“নবম শ্রেণি বাংলাঃ হিমালয় দর্শন” প্রবন্ধ থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নোটে টাচ/ক্লিক করে সেই বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।
প্রশ্ন আলোচনার পূর্বে নবম শ্রেণি বাংলাঃ হিমালয় দর্শন প্রবন্ধের প্রতিটি লাইনের ব্যাখ্যা নিম্নের দুটি ভিডিওতে দেখে নেওয়া যাকঃ
নবম শ্রেণি বাংলাঃ হিমালয় দর্শন প্রবন্ধ থেকে ছোট প্রশ্নের উত্তরঃ
১) নিম্ন উপত্যকায় নির্মল শ্বেত কুজ্ঝটিকা দেখে সাহসা মনে হচ্ছিল- নদী।
২) কারসিয়ং স্টেশন এর উচ্চতা- ৪৮৬৪ ফুট।
৩) ট্রাঙ্ক কয়টা যে ঠিকানায় বুক করা হয়েছিল- দার্জিলিং।
৪) লেখিকা গৃহ সুখ অনুভব করতে পারেন নি কারণ- জিনিসপত্র দার্জিলিং চলে গিয়েছিল।
৫) কারসিয়ং যাওয়ার পর বৃষ্টি হয়েছিল- একদিন।
৬) লেখিকা কারসিয়ং এ জল ব্যবহার করতেন- নির্ঝরের।
৭) লেখিকা পানীয় জল যেভাবে ব্যবহার করতেন- ফিল্টারে ছেঁকে খেতেন।
৮) ‘একবার ‘মহিলা’য় ঢেঁকি শাকের কথা পাঠ করিয়াছি’- ‘মহিলা’ বলতে লেখিকা বুঝিয়েছেন- পত্রিকার নাম।
৯) ‘নির্ভয়ে বেড়াইতে পারি’ – নির্ভয় বেড়াতে যাওয়ার কারণ- বাঘ নেই।
১০) এদেশের স্ত্রীলোকেরা যা ভয় পায় না- জোঁক।
১১) ভুটিয়ানিদের পেশা হল- পাথর বহন করা।
১২) ‘এখন সে সাধও পূর্ণ হইল’ – যে সাধ পূর্ণ হবার কথা বলা হয়েছে- পাহাড় দেখার সাধ।
১৩) ভূটিয়ানিরা যত গজ লম্বা কাপড় ঘাঘরার মতো করে পরত- সাত গজ।
১৪) ‘এখন সে সাধও পূর্ণ হইল’- যে সাধের কথা বলা হয়েছে- পাহাড় দেখার সাধ।
১৫) কার্সিয়াং এ পানীয় জলের একমাত্র উৎস- নির্ঝরের জল।
১৬) ‘এখানে এখন শীতের বৃদ্ধি হয় নাই, গ্রীষ্মও নাই’ – লেখিকা পর্বতের এই সময়কালকে বলেছেন- পার্বত্য বসন্তকাল।
১৭) যে খেলা দেখতে লেখিকার চমৎকার লেগেছিল- বায়ু ও মেঘের লুকোচুরি খেলা।
১৮) ‘হিমালয় দর্শন’ নামক রচনাংশে লেখিকার আসবাব সরঞ্জাম ভুল করে যে ঠিকানায় বুক করা হয়েছিল- দার্জিলিং।
১৯) ‘হিমালয় দর্শন’- রচনাটি লিখেছেন- বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
২০) ‘যথাসময়ে যাত্রা করিয়া _____ স্টেশনে আসিয়া পঁহুছিলাম’- যে স্টেশনের কথা বলা হয়েছে- শিলিগুড়ি।
২১) হিমালয় রেল রোড যেখান থেকে আরম্ভ হয়েছে- শিলিগুড়ি।
২২) ‘ক্রমে আমরা সমুদ্র হইতে _____ হাজার ফিট উচ্চে উঠিয়াছি’- তিন।
২৩) ‘ইহার সৌন্দর্য বর্ণনাতীত’- লেখিকার কাছে যার সৌন্দর্য বর্ণনাতীত- জলপ্রপাত।
২৪) সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কার্সিয়াং স্টেশনের উচ্চতা- ৪৮৬৪ ফিট।
২৫) ‘স্টেশন হইতে আমাদের বাসা অধিক দূর নহে’- যে স্টেশনের কথা বলা হয়েছে- কার্সিয়াং।
২৬) ঢেঁকিশাকের কথা যে পত্রিকায় লেখিকা পড়েছিলেন- মহিলা।
২৭) বড়ো বড়ো ঢেঁকিতরুর কথা লেখিকা যে গ্রন্থে পড়েছিলেন- ভূতত্ত্ব গ্রন্থে।
২৮) ঢেঁকি তরুর উচ্চতা- ২০-২৫ ফুট।
হিমালয় দর্শন প্রবন্ধ থেকে MCQ প্রশ্নের মক টেষ্ট প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
নবম শ্রেণি বাংলাঃ হিমালয় দর্শন থেকে বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ
১) ‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধে বর্ণিত অরণ্য প্রকৃতির বর্ণনা দাও। ৫
উৎসঃ
বিখ্যাত লেখিকা “বেগম রোকেয়া” রচিত “কূপমন্ডূকের হিমালয় দর্শন” ভ্রমণকাহিনি থেকে গৃহীত আমাদের পাঠ্য “হিমালয় দর্শন” প্রবন্ধে আমরা পার্বত্য অরণ্য প্রকৃতির অপরূপ বর্ণনার পরিচয় পাই।
অরণ্য প্রকৃতির বর্ণনাচিত্রঃ
লেখিকা শিলিগুড়ি থেকে হিমালয়ান রেলপথ ধরে তাঁর পার্বত্য পথের যাত্রা শুরু করেছেন। শিলিগুড়ি থেকে কার্সিয়াং রেলযাত্রা ও সেখানে পৌঁছে তিনি পার্বত্য প্রকৃতির রূপলাবণ্যে মোহিত হয়েছেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪৮৬৪ ফিট উপরে অবস্থিত কার্সিয়াং-এর নিবিড় অরণ্য লেখিকার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
অরণ্যের অভ্যন্তরে বাঘের অবস্থানের সম্ভাবনা না থাকায় তিনি স্বচ্ছন্দেই অরণ্যে পরিভ্রমণ করেছেন- “আমরা নির্জন বন্য পথেই বেড়াইতে ভালোবাসি”। তবে সাপ ও ছিনে জোঁকের উপস্থিতির কথা তিনি জানিয়েছেন। যদিও সাপের সাথে তাদের সরাসরি সাক্ষাৎ ঘটে নি, তবে ছিনে জোঁকের দ্বারা তারা দুই-তিনবার আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও অরণ্যের মাঝে প্রায় ২০/২৫ ফিট উঁচু ঢেঁকিতরু তার বিস্ময়ের কারণ হয়ে উঠেছে।
এইরূপে লেখিকা তাঁর সুনিপুণ লেখনীগুণে পার্বত্য অরণ্য প্রকৃতির সৌন্দর্যময়তাকে তাঁর রচনায় উপস্থাপন করেছেন।
‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশে পার্বত্যপথে লেখিকার রেলগাড়িতে যাত্রার অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে লেখো।
‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধে বর্ণিত অরণ্য প্রকৃতির বর্ণনা দাও।
হিমালয় দর্শন প্রবন্ধ অনুসারে ভুটিয়াদের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও।
“তিনিই ধন্য!”-‘তিনি’ কে? লেখিকা তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন?
নবম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের অধ্যায়ভিত্তিক PDF নোটের জন্য এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে