নানা রঙের দিন

নানা রঙের দিন

“নানা রঙের দিন” নাটক থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নোটে টাচ/ক্লিক করে সেই বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

নানা রঙের দিন নাটকঃ 

নানা রঙের দিন নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছোটপ্রশ্নের উত্তরঃ 

♣ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকটি কোন বিদেশি নাটকের অনুপ্রেরণায় রচিত?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকটি বিদেশি নাট্যকার আন্তন চেখভের সােয়ান সং নাটকের অনুপ্রেরণায় রচিত।

 

♣ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের প্রারম্ভে যে মঞ্চসজ্জার বিবরণ আছে তা নিজের ভাষায় লেখাে।

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকটির প্রারম্ভে যে মঞ্চসজ্জার বিবরণ পাওয়া যায় তা হল- অন্ধকার, ফাঁকা মঞ্চের পিছনের অংশে পূর্বে অভিনীত নাটকের অবশিষ্ট দৃশ্যপট, জিনিসপত্র, যন্ত্রপাতি, মাঝখানে একটা ওলটানাে টুল পরে থাকতে দেখা যায়। 

 

♣ ‘নানা রঙের দিন’ কত অঙ্কের নাটক?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকটি এক অঙ্কের নাটক। 

 

♣ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের প্রম্পটারের নাম কী?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে প্রস্পটার হলেন কালীনাথ সেন।

 

♣ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের প্রেক্ষাপট কোথায় ছিল?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকের প্রেক্ষাপট ছিল পেশাদারি থিয়েটারের একটি ফাঁকা মঞ্চ। 

 

♣ ‘নানা রঙের দিন’ নটকে দিলদারের পােশাক পরে কে প্রবেশ করেছিলেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে দিলদারের পােশাক পরে মঞ্চে প্রবেশ করেছিলেন বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়।

 

♣ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের শুরুতে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের হাতে কী ছিল?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকের শুরুতে রজনীকান্তের হাতে ছিল জ্বলন্ত একটি মােমবাতি। 

 

♣ রজনীবাবু কোথায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে অভিনেতা রজনীবাবু গ্রিনরুমে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।

 

♣ “এত টানলে কি আর কাণ্ডজ্ঞান থাকে?”- কীসের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় নিজের মদ্যপানের কথা বলেছেন। 

 

♣ “আরে, গেল কোথায় লােকটা?”- কোন লােকের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে বক্তা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় ‘লোকটা’ বলতে রামব্রিজকে বুঝিয়েছেন। 

 

♣ “বাঃ বাঃ বুঢঢা। আচ্ছাহি কিয়া।”- কে কাকে মন্তব্যটি করেছেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় নিজেই নিজেকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্যটি করেছেন।

 

♣ “বাঃ বাঃ বুঢঢা। আচ্ছাহি কিয়া।”- কী করার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে অভিনয় শেষে প্রচুর মদ্যপান করে বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের গ্রিনরুমের চেয়ারে ঘুমে ঢলে পড়ার কথা বলা হয়েছে। 

 

♣ “কাল রাতেও ঠিক একই ব্যাপার।”- কোন ব্যাপারের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে আগের রাতে অভিনয়ের শেষে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের মদ্যপান করে গ্রিনরুমে ঘুমিয়ে থাকার কথা বলা হয়েছে।

 

♣ “তার দরুন আজ সন্ধেবেলা নগদ তিনটে টাকা বকশিশও দিলুম ওকে।” -কাকে কী কারণে বকশিশ দেওয়া হয়েছিল?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় মদের ঘােরে সাজঘরে ঘুমিয়ে পড়লে তাঁকে ঘুম থেকে তুলে ট্যাক্সি ডেকে দেওয়ার জন্য রামব্রিজকে তিনি বকশিশ দিয়েছিলেন।

 

♣ “আর তার ফল হল কী?”- কোন কাজের ফলের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে জানা যায় যে, আগের রাতে রজনীবাবু মদ খেয়ে গ্রিনরুমে পড়ে থাকলে রামব্রিজ তাকে তুলে ট্যাক্সিতে করে বাড়ি পাঠিয়েছিল বলে সেদিন সন্ধ্যায় রজনীবাবু তাকে তিন টাকা বকশিশ দিয়েছিলেন; যে অর্থ দিয়েই আজ তাকে পুনরায় রামব্রীজ মদ্য পান করিয়েছে! এখানে এই ফলের কথাই বলা হয়েছে।

 

♣ “মাতালের এই হচ্ছে বিপদ।”—কী বিপদ?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে বলা হয়েছে যে, মাতালের বিপদ হল, মাতাল মদ ছাড়তে চাইলেও মদের কাছ থেকে সে ছাড়া পায় না! 

