বহুরূপী গল্পের প্রশ্নের উত্তর
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা বহুরূপী গল্পের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। এই বহুরূপী গল্পের প্রশ্নের উত্তর সমাধানের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্য বহুরূপী গল্প সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
বহুরূপী গল্পের প্রশ্নের উত্তরঃ
নিম্নে বহুরূপী গল্পের সামগ্রিক আলোচনা প্রদান করা হলো। এই ভিডিওটি প্লে করে শিক্ষার্থীরা বহুরূপী গল্প সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা লাভে সমর্থ হবে।
বহুরূপী গল্প থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু MCQ প্রশ্নের উত্তরঃ
১) ‘বহুরূপী’ গল্পের লেখক হলেন- সুবােধ ঘােষ
২) “হরিদার জীবনে সত্যিই একটা ________ আছে।”- নাটকীয় বৈচিত্র্য
৩) হরিদা পেশায় ছিলেন একজন- বহুরূপী
৪) “সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস”- ‘ভয়ানক দুর্লভ জিনিস’টি হল- সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলাে
৫) ঠিক দুপুরবেলাতে একটা আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল- চকের বাসস্ট্যান্ডের কাছে
৬) “বাসের যাত্রীরা কেউ হাসে, কেউ বা বেশ বিরক্ত হয় কেউ আবার বেশ বিস্মিত।”- কারণ- হরিদার পাগলের সাজ
৭) জগদীশবাবুর বাড়িতে আসা সন্ন্যাসী সারা বছর যা খেতেন- একটি হরিতকী
৮) সন্ন্যাসী জগদীশবাবুর বাড়িতে ছিলেন- সাত দিন
৯) সন্ন্যাসী থাকেন- হিমালয়ের চূড়াতে
১০) জগদীশবাবুর বাড়িতে আগত সন্ন্যাসীর বয়স- হাজার বছরের বেশি
১১) জগদীশবাবু একজোড়া কাঠের খড়মে যা লাগিয়ে সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরেন- সোনার বোল
১২) সন্ন্যাসীকে বিদায় দেওয়ার সময় জগদীশবাবু তাকে জোর করে দিয়েছিলেন- একটা একশো টাকার নোট
১৩) হরিদার ঘরে আড্ডা দিত- চার জন
১৪) লেখক ও তার বন্ধুরা যে সময়ে আড্ডা দিতেন- সকাল-সন্ধ্যা
১৫) হরিদার কাছে যা অসম্ভব তা হল- রোজই একটা চাকরির কাজ করে যাওয়া
১৬) হরিদার ছোট্ট ঘরটির অবস্থান- শহরের সবচেয়ে সরু গলির ভিতরে
১৭) হরিদার জীবনজুড়ে ছিল- নাটকীয় বৈচিত্র্য
১৮) মাঝে মাঝে সত্যিই হরিদা যা করতেন- উপোস
১৯) যারা বহুরুপীর সাজে হরিদাকে চিনতে পারে তারা বকশিশ দেয়- এক আনা দু-আনা
২০) দুপুরবেলায় আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল- চাকের বাস স্ট্যান্ডে
২১) চকের বাস স্ট্যান্ডে আতঙ্কের হল্লা বেজে ওঠার কারণ ছিল- একটি উন্মাদ পাগল
২২) পাগলটা যা হাতে তুলে নিয়ে বাসের যাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিল- একটা থান ইট
২৩) বাসের ড্রাইভারের নাম ছিল- কাশীনাথ
২৪) ‘খুব হয়েছে হরি, এইবার সরে পড়ো’ বলেছে- কাশীনাথ
২৫) প্রায় নাচতে নাচতে চলে যাচ্ছিল- একজন বাইজি
২৬) শহরে যারা নতুন এসেছে তারা- দু-চোখ বড়ো করে তাকিয়ে থাকে
২৭) বাইজির ছদ্মবেশে হরিদার রোজগার হয়েছিল- আট টাকা দশ আনা
২৮) দয়ালবাবুর লিচু বাগানের ভিতরে হরিদা দাঁড়িয়েছিল- পুলিশ সেজে
২৯) হরিদা পুলিশ সেজে দাঁড়িয়েছিলেন- লিচু বাগানে
৩০) লিচু বাগানে নকল পুলিশ স্কুলের যে ক’টি ছেলেকে ধরেছিলেন- চার
৩১) নকল পুলিশকে ঘুষ দিয়েছিলেন- স্কুলের মাস্টারমশাই
৩২) জগদীশবাবু যেমন স্বভাবের মানুষ ছিলেন- কৃপণ
৩৩) বড়ো চমৎকার ছিল যে সময়ের চেহারা- সন্ধ্যার
৩৪) বিরাগীরূপী হরিদার গায়ে ছিল কেবলমাত্র একটি- উত্তরীয়
৩৫) বিরাগীর ঝোলার ভিতর যে বইটি ছিল- গীতা
