“কোনি” উপন্যাস থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নোটে টাচ/ক্লিক করে সেই বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।

১) “আজ বারুণী”- ‘বারুণী’ কী? বারুণীর দিন গঙ্গার ঘাটে যে দৃশ্যটি ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা করো। ১+৪
উৎসঃ
বিশিষ্ট সাহিত্যিক “মতি নন্দী” রচিত “কোনি” উপন্যাস থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।
বারুণী উৎসবের পরিচয়ঃ
হিন্দু ধর্মমতানুসারে জলদেবতা হলেন বরুণ। বরুণ দেবের পূজা উপলক্ষে পালনীয় এক উৎসব হল ‘বারুণী’। শতভিষা নক্ষত্রযুক্ত চৈত্র মাসের কৃষ্ণাত্রয়োদশী তিথিতে এই উৎসব পালন করা হয়। এই দিন গঙ্গাস্নানের পুণ্যলাভ করতে ধর্মপ্রাণ মানুষ গঙ্গা বা বড়ো নদীতে আম নিবেদন করেন।
ঘাটের দৃশ্যঃ
বারুণীর দিন গঙ্গার ঘাটে বিপুল মানুষের সমাগম ঘটে। ছোট ছেলেরা সাঁতার কেটে আম সংগ্রহ করে পথের ধারে বাজারে তা কম দামে বিক্রি করে দেয়। ভাটার টানে জল নেমে গেলে কর্দমাক্ত সিঁড়ি অনেকেরই বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে। ঘাটের মাথায় বা ট্রেন লাইনের দিকে মুখ করে বসা বামনেরা জামাকাপড় রাখে, সরষে বা নারকেল তেল বিক্রি করে এবং আগত পুণ্যার্থীদের কপালে চন্দনের ছাপ এঁকে দেয়। রাস্তার ভিখিরিদের পয়সা দান করে কেউ কেউ পুণ্য অর্জন করতে চান।
সাধারণ মানুষ তাদের পুণ্যস্নান সেরে পথের দু-ধারে দেবদেবীর মাথায় জল প্রদান করতে করতে এবং হরেক প্রকারের দোকানের দিকে কৌতুহলী দৃষ্টিপাত করতে করতে গৃহে প্রত্যাবর্তন করেন। কেউবা আবার পথের বাজার থেকে ওল, থোর, কমলালেবুর মত কিছু ক্রয় করে গরম রাস্তায় বিরক্তিভরে পা ফেলতে ফেলতে বাড়ি ফেরেন।
পাঠ্য ‘কোনি’ উপন্যাসে বারুণীর দিন গঙ্গাঘাটের দৃশ্যকে ঔপন্যাসিক এভাবেই আমাদের সম্মুখে তুলে ধরেছেন।
২) “’ক্ষিদ্দা, এবার আমরা কী খাবো?”- উদ্ধৃতিটির আলোকে কোনির যন্ত্রণাবিদ্ধ জীবনযাত্রার পরিচয় দাও।
অথবা, দারিদ্র ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে কোনির জীবনসংগ্রামের কাহিনি লিপিবদ্ধ করো।
উৎসঃ
খেলাধূলাকে কেন্দ্র করে সার্থক উপন্যাসের স্রষ্টা “মতি নন্দী” রচিত “কোনি” উপন্যাসে আমরা উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র সাঁতারু কনকচাঁপা পাল বা কোনির দারিদ্র ও বঞ্চনাকে জয় করে সাফল্যের শীর্ষস্থানে আরোহণের সংগ্রামী কাহিনির পরিচয় লাভ করি।
দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াইঃ
আজন্ম দারিদ্রকে সঙ্গী করে বড়ো হয়ে ওঠা কোনির কাছে সফল সাঁতারু হয়ে ওঠার পথে সব থেকে বড়ো প্রতিবন্ধকতা ছিল তার দারিদ্র। সাত ভাই-বোন ও মায়ের খাদ্য সংস্থানের জন্য তার দাদা কমল পালকে সাঁতার ছেড়ে কাজে যোগ দিতে হয়েছে। তাদের ছোট ভাইকেও সংসারের আর্থিক বোঝা বহন করতে চায়ের দোকানে পনেরো টাকার বিনিময়ে কাজ করতে হয়েছে। এমনকি কোনিকেও তার দাদা ষাট টাকা মাইনের বিনিময়ে সুতো কারখানায় কাজে লাগিয়ে দেবে বলে মনস্থির করে ফেলেছিল।
পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী কমল পালের যক্ষ্মায় আকস্মিক মৃত্যুর ফলে সংসারের হাল ধরতে কোনিকে তার সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষীতিশ সিংহের স্ত্রী লীলাবতীর ‘প্রজাপতি’ নামক দর্জির দোকানে মাসিক চল্লিশ টাকার বিনিময়ে কাজ করতে হয় এবং তার মাও ছিট কাপর সেলাইয়ের কাজ করতে বাধ্য হন।
বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াইঃ
কোনির সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহের সাথে জুপিটার সুইমিং ক্লাবের হরিচরণ, ধীরেন ঘোষ, বদু চাটুজ্জে প্রমুখের দ্বন্দ্বের কারণে তাকেও বারংবার বিবিধ ষড়যন্তের ও বৈষম্যের শিকার হতে হয় এবং তাকে জুপিটার সুইমিং ক্লাবে স্থান প্রদান করা হয় না। পরবর্তীতে ক্ষিতীশ তাকে অ্যাপেলো ক্লাবে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে অমিয়া ও বেলার মতো অভিজ্ঞ সাঁতারুদের ক্ষোভ ও ঈর্ষার মুখে পরতে হয়। তাকে অপমান করে অমিয়া বলে, “কম্পিটিশনে পড়লে মেয়েটা আমার পা ধোয়া জল খাবে।”
চক্রান্ত করে কোনিকে জুপিটার সুইমিং ক্লাবের বার্ষিক প্রতিযোগিতায় প্রবেশাধিকার প্রদান করা হয় নি। ষ্টেট চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় কোনিকে ইচ্ছাকৃতভাবে ডিসকোয়ালিফাই করা হয়। এমনকি সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাকে মাদ্রাজে জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে প্রাথমিকভাবে নিয়ে যেতে সম্মতি প্রদান করা হয় নি। বালিগঞ্জ সুইমিং ক্লাবের প্রশিক্ষক প্রণবেন্দু বিশ্বাসের চাপে তাকে বাংলা দলের সাথে নিয়ে যাওয়া হলেও জলে নামার সুযোগ প্রদান করা হয় নি। এমনকি সেখানে অমিয়া, হিয়া প্রমুখের কাছে তাকে বিনা অপরাধে অপমানিতও হতে হয়েছিল।
বঞ্চনাকে জয়ঃ
কোনি তার অদম্য জেদ ও অধ্যবসায়কে সঙ্গী করে অবশেষে দেশের সেরা সাঁতারু রমা যোশিকে পরাজিত করে বাংলা দলকে দেশের সেরার শিরোপা অর্জনে সাহায্য করে তার জীবনের সকল দারিদ্র ও বঞ্চনার যোগ্য জবাব প্রদান করেছে।

“ম্যাসেজ হচ্ছে না সংগীতচর্চা হচ্ছে”- কে বলেছে? কাকে বলেছে? তার ম্যাসেজ পদ্ধতিগুলির বর্ণনা দাও।
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে
“খাওয়ায় আমার লোভ নেই ডায়েটিং করি”- বক্তা কে? তার ডায়েটিং-এর পরিচয় দাও।
“আপনি আমার থেকে চার হাজার গুণ বড়োলোক, কিন্তু চার লক্ষ টাকা খরচ করেও আপনি নিজের শরীরটাকে চাকর বানাতে পারবেন না”- বক্তা কে? তিনি কাকে একথা বলেছেন? তার এমন কথা বলার কারণ কী?
“চ্যাম্পিয়ানরা জন্মায়, ওদের তৈরি করা যায় না”- বক্তা কে? তার এই বক্তব্যের সত্যতা উপন্যাসে কীভাবে প্রকাশ পেয়েছিল?
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে
“কম্পিটিশনে পড়লে মেয়েটা তো আমার পা ধোয়া জল খাবে”- বক্তা কে? মন্তব্যটির তাৎপর্য লেখো।
“সাঁতারু অনেক বড়ো সেনাপতির থেকে”- বক্তা কে? মন্তব্যের তাৎপর্য আলোচনা করো।
কোনির পারিবারিক জীবনের পরিচয় দাও।
“এটা বুকের মধ্যে পুষে রাখুক” – কী পুষে রাখার কথা বলা হয়েছে? কী কারণে এই পুষে রাখা?
“খিদ্দা, এবার আমরা কী খাব?”- বক্তা কে? কোন প্রসঙ্গে মন্তব্যটি করা হয়েছে? উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কীভাবে তাদের সাহায্য করেছেন?
“তোর আসল লজ্জা জলে আসল গর্বও জলে”- কে কাকে একথা বলেছিল? প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
“ওইটেই তো আমি রে, যন্ত্রণাটাই তো আমি।”- কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে
কোনি কীভাবে বাংলা সাঁতার দলে জায়গা পেল তা আলোচনা করো।
“কোনিকে বিভ্রান্ত করল হিয়ার এই কথাটা”- হিয়ার কোন কথা, কেন কোনিকে বিভ্রান্ত করল? এই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য সে নিজের মনে কী বলেছিল?
“জোচ্চুরি করে আমাকে বসিয়ে রেখে…” – প্রসঙ্গ আলোচনা করো।
“ফাইট কোনি ফাইট”- উপন্যাসে কথাটির তাৎপর্য বিচার করো।
কোনি উপন্যাস অবলম্বনে কোনি চরিত্রের পরিচয় দাও।
কোনির জীবনে ক্ষিতীশ সিংহের ভূমিকা আলোচনা করো।
কোনি উপন্যাস অবলম্বনে ক্ষিতীশ সিংহের চরিত্র আলোচনা করো।
লীলাবতী চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করো।
“বাংলা তাহলে চ্যাম্পিয়নশিপটা পেল না”- কে এই আশঙ্কা করেছিল? এমন আশঙ্কার কারণ কী ছিল? শেষ পর্যন্ত কী ঘটেছিল?
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে