরাম ও প্রেমানন্দের ভণিতায় অষ্টাদশ শতকে রচিত মহাভারত কাহিনি হল – অশ্বমেধ পর্ব
৪৩) বাংলা ভাষায় মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক হলেন – কাশীরাম দাস
৪৪) কাশীরাম দাসের পিতার নাম – কমলাকান্ত
৪৫) কাশীরাম দাস কোথাকার অধিবাসী – বর্ধমান জেলার কাটোয়া অঞ্চলের সিঙ্গি গ্রামের
৪৬) কাশীরাম দাসের মহাভারতের প্রথম চার পর্ব মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয় – ১৮০১-১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে
৪৭) কাশীরাম দাসের মহাভারতের প্রথম চার পর্ব মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয় – শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে
৪৮) যার সম্পাদনায় কাশীরাম দাসের মহাভারত প্রকাশিত হয় – জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের
৪৯) যে রাজার আশ্রয়ে কাশীরাম দাস মহাভারতের অনুবাদে অনুপ্রাণিত হয় – মেদিনীপুরের আবাসগড়ের রাজার
৫০) মহাভারতের যে পর্বের অনুবাদে কিছুটা অগ্রসর হয়েই কাশীরাম দাস লোকান্তরিত হন – বিরাটপর্বের
৫১) যে কাব্যের কবিরূপে কাশীরামের খ্যাতি ছিল – ভারত পাঁচালি
৫২) ‘ভাগবত’-এর বিষয়বস্তু হল – শ্রীকৃষ্ণের জীবনকথা
৫৩) সংস্কৃত ভাগবত পুরাণ অবলম্বনে বাংলায় প্রথম কাব্য রচনা করেন – মালাধর বসু
৫৪) মালাধর বসু যে নামে পরিচিত ছিলেন – গুণরাজ খান
৫৫) মালাধর বসু অনূদিত কাব্যটি হল – শ্রীকৃষ্ণবিজয়
৫৬) মালাধর বসুর বাসস্থান ছিল – বর্ধমান জেলার কুলীন গ্রামে
৫৭) ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ কাব্যটি রচিত হয়েছিল – ১৪৭৩-১৪৮০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে
৫৮) শ্রীচৈতন্যদেব যে ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ গ্রন্থটি পাঠ করেছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় – শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে
৫৯) শ্রীমদ্ভাগবতের ভাব উৎসারিত বিশিষ্ট কাব্যশাখাটি হল – শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল
৬০) ‘চৈতন্যচরিতামৃত’ ছাড়া আর যে গ্রন্থে ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’-এর নাম উল্লেখ পাওয়া যায় – জয়ানন্দের ‘চৈতন্যমঙ্গলে’