Class 7 Bengali Model Activity Task February 2022 / সপ্তম শ্রেণি বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ফেব্রুয়ারি ২০২২

Class 7 Bengali Model Activity Task February 2022 

সপ্তম শ্রেণি বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ফেব্রুয়ারি ২০২২

 

শিক্ষালয়ের পক্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য Class 7 Bengali Model Activity Task February 2022 / সপ্তম শ্রেণি বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ফেব্রুয়ারি ২০২২ -এর উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা উত্তরগুলি খাতায় লিখে বিদ্যালয়ের নির্দেশানুসারে তা নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ে জমা করবে। তোমাদের অন্যান্য বিষয়ের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কের উত্তরগুলোও তোমরা শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বিভাগে পেয়ে যাবে।

 

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক সংক্রান্ত সাধারণ নির্দেশিকা

১। প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যসূচিকে ভিত্তি করে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি তৈরি করা হয়েছে।

২। প্রয়োজনে অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি করার আগে প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত অধ্যায়গুলি পাঠ্যপুস্তক থেকে একবার দেখে নেওয়া যেতে পারে।

৩। বিদ্যালয় খুললে অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে।

৪। প্রয়োজনে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা-শিক্ষকদের সহায়তা নিতে পারো।

৫। প্রয়োজনে বিদ্যালয় শিক্ষক মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবর্তন করে ফোন, sms ইমেইল ইত্যাদি মাধ্যমে নিজ স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠাতে পারেন।

৬। ঘরে বসে খাতায় উত্তর তৈরি করো।

ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয়ভিত্তিক খাতায় এগুলো করে বিদ্যালয় খুললে শিক্ষকের কাছে জমা দেবে। কোন অবস্থাতেই তারা বাড়ির বাইরে বেরোবে না।

 

General Guidelines about Model Activity Task

1. The Model Activity Task has been designed on the basis of the syllabus of the First Summative Evaluation.

2. If necessary, you may go through the chapters of text books marked for the First Summative Evaluation before doing the activity tasks.

3. The activity tasks have to be submitted to the respective subject teachers after schools reopen.

4. The school teachers may be consulted, when required.

5. The teachers may modify the Model Activity Task, if they feel the need for it, and send the new one to the students of their respective schools through SMS, e-mail or over the phone.

6. Stay at home and prepare your answers for the tasks provided.

Students will complete these tasks on the subject-specific exercise books at home and submit it to the respective subject teachers after schools reopen. Under no circumstances should the students venture out of their home.

 

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২২

 

১) ঠিক উত্তর বেছে নিয়ে লেখোঃ    ১*৩=৩

১.১) ‘পাগলা গণেশ’ গল্পের ঘটনাকাল- ঘ) ৩৫৮৯ খ্রিস্টাব্দ

১.২) ‘মৃত্যুঞ্জয় টনিক’ যখন আবিষ্কৃত হয়, তখন গণেশের বয়স- গ) ৫০ বছর

১.৩) বায়োকেমিস্ট্রির ল্যাবরেটরি স্থাপিত হয়েছিল- খ) রূপকুণ্ডে

 

সপ্তম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের গল্প, কবিতাগুলি থেকে MCQ প্রশ্নের উত্তর সমাধান করতে এখানে ক্লিক/টাচ করো 

 

২) নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ    ১*৩=৩ 

২.১) ব্যতিক্রম অবশ্য এক আধজন আছে’- কোন বিষয়ের ব্যতিক্রম? 

উত্তরঃ বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” রচিত “পাগলা গণেশ” গল্পে ব্যতিক্রমী মানুষ গণেশ  সুকুমার শিল্প বিরোধী আন্দোলনের বিরোধীতা করে সভ্যসমাজের বাইরে গিয়ে কবিতা, গান, ছবি এঁকে ব্যতিক্রমী হয়ে ওঠেন। 

 

২.২) ‘ও মশাই, অমন বিকট শব্দ করছেন কেন?’- কারা একথা বলেছিল?

উত্তরঃ বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” রচিত “পাগলা গণেশ” গল্পে প্রশ্নোক্ত অংশটির বক্তা হলেন দুটো পাখাওয়ালা লোক, যারা লাসা থেকে ইসলামাবাদ যাচ্ছিল। 

 

২.৩) ‘পৃথিবীর জনসংখ্যার ভারসাম্য রাখতে তা করা আবশ্যিক’- কোন কাজটি করা আবশ্যিক? 

উত্তরঃ বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” রচিত “পাগলা গণেশ” গল্পে জানা যায় যে, মরা মানুষকে বাঁচিয়ে তোলা শক্ত কাজ তো নয়ই, বরং পৃথিবীর জনসংখ্যার ভারসাম্য রাখতে তা করা আবশ্যিক হয়ে উঠেছে। 

 

৩) নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ      ৩*৩=৯ 

৩.১) ‘তা বলে পৃথিবীর মানুষেরা হাল ছাড়েনি’- কোন বিষয়ে তারা হাল ছাড়েনি?

উৎসঃ

বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” রচিত “পাগলা গণেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

মানুষের হাল না ছাড়ার বিষয়ঃ  

৩৫৮৯ খ্রিস্টাব্দের এক কাল্পনিক সময়ের কথা আমরা গল্পে জানতে পারি। মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরোধকারী মলম  আবিষ্কার হওয়ার ফলে পৃথিবীতে নানারকম উড়ান যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। ইতিমধ্যে মানুষ চাঁদ, মঙ্গল এবং শুক্লগ্রহে কৃত্রিম ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে। সূর্যের আরও দুটি গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে এবং জানা গেছে আর কোনো গ্রহ নেই। এক দেড়শো বছর আগেই মহাকাশের নানা নক্ষত্রপুঞ্জের দিকে হাজার হাজার মানুষ তীব্র গতিসম্পন্ন মহাকাশযানে চড়ে রওনা হয়ে গেছে। এই প্রসঙ্গেই লেখক বলেছেন যে, তাই বলে পৃথিবীর মানুষেরা হাল ছাড়েনি; অর্থাৎ নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা, আবিষ্কার, অজানা, মহাকাশকে চেনার আকাঙ্খা কোনো দিন  মানুষের মন থেকে মুছে যাবে না। 

 

৩.২) ‘খামোখা সময় নষ্ট’- কোন প্রসঙ্গে একথা বলা হয়েছে?

উৎসঃ

বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” রচিত “পাগলা গণেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গ আলোচনাঃ 

আলোচ্য গল্পে ৩৫৮৯ সালের বিজ্ঞান নির্ভর এক অতি আধুনিক সময়ের কথা বলা হয়েছে। সব মানুষই বেঁচে আছে বলে তখন নতুন মানুষের আর জন্ম হচ্ছে না। প্রতিটি ঘরে ঘরে মানুষ বিজ্ঞানী হয়ে উঠেছে। মানুষ সব সময় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের নেশায় মত্ত হয়ে আছে। বিজ্ঞান ছাড়া অন্য কোনো বিষয় আর মানুষ চর্চা করছে না। কবিতা, গান, ছবি আঁকা, নাটক এসব নিয়ে আর কেউ মাথা ঘামায় না। ওসব ‘অনাবশ্যক ভাবাবেগ’ কোনো কাজেই লাগে না বলে তারা মনে করে। এই প্রসঙ্গেই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করা হয়েছে। 

 

৩.৩) ‘গণেশের ব্যাপারটা পছন্দ হয়নি’- কোন ব্যাপারটি গণেশ পছন্দ করেনি?

উৎসঃ

বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” রচিত “পাগলা গণেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

গণেশের অপছন্দের ব্যাপারঃ

আলোচ্য গল্পের প্রধান চরিত্র গণেশ বিজ্ঞান নির্ভর এক অতি আধুনিক যুগের মানুষ। গণেশের বর্তমান বয়স দুশো বছর। তার যখন পঞ্চাশ বছর বয়স ছিল, অর্থাৎ আজ থেকে দেড়শো বছর আগে, মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কৃত হয়েছিল। গণেশও আর সকলের মতোই মৃত্যুঞ্জয় টনিকটা খেয়ে অমরত্ব লাভ করে।

আজ থেকে দেড়শো বছর আগে যখন সুকুমার শিল্পবিরোধী আন্দোলন শুরু হয় তখন শিল্প, সংগীত, সাহিত্যচর্চা ইত্যাদির চর্চা উঠে যেতে থাকে পৃথিবী থেকে। আর এই ব্যাপারটাই গণেশের পছন্দ হয়নি। 

 

পাগলা গণেশ গল্পের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখতে এখানে ক্লিক/টাচ করো 

 

৪) নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখোঃ      ৫

‘পাগলা গণেশ’ গল্পে গণেশকে ‘পাগলা’ মনে করা কতদূর যুক্তিসঙ্গত বলে তুমি মনে করো?

উৎসঃ

বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্যিক “শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়” রচিত “পাগলা গণেশ” গল্পটি কল্পবিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে রচনা করেছেন। 

গণেশকে ‘পাগলা’ বলা যায় কিনাঃ 

গল্পের প্রধান চরিত্র গণেশকে ‘পাগলা’ বিশেষণে বিশেষায়িত করা হয়েছে। আমরা সমগ্র গল্প ঘটনা বিশ্লেষণ করে গণেশকে ‘পাগলা’ বলে অভিহিত করা কতোটা যুক্তিসঙ্গত তা আলোচনা করে দেখতে পারি। 

এই গল্পে ভবিষ্যতের কথা বলা হয়েছে। ৩৫৮৯ সালে বিজ্ঞান নির্ভর এক কল্পিত পৃথিবীর কথা গল্পকার আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। এক বিশেষ ধরণের মলম আবিষ্কৃত হওয়ায় মানুষ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাধাকে অতিক্রম করে তাদের সাম্রাজ্য সুদূর এভারেষ্ট পর্যন্ত বিস্তার করেছে। এমনকি অন্যান্য নক্ষত্রপুঞ্জেও মানুষ তাদের কৌতুহলী দৃষ্টি নিয়ে ছুটে গিয়েছে। পৃথিবীতে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হওয়ার ফলে আর কেউ মারা যাচ্ছে না। সবাই বিজ্ঞানী হয়ে উঠেছে। নাচ, গান, কবিতা প্রভৃতি সকল সুকুমার মনোবৃত্তি মানুষ হারিয়ে ফেলে বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় যেনো যন্ত্রমানব হয়ে উঠেছে।

ঠিক এইরূপ পরিস্থিতিতে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র গণেশ হিমালয়ের কোলে বসে সাংস্কৃতিক চর্চায় মেতে ওঠেন। তিনি কবিতা লিখে বাতাসে ভাসিয়ে দিতে থাকেন, আনন্দের গান করে, ছবি এঁকে সকলের মনে হারিয়ে যাওয়া অনুভূতিগুলিকে পুনরায় জাগিয়ে তুলতে চান। তার এই প্রচেষ্টায় প্রাথমিকভাবে আকৃষ্ট হন তারই এক প্রাক্তন ছাত্র, যিনি বর্তমানে একজন পুলিশ। তিনি গণেশের কথায় উদবুদ্ধ হয়ে প্রথমে তার মা ও স্ত্রীকে নিয়ে আসেন। তারাও গণেশের কথায় প্রবলভাবে আকর্ষিত হয়ে ওঠেন। এরপরে তিনি তাঁর অন্যান্য পুলিশ বন্ধুদের আনতে শুরু করেন। রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আসেন। তিনি গণেশকে জানান যে, গণেশের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে পৃথিবী জুড়ে সবাই আবার গান গাইছে, কবিতা লিখছে, ছবি আঁকছে। আর তখন গণেশ বুঝতে পারেন যে, পৃথিবীটা হয়তো যান্ত্রিক হয়ে যাবার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

 

আলোচ্য গল্পের সময়কালের পরিপ্রেক্ষিতে গণেশকে স্বাভাবিক বলে মানুষ মনে করেনি। তাই তিনি তাদের কাছে হয়ে গিয়েছিলেন ‘পাগলা গণেশ’। কিন্তু যান্ত্রিক পৃথিবীতে নিঃসঙ্গ হয়েও গণেশ চালিয়ে গিয়েছেন তাঁর কবিতা-গান-ছবি আঁকা ইত্যাদি সুকুমার কলার চর্চা। আমার মতে গণেশের এই সকল কাজকে কখনোই পাগলের ক্রিয়াকলাপ বলে পরিগণিত করা যায় না। তাই আমার মনে হয়, গণেশ কখনোই ‘পাগলা’ নন। 

 

model activity task february 2022
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ফেব্রুয়ারি ২০২২

You cannot copy content of this page

Need Help?