 

♣ “হ্যা, বুড়াে হয়েছেন বই-কি রজনীবাবু” -রজনীবাবুর বয়স কত হয়েছিল?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে জানা যায়, রজনীবাবু অর্থাৎ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের বয়স হয়েছিল আটষট্টি বছর। 

 

♣ “তাতে বয়েসটা ঠিক বােঝা যায় না”- কীসে ‘বয়েস’ বােঝা যায় না?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে লম্বা লম্বা চুলে প্রতিদিন হাফ শিশি কলপ লাগিয়ে প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় যেরকম ইয়ার্কি করেন, তাতে তার বয়সটা সঠিক বােঝা যায় না। 

 

♣ “এখন শুধু মাঝরাত্তিরের অপেক্ষা”- এই ‘মাঝরাত্তির কীসের ইঙ্গিত দেয়?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় এখানে জীবনের শেষ পর্যায় অর্থাৎ মৃত্যুকেই ইঙ্গিত করেছেন।

 

♣ “আমাকে ছেড়ে দিন।”- কীসের থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে মৃত্যুকালের মুখােমুখি হতে চান না বলেই, নাটকের শেষ দৃশ্যে অভিনয় করা থেকে বৃদ্ধ রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় অব্যাহতি চেয়েছেন। 

 

♣ রজনীবাবু কত বছর বয়স থেকে নাট্যাভিনয় করছেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে জানা যায় যে, আটষট্টি বছরের রজনীকান্ত পঁয়তাল্লিশ বছর ধরে নাট্যাভিনয় করেছেন। তাই বলা যায় তিনি ২৩ বছর ধরে নাট্যাভিনয় করছেন। 

 

♣ “আপনার মতাে বয়েস হয়েছে যাদের- আটষট্টিটা বছর”- তারা কী করেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে জানা যায়, রজনীকান্তের মতাে আটষট্টি বছর বয়সের লােকেরা সময়মতাে পরিমিত খাওয়াদাওয়া করেন, সকাল-সন্ধে বেড়াতে যান, সন্ধেবেলা কীর্তন শােনেন এবং ভগবানের নাম করেন।

 

♣ “আর আপনি রজনীবাবু এসব কী করছেন মশাই?”- বক্তার এই মন্তব্যের কারণ কী?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে দেখা যায়, প্রবীণ মানুষেরা নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে তাদের জীবন অতিবাহিত করলেও, আটষট্টি বছর বয়সি রজনীকান্তবাবু নেশাগ্রস্ত হয়ে বেহিসেবি দিন অতিবাহিত করেন। 

 

♣ “মাঝরাতে দিলদারের পােষাক পরে, পেটভর্তি মদ গিলে, এসব থিয়েটারি ভাষায় কী আবােলতাবােল বলছেন বলুন তাে?”- দিলদারের পােষাক বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় ‘সাজাহান’ নাটকে দিলদারের চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে যে পােশাক পরেছিলেন এখানে তার কথা বলা হয়েছে।

 

♣ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে কালীনাথ সেনের চেহারা ও পােশাক- পরিচ্ছদ কেমন ছিল?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে বৃদ্ধ প্রস্পটার কালীনাথ সেনের পরনে ছিল ময়লা পাজামা, গায়ে কালাে চাদর, আর তাঁর চুল ছিল এলােমেলাে।

 

♣ “রজনীবাবু ভয়ে চিৎকার করে পিছিয়ে যান।”- কাকে কী অবস্থায় দেখে রজনীবাবু ভয় পেয়েছিলেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে পরনে ময়লা পাজামা, গায়ে কালাে চাদর এবং এলােমেলাে চুলে বৃদ্ধ কালীনাথ সেনকে মধ্যরাতের ফাঁকা অন্ধকার মঞ্চে প্রবেশ করতে দেখে রজনীবাবু ভয় পেয়েছিলেন।

 

♣ “তুমি এত রাতে কী করছিলে এখানে?” -উত্তরে শ্রোতা কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে প্রশ্নোক্ত প্রশ্নের উত্তরে শ্রোতা কালীনাথ সেন জানান যে, শােয়ার জায়গা না থাকায় তিনি প্রতিদিন গােপনে গ্রিনরুমে ঘুমান।

 

♣ “এ কথাটা মালিকের কানে তুলবেন না চাটুজ্জেমশাই”- কোন কথা?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে দেখা যায়,  শােয়ার জায়গা না থাকায় প্রস্পটার কালীনাথ সেন রােজ রাত্রে লুকিয়ে গ্রিনরুমে ঘুমােন। সেই ঘুমানোর ‘কথা’ প্রসঙ্গেই মন্তব্যটি করা হয়েছে। 

 

♣ “মরা হাতি সােয়া লাখ।”- ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে কোন প্রসঙ্গে কথাটি এসেছে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়ে দর্শকদের সাতটা ক্ল্যাপ প্রদানের প্রতিক্রিয়া উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি নিজেই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।

 

♣ “কী হবে বাড়ি ফিরে – একটুও ভালাে লাগে না বাড়িতে!”- বক্তার এ কথার কারণ কী?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তাঁর আপনজন, স্ত্রী-সন্তান, সঙ্গীসাথি কেউ না থাকার জন্যই তার মনে এই অনুভূতি তৈরি হয়েছে।

 

♣ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় নিজের বংশ পরিচয় নিয়ে কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে জানা যায়, রাঢ়ের সবচেয়ে প্রাচীন ভদ্র ব্রাহ্মণ বংশে তার জন্ম হয়েছে।  

 

♣ ‘নানা রঙের দিন’ নাটক অনুসারে অভিনয়ে আসার আগে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় কী চাকরি করতেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে জানা যায় যে, রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় অভিনয়ে আসার আগে ইন্সপেক্টর অফ পুলিশ পদে কর্মরত ছিলেন।

 

♣ “ছােকরা বয়স তাে?”- ‘ছােকরা বয়স’-এর কী বিশেষত্ব ছিল?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে উল্লিখিত ‘ছােকরা বয়স’-এ রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের চেহারায় উজ্জ্বলতা, শরীরে শক্তি এবং মনে সাহস থাকায় তিনি কারও তােয়াক্কা করতেন না। 

 

♣ “তারপর একদিন, বুঝলে—চাকরিটা ছেড়ে দিলাম।”- বক্তা চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন কেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে জানা যায়, নিজেকে অভিনয়ে পুরােপুরি নিয়ােজিত করার জন্য বক্তা রজনীকান্ত পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন।

 

♣ “হঠাৎ আমার মনে হল, কে যেন আমার জীবনের সমস্ত খাতাখানাকে, আমার চোখের সামনে মেলে ধরেছে।”- কখন বক্তার এ কথা মনে হয়েছিল?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে মাঝরাতে একা মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে থিয়েটারের পিছনের দেয়ালের দিকে, কখনাে বা সামনের অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে বক্তা রজনীকান্তের এ কথা মনে হয়েছিল।

 

♣ “মেয়েটা বেশ লম্বা, ফরসা, সুন্দর, ছিপছিপে গড়নের”- মেয়েটি কে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে থিয়েটার দেখে একদিন যে মেয়েটি অভিনেতা রজনীকান্তের প্রেমে পড়েছিল, সেই প্রাক্তন প্রেমিকার কথাই এখানে বলা হয়েছে।  

 

♣ “সব ভালাে তার” -রজনীকান্তের প্রেমিকার কী কী ভালাে ছিল?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে রজনীকান্তের প্রেমিকা ছিলেন ধনী মেয়ে। তার উচ্চতা, রং, মুখশ্রী, শারীরিক গঠন এবং মন ছিল ভালাে।

 