৩৬) জগদীশবাবুর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল- এগারো লক্ষ টাকার
৩৭) রাগ হল এক ধরনের- রিপু
৩৮) ‘না না, হরিদা নয়। হতেই পারে না’- বলেছিল- ভবতোষ
৩৯) জগদীশবাবু বিরাগীজিকে প্রণামী দিয়েছিলেন- একশো টাকা
৪০) বিরাগী আসলে ছিলেন- হরিদা
৪১) ভবতোষ ভেবেছিল জগদীশবাবু হরিদাকে বকশিশ হিসেবে দেবেন- আট আনা বা দশ আনা
৪২) সপ্তাহে হরিদা বহুরূপী সেজে বাইরে যান- একদিন
৪৩) সন্ন্যাসী সারাবছর খেতেন- একটি হরীতকী
৪৪) ‘বাসের যাত্রীরা কেউ হাসে, কেউ বা বেশ বিরক্ত হয় কেউ আবার বেশ বিস্মিত’- বাসযাত্রীদের এমন প্রতিক্রিয়ার কারণ- বহুরূপী হরিদার পাগলের সাজটা চমৎকার
৪৫) ‘সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস’- দুর্লভ জিনিসটি হল- সন্ন্যাসীর পদধূলি
৪৬) হরিদার শীর্ণ শরীরটা দেখে মনে হয়েছিল- অশরীরী
৪৭) হরিদার মতে সব তীর্থ- মানুষের বুকের ভিতর
৪৮) ভবতোষ চেঁচিয়ে উঠেছিল- বকশিশের কথা শুনে
৪৯) ‘ঘুষ নিয়ে তারপর মাস্টারের অনুরোধে রক্ষা করেছিলেন সেই নকল পুলিশ হরিদা’- ঘুষের পরিমাণ হল- আট আনা
৫০) বিরাগীর চোখ থেকে ঝরে পড়েছিল- জ্যোৎস্না
বহুরূপী গল্পের SAQ প্রশ্নের উত্তরঃ
১) লেখক ও তাঁর বন্ধুরা হরিদার কাছে কোন্ ঘটনা শোনাতে এসেছিলেন?
উঃ সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরুপী’ গল্পে জগদীশবাবুর বাড়িতে খুব উঁচুদরের এক সন্ন্যাসী এসেছিলেন এবং তিনি সাত দিন ধরে তাঁর বাড়িতে ছিলেন। এই খবরটাই লেখক ও তাঁর বন্ধুরা হরিদাকে শোনাতে এসেছিলেন।
২) ‘হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম’। — কীসের গল্প?
উঃ বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষের লেখা ‘বহুরূপী’ গল্পে জগদীশবাবুর বাড়িতে এক সন্ন্যাসী এসেছিলেন। হরিদার কাছে সেই সন্ন্যাসীর গল্পই করা হয়েছিল।
৩) ‘সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস’ – দুর্লভ জিনিসটি কী?
উঃ সুবোধ ঘোষের লেখা ‘বহুরূপী’ গল্পের আলোচ্য অংশে দুর্লভ জিনিসটি হল জগদীশবাবুর বাড়িতে উপস্থিত সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো।
৪) হরিদা সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাঁকে কী বলা হয়েছিল?
উঃ বহুরূপী গল্পে হরিদা সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাঁকে বলা হয়েছিল, সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো দুর্লভ জিনিস। একমাত্র জগদীশবাবু ছাড়া কেউই তাই সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো পাননি।
৫) কীভাবে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো পেয়েছিলেন?
উঃ জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর জন্য একজোড়া কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে খড়মজোড়া সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরতেই সন্ন্যাসী বাধ্য হয়ে নিজের পা এগিয়ে দেন। সেই সুযোগে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিয়ে নেন।
৬) সন্ন্যাসী চলে যাওয়ার আগে জগদীশবাবু কী করেছিলেন?
উঃ সন্ন্যাসী চলে যাওয়ার আগে জগদীশবাবু কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে তাঁকে দিয়েছিলেন আর সন্ন্যাসীর ঝোলায় জোর করে একশো টাকার একটা নোট ফেলে দিয়েছিলেন।
৭) ‘সন্ন্যাসী হাসলেন আর চলে গেলেন’ – সন্ন্যাসী কী দেখে হাসলেন?
উঃ বহুরূপী গল্পে সন্ন্যাসীকে বিদায় দেবার সময় জগদীশবাবু একশো টাকার একটা নোট তাঁর ঝোলায় জোর করে ফেলে দিলেন-তা দেখে সন্ন্যাসী হাসলেন।
৮) হরিদার ঘরটা কীরকম ছিল এবং সেখানে কী হত?
