অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা এই অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর সমাধানের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য কবিতাটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে। অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রস্তুতিতে সহায়ক হয়ে উঠবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তরঃ
অভিষেক কবিতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ
১) “ঘুচাবো এ অপবাদ, বধি রিপুকূলে”- উদ্ধৃতাংশের বক্তা কে? বক্তা তাঁর কোন অপবাদের কথা বলেছেন? অপবাদ ঘোচাবার জন্য তিনি কী করেছিলেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
বক্তাঃ
উদ্ধৃতাংশটির বক্তা হলেন রাক্ষসাধিপতি রাবণপুত্র মেঘনাদ অর্থাৎ ইন্দ্রজিৎ।
অপবাদের পরিচয়ঃ
রামচন্দ্রের সঙ্গে লঙ্কার ঘোরতর যুদ্ধে লঙ্কার মহারথীদের মৃত্যু ঘটে। এই যুদ্ধে রাবণের আর এক বীর পুত্র বীরবাহুর মৃত্যু ঘটে। ঘোরতর সংগ্রামে রাবণের আর এক ভাই কুম্ভকর্ণকেও মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে। এই মৃত্যু মিছিল যেনো লঙ্কাধিপতি রাবণকে মহাশোকী করে তোলে। মহাশোকে রাবণ নিজেই যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে উদ্যত হন-
“সাজিছে রাবণরাজা, বীরমদে মাতি;-”
লঙ্কার এই বিপদের সময় রাবনের শ্রেষ্ঠপুত্র বীরেন্দ্র-কেশরী ইন্দ্রজিৎ প্রমোদ কাননে পত্নী প্রমীলা ও তার সখীদের সঙ্গে সময় অতিবাহিত করছিলেন। এই দুর্দিনে তাঁর পিতার পাশে থাকার কর্তব্য তিনি বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞাত থাকার কারণে পালনে সক্ষম হন নি। আর এই ঘটনাই মেঘনাদের কাছে অপবাদের বিষয়।
অপবাদ ঘোচানোর প্রচেষ্টাঃ
ধাত্রীমাতা প্রভাষার মুখে জন্মভূমি স্বর্ণলঙ্কার দুর্দশার কথা শুনে রাবণপুত্র ইন্দ্রজিৎ চমকিত ও বিস্মিত হন। ক্ষিপ্ত ইন্দ্রিজিৎ তাঁর শরীর থেকে সমস্ত আভরণ, কনকবলয়, কুণ্ডল, ফুলমালা সবই দূরে ছুঁড়ে ফেলে দেন-
“ছিঁড়িলা কুসুমদাম রোষে মহাবলী
মেঘনাদ; ফেলাইলা কনক-বলয়
দূরে;”
এরপর ইন্দ্রিজিৎ দ্রুত লঙ্কায় যাওয়ার জন্য রথ আনার নির্দেশ প্রদান করেন। কুমার কার্তিকেয় তারকাসুরকে বধ করার জন্য যেমন নিজেকে রণসাজে সজ্জিত করেছিলেন, ঠিক তেমনই ইন্দ্রজিৎ যুদ্ধ যাত্রার প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন-
“সাজিলা রথীন্দ্রর্ষভ বীর-আভরণে
হৈমবতীসুত যথা নাশিতে তারকে
মহাসুর;”
ইন্দ্রজিতের রণসজ্জা বৃহন্নলারূপী অর্জুন বিরাটপুত্রসহ গোধন উদ্ধার করতে যাবার সাজের সঙ্গেও তুলনীয়। রণসাজে সজ্জিত হয়ে ইন্দ্রজিৎ দ্রুত লঙ্কায় প্রবেশ করেন। পিতা লঙ্কেশ্বরের রাবণের কাছে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন এবং প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন-
“সমূলে নির্মূল
করিব পামরে আজি!”
বক্তা ইন্দ্রিজিৎ তার অপবাদ ঘোচানোর জন্য বীর দর্পে বলীয়ান হয়ে যুদ্ধ যাত্রার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।
অভিষেক কবিতার আরো প্রশ্নের উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটিকে অনুসরণ করতে হবে
দশম শ্রেণি বাংলা অভিষেক কবিতা থেকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বড়ো প্রশ্নের উত্তর শুধুমাত্র শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সাবস্ক্রাইবারদের জন্যঃ
“এ অদ্ভুত বারতা জননী কোথায় পাইলে তুমি”- কোন বার্তাকে অদ্ভুত বলা হয়েছে? বার্তাটি অদ্ভুত কেনো? ১+৪
উত্তরটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
“বিদায় এবে দেহ বিধুমুখী”- ‘বিধুমুখী’ শব্দের অর্থ কী? এখানে কাকে ‘বিধুমুখী’ বলা হয়েছে? বক্তার বিদায় চাওয়ার পূর্বের কথোপকথন সংক্ষেপে লেখো। ১+১+৩
“নমি পুত্র পিতার চরণে”- পিতা-পুত্রের পরিচয় দাও। পাঠ্যাংশে পিতা ও পুত্রের কথোপকথন নিজের ভাষায় লেখো। ১+৪
অভিষেক কাব্যাংশ অবলম্বনে ইন্দ্রজিৎ চরিত্র আলোচনা করো। ৫
অভিষেক কাব্যাংশ অবলম্বনে রাবণ চরিত্র আলোচনা করো। ৫
উত্তরটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
অভিষেক কবিতার সকল প্রশ্নের উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
দশম শ্রেণির অধ্যায়ভিত্তিক বাংলা প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে