akashe sati tara

“আকাশে সাতটি তারা” কবিতা থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নোটে টাচ/ক্লিক করে সেই বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।

আকাশে সাতটি তারা কবিতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ MCQ ও SAQ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলোঃ 

১) ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতার রচয়িতা হলেন- জীবনানন্দ দাশ 

২) ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছে- রূপসী বাংলা 

৩) কামরাঙা লাল মেঘকে তুলনা করা হয়েছে- মৃত মনিয়ার সঙ্গে 

৪) ‘আসিয়াছে শান্ত অনুগত’- নীল সন্ধ্যা

৫) নীল সন্ধ্যাকে কবি তুলনা করেছেন- কেশবতী কন্যার সঙ্গে 

৬) ‘এ কন্যারে দেখে নি কো’- পৃথিবীর কোনো পথ

৭) রূপসীর চুলের বিন্যাসে যা ঝরে- স্নিগ্ধ গন্ধ 

৮) ধানের গন্ধ হলো- নরম 

৯) চাঁদা-সরপুঁটিদের ঘ্রাণ- মৃদু 

১০) ‘কিশোরের পায়ে দলা’- মুথা ঘাস 

১১) লাল লাল ফলগুলি- বটের 

১২) ‘হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল’- এসবের মাঝে আছে- বাংলার প্রাণ 

 

আকাশে সাতটি তারা কবিতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ বড়ো প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলোঃ 

১) আকাশে সাতটি তারা কবিতায় কবি বাংলার সন্ধ্যার যে চিত্র এঁকেছেন তা উল্লেখ করো।

উৎসঃ

“রূপসী বাংলা”র চিত্ররূপময় কবি “জীবনানন্দ দাশ” রচিত “আকাশে সাতটি তারা” কবিতায় কবি বাংলার সন্ধ্যা প্রকৃতির এক রূপময় চিত্র অঙ্কন করেছেন।

কবিতায় সন্ধ্যার চিত্রঃ

ঘনায়মান সন্ধ্যায় যখন আকাশে সাতটি তারা ফুটে উঠেছে তখন কবি ঘাসের উপর বসে প্রকৃতির এই অপরূপ রূপলাবণ্য প্রত্যক্ষ করেছেন-

“আমি এই ঘাসে বসে থাকি”

অস্তমিত সন্ধ্যা সূর্যের আলোয় গঙ্গা সাগরের বুকে ডুবে যাওয়া মেঘকে তিনি কামরাঙা লাল বর্ণে দেখে তাকে মৃত মনিয়া পাখির সঙ্গে তুলনা করেছেন-

“কামরাঙা-লাল মেঘ যেন মৃত মনিয়ার মতো

গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে ডুবে গেছে”

বাংলার সন্ধ্যাকে কবি প্রত্যক্ষ করেছেন শান্ত অনুগত রূপে-

“আসিয়াছে শান্ত অনুগত

বাংলার নীল সন্ধ্যা”

মায়াময় এই সন্ধ্যাকে কবি কেশবতী কণ্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন; যার চুলের স্পর্শ তিনি তার চোখে-মুখে যেন অনুভব করেছেন-

“আমার চোখের ’পরে আমার মুখের ’পরে চুল তার ভাসে”

কবির চোখে বাংলার যে সৌন্দর্য ধরা পরেছে তা পৃথিবীর আর কোথাও কেউ কখনো প্রত্যক্ষ করে নি বলেই কবির মনে হয়েছে।সন্ধ্যার শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশে হিজল-কাঠাল-জাম গাছ, নরম ধান, কলমির ঘ্রাণ, হাঁসের পালক, পুকুরের জল, চাঁদা-সরপুঁটিদের মৃদু ঘ্রাণে বঙ্গ প্রকৃতির প্রাণের সন্ধান কবি লাভ করেছেন-

“এরই মাঝে বাংলার প্রাণ”

কিশোরের পায়ে দলা মুথাঘাস, লাল লাল বটের ফলের ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতায় বাংলার রূপময় সন্ধ্যা যেন আরো অপরূপ হয়ে ওঠে, যা কবির অনবদ্য কবিপ্রতিভায় আমাদের কাছে চিত্ররূপ লাভ করেছে।

আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরের লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

“এরই মাঝে বাংলার প্রাণ”- ‘এরই মাঝে’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? 

উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে

“আমি পাই টের”- ‘আমি’ কে? উদ্ধৃতাংশটির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কবির মনোভাব ব্যক্ত করো। ১+৪

উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page