উঃ শহরের সবচেয়ে সরু এক গলির মধ্যে হরিদার ছোটো একটা ঘর ছিল। সেখানে সকাল-সন্ধ্যা লেখকদের আড্ডা বসত। চা, চিনি, দুধ তাঁরাই আনতেন। হরিদা শুধু আগুনের আঁচে জল ফুটিয়ে দিতেন।
৯) কোন্ ধরনের কাজ হরিদার পছন্দ ছিল না?
উঃ বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে হরিদার কোনো অফিসের কাজ বা দোকানে বিক্রি করার কাজ পছন্দ ছিল না।
১০) হরিদা কীভাবে প্রতিদিনের অন্নসংস্থান করেন?
উঃ হরিদা বহুরূপী সেজে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ান। বহুরুপীর সাজ দেখে কেউ কেউ এক-আনা, দু-আনা বকশিশ দেয়। সেই রোজগারেই হরিদার দিন চলে।
১১) হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্যটি কী ছিল?
উঃ হরিদা ছিলেন পেশায় বহুরূপী। তিনি কখনও পাগল সাজতেন, কখনও বাউল, কোনোদিন কাপালিক, কখনও-বা বোঁচকা কাঁধে বুড়ো কাবুলিওয়ালা সাজতেন। এটাই ছিল তাঁর জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্য।
১২) ‘দুটো একটা পয়সা ফেলেও দিচ্ছে’ – কারা, কীজন্য পয়সা ফেলে দিচ্ছে?
উঃ গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে হরিদা একদিন দুপুরবেলায় চকের বাসস্ট্যান্ডের কাছে পাগল সাজলে বাসের যাত্রীরা দুটো-একটা পয়সা ছুড়ে দিচ্ছিল।
১৩) ‘এই বার সরে পড়ো’ – কে, কাকে সরে পড়তে বলেছিল?
উঃ বাস ড্রাইভার কাশীনাথ জানত হরিদা বহুরূপী সাজে। আর তাই একদিন হরিদা পাগল সাজলে বাস ড্রাইভার হরিদাকে চিনতে পেরে তাঁকে সেখান থেকে সরে যেতে বলেছিল।
১৪) পাগলকে বহুরুপী বুঝতে পেরে লোকজন কী করে?
উঃ পাগল আসলে বহুরূপী তা বুঝতে পেরে বাসের যাত্রীরা কেউ হাসে, কেউ বিরক্ত হয়, আবার কেউ এই ভেবে অবাক হয় যে লোকটা এমন সেজেছে যে তাকে চেনাই যাচ্ছে না।
১৫) ‘কিন্তু দোকানদার হেসে ফেলে-হরির কাণ্ড’ – হরির কাণ্ডি কী?
উঃ সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পে আলোচ্য অংশে হরিদার যে কাণ্ডের কথা বলা হয়েছে তা হল শহরের পথে বাইজি সেজে ঘুঙুরের আওয়াজ তুলে নাচতে নাচতে যাওয়া।
১৬) বাইজির ছদ্মবেশে হরিদা কত টাকা উপার্জন করেছিল?
উঃ বিশিষ্ট গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে রূপসি বাইজির ছদ্মবেশে হরিদা আট টাকা দশ আনা উপার্জন করেছিলেন।
১৭) কোন্ বহুরূপীবেশে হরিদার রোজগার বেশি হয়েছিলেন?
উঃ বহুরূপী গল্পে রূপসি বাইজি সেজে হরিদার রোজগার বেশি হয়েছিল। বাইজি সেজে দোকানে দোকানে ফুলসাজি এগিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। দোকানদাররা সেই সাজিতে এক সিকি করে দেওয়ায় হরিদা সেদিন মোট আট টাকা দশ আনা পেয়েছিল।
১৮) পুলিশ সেজে হরিদা কী করেছিলেন?
উঃ প্রখ্যাত গল্পকার সুবোধ ঘোষের লেখা ‘বহুরূপী’ গল্পে হরিদা একবার পুলিশ সেজে দয়ালবাবুর লিচু বাগানে দাঁড়িয়েছিলেন আর সেখান থেকে স্কুলের চারটে ছেলেকে ধরেছিলেন।
১৯) পুলিশ সেজে হরিদা কোথায় দাঁড়িয়েছিল?
উঃ প্রখ্যাত গল্পকার সুবোধ ঘোষের লেখা ‘বহুরূপী’ গল্পে পুলিশ সেজে হরিদা দয়ালবাবুর লিচুবাগানে দাঁড়িয়েছিলেন।
২০) স্কুলের ছেলেদের পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে স্কুলের মাস্টার কী করেছিলেন?
