Class Nine Model Activity Task Geography
January, 2022
নবম শ্রেণি মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ভূগোল
জানুয়ারি, ২০২২
করোনা পরিস্থিতিতে যখন দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ তখন শিক্ষার্থীদের নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষা গ্রহণ অব্যাহত রাখতে স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে ২০২২ নতুন শিক্ষাবর্ষে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কের উত্তরগুলি খাতায় লিখে তাদের বিদ্যালয়ের নির্দেশানুসারে নিজস্ব বিদ্যালয়ে জমা করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কের উত্তরগুলির সমাধানের সুবিধার্থে সহায়তা প্রদান করা হলো।
১) বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখোঃ ১*৩ = ৩
১.১) উত্তর মেরুতে ধ্রুবতারার উন্নতি কোণ হলো- গ) ৯০°
১.২) যে অক্ষরেখায় পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের মান সর্বনিম্ন তা হলো- ক) নিরক্ষরেখা
১.৩) ঠিক জোড়টি নির্বাচন করো- খ) সাবমেরিন চালনা- GPS
নবম শ্রেণি বাংলা অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২২
২.১) উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করোঃ ১*২ = ২
২.১.১) সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে _____________ গ্রহের ঘনত্ব সর্বাধিক।
উত্তরঃ পৃথিবী
২.১.২) পৃথিবীর পরিধি প্রথম নির্ণয় করেন গ্রিক পণ্ডিত _____________ ।
উত্তরঃ এরাটোস্থেনিস
২.২) একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাওঃ ১*৩ = ৩
২.২.১) GPS- এর পুরো কথাটি কী?
উত্তরঃ গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম
২.২.২) পৃথিবীর মেরু ব্যাস কত কিলোমিটার?
উত্তরঃ 12,714 কিমি
২.২.৩) কোন বহিঃস্থ গ্রহের ব্যাস সর্বাধিক?
উত্তরঃ বৃহস্পতি গ্রহের
৩) নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ ২*২ = ৪
৩.১) সৌরজগতের অস্তঃস্থ ও বহিঃস্থ গ্রহগুলির মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ অন্তঃস্থ গ্রহ ও বহিঃস্থ গ্রহগুলির মধ্যে যে পার্থক্যগুলি দেখা যায় সেগুলি নিম্নে আলোচিত হল-
আকারও ক্ষেত্রমানগত পার্থক্যঃ
অন্তঃস্থ গ্রহ গুলির আকার ও ক্ষেত্রমান ছোট হয় l বহিঃস্থ গ্রহগুলির আকার ও ক্ষেত্রমান বড়ো।
উষ্ণতাগত পার্থক্যঃ
অন্তঃস্থ গ্রহগুলি সূর্যের কাছাকাছি থাকায় উষ্ণতা বেশি l কিন্তু বহিঃস্থ গ্রহ গুলি সূর্য থেকে দূরে থাকায় উষ্ণতা কম।
৩.২) বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয়- এর ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ
পৃথিবীর বিভিন্ন সময়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের পার্থক্যের মূল কারণ হল পৃথিবীর আবর্তন গতি। পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ক্রমাগত আবর্তন করে চলেছে। আর পৃথিবীর এই আবর্তনের সাথে সাথে উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত কাল্পনিক রেখাগুলিও আবর্তন করছে।
দ্রাঘিমা রেখাগুলি প্রত্যহ একবার করে সূর্যের সামনে আসে। পৃথিবীর বিভিন্ন দ্রাঘিমা রেখার স্থানীয় সময় ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এবং বিভিন্ন স্থানের উপর দিয়ে যেহেতু দ্রাঘিমারেখাগুলি কল্পনা করা হয়েছে, সেহেতু তাদের স্থানীয় সময়ও ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত হয়।
সকল প্রকার আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করো News Letter বিভাগে
৪) নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাওঃ ৩*১= ৩
‘জিয়ড’- এর ধারণাটি সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তরঃ
পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলকের মত। তবে পৃথিবীকে আমরা একটি আদর্শ অভিগত গোলক বলতে পারি না; কারণ পৃথিবীতে পর্বত, পাহাড়, মালভূমি, সমভূমি প্রভৃতি পৃথিবী-পৃষ্ঠকে উঁচু-নিচু ঢেউ খেলানো এবং বন্ধুর রূপ প্রদান করেছে।
হিমালয় পর্বতের মাউন্ট এভারেস্ট, যার উচ্চতা ৮৮৪৮ মিটার, তা পৃথিবীর উচ্চতম অংশ। অপরদিকে প্রশান্ত মহাসাগরের গভীর সমুদ্রতলে অবস্থিত মারিয়ানা খাতের গভীরতা ১১০০০ মিটারের বেশি, যা পৃথিবীর নিম্নতম অংশ। অর্থাৎ পৃথিবীর বন্ধুরতার প্রসার হলো প্রায় ২০ কিলোমিটার। অর্থাৎ পৃথিবী পুরোপুরি গোল নয়। পৃথিবীর ওপর-নীচ কিছুটা অংশ আর মাঝ বরাবর কিছুটা ফোলা। পৃথিবী শুধুমাত্র দক্ষিণ মেরুর দিকে চাপা, উত্তর মেরু চাপা নয়। পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু ২০ মিটার নীচু এবং উত্তর মেরু ২০ মিটার উঁচু। আবার দক্ষিণ গোলার্ধের মধ্যে অক্ষাংশ ৮ মিটার ফুলে উঠেছে ও উত্তর গোলার্ধের মধ্যে অক্ষাংশ ৮ মিটার বসে গিয়েছে। পৃথিবীর মধ্যভাগ প্রায় 43 কিলোমিটার স্ফীত।
কমলালেবু বা ন্যাসপাতির সঙ্গে পৃথিবীর আকৃতির কিছুটা মিল থাকলেও আসলে পৃথিবীর আকৃতিকে অন্য কোন আকৃতির সঙ্গে মেলানো যায় না। তাই বলা হয় যে, পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি পৃথিবীর মতো যাকে ইংরেজিতে বলা হয় জিয়ড (Geoid= Earth shaped)। গ্রিক শব্দ Geoeides থেকে আসা জিয়ড শব্দের অর্থ হলো ‘পৃথিবীর মতো’। তাই আলোচনার পরিশেষে আমরা বলতে পারি, পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবীর মতো বা জিয়ড।
৫) নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাওঃ ৫*১ = ৫
‘সৌর জগতের বিভিন্ন গ্রহগুলির মধ্যে পৃথিবীই একমাত্র জীবজগতের আবাসস্থল’- বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
উত্তরঃ
সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহগুলির মধ্যে পৃথিবীই একমাত্র জীব জগতের আবাসস্থল। নিন্মে বিষয়টির প্রতি আলোকপাত করা হলো-
সূর্য থেকে দূরত্ব ও কাম্য উষ্ণতাঃ
সূর্য থেকে পৃথিবী এমন দূরত্বে অবস্থান করছে যে, পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যা জীবকুল বেঁচে থাকার পক্ষে সহায়ক। সূর্যের কাছের গ্রহ গুলির উষ্ণতা ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে, আবার দূরের গ্রহ গুলোর উষ্ণতা থাকে হিমাঙ্কের ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে।
আপেক্ষিক গুরুত্বঃ
পৃথিবীর গড় আপেক্ষিক গুরুত্ব ৫.৫ গ্রাম। সৌরজগতের সবচেয়ে হালকা গ্রহ শনির আপেক্ষিক গুরুত্ব মাত্র ০.৭৫ গ্রাম। অন্যান্য গ্রহের থেকে পৃথিবীর ঘনত্ব বেশি বলেই পৃথিবীতে ভূত্বক গঠিত হয়েছে।
বায়ুমণ্ডলঃ
পৃথিবীই একমাত্র গ্রহ, যার বায়ুমণ্ডল রয়েছে। পৃথিবীর উপরে ১০০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত অংশ বায়ুমণ্ডলের অন্তর্গত। বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, এবং জলীয়বাষ্প, ধূলিকণা আছে বলেই আবহাওয়া ও জলবায়ুর ঘটনাসমূহ (বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, তুষারপাত, বায়ুপ্রবাহ ইত্যাদি) বায়ুমণ্ডলেই ঘটে। বায়ুমন্ডলের ওজোনস্তর ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীকে রক্ষা করছে।
বারিমন্ডলঃ
পৃথিবীতে একমাত্র মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান রসদ জল রয়েছে। তাই পৃথিবীকে জলগ্রহ বা নীল গ্রহ বলা হয়। পৃথিবীর ৭০% অংশ জলে ঢাকা।
ভূতক বা শিলামন্ডলঃ
পৃথিবীর উপরে রয়েছে কঠিন আবরণ ভূত্বক, যাতে রয়েছে শিলা, মাটি ও বিভিন্ন খনিজ দ্রব্য। মাটির উপর গাছপালা জন্মায়। শিলামন্ডল থেকে প্রাপ্ত খনিজকে আমরা বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করি।
এই সকল কারণগুলির জন্যই পৃথিবী গ্রহে জীবজগতের আবির্ভাব ও বিস্তার ঘটেছে।