ভারতবর্ষ গল্পের প্রশ্নের উত্তর
দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা ভারতবর্ষ গল্পের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরগুলি এই ‘ভারতবর্ষ গল্পের প্রশ্নের উত্তর’ পোষ্টে প্রদান করা হলো। ভারতবর্ষ গল্প থেকে এই ‘ভারতবর্ষ গল্পের প্রশ্নের উত্তর’ তৈরি করলে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চমাধ্যমিক বাংলা বিষয়ে ভারতবর্ষ গল্পের থেকে আসা প্রশ্নগুলির উত্তর সহজেই লিখতে পারবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
ভারতবর্ষ গল্পের প্রশ্নের উত্তরঃ
১) ‘পিচের সড়ক বাঁক নিয়েছে যেখানে, সেখানেই গড়ে উঠেছে’ – একটি ছোট্ট বাজার
২) যা পিছনে ঘন বাঁশবনে ঢাকা, তা হল – গ্রাম
৩) কাঁচারাস্তা ধরে সবুজ ঝোপের ফাঁকে এগিয়ে আসে – যুবক বা যুবতি
৪) আমেদাবাদের কারখানায় তৈরি হয়— পোশাক
৫) বাজারে চায়ের দোকান আছে – তিনটি
৬) বাজারে সন্দেশের দোকান আছে – দুটি
৭) বাজারে পোশাকের দোকান আছে – তিনটি
৮) বাজারে মনোহারি দোকান আছে – একটি
৯) বাজারে মুদিখানার দোকান আছে— দুটি
১০) বাজারে হাস্কিং মেশিন , আড়ত এবং ইটভাটা আছে সংখ্যায় – একটি করে
১১) গ্রামের ইটভাটাটি রয়েছে— হাস্কিং মেশিনের পিছনে
১২) ছোট্ট বাজারটিতে জোর জমাটিভাব থাকে – রাত ন’টা পর্যন্ত
১৩) রাতের বেলায় পিচ রাস্তার ওপর ঘোরাফেরা করে – নেড়িকুকুরের ছায়া
১৪) রাতে গ্রামের ছোট্ট বাজারে নেমে আসা স্তব্ধতার অন্তর্গত হয়ে যায় – প্যাঁচার ডাক
১৫) ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের ঘটনার সময়টি ছিল- শীতের
১৬) ‘রাঢ়বাংলা’ বলতে বোঝায় পশ্চিমবঙ্গের ভাগীরথী নদীর— পশ্চিম তীর
১৭) ‘বৃষ্টিতে তা হল ধারালো’- এখানে ‘ধারালো’ হয়ে উঠেছে – রাঢ়বঙ্গের শীত
১৮) ভদ্রলোকেরা ‘পউষে বাদলা’ বলতে বোঝায় – তীব্র শীতের সঙ্গে অকাল বৃষ্টিকে
১৯) বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস জোরালো হলে তারা বলে – ফাঁপি
২০) ‘লোকের মেজাজ গেল বিগড়ে’ — মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার কারণ – অসময়ের বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি
২১) চাষাভুসো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে প্রতীক্ষা করছিল— রোদ ঝলমল একটা দিনের
২২) প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধানের ক্ষতি হওয়ায় গ্রামের মানুষেরা মুণ্ডুপাত করে— আল্লা-ভগবানের
২৩) ‘মাথার ওপর আর কোনো শালা নেই রে – কেউ নাই’ বলেছিল— কোনো এক যুবক চাষি
২৪) চায়ের দোকানে হঠৎ আসা বুড়ির ‘ ক্ষয়া খবুটে ‘ মুখে প্রকট হয়ে আছে – সুদীর্ঘ আয়ুর চিহ্ন
২৫) ‘সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল’ — যা অবাক করেছিল – দুর্যোগে বেঁচেবর্তে হেঁটে আসার ক্ষমতা
২৬) ‘তাকে দেখে সবাই তর্ক থামাল’ – উদ্দিষ্ট ব্যক্তিটি হল – থুখুঁড়ে কুঁজো বুড়ি
২৭) বুড়ি কোথা থেকে আসছে জিজ্ঞেস করায় সে বলেছিল – ‘সে কথায় তোমাদের কী কাজ বাছারা’
২৮) বুড়ির কথাবার্তার তেজ দেখে একজন তাকে তুলনা করেছিল – তেজি টাট্টুর সঙ্গে
২৯) চায়ের দোকানের লোকেরা বুড়িকে নড়বড় করে এগিয়ে যেতে দেখেছিল— বটতলায়
৩০) বুড়ি দোকানের সবাইকে অবাক করে দিয়ে বট গাছের গুড়ির কাছে— একটা মোটা শেকড়ে বসে পড়ল
৩১) শেকড়টির পিছনে বটগাছের গুঁড়ির গায়ে ছিল একটি— খোঁদল
৩২) যেদিন আকাশ পরিষ্কার হল , সেদিন দেখা গেল বুড়ি খোঁদলে পিঠ রেখে পড়ে আছে – নিঃসাড়
৩৩) নিঃসাড় বুড়িকে দেখে গ্রামের সকলে প্রথম খবর দিয়েছিল— চৌকিদারকে
৩৪) গ্রাম থেকে থানার দূরত্ব ছিল- পাঁচ ক্রোশ
৩৫) চৌকিদার কী পরামর্শ দিয়েছিল- বুড়িকে নদীতে ফেলে আসতে
৩৬) নদীর দূরত্ব ছিল- দু’মাইল
৩৭) নিঃসাড় বুড়িকে নদীর চড়ায় ফেলে দিয়ে এসেছিল – বাঁশের চ্যাংদোলায় বেঁধে
৩৮) ‘হঠাৎ বিকেলে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল’- দৃশ্যটি হল – মুসলমান পাড়ার লোকেরা বুড়ির মৃতদেহ নিয়ে আসছে
৩৯) মুসলমান পাড়ার লোকেরা চ্যাংদোলায় করে বুড়িকে নিয়ে আসার সময় তাদের মুখে ও মাথায় ছিল- আরবি মন্ত্র ও টুপি
৪০) ফজরের নমাজ বলতে বোঝায় – ভোরের নমাজ
৪১) বুড়িকে কলমা পড়তে শুনেছিল- মোল্লাসাহেব
৪২) মোল্লাসাহেবের শহরে যাওয়ার কারণ ছিল – মামলার দিন
৪৩) মোল্লাসাহেবের সঙ্গে একই বাসে শহরে গিয়েছিলেন- ভটচাজমশাই
৪৪) ভটচাজমশাইয়ের মতে বুড়ি বলেছিল— শ্রীহরি শ্রীহরি শ্রীহরি
৪৫) বুড়িকে ‘হরিবোল’ বলতে স্পষ্ট শুনেছে – নকড়ি নাপিত
৪৬) ফজলু সেখ শুনেছিল বুড়ি বলছে – লাইলাহা ইল্লাল্লা
৪৭) একদা পেশাদার লাঠিয়াল ছিল – করিম ফরাজি
৪৮) একদা দাগি ডাকাত ছিল- নিবারণ বাগদি
৪৯) নিবারণের চিৎকারের প্রত্যুত্তরে করিম ফরাজি বলেছিল— খবরদার
৫০) ‘দোকানগুলোর ঝাঁপ বন্ধ হতে থাকল’ কারণ— হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বাধার উপক্রম হয়েছে
৫১) ‘গ্রাম থেকে অনেক লোক দৌড়ে আসছে’- তাদের হাতে ছিল— অস্ত্রশস্ত্র
৫২) ‘করিম ফরাজি এখন খুব নমাজ পড়ে এবং ‘বান্দা’ মানুষ’ — এখানে ‘বান্দা’ বলতে বোঝানো হয়েছে – আল্লার অনুগত
৫৩) ‘জেহাদ’ ঘোষণা করেছিলেন – মোল্লাসাহেব
৫৪) ‘জয় মা কালী। যবন নিধনে অবতীর্ণ হও মা।’- বলে গর্জে উঠেছিল – ভটচাজমশাই
৫৫) ‘তারপরই দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য’- দৃশ্যটি হল – বুড়ির মড়াটা নড়ছে
৫৬) ‘চৌকিদার এতক্ষণে মুখ খুলে বলল’ – সে বলেছিল— ‘বুড়িমা ! তুমি মরনি !’
৫৭) চৌকিদার যে রঙের উর্দি পরেছিলেন- নীল
৫৮) ‘তুই মর্, তোর শতগুষ্টি মরুক’- যার উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে- চৌকিদার
৫৯) ‘চোখ গেলে দেবো’ বলে বুড়ি যা করেছিল- নড়বড় করে রাস্তা ধরে চলতে থাকল
৬০) ‘ভিড় সরে তাকে পথ দিল’- ‘তাকে’ বলতে বোঝানো হয়েছে- থুত্থুরে কুঁজো ভিখিরি বুড়িকে
৬১) বাজারের উত্তরদিকে রয়েছে- বিশাল মাঠ
৬২) সেদিন আকাশ ঢাকা ছিল- ধূসর মেঘে
৬৩) ‘রাঢ়বাংলা’ বলতে বোঝায়- গঙ্গার পশ্চিমতীরবর্তী অঞ্চল
৬৪) রাঢ়বাংলার শীতে ধারালো বৃষ্টিপাতকে ছোটলোকে বলে- ডাওর
৬৫) অকাল দুর্যোগে ক্ষতি হয়েছিল- ধানের
৬৬) ক্ষিপ্ত মেজাজে কথায় কথায় শুরু হয়- তর্ক
৬৭) ‘আজ না হোক কাল পয়সা পাবেই’- কারণ- ধানের মরশুম চলছে
৬৮) ‘এই বাদলায় তেজি টাট্টুর মতন বেরিয়ে পড়ছে’- মন্তব্যের জবাবে বুড়ি বলেছিল- তোমাদের কত্তাবাবা টাট্টু
৬৯) ‘ও বুড়ি, তুমি থাকো কোথায়’- প্রশ্নের উত্তরে বুড়ি বলেছিল- তোমাদের মাথায়
৭০) ‘মরবে রে, নির্ঘাত মরবে বুড়িটা’- মন্তব্যের জবাবে বুড়ি বলেছিল- তোরা মর্, তোদের শতগুষ্টি মরুক
৭১) শনিতে বাদলা লাগলে তা থাকবে- সাত দিন
৭২) মঙ্গলে বাদলা লাগলে তা থাকবে- পাঁচ দিন
৭৩) বুধে বাদলা লাগলে তা থাকবে- তিন দিন
৭৪) গল্পে যে দি বাদলা লাগার কথা বলা হয়েছে- মঙ্গল
৭৫) চাওয়ালা নাম ছিল- জগা
৭৬) চাওয়ালা জগা বলেছিল- নির্ঘাত মরে গেছে বুড়িটা
ভারতবর্ষ গল্পের MCQ প্রশ্নের প্রস্তুতি যাচাই করতে প্রদান করো নিম্নের MCQ TEST গুলিঃ-
ভারতবর্ষ গল্পের SAQ প্রশ্নের উত্তরঃ
১) ‘সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল”— কোন ঘটনা সবাইকে অবাক করেছিল?
উঃ থুরথুরে কুঁজো ভিখিরি বুড়ি ওই দুর্যোগে কীভাবে বেঁচেবর্তে হেঁটে চায়ের দোকানে আসতে পারে , সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।
২) নাপিত নকড়ি বুড়িকে কী বলতে শুনেছিল?
উঃ নাপিত নকড়ি বুড়িকে হরিবােল হরিবােল বলতে শুনেছিল।
৩) চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে গ্রামবাসীরা কীসের প্রতীক্ষা করছিল?
উঃ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে গ্রামবাসীরা রােদ ঝলমল একটা দিনের প্রতীক্ষা করছিল।
৪) “বােঝা গেল, বুড়ির এ অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে”- বুড়ির কী অভিজ্ঞতা ছিল?
উঃ গাছের মােটা শিকড়ে বসে শিকড়ের পিছনে গাছের খোঁদলে পিঠ ঠেকিয়ে পা ছড়িয়ে বসার অভিজ্ঞতা বুড়ির আছে ।
৫) “তর্কাতর্কি, উত্তেজনা হল্লা চলতে থাকল”- কী বিষয়ে, কাদের মধ্যে তর্কাতর্কি, উত্তেজনা ও হল্লা চলছিল?
উঃ সমাজসচেতন লেখক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ রচিত ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে একটি চেতনাহীন বৃদ্ধা হিন্দু না মুসলমান এই বিষয়কে কেন্দ্র করে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে তর্কাতর্কি, উত্তেজনা, হল্লা চলছিল।
৬) “হঠাৎ বিকেলে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল”- অদ্ভুত দৃশ্যটি কী?
উঃ সকালে যে বুড়ির মৃতদেহ গ্রামের যুবকরা নদীর তীরে ফেলে দিয়ে এসেছিল, বিকেলে মাঠ পেরিয়ে মুসলমানরা সেই দেহকেই চ্যাংদোলায় বহন করে আনছে।
৭) বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস জোরালো হলে বলা হয় কী?
উঃ বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস জোরালো হলে তাকে ফাপি বলা হয়।
৮) পউষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের ‘ডাকপুরুষের’ পুরনো বচনটি কী?
উঃ পউষে বাদলা সম্পর্কে ‘ডাকপুরুষ’-এর পুরনো বচন হলো- শনিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ, বুধে তিন বাকি সব দিন দিন।
৯) “নিবারণ বাগদি রাগী লোক”– নিবারণ বাগদি আগে কী করত?
উঃ নিবারণ বাগদি একসময় দাগি ডাকাত ছিল, ডাকাতি করত।
১০) “সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল”—কোন ঘটনা সবাইকে অবাক করেছিল?
উঃ থুরথুরে কুঁজো ভিখিরি বুড়ি ওই দুর্যোগে কীভাবে বেঁচেবর্তে হেঁটে চায়ের দোকানে আসতে পারে, সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।
১১) নাপিত নকড়ি বুড়িকে কী বলতে শুনেছিল?
উঃ নাপিত নকড়ি বুড়িকে ‘হরিবোল হরিবোল’ বলতে শুনেছিল।
১২) চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে গ্রামবাসীরা কীসের প্রতীক্ষা করছিল?
উঃ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে গ্রামবাসীরা রোদ ঝলমল একটা দিনের প্রতীক্ষা করছিল।
১৩) “তর্কাতর্কি, উত্তেজনা হল্লা চলতে থাকল”- কী বিষয়ে, কাদের মধ্যে তর্কাতর্কি, উত্তেজনা ও হল্লা চলছিল?
উঃ সমাজসচেতন লেখক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ রচিত ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে একটি চেতনাহীন বৃদ্ধা হিন্দু না মুসলমান এই বিষয়কে কেন্দ্র করে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে তর্কাতর্কি, উত্তেজনা, হল্লা চলছিল।
১৪) “হঠাৎ বিকেলে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল”— অদ্ভুত দৃশ্যটি কী?
উঃ সকালে যে বুড়ির মৃতদেহ গ্রামের যুবকরা নদীর তীরে ফেলে দিয়ে এসেছিল, বিকেলে মাঠ পেরিয়ে মুসলমানরা সেই দেহকেই চ্যাংদোলায় বহন করে আনছে।
১৫) “বোঝা গেল, বুড়ির এ অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে”- বুড়ির কী অভিজ্ঞতা ছিল?
উঃ গাছের মোটা শিকড়ে বসে শিকড়ের পিছনে গাছের খোঁদলে পিঠ ঠেকিয়ে পা ছড়িয়ে বসার অভিজ্ঞতা বুড়ির আছে।
১৬) “নিবারণ বাগদি রাগী লােক”— নিবারণ বাগদি আগে কী করত?
উঃ নিবারণ বাগদি একসময় দাগি ডাকাত ছিল , ডাকাতি করত।
……………….. আরো SAQ প্রশ্নের উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
ভারতবর্ষ গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ
১) ‘ভারতবর্ষ’ গল্প অবলম্বনে অকালদুর্যোগের পরিচয় দাও।
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট্য লেখক “সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ” রচিত “শ্রেষ্ঠ্য ৫০টি গল্প” সংকলন থেকে আমাদের পাঠ্য “ভারতবর্ষ” গল্পটি গৃহীত হয়েছে।
দুর্যোগের বর্ণনাঃ
গল্পের প্রথমাংশেই লেখক রাঢ় বাংলার অকাল প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিচয় প্রদান করেছেন। পৌষমাসে নামহীন এক রাঢ়বাংলার গ্রাম্য বাজারে হঠাৎই কনকনে ঠান্ডা বাতাস বয়ে আসতে শুরু করে উত্তরের বিশাল মাঠ থেকে। এরপর ছাইরঙের মেঘ আকাশ ঢেকে ফেলে এবং শুরু হয় বর্ষণ। লেখকের কথায়, “রাঢ়বাংলার শীত এমনিতেই খুব জাঁকালো। বৃষ্টিতে তা হল ধারালো।”
পৌষমাসের এই বৃষ্টিকে ভদ্রলোকে বলে ‘পৌষে বাদলা’। আবার ছোটলোকেরা তাকে ‘ডাওর’ নামে অভিহিত করে থাকে। কিন্তু পৌষের বৃষ্টির সাথে প্রবল বায়ুপ্রবাহ যুক্ত হয়ে আবহাওয়াকে করে তুলেছিল আরো সংকটজনক, যাকে তারা ‘ফাঁপি’ বলে থাকে।
মাঠের ধান তাদের তখনো ঘরে তোলা হয় নি বলে সেই প্রাকৃতিক অকাল দুর্যোগে সকল গ্রামীন চাষীদের ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় আমরা আশঙ্কিত হতে দেখি। তাই চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে তারা প্রতীক্ষারত ছিল একটা রোদ ঝলমলে দিনের। তাদের এই দুরাবস্থার জন্য তারা তাদের ঈশ্বর বা আল্লারকেই দোষারোপ করছিল।
বিখ্যাত জ্ঞানী পুরুষ ডাক তার বচনে বলেছিলেন, “শণিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ, বুধে তিন – বাকি সব দিন দিন।” তবে মঙ্গলবার বৃষ্টি শুরু হলেও তা কবে শেষ হয়েছিল তার হিসেব সেই অকালের দুর্যোগে কেউ রাখে নি।
এইরূপেই আমরা ভারতবর্ষ গল্পে অকাল দুর্যোগ এবং তাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের পরিস্থিতির পরিচয় লাভ করি।
দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা ভারতবর্ষ গল্পের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ
‘দেখতে-দেখতে প্রচন্ড উত্তেজনা ছড়াল চারদিকে”- প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উত্তেজনার কারণ ব্যাখ্যা করো।
‘যা, যা, পালাঃ। বলে সে নড়বড় করে রাস্তা ধরে চলতে থাকল।”- পাঠ্য গল্প অবলম্বনে থুত্থুড়ে বুড়ির চরিত্র বিশ্লেষণ করো। এ প্রসঙ্গে গল্পকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য বর্ণনা করো।
ভারতবর্ষ গল্পের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।
‘শেষ রোদের আলোয় সে দূরের দিকে ক্রমশ আবছা হয়ে গেল”- পাঠ্য ‘ভারতবর্ষ’ গল্প অবলম্বনে দৃশ্যটির অন্তর্নিহিত ব্যঞ্জনা নিজের ভাষায় আলোচনা করো।
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