উঃ স্কুলের মাস্টার ছেলেদের পুলিশের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বহুরূপী বেশে নকল পুলিশ হরিদাকে আট আনা ঘুষ দিয়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে এনেছিলেন।
২১) মাস্টারমশাই যখন জানতে পারলেন হরিদা পুলিশ সেজেছিলেন তখন তিনি কী করলেন?
উঃ মাস্টারমশাই যখন জানতে পারলেন যে হরিদা নকল পুলিশ সেজে ঘুষ নিয়ে ছেলেদের ছেড়েছেন তখন তিনি একটুও রাগ করলেন না বরং হরিদার বহুরুপী সাজের তারিফ করলেন।
২২) ‘তোমরা সেখানে থেকো’ – কোথায় থাকতে বলা হয়েছে?
উঃ বিশিষ্ট গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পের আলোচ্য অংশে হরিদা বহুরুপী সেজে জগদীশবাবুর বাড়িতে যাবেন-সেখানেই কথক ও তাঁর বন্ধুদের থাকতে বলা হয়েছে।
২৩) ‘হরিদার জীবন এইরকম বহু রূপের খেলা দেখিয়েই একরকম চলে যাচ্ছে’ – কী রকম খেলা দেখিয়ে হরিদার জীবন চলে যাচ্ছে?
উঃ সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে নানারকম ছদ্মবেশ ধারণ করে বহুরুপী সেজে খেলা দেখিয়ে হরিদার জীবন চলে যাচ্ছে।
২৪) ‘সপ্তাহে বড়োজোর একটা দিন বহুরুপী সেজে পথে বের হন হরিদা’- ‘বহুরূপী’ কাকে বলে?
উঃ বহুরূপী হল এক ধরনের লোকশিল্পী যারা বিচিত্র সাজ ধারণ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
২৫) কোন্ সময় এবং কী বেশে হরিদা জগদীশবাবুর বাড়ি গিয়েছিলেন?
উঃ বহুরূপী গল্পে হরিদা সন্ধ্যার সময় আদুড় গায়ে একটি ধবধবে সাদা উত্তরীয় আর ছোটো থান পরে বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর বাড়ি গিয়েছিলেন।
২৬) ‘চমকে উঠলেন জগদীশবাবু’ – জগদীশবাবুর চমকে ওঠার কারণ কী?
উঃ গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে আদুড় গা, তার উপরে সাদা উত্তরীয়; পরনে ছোটো বহরের সাদা থান পরা বিরাগীবেশী হরিদাকে দেখে জগদীশবাবু চমকে গিয়েছিলেন।
২৭) ‘জগদীশবাবুর দুই বিস্মিত চোখ অপলক হয়ে গেল’ – কী দেখে জগদীশবাবুর এমন অবস্থা হয়েছিল?
উঃ জগদীশবাবু সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে যখন দেখেছিলেন আদুড় গায়ে সাদা উত্তরীয় পরা এক বিরাগী সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন তিনি অপলক দৃষ্টিতে তাঁর দিকে চেয়ে রইলেন।
২৮) ‘আমার অপরাধ হয়েছে’ – বক্তার অপরাধ কী ছিল?
উঃ বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পের আলোচ্য অংশে বিরাগী সাজে হরিদাকে দেখে জগদীশবাবু ওপর থেকে নীচে নেমে আসেননি। এটাই ছিল তাঁর অপরাধ।
২৯) হরিদার বিরাগী মূর্তি সম্পর্কে লেখক কী মন্তব্য করেছেন?
উঃ বিরাগীকে দেখে লেখক মন্তব্য করেছেন সীমার ওপার থেকে তিনি যেন হেঁটে এসেছেন। তাঁর শীর্ণ শরীর যেন অশরীরী সত্তা। উদাত্ত, শান্ত ও উজ্জ্বল দৃষ্টি তাঁর চোখ থেকে ঝরে পড়ছে।
৩০) ‘হতেই পারে না’ – কী হতে পারে না বলে বক্তার ধারণা?
উঃ হরিদা বিরাগী সাজলে কথক ও তাঁর বন্ধুরা তাঁকে চিনতেই পারেননি। তাঁদের মধ্যে ভবতোষ ভেবেছিল এই বিরাগী কখনোই হরিদা হতে পারেন না।
৩১) ‘তিনি আপনার চেয়ে কিছু কম নয়’ – ‘তিনি’ বলতে বক্তা কাকে বুঝিয়েছেন?
উঃ প্রখ্যাত গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পের আলোচ্য অংশে ‘তিনি’ বলতে বক্তা পরম করুণাময় ঈশ্বরকেই বুঝিয়েছেন।
৩২) বিরাগী মতে ‘পরম সুখ’ আসলে কী?
উঃ বিশিষ্ট গল্পকার সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পে বিরাগীর মতে ‘পরম সুখ’ হল সমস্ত সুখের বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়া।
৩৩) বিরাগীর কাছে জগদীশবাবুর প্রাণের অনুরোধটি কী ছিল এবং তা শুনে বিরাগী কী বলেছিলেন?
উঃ জগদীশবাবু বিরাগীকে তাঁর বাড়িতে কিছুদিন থাকতে অনুরোধ করেছিলেন। এই কথা শুনে বিরাগী বলেছিলেন ধরিত্রীই তাঁর আসল থাকার জায়গা। দালান বাড়িতে তিনি থাকতে পারবেন না।
৩৪) বিরাগী চলে যাওয়ার আগে জগদীশবাবু কী করেছিলেন?
উঃ বিরাগী চলে যাওয়ার আগে জগদীশবাবু নোটের তাড়া ভরতি একটি থলে প্রণামিস্বরূপ বিরাগীর পায়ের কাছে রাখেন। এই টাকা তিনি বিরাগীকে তীর্থভ্রমণ উপলক্ষ্যে দিতে চেয়েছিলেন।
৩৫) ‘ভ্রমণ করে দেখবার তো কোনো দরকার হয় না’ – কেন ভ্রমণ করে দেখবার দরকার হয় না?
উঃ গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে বিরাগী হরিদার মতে, তার বুকের ভিতরেই রয়েছে সব তীর্থ, তাই ভ্রমণ করে দেখবার প্রয়োজন হয় না।
৩৬) বিরাগী জগদীশবাবুর দেওয়া তীর্থভ্রমণের টাকা নিলেন না কেন?
উঃ বিরাগীকে জগদীশবাবু তীর্থভ্রমণের টাকা দেওয়ায় তিনি বলেন তাঁর বুকের ভেতরই রয়েছে সব তীর্থ। তাই তাঁর ভ্রমণ করে তীর্থ দেখার কোনো প্রয়োজন হয় না।
৩৭) ‘আমার অনুরোধ বিরাগীজি’ – বক্তা বিরাগীজিকে কী অনুরোধ করেছিলেন?
উঃ গল্পকার সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পের আলোচ্য অংশের বক্তা জগদীশবাবু বিরাগীজিকে তীর্থভ্রমণের জন্য কিছু টাকা নিতে অনুরোধ করেছিলেন।
৩৮) জগদীশবাবু তীর্থভ্রমণের জন্য কত টাকা দিতে চেয়েছিলেন?
উঃ সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পে জগদীশবাবু তীর্থভ্রমণের জন্য বিরাগীকে একশো এক টাকা দিতে চেয়েছিলেন।
৩৯) ‘বলতে বলতে সিঁড়ি থেকে নেমে গেলেন বিরাগী’ – কী বলতে বলতে নেমেছিলেন?
উঃ আমি যেমন অনায়াসে ধুলো মাড়িয়ে চলে যেতে পারি, তেমনই অনায়াসে সোনাও মাড়িয়ে চলে যেতে পারি। – এ কথা বলতে বলতেই বিরাগী সিঁড়ি দিয়ে নেমে যান।
৪০) হরিদার ঘরে গিয়ে গল্পের কথক কী দেখেছিলেন?
উঃ হরিদার ঘরে গিয়ে কথক দেখেন, উনানের গনগনে আগুনে হাঁড়িতে চাল ফুটছে আর হরিদা একটা বিড়ি ধরিয়ে নিয়ে চুপ করে বসে আছেন।
৪১) ‘এটা কী কাণ্ড করলেন’ – কে, কী কান্ড করেছিলেন?
উঃ হরিদা বিরাগী সেজেছিলেন। জগদীশবাবু তাঁকে তীর্থভ্রমণের টাকা দিতে গেলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এই কাণ্ডের কথাই এখানে বলা হয়েছে।
৪২) ‘তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়’- কীসে ঢং নষ্ট হয়ে যেতে পারতো?
উঃ গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে জগদীশবাবুর বাড়িতে টাকা স্পর্শ করলে হরিদার ঢং নষ্ট হয়ে যেতে পারতো।
৪৩) ‘অদৃষ্ট কখনও হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না’ – হরিদার কোন্ ভুলের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উঃ হরিদা বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর কাছ থেকে অনেকগুলো টাকা পেয়েও গ্রহণ করেননি। এখানে তাঁর টাকা না নেওয়াকেই ভুল বলা হয়েছে।
৪৪) হরিদা কী কারণে আবার জগদীশবাবুর বাড়ি যেতে চেয়েছিল?
উঃ সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপি’ গল্পে হরিদা বহুরুপী সেজে নিজের পাওনা বকশিশটুকু নেওয়ার জন্য জগদীশবাবুর বাড়ি আবার যেতে চেয়েছিলেন।
৪৫) ‘কী অদ্ভুদ কথা বললেন হরিদা!’ – হরিদার অদ্ভুদ কথাটি কী ছিল?