♣ “ওরই মধ্যে কোথায় যেন আগুন লুকিয়ে ছিল”- কোন প্রসঙ্গে কথাটি বলা হয়েছে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে লম্বা, ফরসা, সুন্দর, ধনী পরিবারের যে মেয়েটি থিয়েটার দেখে অভিনেতা রজনীকান্তের প্রেমে পড়েছিল, তার বর্ণনা প্রসঙ্গেই বক্তা রজনীকান্ত প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।

 

♣ “কেমন করে দুর্গম পাহাড়কে ধ্বসিয়ে দেয় পাহাড়ি নদীর দুর্গম খরস্রোত”- কী দেখে বক্তার এ কথা মনে হয়েছে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে যৌবনে রজনীকান্তের অভিনয় দেখে প্রেমে পড়েছিল যে মেয়েটি, তার রাশি রাশি ঢেউ খেলানাে কালাে চুল দেখে বক্তা রজনীকান্তের এ কথা মনে হয়েছিল।

 

♣ “আর একদিন – আর একদিন তাকে দেখে মনে হয়েছিল”- কার, কাকে দেখে, কী মনে হয়েছিল?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে বক্তা রজনীকান্তের একদিন তার প্রেমিকাকে দেখে মনে হয়েছিল সে ভােরের আলাের চেয়েও সুন্দর।

 

♣ রজনীকান্তের অভিনয়ে মুগ্ধ হওয়া মেয়েটি তাকে কোন চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছিল?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে রজনীকান্তের অভিনয়ে মুগ্ধ হওয়া মেয়েটি তাকে ‘আলমগির’-এর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছিল।

 

♣ “কিন্তু তার আগে তুমি ওই থিয়েটার করা ছেড়ে দাও।”- কখন বক্তা এ কথা বলেছেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে যৌবনে যখন অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় তার প্রেমিকাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তখনই সে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছিল। 

 

♣ “সেই রাত্রেই জীবনে প্রথম মোক্ষম বুঝলুম”- বক্তা কী বুঝেছিলেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে বক্তা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় বুঝেছিলেন যে, যারা বলেন ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’ তারা হয় ‘গাধা’! 

 

♣ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে ‘অভিনেতা সম্মন্ধে রজনীকান্তের দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দাও।

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে রজনীকান্তের মনে হয়েছিল, মানুষের মনােরঞ্জনকারী একজন অভিনেতা হলেন চাকর, জোকার কিংবা ক্লাউনেরই নামান্তর। 

 

♣ “আর সেইদিনই বুঝলুম পাবলিকের আসল চরিত্রটা কী।”- কোন দিনের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে অভিনয় ছাড়তে না পারার জন্য প্রেমিকা জীবন থেকে সরে যাওয়ার দিনে রাতের বেলা একটা বাজে হাসির বইয়ে অভিনয়ের দিনের কথা বলা হয়েছে।

 

♣ “এসব বাজে কথায় আমি বিশ্বাস করি না।”- বক্তা কোন বিষয়গুলিকে বাজে কথা বলেছেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে দর্শকদের ফাঁকা হাততালি, খবরের কাগজের প্রশংসা, মেডেল, সার্টিফিকেট, ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’র মতাে প্রশস্তিবাক্য – এগুলিকেই অভিনেতা রজনীকান্ত বাজে কথা বলেছেন।

 

♣ “আমি, কাউকে বিশ্বাস করি না।”- বক্তা কাদের বিশ্বাস না করার কথা বলেছেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে বক্তা অর্থাৎ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় থিয়েটারের টিকিট কেনা খদ্দেরদের বিশ্বাস না করার কথা বলেছেন। 

 

♣ “এই পবিত্রতার নামাবলিটা সেদিন হঠাৎই ফাঁস হয়ে গেল আমার সামনে”- কীসের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প!’-প্রচলিত এই ধারণার কথা এখানে বলা হয়েছে। 

 

♣ “আমারও আর কিছু ভালাে লাগত না”- এই ভালাে না লাগার কারণ কী?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের থিয়েটারে অভিনয়ের কারণে প্রেমিকার সঙ্গে বিচ্ছেদ এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে ‘পাবলিক’-এর অন্তঃসারশূন্য প্রশকস্তিবাক্য এই ভালাে না লাগার কারণ। 

 

♣ “আবােলতাবােল সব পার্ট করতে লাগলাম – সেসব যা-তা পার্ট।”- বক্তা কেন তেমন করেছিলেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে প্রেমিকা রজনীকান্তকে অভিনয় ছাড়ার শর্তে বিয়ে করতে রাজি হলে, ব্যর্থ প্রেমিক রজনীকান্ত তাই হতাশ হয়ে ওইসময় নাটকে আবােলতাবোেল পার্ট করা শুরু করেন।

 

♣ “আমি স্পষ্ট বুঝতে পারলাম কথাটা।” -কী বােঝার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় থিয়েটারের দেয়ালে দেয়ালে অদৃশ্য হাতে কয়লার মতাে কালাে জ্বলন্ত অক্ষরে লেখা তার প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ বুঝতে পেরেছিলেন। 

 

♣ “অন্ধকারে দাঁড়িয়ে, চুপ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে”— কীসের তাকিয়ে থাকার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় অন্ধকারে তাঁরই জীবনের পেরিয়ে আসা আটষট্টি বছরকে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখেছেন। 

 

♣ “শাহাজাদি। সম্রাটনন্দিনী। মৃত্যুভয় দেখাও কাহারে?”- শাহাজাদি বলতে কাকে বােঝানাে হয়েছে? 

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে উল্লিখিত “রিজিয়া” নাটকের সংলাপে ‘শাহাজাদি’ বলতে রিজিয়াকে বােঝানাে হয়েছে। 

 

♣ “সম্রাটনন্দিনী! মৃত্যুভয় দেখাও কাহারে?”- কোন্ নাটকে কার সংলাপ এটি?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে আলােচ্য সংলাপটি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘রিজিয়া’ নাটকের অন্তর্গত বক্তিয়ারের। 

 

♣ “খুব খারাপ হচ্ছে না, কী বলো?”- কী খারাপ হচ্ছে? 

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকের প্রধান চরিত্র রজনীকান্ত তাঁর নিজের অভিনয় সম্পর্কে প্রম্পটার কালীনাথ সেনের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে, তার অভিনয় খারাপ হচ্ছে কিনা! 

 

♣ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় ‘সাজাহান’ নাটকের কোন্ দৃশ্যের উল্লেখ করেছেন? 

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরঙ্গজেব আর মহম্মদের দৃশ্যের কথা উল্লেখ করেছেন।

 

♣ “আমি কিন্তু প্রধান আশঙ্কা করছি এই মহম্মদকে।”- বক্তা মহম্মদকে নিয়ে ভীত ছিলেন কেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে উল্লিখিত ‘সাজাহান’ নাটকের বক্তা ঔরঙ্গজেব তার প্রতি একটা অবিশ্বাসের বীজ পুত্র মহম্মদের মনে বাসা বাঁধতে দেখেছিলেন বলেই মহম্মদকে নিয়ে তিনি ভীত ছিলেন। 

 

♣ “কাম অন, কুইক! মহম্মদের ক্যাচটা দাও তাে”- মহম্মদ কে? কে মহম্মদের ক্যাচ দিয়েছিলেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে উল্লিখিত ‘সাজাহান’ নাটকের ঐতিহাসিক চরিত্র মহম্মদ ছিলেন ঔরঙ্গজেবের পুত্র।

বক্তা রজনী চট্টোপাধ্যায়কে মহম্মদের ক্যাচ দিয়েছিলেন প্রম্পটার কালীনাথ সেন।

 

♣ “এর নাম যদি রাজনীতি হয়, তাহলে সে রাজনীতি আমার জন্য নয়।”- কোন কোন বিষয়কে বক্তা রাজনীতি বলেছিলেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে উল্লিখিত ‘সাজাহান’ নাটকে সরল ভাইকে ছলনায় বন্দি করা, স্নেহশীল পিতাকে সিংহাসনচ্যুত করা এবং ধর্মের নাম নিয়ে সিংহাসন দখল করা- এই বিষয়গুলিকে বক্তা মহম্মদ রাজনীতি বলেছিলেন। 

