Class 10 Geography Model Activity Task February 2022
দশম শ্রেণি ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ফেব্রুয়ারি ২০২২
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য Class 10 Geography Model Activity Task February 2022 / দশম শ্রেণি ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ফেব্রুয়ারি ২০২২ -এর উত্তর শিক্ষালয়ের পক্ষ থেকে প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নিজেদের খাতায় প্রশ্নের উত্তরগুলো লিখবে এবং বিদ্যালয়ের নির্দেশানুসারে নির্দিষ্ট সময়ে নিজেদের বিদ্যালয়ে লেখাগুলো জমা করবে।
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক সংক্রান্ত সাধারণ নির্দেশিকা
১। প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যসূচিকে ভিত্তি করে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি তৈরি করা হয়েছে।
২। প্রয়োজনে অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি করার আগে প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত অধ্যায়গুলি পাঠ্যপুস্তক থেকে একবার দেখে নেওয়া যেতে পারে।
৩। বিদ্যালয় খুললে অ্যাক্টিভিটি টাস্কগুলি শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে।
৪। প্রয়োজনে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা-শিক্ষকদের সহায়তা নিতে পারো।
৫। প্রয়োজনে বিদ্যালয় শিক্ষক মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবর্তন করে ফোন, Sms ইমেইল ইত্যাদি মাধ্যমে নিজ স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠাতে পারেন।
৬। ঘরে বসে খাতায় উত্তর তৈরি করো।
ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয়ভিত্তিক খাতায় এগুলো করে বিদ্যালয় খুললে শিক্ষকের কাছে জমা দেবে। কোন অবস্থাতেই তারা বাড়ির বাইরে বেরোবে না।
General Guidelines about Model Activity Task
1. The Model Activity Task has been designed on the basis of the syllabus of the First Summative Evaluation.
2. If necessary, you may go through the chapters of text books marked for the First Summative Evaluation before doing the activity tasks.
3. The activity tasks have to be submitted to the respective subject teachers after schools reopen.
4. The school teachers may be consulted, when required.
5. The teachers may modify the Model Activity Task, if they feel the need for it, and send the new one to the students of their respective schools through SMS, e-mail or over the phone.
6. Stay at home and prepare your answers for the tasks provided.
Students will complete these tasks on the subject-specific exercise books at home and submit it to the respective subject teachers after schools reopen. Under no circumstances should the students venture out of their home.
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২২
১) বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখোঃ ১*৩=৩
১.১) বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল আবহাওয়া লক্ষ করা যায় সেটি হলাে- ট্রপােস্ফিয়ার
১.২) যে বায়ুকে তুষার ভক্ষক বলা হয় তা হলাে- চিনুক
১.৩) উপক্ৰান্তীয় উচ্চচাপ বলয় অবস্থান করে- ২৫° – ৩৫° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে
দশম শ্রেণি বাংলা MCQ প্রশ্নের মক টেষ্ট প্রদান করতে এখানে ক্লিক/টাচ করো
২.১) বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখােঃ ১*৩=৩
২.১.১) কোনাে নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকে তাকে ঐ বায়ুর আপেক্ষিক আদ্রর্তা বলে।
উত্তরঃ ভুল
২.১.২) দক্ষিণ গােলার্ধে স্থলভাগের বিস্তার বেশি হওয়ার কারণে পশ্চিমা বায়ু অপ্রতিহত গতিতে প্রবাহিত হয়।
উত্তরঃ ভুল
২.১.৩) সমুদ্রবায়ু দিনের বেলায় প্রবাহিত হয়।
উত্তরঃ ঠিক
দশম শ্রেণির বাংলা বিষয়ে সহায়তা লাভ করতে এখানে ক্লিক/টাচ করো
২.২) একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাওঃ ১*২=২
২.২.১) একই উষ্ণতাযুক্ত স্থানগুলিকে মানচিত্রে যে রেখা দ্বারা যুক্ত করা হয় তাকে কী বলে?
