“আবহমান” কবিতা থেকে এখানে ‘নবম শ্রেণি বাংলাঃ আবহমান’ গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নোটে টাচ/ক্লিক করে সেই বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।
১) ‘আবহমান’ কবিতাটির মূল বক্তব্যটি বুঝিয়ে দাও।
উৎসঃ
বাংলা আধুনিক যুগের অন্যতম বিশিষ্ট্য কবি “নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী” রচিত “অন্ধকার বারান্দা” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “আবহমান” কবিতায় কবি গ্রামীন পরিবেশের পটভূমিতে বঙ্গপ্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে চিত্রিত করেছেন।
মূল বক্তব্যঃ
বাংলার মাটি, হাওয়া তথা সমগ্র গ্রামীন পরিবেশ তার সন্তানদের স্নেহের পরশে লালিত-পালিত করে। সেই নিবিড় অনুরাগের স্পর্শ তাদের অন্তঃকরণে রয়ে যায় বলেই তারা জীবিকার প্রয়োজনে তাদের মাতৃভূমিকে ছেড়ে দূরে চলে গেলেও তার টানকে উপেক্ষা করতে পারে না। আর তাই তো তারা বারংবার ফিরে আসে তাদের শৈশবকালের স্মৃতিজড়িত গ্রামবাংলার বুকে-
“কে এইখানে হারিয়ে গিয়েও আবার ফিরে আসে”
গ্রামবাংলায় ফিরে এসে তারা পুরোন স্মৃতিকে ফিরে পেয়ে-
“সারাটা দিন আপন মনে ঘাষের গন্ধ মাখে,
সারাটা রাত তারায়-তারায় স্বপ্ন এঁকে রাখে।”
নদীমাতৃক বাংলামায়ের ভালোবাসার পরশ পেতে কবি নদীতীরের স্নিগ্ধ-শীতল হাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন-
“নামলে আবার ছুটে আসে সান্ধ্য নদীর হাওয়া”
এই বাংলার মাটিতে তার সন্তানদের বারংবার প্রত্যাবর্তনকে প্রতীকায়িত করতে কবি সূর্যের আলো-ছায়ার উপমাটিকে সার্থকভাবে প্রয়োগ করেছেন-
“তেমনি করেই সূর্য ওঠে, তেমনি করেই ছায়া”
বঙ্গসন্তানদের এই ফিরে আসার কাহিনি কখনোই সমাপ্ত হয় না। আর তাই তো কবি কবিতায় বলেছেন-
“ফুরয় না, তার কিছুই ফুরোয় না,
নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে কিন্তু মুড়য় না।”
অতএব আলোচনার পরিসমাপ্তিতে বলা যায়, আবহমান কবিতাটি গ্রামবাংলার বুকে তার সন্তানদের যুগে যুগে ফিরে আসার অসমাপ্ত কাহিনি।
আবহমান কবিতায় গ্রামীণ চিত্র আলোচনা করো।
“নেভে না তার যন্ত্রণা যে, দুঃখ হয় না বাসি”- তাৎপর্য আলোচনা করো।
“ফুরয় না সেই একগুঁয়েটার দুরন্ত পিপাসা”- তাৎপর্য লেখো।
“যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দ্বারা”- তাৎপর্য আলোচনা করো।