চিন্তাশীল প্রশ্ন উত্তর

চিন্তাশীল প্রশ্ন উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা চিন্তাশীল প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই চিন্তাশীল প্রশ্ন উত্তর সমাধানের মধ্য দিয়ে পাঠ্য রচনাটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

চিন্তাশীল প্রশ্ন উত্তরঃ 

১) কালক্রমে দেখো (পুরুষের নারীর/শিশুর) প্রতি লক্ষ্মী শব্দের প্রয়োগ হচ্ছে। 

উঃ পুরুষের। 

২) কুরুক্ষেত্র! আমাদের আর্যগৌরবের (ধর্মক্ষেত্র/শ্মশানক্ষেত্র তীর্থক্ষেত্র)।

উঃ শ্মশানক্ষেত্র। 

৩) আচ্ছা হরিদাস তোমার নামের (কারক/বিভক্তি/সমাস) কী বলো দেখি।

উঃ সমাস। 

৪) আমি (একমাস/একহপ্তা/একবছর) ভেবে পরে বলব। 

উঃ একহপ্তা। 

৫) ছেলেবেলাকার আদরের উপরে ছেলের সমস্ত (জীবন/শিক্ষা/ভবিষ্যত) নির্ভর করে।

উঃ ভবিষ্যত। 

৬) ‘সূর্য অস্ত যায় না’—কী হয় ? 

উঃ সূর্য অস্ত যায় না। পৃথিবীর উলটে যায় অর্থাৎ ঘুরতে থাকে। 

৭) দু-হাজার বছর আগে ‘বাছা কে কী বলা হত ? 

উঃ দু-হাজার বছর আগে বাছাকে ‘বস’ বলা হত।  

৮) তার চেয়ে বলো না কেন- কী বলতে বলা হচ্ছে ?  

উঃ ‘কেঁদেই কুরুক্ষেত্র’ কথাটি বলতে বলা হয়েছে। 

৯) মাছি কি ভনভন করে ? নরহরির মত কী ?

উঃ না, মাছি ভনভন করে না। নরহরির মতে মাছির ডানা থেকেই ভনভন শব্দ হয়। 

১০) নরহরির মতে ছোটোদের সঙ্গে কেমন কথা বলা উচিত ? 

উঃ নরহরির মতে ছোটোদের সঙ্গে এমন কথা বলা উচিত যাতে তাদের আমোদ এবং শিক্ষা দুই-ই হয়। 

১১) নরহরির মা জাদুকে কী করতে বলেছিল ? 

উঃ নরহরির মা জাদুকে তার মামাকে দণ্ডবৎ করতে বলেছিল।  

১২) নরহরির মা কোথায় যেতে চেয়েছিলেন ? 

উঃ নরহরির মা কাশী যেতে চেয়েছিলেন। 

১৩) ‘লক্ষ্মী? কী আশ্চর্য।— ‘লক্ষ্মী’ কথাটিতে নরহরির আশ্চর্য লেগেছিল কেন ? 

উঃ এককালে লক্ষ্মী শব্দটি দেবী বিশেষের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হত। পরে লক্ষ্মীর মত গুণ ও স্বভাব অনুসারে সুশীলা স্ত্রীলোককে ‘লক্ষ্মী’ বলা হত। এখন দেখা যাচ্ছে পুরুষের প্রতিও লক্ষ্মী শব্দের প্রয়োগ করা হচ্ছে এটাই নরহরি মাকে দেখিয়েছে। নরহরির লক্ষ্মী কথাটিতে আশ্চর্য লেগেছিল কারণ এই কথাটিতে ভাষার নানা রকম পরিবর্তন হয়ে থাকে। 

১৪) ‘মাছি ভনভন করছে’ – নরহরি কীভাবে প্রমাণ করল এই কথাটা উলটো বলা হচ্ছে ? 

উঃ নরহরির মতে মাছি ভনভন করে না এটি উলটো কথা কারণ মাছির ডানা থেকেই এই ধরণের ভনভন শব্দ হয়।  

১৫) ‘ওমা এযে কাঁদতে বসল!’ — কে, কেন কাঁদতে বসল ?  

উঃ নরহরি হেসেই কুরুক্ষেত্রের কথা শুনে কাঁদতে বসল। কারণ তার মতে কুরুক্ষেত্র আমাদের আর্যগৌরবের শ্মশান ক্ষেত্র। এর নাম করলে শরীর রোমাঞ্চিত হয়। সেই অনুযায়ী হেসেই কুরুক্ষেত্র হয় না। বরং কেঁদেই কুরুক্ষেত্র হওয়া উচিত। 

১৬) ‘ওকে ভুল শিখিয়ো না’–কে কী ভুল শেখাচ্ছিলেন ? কে কী বলে তা শুধরে দিলেন ?

উঃ নরহরির মা নরহরির ভাগিনের জাদুকে শিখিয়েছিলেন যে তার মামাকে দণ্ডবৎ করতে। নরহরি প্রতিবাদ করে বলে এটা ভুল। কারণ ব্যাকরণ অনুসারে দণ্ডবৎ করা হতে পারে না দন্ডবৎ হওয়া বলে।  

১৭) ‘আমার কাশী গিয়ে কাজ নেই’- কে কাকে এই কথা বলেছেন ? কেন আর তিনি কাশী যেতে চান না ?  

উঃ নরহরির মা নরহরিকে এই কথা বলেছেন। কারণ নরহরির মা কাশী যেতে চাইলে নরহরি প্রথমে এককথায় রাজি হয়ে যায়। কিন্তু যেই তার মা তাকে মাসে মাসে কিছু টাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথা বলে তখন নরহরি বলে এটা তো নিতান্ত সহজ কথা নয়। আর কিছুদিন ভেবে নিয়ে সে এক হপ্তা পরে মাকে এ বিষয়ে জানাবে। আবার ভাবতে হবে শুনে মা ব্যস্ত হয়ে বলেন যে নরহরিকে আর ভাবতে হবে না তিনি কাশী যেতে চান না। 

১৮) ‘একটা গোল জিনিস কোথাও নেই।’- কে কাকে কথাটি বলেছিল ? সে গোল জিনিস চেয়েছিল কেন ? এই চাওয়াতে কে কী বলেছিলেন ?

উঃ নরহরি তার দিদিমাকে এই কথাটি বলেছিল নরহরি তার দিদিমাকে বোঝাতে চেয়েছিল যে সূর্য অস্ত যায় না, পৃথিবী উলটে ঘুরে যায়। এটা বোঝাতেই সে পৃথিবীর আকারের মতো একটি গোল জিনিস চেয়ে চারিদিকে খুঁজছিল। এই গোল জিনিস চাওয়াতে বিরক্ত দিদিমা বলেছিলেন যে তোমার মাথা আর মুণ্ডু আছে তার আকারও গোল। নরহরি বলে যে তার মাথা বন্ধ ঘোরানো যায় না। এ শুনে তার দিদিমা ব্যঙ্গ করে বলেন যে শুধুমাত্র নরহরিরই মাথা ঘোরে না কিন্তু তার রকম দেখে পাড়াসুদ্ধ লোকের মাথা ঘুরছে। 

১৯) ‘কথাটা বড়ো সামান্য নয়’ – বক্তা কে ? কার কোন কথাটা সামান্য নয় ?

উঃ বক্তা নরহরি। নরহরি তার মাকে ‘বাছা’ শব্দের ধাতু কী জিজ্ঞেস করায় তার মা উত্তর দিতে পারলেন না। তখন নরহরি তার উত্তর নিজে দিল ‘বাছা’ শব্দের ধাতু রূপ ‘বৎস। দু-হাজার বছর আগে বাছাকে বৎস বলা হত । এই কথাটা বোঝাতে গিয়েই সে মাকে বলেছিল কথাটা বড়ো সামান্য নয়। 

২০) ‘এইসব বাজে ভাবনা নিয়ে থাকা ভালো?’- কে, কাকে এই কথা বলেছে ? কোন্ ভাবনাকে বাজে বলা হয়েছে ? তা কি সত্যিই ‘বাজে ভাবনা’ ? তোমার কি মনে হয় ?

উঃ নরহরির মা নরহরিকে এই কথা বলেছে। এই যে বাছা থেকে বৎস এবং লক্ষ্মী শব্দের ব্যবহার। দু-হাজার বছর আগে বাছাকে বৎস বলা হত। এককালে লক্ষ্মী বলতে দেবী বিশেষকে বোঝাত। পরে লক্ষ্মীর গুণ অনুসারে সুশীলা স্ত্রীলোককে লক্ষ্মী বলা হত। কালক্রমে পুরুষের প্রতিও লক্ষ্মী শব্দের প্রয়োগ হচ্ছে, এই ভাবনাগুলিকে নরহরির মা বাজে ভাবনা বলেছেন। না, এইগুলো বাজে ভাবনা নয়। এই যে ভাষার পরিবর্তন তা অবশ্যই ভাববার বিষয়। কিন্তু এই ভাবনা উপস্থিত কাজ ও উপস্থিত ভাবনাকে ছেড়ে কখনোই বাস্তবসম্মত নয়।

২১) ‘আমাদের কথা শুনলেই এর শোক উপস্থিত হয়’ – বক্তা কে ? তার কোন্ কথায় নরহরি শোকগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। 

উঃ বক্তা নরহরির মাসিমা এই কথা বলেছেন। নরহরি ভাষার এই পরিবর্তন দেখে চিন্তায় ছেঁড়া চাদর ও একমুখ দাড়ি নিয়ে বসে আছে। তখন তার মাসিমা এসে তাকে দেখে বললেন যে নরহরিকে দেখে সুবলের মা হেসেই কুরুক্ষেত্র হবেন। তখন তার কথা শুনে নরহরি শোকগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কারণ নরহরি মনে করেন কুরুক্ষেত্র আমাদের আর্য গৌরবের শ্মশানক্ষেত্র। কুরুক্ষেত্রের কথা ভাবলে আমাদের মন রোমাণ্ডিত হয় দুঃখে অধীর হয়ে ওঠে। সেখানে হাসি পাওয়া উচিত নয়। তাই হাসার বদলে কেঁদে কুরুক্ষেত্র হলেই ভালো হত।  

২২) ‘রোসো’, আমি তোমাকে প্রমাণ করে দিচ্ছি’ – নরহরি কার কাছে কী প্রমাণ করে দিতে চেয়েছিল ?

উঃ নরহরির দিদিমা বলেন তার ভাত জুড়িয়ে গিয়ে তাতে মাছি ভনভন করছে। এতে নরহরি দিদিমার ভুল ধরিয়ে বলে এটা উলটো কথা হল কারণ মাছি নিজে কখনো ভনভন করে না। মাছির ডানা থেকেই এইরকম শব্দ হয়। এই কথাটি নরহরি দিদিমার কাছে প্রমাণ করে দিতে চেয়েছিল। 

২৩) ‘আদর করবি, তাতেও ভাবতে হবে নরু ?’ – এর প্রত্যুত্তরে নরু মাকে কী কী বলেছিল ? 

উঃ নরু মাকে বলেছিল ছেলেবেলাকার আদরের উপরে একটি ছেলের সমস্ত ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। ছেলেবেলাকার এক-একটা ঘটনার ছায়া বৃহৎ আকার ধরে আমাদের সমস্ত যৌবনকালকে, আমাদের সমস্ত জীবনকে আচ্ছন্ন করে রাখে। তাই ছেলেকে আদর করাটা সামান্য কাজ নয়, সেখানে অনেক কিছু ভাবনা চিন্তা করতে হয়। 

২৪) ‘তোমার ইচ্ছে হয়েছে, আমি বাধা দেব না’- কে কাকে বাধা দিতে চায়নি ? 

উঃ নরহরি মায়ের ইচ্ছাতে সম্মতি দেয়। সে তার মাকে বাধা দিতে চায়নি। 

২৫) ‘এটাতে বড়ো বেশি ভাবতে হল না’- কার স্বগতোক্তি ? কাকে বেশি ভাবতে হল না ? কেন ? 

উঃ নরহরির মার স্বগোত্তি নরহরিকে ভাবতে হল না। নরহরির মা কাশী যেতে চাইলেন। মার ইচ্ছে হয়েছে। নরহরি বাধা দেবে না। মার সকল কথাতেই নরহরি অস্থির হয়ে পড়ে। কিন্তু এই ইচ্ছেটা মার তাই নরহরির বেশি ভাবতে হল না। মার ইচ্ছেই তার ইচ্ছে।  

২৬) চিন্তাশীল নরহরি সবার সব কথাতেই চিন্তামগ্ন হয়ে পড়ে, অথচ মায়ের কাশীবাসী হওয়ার ইচ্ছা হয়েছে শুনে তখনই সে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু তার মা যেই টাকার বন্দোবস্ত করতে বলেন, সে আবার ভাবতে বসে। এ থেকে নরহরি চরিত্রটি সম্পর্কে তোমার কেমন ধারণা হল ?

উঃ নরহরি একজন চিন্তাশীল মানুষ। সে সারাদিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা করে। ভাষার পরিবর্তন, সূর্য স্থির ও পৃথিবী ঘুরছে, মাছি ভনভন করে না, মাছির ডানা আছে তাই ভন ভন শব্দ হয় ইত্যাদি। কিন্তু মায়ের কাশীবাসী হওয়ার ইচ্ছা হয়েছে শুনে তখনই সে রাজি হয়ে যায়। তার মা যেই টাকার বন্দোবস্ত করতে বলেন, তখন সে আবার ভাবতে বসে। তার ভাবনাই সার, আসল কাজের সময় তাকে পাওয়া যায় না। জীবনে যা প্রয়োজন, যা দরকার তা নিয়ে না ভেবে কতগুলো অদরকারি কথা নিয়ে সে সারাদিন চিন্তাভাবনা করে। এ থেকে নরহরি চরিত্রটি সম্পর্কে মনে হয় যে সে শুধু অদরকারি চিন্তা নিয়েই জীবন কাটিয়ে দেয়। দরকারি জিনিসের বা জীবনে যা দরকার তা নিয়ে তার কোনো ভাবনাচিন্তা নেই। 

চিন্তাশীল থেকে MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

click here

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

You cannot copy content of this page

Need Help?