ঘুরে দাঁড়াও কবিতার প্রশ্নের উত্তর
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ঘুরে দাঁড়াও কবিতার প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই ঘুরে দাঁড়াও কবিতার প্রশ্নের উত্তর অনুশীলন করে পরীক্ষায় বিশেষ সহায়তা লাভ করবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
ঘুরে দাঁড়াও কবিতার প্রশ্নের উত্তরঃ
১) প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত সম্পাদিত কবিতা পত্রিকাটির নাম কী ?
উঃ প্রণবেন্দুদাশগুপ্ত সম্পাদিত কবিতা পত্রিকাটির নাম ‘অলিন্দ’।
২) তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উঃ তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থ হলো ‘এক ঋতু’ এবং ‘সদর স্ট্রিটের বারান্দা’ ইত্যাদি।
৩) কবিতায় কবি কোন্ আহ্বান জানিয়েছেন ?
উঃ কবি বারে বারে সরে না গিয়ে সকলকে ঘুরে দাঁড়াবার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন নিজেকে বদলাতে হবে এবং হাত বাড়াতে হবে। যেখানেই রয়েছ সেখান থেকেই সবকিছুকে টেনে আনতে হবে।
৪) ‘ছোট্ট একটা তুক করে বাইরেটা পাল্টে দাও’- ‘বাইরে’টায় কী ধরনের বদল ঘটবে বলে কৰি আশা করেন। সেই কাঙ্ক্ষিত বদল ঘটলে জীবন কীভাবে অন্যরকম হবে বলে কবি মনে করেন ?
উঃ ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কবিতাটিতে কবি মানুষকে ঘুরে দাঁড়াতে বলেছেন। তিনি বলেছেন বাইরের পৃথিবীটাকে বদলে দিতে হবে। কবির ভাষায়, সাইকেল – রিকশোগুলো শিস দিয়ে চলে যাবে বনে – বনান্তরে, কাদা ভরতি রাস্তা উঠে পড়বে ছায়া পথের কাছাকাছি আর গাছগুলো নদীর জলে স্নান করে আসবে এবং সা – রা – রা – রা করে উপাত্তের শহরতলি উঠবে জেগে।
এই আকাঙ্ক্ষিত বদল ঘটলে অবশ্যই জীবন অন্যরকম হবে এবং একঘেয়েমি থেকে মুক্ত হওয়া মানুষ এক বৈচিত্রের সন্ধান পাবে। নতুবা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে এবং বিন্দুর মতো মিলিয়ে যেতে হবে।
৫) ‘সরতে সরতে সরতে / তুমি আর কোথায় সরবে ?’— কবি কোথা থেকে এই ‘সরণ’ লক্ষ করেছেন ? এক্ষেত্রে তাঁর দেওয়া পরামর্শটি কী ?
উঃ কবি এই চলমান পৃথিবীর মাঝে দাঁড়িয়ে জীবন থেকে উপলব্ধি করে এই ‘সরণ’ লক্ষ করেছেন। এক্ষেত্রে জীবনে যে অবক্ষয় শুরু হয়েছে তাতে লেখকের পরামর্শ যেমন করেই হোক ঘুরে দাঁড়াতে হবে। হাত বাড়িয়ে দিতে হবে আর নিজের দিকে সব কিছুকে টেনে আনতে হবে। শুধু ঘুরে দাঁড়ালেই হবে না চারপাশটাও বদলে দিতে হবে।
৬) ‘এবার ঘুরে দাঁড়াও’ আর ‘এখন ঘুরে দাঁড়াও’- পংক্তি দুটিতে ‘এবার’ আর ‘এখন’ শব্দ দুটির প্রয়োগের সার্থকতা বুঝিয়ে দাও।
উঃ মানুষ ভাগ্যের হাতে মার খেতে খেতে ক্রমশ পিছন দিকে সরে যাচ্ছে, সরতে সরতে সে কোথায় যাবে ? যাবারও তো একটা শেষ আছে, তাই প্রথমবার কবি বলেছেন ‘এবার ঘুরে দাঁড়াও’।
মানুষকে পরিবর্তন আনতেই হবে, তাই দেরি করার সময় নেই। যেখানে যারা আছে সবকিছুই সেখানে টেনে আনতে হবে। এখন সময় এসেছে, তাই কবি ‘এখন ঘুরে দাঁড়াও’ বাক্যটি ব্যবহার করেছেন। কবি ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়টিতে জোর দেবার জন্যই ‘এবার’ ও ‘এখন’ এই দুটি সময়বাচক শব্দকে সার্থকভাবে প্রয়োগ করেছেন।
৭) ‘সরতে সরতে’ কথাটি কোন কবিতার অংশ, কার লেখা ? কোথায় সরবে ?
উঃ উদ্ধৃতিটি ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কবিতার অংশ।
কবি হলেন প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত।
উদ্ধৃত অংশে জীবনের চলার পথ থেকে সরার কথা বলা হয়েছে।
৮) গাছগুলো কী করবে ?
উঃ গাছগুলো নদীর জলে স্নান করে আসবে।
৯) সাইকেল – রিকশোগুলো কেমনভাবে কোথায় যাবে ?
উঃ সাইকেল – রিকশোগুলো শিস দিয়ে বনে বনাত্তরে চলে যাবে।
১০) বাইরেটা পালটে দেবার জন্য কবি কী করতে বলেছেন ?
উঃ বাইরেটা পালটে দেবার জন্য করি মানুষকে ‘তুক’ করতে বলেছেন।
১১) বদল করতে না পারলে কী হবে ?
উঃ বদল করতে না পারলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে।
১২) সরতে সরতে কী অবস্থা হবে ?
উঃ সরতে সরতে শেষে বিন্দুর মতো শূন্যে মিলিয়ে যেতে হবে।
১৩) কেমন করে বদল করতে হবে ?
উঃ আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। যেখানে যে আছে সেখান থেকেই সবকিছুকে টেনে আনতে হবে। আর তাহলেই বদল হবে।
১৪) শহরতলি কেমনভাবে জেগে উঠবে ?
উঃ সা – রা – রা – রা করে উপাত্তের শহরতলি জেগে উঠবে।
১৫) কাদা ভরতি রাস্তা কোথায় উঠবে ?
উঃ কাদা ভরতি রাস্তা উঠে পড়বে ছায়াপথের কাছাকাছি।
১৬) ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কথাটি কবিতায় কতবার ব্যবহার করা হয়েছে ?
উঃ ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কথাটি কবিতায় দু – বার ব্যবহার করা হয়েছে।
১৭) গাছগুলো নদীর জলে স্নান করবে কেন ?
উঃ দূষণের ফলে গাছগুলো মলিন ও বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। নদীর নির্মল জলে স্নান করলে গাছেদের সেই মলিনতা ঘুরে যাবে। তাই গাছগুলো নদীর জলে স্নান করে আসবে।
১৮) ‘তুক করে’ কথাটির দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন ?
উঃ ‘তুক’ কথাটির অর্থ হল জাদুমন্ত্র। কবি মানুষতে তুক করতে বলেছেন। কিন্তু এখানে তিনি কোনো জাদুমন্ত্র বা ম্যাজিক করার জন্য কথাটি ব্যবহার করেননি। তিনি মনে করেছেন মানুষের মধ্যে থাকা সদিচ্ছাই হল এক আশ্চর্য ক্ষমতা সেই ক্ষমতা হল তুক। তাই তিনি সেই সদিচ্ছার ক্ষমতা দিয়ে বাইরেটা বদলে দেবার কথা বলেছেন।
১৯) ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কবিতায় শেষে কবি ঘুরে না দাঁড়ালে কি পরিণতি হবে বলেছেন?
উঃ কবি ‘প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত’ তাঁর ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কবিতায় সাধারণ মানুষকে জীবন সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গী বদল করতে বলেছেন। প্রত্যেক মানুষ যদি একে অপরের সুখ-দুঃখে সামিল হয়ে, নিজেদের ভীরু মানসিকতা ত্যাগ করে একজোট হয়ে প্রতিবাদী না হতে পারে, তবে সমাজে সেই কাঙ্খিত বদল কখনোই আসবে না বলে কবি মনে করেছেন।
অষ্টম শ্রেণি বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কঃ
- বোঝাপড়া
- অদ্ভুত আতিথেয়তা
- চন্দ্রগুপ্ত
- বনভোজনের ব্যাপার
- সবুজ জামা
- চিঠি
- পরবাসী
- পথচলতি
- একটি চড়ুই পাখি
- দাঁড়াও
- ছন্নছাড়া
- পল্লীসমাজ
- গাছের কথা
- হাওয়ার গান
- কী করে বুঝব
- পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি
- নাটোরের কথা
- গড়াই নদীর তীরে
- জেলখানার চিঠি
- স্বাধীনতা
- আদাব
- শিকল পরার গান
- হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়
- ঘুরে দাঁড়াও
- সুভা
- পরাজয়
- মাসিপিসি
- টিকিটের অ্যালবাম
- লোকটা জানলই না
- বাংলা ব্যাকরণ
- পথের পাঁচালী
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