উঃ হরিদার অদ্ভুদ কথাটি ছিল একজন বিরাগী সন্ন্যাসী সেজে টাকা স্পর্শ করা যায় না, তাতে তাঁর বহুরুপীর ঢং নষ্ট হয়ে যায়।
৪৬) হরিদা জগদীশবাবুর বাড়িতে কত বকশিশ পেতে পারতেন?
উঃ হরিদা জগদীশবাবুর বাড়িতে খুব বেশি হলে আট আনা কিংবা দশ আনা বকশিশ পেতে পারতেন।
৪৭) কেন হরিদা বকশিশ হিসেবে আট আনা বা দশ আনাকেই তাঁর প্রাপ্য মনে করেছিলেন?
উঃ বহুরূপি গল্পে বহুরূপীর জীবনে আট আনা বা দশ আনার বেশি আশা করা উচিত নয় বলেই সেটুকুকেই হরিদা তাঁর প্রাপ্য মনে করেছিলেন।
বহুরূপী গল্পের সংক্ষিপ্ত (৩ নম্বরের) প্রশ্নের উত্তরঃ
১) ‘গল্প শুনে খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন হরিদা’- হরিদা কে ছিলেন? কোন গল্প শুনে হরিদা গম্ভীর হয়ে গিয়েছিলেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
হরিদার পরিচয়ঃ
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদা ছিলেন একজন পেশাদার বহুরূপী।
হরিদার গম্ভীর হবার কারণঃ
লেখক সহ অন্য বন্ধুরা হরিদাকে জানিয়েছিলেন যে, সাতদিন ধরে এক সন্ন্যাসী এসে জগদীশবাবুর বাড়িতে ছিলেন। খুব উঁচুদরের সন্ন্যাসী, হিমালয়ের গুহাতে থাকেন। সারাবছর শুধু একটি হরীতকী খেয়ে থাকেন। সন্ন্যাসীর বয়স হাজার বছরের বেশি বলে মনে করা হয়। সন্ন্যাসী কাউকেই পদধূলি দেন না। তবে, জগদীশবায়ু একজোড়া কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে সন্ন্যাসীর পায়ে ধরলে বাধ্য হয়ে সন্ন্যাসী পা এগিয়ে দেন। এই নতুন খড়ম পরার ফাঁকেই জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিয়েছিলেন। আর এই গল্প শুনেই হরিদা গম্ভীর হয়ে গিয়েছিলেন।
২) ‘সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস’- এখানে ‘দুর্লভ জিনিস’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? তাকে দুর্লভ বলা হয়েছে কেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
‘দুর্লভ জিনিস’-এর পরিচয়ঃ
উল্লিখিত অংশে ‘দুর্লভ জিনিস’ বলতে সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলোকে বোঝানো হয়েছে।
‘দুর্লভ’ বলার কারণঃ
জগদীশবাবুর বাড়িতে সাতদিন ধরে এক সন্ন্যাসী ছিলেন। তিনি ছিলেন খুব উঁচু দরের। কারণ তিনি হিমালয়ের গুহাতে থাকতেন এবং সারাবছরে শুধু একটি হরিতকী খেতেন। অনেকের মতে সন্ন্যাসীর বয়স হাজার বছরের বেশি। তাই এই সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নেওয়াকে দুর্লভ বলা হয়েছে।
৩) ‘ঠিক দুপুরবেলাতে একটা আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল’ – কোথায় হল্লা বেজে উঠেছিল? ‘আতঙ্কের হল্লা’ বেজে ওঠার কারণ কী?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
আতঙ্কের হল্লা বেজে ওঠার স্থানঃ
একদিন দুপুরবেলা চকের বাসস্ট্যান্ডের কাছে আতক্ষের হল্লা বেজে উঠেছিল।
আতঙ্কের হল্লা বেজে ওঠার কারণঃ
একদিন দুপুরবেলাতে চকের বাসস্ট্যান্ডের কাছে হঠাৎ’ই এক উন্মাদ পাগলের আবির্ভাব ঘটে। সেই বন্ধপাগলের মুখ থেকে লালা ঝরে পড়ছিল। তার চোখ দু’টো ছিল কটকটে লাল। আর কোমরে ছেঁড়া কম্বল ও গলায় ঝুলছিল টিনের কৌটার একট মালা। সেই বদ্ধপাগলটা আবার এক থান ইট হাতে তুলে নিয়ে বাসের উপরে বসা যাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিল। এরফলে বাসের যাত্রীরা চেঁচিয়ে ওঠায় ‘আতঙ্কের হল্লা’ বেজে উঠেছিল।
৪) ‘এবার মারি তো হাতি, লুঠি তো ভাঙার’- বক্তা কে? তিনি কোন উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
বক্তাঃ
উদ্ধৃতাংশের বক্তা হলেন বহুরূপী গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা।
মন্তব্যের উদ্দেশ্যঃ
বহুরূপী সেজে হরিদা যে উপার্জন করতেন তা ছিল অত্যন্ত সামান্য। আর তাই যখন জগদীশবাবুর বাড়িতে আগত সন্ন্যাসীর খাতির-যত্নের কথা শোনেন, তখন সিদ্ধান্ত নেন সেখানেই বহুরূপী সেজে গিয়ে মোটা কিছু আদায় করে নেবেন। সারাদিন ঘুরে বেড়িয়েও তার উপার্জন হয় সামান্যই। সেইজন্য কাঙালের মতো বকশিশ নেওয়া থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখে একেবারে এমন উপার্জন করবেন যাতে তার সারাবছর চলে যায়- এই উদ্দেশ্যেই তিনি প্রশ্নোধৃত মন্তব্যটি করেছেন।
৫) ‘তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়’- বক্তা কে? ‘ঢং’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? কীসে ঢং নষ্ট হয়ে যাবে?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
বক্তাঃ
উদ্ধৃত অংশের বক্তা হলেন গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদা।
ঢং-এর স্বরূপঃ
প্রশ্নোক্ত অংশে ‘ঢং’ বলতে বহুরূপী সেজে হরিদা যে অভিনয় করতেন তাকেই বোঝানো হয়েছে।
ঢং নষ্ট হবার কারণঃ
হরিদা বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর বাড়িতে উপস্থিত হন বেশ কিছু উপার্জনের আশা নিয়ে। হরিদাকে প্রকৃত বিরাগী মনে করে জগদীশবাবু তাকে আতিথ্য গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন। হরিদা আতিথ্য প্রত্যাখ্যান করলে জগদীশবাবু হরিদাকে তীর্থ ভ্রমণের জন্য একশো এক টাকা প্রণামি দিতে চান। এই অর্থ গ্রহণ করলে হরিদার বহুরুপী পেশা নষ্ট হয়ে যাবে, তাই তিনি প্রকৃত সন্ন্যাসীর মতো এই অর্থ প্রত্যাখ্যান করেন।
৬) ‘আজ তোমাদের একটা জবর খেলা দেখাব’- কথাটি কে, কাকে বলেছিলেন? বক্তা কোন জবর খেলা দেখিয়েছিলেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
বক্তাঃ
উদ্ধৃত অংশের বক্তা হলেন গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদা।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ
হরিদা কথাগুলি কথক ও তার বন্ধুদের উদ্দেশে বলেছিলেন।
বক্তার দেখানো জবর খেলাঃ
হরিদা একটা সাদা উত্তরীয় কাধে, ছোটো বহরের একটি থান পরে, একটি ঝোলা নিয়ে রীতিমতো বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর বাড়িতে যান। জগদীশবাবু হরিদার চেহারা দেখে ও কথাবার্তা শুনে মুগ্ধ হন। হরিদাকে তিনি আতিথ্য গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন এবং তীর্থ ভ্রমণের জন্য প্রণামি হিসাবে একশো এক টাকা দিতে চান। কিন্তু হরিদা খাঁটি সন্ন্যাসীর মতো অর্থ প্রত্যাখ্যান করে বেরিয়ে আসেন। এরকম ছদ্মবেশ ধারণ করেই হরিদা জবর খেলা দেখিয়েছিলেন।
৭) ‘এটা আমার প্রাণের অনুরোধ’- অনুরোধটি কী ছিল? এই অনুরোধের প্রতিক্রিয়ায় কী উত্তর শোনা গিয়েছিল?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
অনুরোধের পরিচয়ঃ
ধর্মভীরু জগদীশবাবু এই ‘প্রাণের অনুরোধ’টি করেছিলেন। তার সেই ‘প্রাণের অনুরোধ’টি ছিল বিরাগীজি যেন তাঁর কাছে কয়েকটা দিন থাকেন।
অনুরোধের প্রতিক্রিয়াঃ
এই অনুরোধের প্রতিক্রিয়ায় বিরাগীজি বলেন যে, বাইরে খোলা আকাশ ও ধরিত্রীর মাটিতে স্থান থাকতে তিনি কেন জগদীশবাবুর মতো একজন বিষয়ীর দালানবাড়ির ঘরে আশ্রয় নেবেন!
৮) ‘তবে কিছু উপদেশ দিয়ে যান’- বক্তা কে? তিনি কী উপদেশ দিয়েছিলেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
বক্তাঃ
প্রশ্নোক্ত অংশটির বক্তা হলেন গল্পের অন্যতম চরিত্র জগদীশবাবু।
প্রদান করা উপদেশঃ
বিরাগী তাঁকে উপদেশ দিয়েছিলেন যে, ধন-জন-যৌবন কিছুই নয়। ওসব হলো সুন্দর সুন্দর এক-একটি বঞ্চনা। মন-প্রাণের সব আকাঙ্ক্ষা নিয়ে শুধু সেই একজনের আপন হতে চেষ্টা করতে হবে যাকে পেলে এই সৃষ্টির সব ঐশ্বর্য পাওয়া হয়ে যায়।
বহুরূপী গল্প থেকে বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ
১) বহুরূপী গল্প অবলম্বনে হরিদার চরিত্রটি আলোচনা করো।
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক “সুবোধ ঘোষের” লেখা “গল্পসমগ্র” গ্রন্থের তৃতীয় খন্ড থেকে সংকলিত “বহুরূপী” গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদা।সমগ্র গল্প বিশ্লেষণ করে তার চরিত্রের যেসকল বৈশিষ্টগুলি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় তা ক্রমান্বয়ে আলোচিত হল-
বন্ধুবৎসলতাঃ
সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ হরিদা তার শত দরিদ্রতার মাঝেও অসমবয়সিদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরন করেছেন।তাদের সাথে জমে উঠেছে তার চায়ের আসর।
সরল জীবনযাপনঃ
হরিদা ছিলেন অনাড়ম্বর জীবনযাপনে বিশ্বাসী।শহরের সরু গলির ভেতর ছোট্ট একটি ঘরে তিনি সাধারণ ভাবেই দিন অতিবাহিত করতেন। তার কথায়,“বড়ো মানুষের কান্ডের খবর আমি কি করে শুনবো?”
বহুরূপী জীবনঃ
হরিদার জীবন ছিল নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ।বহুরূপীকে তিনি পেশা ও নেশায় পরিণত করেছিলেন। বাউল,কাবুলিওয়ালা,কাপালিক,পাগল,বাইজি তথা বিরাগী সাজের নৈপুণ্য ও অভিনয় দক্ষতায় তিনি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
শিল্পীমনষ্কতাঃ
ঘড়ি ধরে চলা বাঁধা জীবনযাপনে অনিছুক হরিদার পেশা বহুরূপী হলেও তিনি কিন্তু প্রত্যহ সেই কাজ করতেন না।আর এখানেই তার প্রয়োজনকে জয় করে তার শিল্পীসত্ত্বা।
আদর্শবোধঃ
“শিল্প শিল্পের জন্য”-এই উপলব্ধিকে অবলম্বন করে তিনি নিষ্ঠা ও সততার দ্বারা বিরাগী ছদ্মবেশটির প্রতি তার আদর্শবোধ বজায় রেখেছেন।শিল্পই তার জীবনের ধ্রুব সত্য।
এইরূপে হরিদা চরিত্রটি তার বিবিধ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যাবলীর দ্বারা আমাদের সকলের প্রিয় চরিত্র হয়ে উঠেছে।
বহুরূপী দশম শ্রেণি বাংলা গল্পের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর শুধুমাত্র শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সাবস্ক্রাইবারদের জন্যঃ
জগদীশবাবুর বাড়ি হরিদা বিরাগী সেজে যাওয়ার পর যে ঘটনা ঘটেছিল, তা বর্ণনা করো।
বহুরূপী গল্প অবলম্বনে জদীশবাবু চরিত্র আলোচনা করো।
“তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়”।- ‘বহরুপী গল্পের আলােকে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
“অদৃষ্ট কখনও হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না”- হরিদা কী ভুল করেছিলেন? অদৃষ্ট ক্ষমা না করার পরিণাম কী?
“আমি বিরাগী, রাগ নামে কোনো রিপু আমার নেই”- বক্তা কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন? এই উক্তির প্রেক্ষিতে বক্তার চরিত্র যেভাবে বর্ণিত হয়েছে তা আলোচনা করো।
“এই শহরের জীবনে মাঝে মাঝে বেশ চমৎকার ঘটনা সৃষ্টি করেন বহুরূপী হরিদা”- হরিদার সৃষ্ট দুটি চমৎকার ঘটনার বিবরণ দাও।
“হরিদার জীবনে সত্যই একটা নাটকীয় বৈচিত্র্য আছে”- হরিদা কে? তাঁর কর্মকান্ডের মধ্যে যে নাটকীয় বৈচিত্র ধরা পড়েছে তা গল্প অবলম্বনে লেখো।
দশম শ্রেণি বাংলা নোটঃ
- জ্ঞানচক্ষু
- অসুখী একজন
- আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি
- আফ্রিকা
- হারিয়ে যাওয়া কালি কলম
- বহুরুপী
- সিরাজদ্দৌলা
- অভিষেক
- পথের দাবী
- প্রলয়োল্লাস
- সিন্ধুতীরে
- অদল বদল
- অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান
- বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান
- নদীর বিদ্রোহ
- কোনি
- বাংলা ব্যাকরণ
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে