কর্তৃকারক ও তার শ্রেণিবিভাগ
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাংলা ব্যাকরণ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নোটগুলি প্রদান করা হচ্ছে। ইতিপূর্বে আমরা কারক কাকে বলে ও তার শ্রেণিবিভাগগুলি সম্পর্কে ধারণা লাভ করেছি। আজকে আমরা জানবো কর্তৃকারক ও তার বিবিধ শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে।
(১) কর্তৃকারকঃ
বাক্যে যে পদটি ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে বলা হয় কর্তা। ক্রিয়াপদের সঙ্গে সেই পদের সম্পর্ককে বলা হয় কর্তৃকারক।
যেমনঃ অনন্যা ভাত খায়।
এখন কর্তৃকারকের বিবিধ বিভাগগুলি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো-
(ক) প্রযোজক কর্তাঃ
যখন কর্তা নিজে না কাজ করে অন্য কাউকে দিয়ে কাজ করায়, তখন তাকে বলে প্রযোজক কর্তা।
যেমনঃ মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছে।
(খ) প্রযোজ্য কর্তাঃ
প্রযোজক কর্তা যাকে দিয়ে কাজটি করায় সে হল প্রযোজ্য কর্তা।
যেমনঃ মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছে।
(গ) অনুক্ত কর্তাঃ
যে বাক্যের কর্তা প্রধানভাবে প্রতীয়মান হয় না তাকে অনুক্ত কর্তা বলে। সাধারণত ভাব বাচ্যের কর্তাকে অনুক্ত কর্তা বলা হয়।
যেমনঃ আমার দ্বারা কাজটি করা হবে।
(ঘ) সমধাতুজ কর্তাঃ
বাক্যের কর্তা এবং ক্রিয়াপদ একই ধাতু থেকে নিষ্পন্ন হলে সেই কর্তাকে সমধাতুজ কর্তা বলে।
যেমনঃ রাঁধুনি রান্না করছে।
(ঙ) নিরপেক্ষ কর্তাঃ
বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়া এবং অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা ভিন্ন ভিন্ন হলে অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তাটিকে নিরপেক্ষ কর্তা বলে।
যেমনঃ তুমি এলে আমি যাবো।
(চ) ব্যতিহার কর্তাঃ
দুই বা তার বেশি কর্তা পারস্পরিক সাহচর্যে ক্রিয়া সম্পাদন করলে তাদেরকে ব্যতিহার কর্তা বলে।
যেমনঃ রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়।
(ছ) উহ্য কর্তাঃ
কোনো বাক্যে কর্তা উহ্য থাকলে সেই কর্তাকে উহ্য কর্তা বলে।
যেমনঃ এদিকে এসো (তুমি উহ্য)
(ঝ) কর্মকর্তৃবাচ্যের কর্তাঃ
বাক্যের কর্ম যখন কর্তা হিসেবে প্রতীয়মান হয় তখন সেই কর্তাকে কর্মকর্তৃবাচ্যের করতে বলা হয়।
যেমনঃ শাঁখ বাজে।
কারক থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার লিঙ্কসমূহঃ
২) বিভক্তি ও অনুসর্গের পার্থক্য
৪) কর্তৃকারক ও তার শ্রেণিবিভাগ
বাংলা ব্যাকরণের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে