
“অলৌকিক ” গল্প থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নোটে টাচ/ক্লিক করে সেই বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।
১) “যারা পারে তাদের পক্ষে মোটেই অসম্ভব না”- কথাটি কে বলেছিলেন? প্রসঙ্গ নির্দেশ করে কোন ঘটনাকে ইঙ্গিত করে কথাটি বলা হয়েছে নিজের ভাষায় লেখো।
উৎসঃ
“কর্তার সিং দুগ্গাল” রচিত “অলৌকিক” গল্পটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন “অনিন্দ্য সৌরভ”। গল্পটি তাঁর “জ্যোৎস্না রাতের ট্র্যাজেডি” নামক গল্পসংকলন গ্রন্থের চতুর্থ গল্পরূপে স্থান লাভ করেছে। প্রশ্নোক্ত অংশটি তাঁর এই গল্পের অন্তর্গত।
বক্তাঃ
কথকের স্কুলের এক মাস্টারমশাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
সপ্রসঙ্গ ঘটনার বর্ণনাঃ
কথক তার মায়ের মুখে গুরুনানকের একটি কিংবদন্তি শুনেছিলেন। তিনি শুনেছিলেন কোনো এক গ্রীষ্মের দুপুরে সশিষ্য গুরু নানক এসে পৌঁছান হাসান আব্দালের জঙ্গলে। সেইসময় তাঁর শিষ্য মর্দানার প্রচন্ড জল তেষ্টা পেয়েছিল। গুরু নানকের নির্দেশে মর্দানা পাহাড়ের চূড়োয় বলী কান্ধারীর আশ্রমে জল প্রার্থনা করলেও বলী কান্ধারী তাকে জল না দিয়ে তাড়িয়ে দেন। তিনবারের প্রচেষ্টাতেও জল না পেয়ে প্রত্যাখ্যাত মর্দানাকে গুরু নানক সামনের একটি পাথর তুলতে বলেন। পাথর সরাতেই জলের ঝরনা বেরিয়ে আসে। এইভাবে মর্দানার তেষ্টা মিটলেও কান্ধারীর কুয়োর জল শুকিয়ে গিয়েছিল। রাগে দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য হয়ে বলী কান্ধারী একটি পাথরের চাঙড় নানককে লক্ষ্য করে গড়িয়ে দেন। মৃত্যু নিশ্চিত জেনে মর্দানা ভয়ে চেঁচিয়ে উঠলেও গুরু নানক তাকে শান্ত স্বরে “জয় নিরংকার” ধ্বনি দিতে বলেন। গড়িয়ে পড়া পাথরটি সামনে আসতেই গুরু নানক হাত দিয়ে তা থামিয়ে দেন।
গল্পের এই শেষ অংশটায় কথকের আপত্তি ছিল। হাত দিয়ে পাথর থামানোর ব্যাপারটা নিয়ে তিনি মা এবং স্কুলের মাস্টারমশায়ের সঙ্গে তর্ক করেছিলেন। কথককে চুপ করানোর উদ্দেশ্যে স্কুলের মাস্টারমশাই তাকে বলেছিলেন “যারা পারে তাদের পক্ষে মোটেই অসম্ভব না”।
“হঠাৎ শিষ্য মর্দানার জল তেষ্টা পেল”-তেষ্টা মেটানোর জন্য মর্দানাকে কী করতে হয়েছিল? তার তেষ্টা শেষ অবধি কীভাবে মিটেছিল?
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে