দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা বিষয়ের ভাষা থেকে রূপতত্ত্ব SAQ প্রশ্নোত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নের উত্তরগুলি তৈরি করলে তাদের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবে।
রূপতত্ত্ব থেকে MCQ প্রশ্নের উত্তর দেখতে এই লেখাতে টাচ/ক্লিক করো।
♣ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দাওঃ
১) রূপ কী?
উত্তরঃ ভাষায় সবচেয়ে ছোটো অর্থপূর্ণ একক হল রূপ।
২) রূপমূল বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ ভাষার অর্থযুক্ত নূন্যতম অংশ হল রূপমূল। বাগ্যন্ত্রের একবারের প্রচেষ্টায় পদের যে নূন্যতম অংশ উচারিত হতে পারে, তাকেই রূপমূল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
যেমন- ‘সুগন্ধ’ শব্দে ‘সু’ ও ‘গন্ধ’ এই দুটি হল রূপমূল।
৩) রূপমূলের দুটি শ্রেণি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ রূপমূলের দুটি ভাগ। যথাঃ ক) স্বাধীন রূপমূল খ) পরাধীন রূপমূল
৪) রূপিম ও রূপমূলের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ রূপিম ও স্বনিমের মধ্যে পার্থক্যগুলি নিমরূপ-
ক) স্বনিমের কোনো অর্থ না থাকলেও রূপিমের আছে।
খ) রূপিমকে ভাষার ক্ষুদ্রতম একক বলা যায় না, কিন্তু স্বনিম হল ভাষার ক্ষুদ্রতম একক।
গ) রকাধিক স্বনিম যোগে রূপিম গঠিত হয়।
৫) সহরূপমূল কাকে বলে?
উত্তরঃ সহরূপমূল হল এমন রূপমূল যা মূল্রূপমূলের সাথে যুক্ত হয় এবং বিশেষ বিশেষ পরিবেশে বিশেষ বিশেষ অর্থ প্রকাশের ক্ষেত্রে একই ব্যাকরণগত অর্থ প্রকাশ করে।
যেমন- মানুষগুলো, ছেলেগুলো, সন্তানরা, পাখিগুলি ইত্যাদি।
৬) মুক্ত রূপিম কাকে বলে?
উত্তরঃ যে অর্থপূর্ণ ধ্বনিসমষ্টি ভাষার অন্য ধ্বনিসমষ্টির সঙ্গে সম্পূর্ণ যুক্ত না হয়েও স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হতে পারে, তাকে মুক্ত রূপিম বলে।
যেমন- ‘আম ফলের রাজা’। এখানে ‘আম’ হল মুক্ত রূপিম।
৭) বদ্ধ রূপিম কাকে বলে?
উত্তরঃ যে অর্থপূর্ণ ক্ষুদ্রতম ধ্বনিসমষ্টি সব সময় স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হতে পারে না, মুক্ত রূপিমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যবহৃত হয়, তাকে বলে বদ্ধ রূপিম।
যেমন- ‘ছেলেটি খুব শান্ত’। এখানে ‘ছেলে’ মুক্ত রূপমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ‘টি’ শব্দটির অর্থ প্রকাশ করেছে। তাই এখানে ‘টি’ হল বদ্ধ রূপিম।
৮) প্রতিপাদিক কী?
উত্তরঃ পদ বা পদের অবিভাজ্য অংশ যা পদের মোউলিক ভাব প্রদান করে তাকে বলা হয় প্রকৃতি। আর পদ বা ধাতুর সঙ্গে যে ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি যুক্ত হয়ে নতুন পদ গঠন করে তাকে বলে প্রত্যয়। এই প্রকৃতি এবং প্রত্যয় মিলে গঠিত হয় প্রাতিপাদিক।
৯) দুটি পরাধীন রূপমূলের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ ‘ফুলওয়ালা’ শব্দের ‘ওয়ালা’ এবং ‘তামাটে’ শব্দের ‘টে’ পরাধীন রূপমূলের উদাহরণ।
১০) প্রকৃতি কী? এটি কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তরঃ পদ বা পদের যে অবিভাজ্য অংশ পদকে মৌলিক ভাব প্রদান করে তাকে বলে প্রকৃতি।
প্রকৃতি দুই প্রকার। যথা- ক) নাম প্রকৃতি ও খ) ধাতু প্রকৃতি।
১১) নাম প্রকৃতি কী?
উত্তরঃ যে প্রকৃতি কোনো কিছুর নাম বোঝায় এবং কোনো বস্তু, জাতি, ভাব অথবা গুণকে নির্দেশ করে, তাকে বলে নাম প্রকৃতি।
যেমন- গাছ, জল প্রভৃতি।
১২) ধাতু প্রকৃতি কী?
উত্তরঃ যে প্রকৃতির মাধ্যমে পদের একটি অবিশ্লিষ্ট মৌলিক অংশ পাওয়া যায় এবং যার মাধ্যমে কোনো ক্রিয়া জাতীয় ভূমিকাকে নির্দেশ করা হয়, তাকে বলে ধাতু প্রকৃতি।
যেমন- খা, কর্, চল্ ইত্যাদি।
১৩) প্রত্যয় কাকে বলে?
উত্তরঃ শব্দ বা ধাতুর সঙ্গে যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত করে নতুন শব্দ গঠন করা হয়, তাকে প্রত্যয় বলে।
যেমন- √দা+তব্য= দাতব্য
১৪) ব্যবহারিক প্রয়োগের অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যয় কত রকম ও কী কী?
উত্তরঃ ব্যবহারিক প্রয়োগের অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যয় দু-রকম। যথা- তদ্ধিত প্রত্যয় ও কৃৎ প্রত্যয়।
১৫) তদ্ধিত প্রত্যয় কাকে বলে?
উত্তরঃ নাম শব্দের পরে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়, সেই প্রত্যয়কে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে।
যেমন- সুমিত্রা+ই= সৌমিত্রি