একাদশ শ্রেণি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস MCQ প্রশ্নের উত্তর
একাদশ শ্রেণি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস “মধ্যযুগে বাংলার সমাজ ও সাহিত্য” থেকে গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্নের উত্তরগুলি শিক্ষালয়ের পক্ষ থেকে নিয়মিত প্রদান করা হচ্ছে। যে সকল শিক্ষার্থীরা পূর্বে প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখো নি, তারা নিম্নে প্রদান করা লিঙ্কে টাচ/ক্লিক করে সেগুলো দেখে নিতে পারবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
একাদশ শ্রেণি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস MCQ প্রশ্নের উত্তরঃ
MCQ প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
সাহিত্যের ইতিহাসঃ আদি ও মধ্যযুগ থেকে MCQ প্রশ্নের মক টেষ্ট প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে ১) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কয়টি খন্ড ও কী কী? এই কাব্যটির সাহিত্যমূল্য আলোচনা করো। ভূমিকাঃ ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামের অধিবাসী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়ালঘর থেকে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পুঁথিটি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে কাব্যটি মুদ্রিত আকারে প্রকাশিত হয়। খন্ড সংখ্যাঃ বড়ু চন্ডীদাসের লেখা শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি রাধাকৃষ্ণের প্রণয়লীলাকে আধারিত করে রচিত হয়েছে। এই কাব্যটি তেরোটি খন্ডে বিভক্ত। যথা- জন্ম খন্ড, তাম্বুল খন্ড, দান খন্ড, নৌকা খন্ড, ভার খন্ড, ছত্র খন্ড, বৃন্দাবন খন্ড, কালীয়দমন খন্ড, যমুনা খন্ড, হার খন্ড, বাণ খন্ড, বংশী খন্ড এবং রাধাবিরহ। তবে শেষ অংশটির সাথে খন্ড শব্দটি যুক্ত না থাকায় অনেকে এটিকে প্রক্ষিপ্ত বলে মনে করেন। সাহিত্যমূল্যঃ বাংলা সাহিত্যের আদি মধ্যযুগের একমাত্র সাহিত্যিক নিদর্শন হলো বড়ু চন্ডীদাস রচিত শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য। এই কাব্যের যে সকল বৈশিষ্ট্যাবলীর জন্য কাব্যটি বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ হয়ে উঠেছে তা ক্রমান্বয়ে আলোচিত হলো- ১) কৃষ্ণের জন্ম থেকে শুরু করে কংসবধের জন্য কৃষ্ণের মথুরা গমন পর্যন্ত যে কাহিনি এই কাব্যে বর্ণিত হয়েছে তা বাংলা সাহিত্যে ইতিপূর্বে হয় নি। ২) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে আমরা যে গীতিময়তা তথা নাট্যরস লাভ করি তা বাংলা সাহিত্যের আদিযুগের সাহিত্যগুণের পরিচায়ক। ৩) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে আমরা যে কাহিনি লাভ করি তা লৌকিক পরিমণ্ডলকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে। তাই কৃষ্ণকে আমরা পাই গোয়ালা যুবক রূপে রাধার প্রেম প্রার্থনা করতে, আর গ্রাম্য বড়াই চরিত্রটি হয়ে তার সহায়ক। ৪) তৎকালীন মানুষের পেশা, মানুষের সংসার জীবন, বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক প্রথারও পরিচয় আমরা শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে লাভ করি। ৫) আদিমধ্যযুগের নব্যবাংলা ভাষার বিবিধ লক্ষণের পরিচয় আমরা এই কাব্যে পেয়ে থাকি। যেমন- সর্বনাম পদে ‘রা’ বিভক্তির ব্যবহার, ভবিষ্যতকালের কর্তৃবাচ্যে ‘ইব’ ক্রিয়ার ব্যবহার প্রভৃতি। অতএব আলোচনা করে দেখা গেল, বাংলা সাহিত্যে আদিমধ্যযুগের সাহিত্য নিদর্শন রূপে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটির সাহিত্যমূল্য অপরিসীম। সাহিত্যের ইতিহাস মধ্যযুগে বাংলার সমাজ ও সাহিত্য থেকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরঃ কৃত্তিবাস ওঝা ও রামায়ণ অনুবাদ সম্পর্কে আলোচনা করো। কাশীরাম দাস ও মহাভারত অনুবাদ সম্পর্কে আলোচনা করো। শ্রীকৃষ্ণবিজয় কাব্য সম্পর্কে আলোচনা করো। মঙ্গলকাব্য থেকে ছোট প্রশ্নের উত্তরের সমাধান। মঙ্গলকাব্যের নামকরণ ও বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। মনসামঙ্গল কাব্যধারার দুজন বিশিষ্ট কবি সম্পর্কে আলোচনা করো। চন্ডীমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী সম্পর্কে আলোচনা করো। ধর্মমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি ঘনরাম চক্রবর্তী সম্পর্কে আলোচনা করো। বাংলা সাহিত্যে বিদ্যাপতির অন্তর্ভুক্তির কারণ আলোচনা করো। বিদ্যাপতির পরিচয় দাও ও তাঁর কবি-প্রতিভা সম্পর্কে আলোচনা করো। বৈষ্ণব পদ-সাহিত্যে চন্ডীদাসের অবদান আলোচনা করো। বৈষ্ণব পদকর্তা জ্ঞানদাসের কবিপ্রতিভার পরিচয় দাও। বৈষ্ণব পদ-সাহিত্যে গোবিন্দদাসের অবদান আলোচনা করো। বাংলা সাহিত্যে চৈতন্য প্রভাব আলোচনা করো। দৌলত কাজির জীবন ও কবিপ্রতিভা সম্পর্কে আলোচনা করো। সৈয়দ আলাওলের কবি পরিচিতি ও কবিপ্রতিভার পরিচয় দাও। রামপ্রসাদ সেনের কবিপ্রতিভার পরিচয় দাও। বাউল কাদের বলা হয়? লালন ফকিরের কবিপ্রতিভার পরিচয় দাও। শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ সাহিত্যের ইতিহাস
মধ্যযুগে বাংলার সমাজ ও সাহিত্য (বড়ো প্রশ্ন)