 

♣ “ওই তারা আবার আমায় ঘিরে নাচছে।”- কাদের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে উল্লিখিত ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরঙ্গজেব ভেবেছিল দারার ছিন্ন শির, সুজার রক্তাক্ত দেহ আর মােরাদের কবন্ধের কথা। 

 

♣ “আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি কালীনাথ”- কী বুঝতে পারার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে বক্তা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় উপলব্ধি করেছেন যে, তার প্রতিভার এখনও অপমৃত্যু ঘটেনি। 

 

♣ “আমার প্রতিভা এখনও মরেনি”- বক্তা কখন কথা বলেছেন?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় শূন্য প্রেক্ষাগৃহে অন্ধকারের মধ্যে পুরােনাে দিনে তাঁরই অভিনীত ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরঙ্গজেবের সংলাপ দক্ষতার সঙ্গে উচ্চারণ করে প্রম্পটার কালীনাথকে একথা বলেছেন।     

 

♣ “প্রতিভা যার আছে, বয়সে তার কী আসে যায়!”- কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে পুরােনাে অভিনয়ের দৃশ্যগুলােকে বৃদ্ধবয়সেও যেভাবে দক্ষতার সঙ্গে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন, সে প্রসঙ্গেই তিনি প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।

 

♣ “এই তাে জীবনের সত্য কালীনাথ”- সত্যটি কী?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেছেন যে, শিল্পীর প্রতিভাকে বয়স কখনোই হার মানাতে পারে না। 

 

♣ “সুজার সেই কথাগুলাে – পিয়ারাবানুকে বলা”- সুজা কখন কথাগুলি বলেছিল?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে উল্লিখিত অংশে জীবনের শেষ যুদ্ধ্যাত্রার আগের রাতে সুজা পিয়ারাবানুকে কথাগুলি বলেছিল।

 

♣ “ইধর, এ রামব্রিজ”- রামব্রিজের প্রতি রজনীকান্তের কী নির্দেশ ছিল?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে রামব্রিজকে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় সােজা স্টেজের উপরে চলে আসার নির্দেশ প্রদান করেছিলেন। 

 

♣ “এই তাে জীবনের নিয়ম! আরে তুমি কাঁদছ কালীনাথ!”—নিয়মটি কী?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে শিল্পকে যে মানুষ ভালােবেসেছে তার বয়স বাড়লেও তার বার্ধক্য নেই, একাকিত্ব নেই, রােগ নেই, মৃত্যুভয়ও নেই- এই নিয়মের কথাই বলা হয়েছে।

 

♣ “তােমার চোখে জল, কেন বল তাে?”- শ্রোতার চোখে জল আসার কারণ কী?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়ের সুদিন হারানাের আক্ষেপ, পুরােনাে দিনকে অভিনয়ের মাধ্যমে মনে করার প্রাণপণ প্রচেষ্টা প্রম্পটার কালীনাথ সেনের চোখে জল এনেছে।

 

♣ “শিল্পকে যে-মানুষ ভালােবেসেছে”- শিল্পকে ভালােবাসার ফল কী হয়েছে?

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেছেন যে, শিল্পকে যে মানুষ ভালােবেসেছে তার বার্ধক্য নেই, একাকিত্ব নেই, অসুখ নেই, এমনকি মৃত্যুভয়ও নেই।    

 

♣ “Life’s but walking shadow”- কোন নাটকের সংলাপ? 

উত্তরঃ বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত “নানা রঙের দিন” নাটকে ব্যবহৃত প্রশ্নোক্ত সংলাপটি সেক্সপীয়রের বিখ্যাত মাকবেথ নাটকের। 

 

এই নাটকের MCQ প্রশ্নের উত্তরগুলি সমাধান করতে এই লেখাটিতে ক্লিক/টাচ করো

 

নানা রঙের দিন নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বড়োপ্রশ্নের উত্তরঃ 

১) “যারা বলে ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’- তারা সব গাধা”- বক্তার এই উক্তির কারণ কী?

উৎসঃ

বিখ্যাত নাট্যকার “অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়” রচিত একাঙ্ক নাটক “নানা রঙের দিন” থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

বক্তার মন্তব্যের কারণঃ

আলোচ্য নাটকের প্রধান চরিত্র হলেন পেশাদারী থিয়েটারের ‘প্রাক্তন অভিনেতা’ রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। থিয়েটারের সাধারণ দর্শকদের প্রতি তাঁর মনোভাব ছিলো বিরূপ। তার মতে, থিয়েটারের সাধারণ দর্শকেরা অভিনেতাদের সাথে আলাপ-পরিচয় করে, চা-টা খাওয়ায়, কিন্তু তাদের সঙ্গে কোনোরকম সামাজিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় না। এমনকি থিয়েটারের অভিনেতার সঙ্গে কেউ নিজের নিকট আত্মিয়ের বৈবাহিক সম্পর্ককেও স্বীকার করে না।

অভিনেতারা যতক্ষণ মঞ্চে অভিনয় করেন, ততক্ষণই তাদের কদর। তারপর সকলে নিজেদের ঘরে প্রত্যাবর্তন করলে তাদের কথা কেউ মনেও রাখে না। রজনী চট্টোপাধ্যায় মনে করেন এই  সকল দর্শকদের চোখে “অভিনেতা মানে একটা চাকর- একটা জোকার, একটা ক্লাউন।” নাটক দেখতে আসা দর্শকদের প্রতি তাচ্ছিল্যের সুরে রজনীবাবু জানান- “যারা বলে ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’-তারা সব গাধা-গাধা।”

রজনীবাবুর এই মনোভাবের অন্তরালে একটি কারণ নিহিত রয়েছে। যখন তার বয়স কম ছিল, একটি মেয়ে এসেছিল তাঁর জীবনে। তাঁর অভিনয় দেখে মেয়েটি নিজে থেকেই এসে তার সাথে পরিচয় করেছিল। তাদের সেই আলাপ থেকেই ঘনিষ্ঠতা হয় এবং তারপর প্রেম পূর্ণতা পায়। 

রজনীবাবু সেই মেয়েটিকে নিয়ে স্বপ্নের এক জগৎ গড়ে তোলেন। কিন্তু একদিন যখন বিয়ের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়, মেয়েটি তাঁর সমস্ত স্ব্প্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়ে শর্ত আরোপ করে- “তার আগে তুমি ওই থিয়েটার করা ছেড়ে দাও।”

থিয়েটারকে জীবনের সর্বস্ব উজার করে দেওয়া রজনীবাবু তার প্রেমীকার থেকে এহেন আঘাত মেনে নিতে পারেন নি। তাই থিয়েটার দেখতে আসা সাধারণ দর্শকদের প্রতি তার মনে স্বাভাবিকভাবেই জন্ম নিয়েছে একরাশ ঘৃণা ও তাদের প্রতি তিনি হয়ে উঠেছেন বিরূপ মনোভাবসম্পন্ন।

 

নানা রঙের দিন নাটকের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিছু বড়োপ্রশ্নের উত্তরঃ

“আমি রোজ লুকিয়ে লুকিয়ে গ্রিনরুমে ঘুমোই চটুজ্জেমশাই, কেউ জানে না” – কোন নাটকের অংশ? বক্তা কে? তিনি কেন গ্রিনরুমে ঘুমান?

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“নানা রঙের দিন” নাটকটির নামকরণ কতখানি সার্থক তা আলোচনা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“নানা রঙের দিন” নাটক অবলম্বনে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ”- বক্তা কে? এই অপমৃত্যু কীভাবে ঘটেছিল বলে বক্তা মনে করেন?

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“নানা রঙের দিন” নাটকে অন্য যে সকল নাটকের সংলাপ ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“অভিনেতা মানে একটা চাকর- একটা জোকার, একটা ক্লাউন”- তাৎপর্য আলোচনা করো ৷

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“আমাদের দিন ফুরিয়েছে”- কে কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন? বক্তার এই উপলব্ধির কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“যারা বলে ‘নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’- তারা সব গাধা”- বক্তার এই উক্তির/মনোভাবের কারণ কী?

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“নানা রঙের দিন” নাটক হিসেবে কতখানি সার্থক আলোচনা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

You cannot copy content of this page

Need Help?