উত্তরঃ একই উষ্ণতাযুক্ত স্থানগুলিকে মানচিত্রে যে রেখা দ্বারা যুক্ত করা হয় তাকে সমোষ্ণ রেখা বলে।
২.২.২) কোন যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুর চাপ পরিমাপ করা হয়?
উত্তরঃ ব্যারোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুর চাপ পরিমাপ করা হয়।
৩) নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ ২*২=৪
৩.১) কুয়াশাকে কেন অধঃক্ষেপণ বলা হয় না?
উত্তরঃ
কুয়াশাকে অধঃক্ষেপণ না বলার কারণঃ
অধঃক্ষেপণে জলীয় বাষ্পপূর্ণ ঊর্ধ্বগামী বায়ু অতিরিক্ত শীতলতার কারণে ঘনীভূত হয়ে জলকণা বা তুষারকণায় পরিণত হয়ে ভারী হলে, মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে জল বা তুষার বিন্দুরূপে ভূপৃষ্ঠে নেমে আসে।
কিন্তু কুয়াশা কোনো প্রকার ঊর্ধ্বগামী বায়ু থেকে সৃষ্টি হয় না। সাধারণত শীতকালের রাতে ভূপৃষ্ঠ তাপ বিকিরণ করে ঠান্ডা হলে ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুও ঠান্ডা হয়। ওই বায়ুর তাপমাত্রা শিশিরাঙ্কে পৌঁছালে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ভাসমান ধূলিকণাকে আশ্রয় করে ভূমি সংলগ্ন অংশে ভেসে বেড়ায়।
সুতরাং কুয়াশা উপর থেকে অধঃক্ষিপ্ত হয় না বলে একে অধঃক্ষেপণ বলা যায় না।
৩.২) বিশ্ব উষ্ণায়নের দুটি প্রভাব উল্লেখ করাে।
উত্তরঃ
বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবঃ
বিশ্ব উষ্ণায়নের বিবিধ প্রভাব আমরা পরিলক্ষিত করি। তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রভাব নিম্নে আলোচিত হলো-
জলবায়ু পরিবর্তনঃ
পৃথিবীর উষ্ণতা ক্রমশ বেড়ে যাওয়ার জন্য শীতের তুলনায় গ্রীষ্মের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় প্রতিটি ঋতুর আগমন অনিয়মিত ও বিলম্বিত হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং খরার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।
হিমবাহের মাত্রাতিরিক্ত গলনঃ
ভূমণ্ডলের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার জন্য অ্যান্টার্কটিকা ও গ্রিনল্যান্ডের অসংখ্য হিমবাহ ও বিশালাকৃতি বরফের চাদরসহ পৃথিবীর বিভিন্ন পার্বত্য হিমবাহ গলে যাওয়ার জন্য ক্রমশই সংকুচিত হচ্ছে অর্থাৎ এদের আয়তন হ্রাস পাচ্ছে। যেমন- হিমালয়ের গঙ্গোত্রী, যমুনােত্রী প্রভৃতি হিমবাহ।
দশম শ্রেণি ইতিহাস MCQ প্রশ্নের মক টেষ্ট প্রদান করতে এখানে ক্লিক/টাচ করো
৪) নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাওঃ ৩*১=৩
কীভাবে কোনাে একটি স্থানের উচ্চতা সেই অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করে? ৫
উত্তরঃ
বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রায় উচ্চতার প্রভাবঃ
সূর্য থেকে বিকিরণ পদ্ধতিতে আগত তাপশক্তি বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে এলেও বায়ুমণ্ডলকে সরাসরিভাবে উত্তপ্ত না-করে প্রথমে কঠিন ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে। পরে ওই উত্তপ্ত বায়ু ভূপৃষ্ঠের সংস্পর্শে আসলে ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুস্তর উত্তপ্ত হয় এবং ওই তাপ ধীরে ধীরে ওপরের বায়ুস্তরে সঞ্চারিত হয়। তাই নীচের বায়ুস্তরের তাপমাত্রা বেশি হয় এবং যত উপরে ওঠা যায় বায়ুর তাপমাত্রা ততই কমতে থাকে। সাধারণত প্রতি ১ কিমি উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য ৬.৪° সেঃ হারে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা কমতে থাকে। এই কারণেই একই অক্ষাংশে অবস্থিত হলেও যে স্থান যত উচ্চ সেখানকার তাপমাত্রাও ততোই কম হয়ে থাকে।
দশম শ্রেণি ভূগোল MCQ প্রশ্নের মক টেষ্ট প্রদান করতে এখানে ক্লিক/টাচ করো
৫) নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাওঃ ৫*১=৫
চিত্রসহ উষ্ণতার তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
উত্তরঃ
উষ্ণতার তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের শ্রেণিবিভাগঃ
উষ্ণতার তারতম্যের ওপর নির্ভর করে বায়ুমন্ডলকে প্রধানত ছয়টি ভাগে ভাগ করা যায়। নিম্নে তাদের সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
ট্রপোস্ফিয়ারঃ
ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুস্তরকে ট্রপোস্ফিয়ার বলে। মেরু অঞ্চল এর উচ্চতা প্রায় ৪ কিমি। বায়ুমন্ডলের এই স্তরে আমরা বসবাস করি। এই স্তরের বায়ুতে ধূলিকণা, জলীয়বাষ্প, কুয়াশা, মেঘ প্রভৃতি থাকে। এইজন্যই এই স্তরে ঝড়, বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাত প্রভৃতি ঘটনাগুলি ঘটতে দেখা যায়। ট্রপোস্ফিয়ারের উপরে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত অংশে উষ্ণতা হ্রাস-বৃদ্ধি কিছুই হয় না বলে একে ট্রপোপজ বলে।
স্ট্রাটোস্ফিয়ারঃ
ট্রপোস্ফিয়ারের ওপর ১৮ থেকে ৫০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বায়ুস্তরকে স্ট্রাটোস্ফিয়ার বা শান্ত মন্ডল বলে। এই স্তরে ধূলিকণা, মেঘ প্রভৃতি না থাকায় এখানে ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে না। দ্রুতগতিসম্পন্ন জেট বিমানগুলি ঝড়-বৃষ্টি এড়িয়ে চলার জন্য স্ট্রাটোস্ফিয়ারের মধ্য দিয়ে চলাচল করে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০ থেকে ৫৫ কিমি পর্যন্ত স্ট্রাটোস্ফিয়ার ও মেসোস্ফিয়ার সীমারেখা স্টাটোপজ নামে পরিচিত।
মেসোস্ফিয়ারঃ
স্টাটোপজের উপরে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত, যে অংশের উষ্ণতা কমতে থাকে তাকে মেসোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরের বায়ুর তাপমাত্রা সবচেয়ে কম থাকে। মহাকাশ থেকে যেসব উল্কা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে, সেগুলি এই স্তরের মধ্যে এসে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মেসোস্ফিয়ার সীমারেখা মেসোপজ নামে পরিচিত।
পাঠ্যবই থেকে এখানে ছবি আঁকবে
আয়োনোস্ফিয়ারঃ
মেসোপজের পর ৫০০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বায়ুর আয়নিত অবস্থা পরিলক্ষিত হয়, যা আয়োনোস্ফিয়ার নামে পরিচিত। মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভা এই স্তরেই দেখা যায়। এই স্তরের উপাদানগুলি আয়নিত অবস্থায় থাকে বলে ভূপৃষ্ঠে সৃষ্ট বেতার তরঙ্গ এই আয়নোস্ফিয়ারে প্রতিফলিত হয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে।
এক্সোস্ফিয়ারঃ
আয়োনোস্ফিয়ারের উপরে ৬০০-১৫০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত হালকা বায়ু স্তরকে এক্সোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায়।
ম্যাগনেটোস্ফিয়ারঃ
এক্সোস্ফিয়ারের উপরে ১০০০০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত প্রায় বায়ুশূন্য অঞ্চলটিকে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরে বায়ুমন্ডলকে বেষ্টন করে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র রয়েছে। এই স্তর সম্পর্কে আর বিশেষ কিছু জানা যায় না।
এইরূপে আমরা উষ্ণতার তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমন্ডলের শ্রেণিবিভাগ করতে পারি।