অভিষেক কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা অভিষেক কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা এই অভিষেক কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর সমাধানের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য কবিতাটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে। অভিষেক কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রস্তুতিতে সহায়ক হয়ে উঠবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
অভিষেক কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর :
১) ‘কনক-আসন ত্যজি’- কে, কেন কনক-আসন ত্যাগ করেছিল?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
আসন অ্যাগ করেছিল যেঃ
উদ্ধৃত অংশে রাবণপুত্র ইন্দ্রজিতের আসন ত্যাগ করার কথা বলা হয়েছে।
কনক আসন ত্যাগ করার কারণঃ
ইন্দ্ৰজিৎ প্রমোদ উদ্যানে স্ত্রী প্রমীলা ও তাঁর সখীদের নিয়ে প্রমোদবিহারে ব্যস্ত ছিলেন। এমন সময় ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশে দেবী লক্ষ্মী সেখানে উপস্থিত হন। ধাত্রী প্রভাষার এই অপ্রত্যাশিত আগমনের কারণ জানার জন্য ও তার প্রতি খাজ্ঞাপনের জন্য ইন্দ্রজিৎ কনক-আসন ত্যাগ করেছিলেন। মধুসুদনের ইন্দ্রজিৎ এখানে বিয়ে, শ্রদ্ধা ও সৌজন্যবোধের প্রতীকরূপে প্রতিভাত।
২) ‘শিরঃ চুম্বি, ছদ্মবেশী অম্বুরাশি সুতা / উত্তরিলা’- ‘অম্বুরাশি-সুতা’ কে? তাঁর উত্তর কী ছিল?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
অম্বুরাশি-সুতার পরিচয়ঃ
উদ্ধৃত অংশে অম্বুরাশি-সুতা বলতে দেবী লক্ষ্মীকে বোঝানো হয়েছে। দেবতা ও অসুরের সমুদ্রমন্থনকালে জল থেকে উত্থিত হন বলে তাকে অম্বুরাশি-সুতা বলা হয়েছে।
উত্তরের বর্ণনাঃ
প্রভাষার ছদ্মরূপে দেবী লক্ষ্মী প্রমোদ উদ্যানে হাজির হলে ইন্দ্রজিৎ তার কাছে লঙ্কার কুশল জিজ্ঞাসা করেন। অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে তিনি রামের সঙ্গে ভীষণ যুদ্ধে ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ প্রদান করেন। এমনকি তিনি ইন্দ্রিজিতকে পুত্রশোকে শোকগ্রস্ত পিতা রাবণের যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতির কথাও জানান।
৩) ‘মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া’- ‘মহাবাহু’ কে? তাঁর বিস্ময়ের কারণ কী?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
মহাবাহুর পরিচয়ঃ
রচনাংশে ‘মহাবাহু’ হলেন রক্ষকুলমণি বীরেন্দ্রকেশরী ইন্দ্রজিৎ মেঘনাদ। কবি এখানে ইন্দ্রজিতের প্রবল শক্তি ও পরাক্রমের জন্য তাঁকে ‘মহাবাহু’ বিশেষণে ভূষিত করেন।
তার বিস্ময়ের কারণঃ
ইন্দ্ৰজিৎ যখন ধাত্রীরূপী দেবী লক্ষ্মীর কাছে রামচন্দ্রের সঙ্গে সম্মুখসমরে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ জানলেন, তখন তিনি অত্যন্ত বিস্ময় প্রকাশ করলেন। কারণ তিনি নিজে রাত্রিকালীন যুদ্ধে রামচন্দ্রকে সংহার করেছেন। মৃত ব্যক্তি কীভাবে বীরবাহুকে সংহার করবে এ কথা ভেবেই তিনি বিস্মিত হয়েছেন।
৪) ‘এ অদ্ভুত বারতা’- কোন বার্তা, কেন অদ্ভুত?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
যে বার্তার কথা বলা হয়েছেঃ
উদ্ধৃত অংশে ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যু সংবাদের কথা বলা হয়েছে।
বার্তাটি অদ্ভুত হবার কারণঃ
লক্ষ্মীদেবী ইন্দ্রজিতের ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশে এসে স্বর্ণলঙ্কার সকল সংবাদ তাঁকে জানান। সম্মুখসমরে রামচন্দ্রের সঙ্গে প্রচণ্ড যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহু। কিন্তু ইন্দ্ৰজিৎ-এই সংবাদে অত্যন্ত বিস্ময়াপন্ন হন। কারণ তিনি নিজের হাতে রাত্রিকালীন যুদ্ধে রামকে হত্যা করেছেন। আর সেই মৃত রামচন্দ্র তার প্রিয় ভ্রাতাকে হত্যা করেছেন- এই সংবাদকেই তার অদ্ভুত বলে মনে হয়েছে।
৫) ‘সীতাপতি’ কে? তাঁকে ‘মায়াবী মানব’ বলা হয়েছে কেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
সীতাপতির পরিচয়ঃ
সীতাপতি হলেন অযোধ্যার রাজা দশরথের জ্যেষ্ঠপুত্র রাম। রামচন্দ্রের স্ত্রীর নাম সীতা। এই কারণে রামচন্দ্রকে ‘সীতাপতি’ বলা হয়েছে।
মায়াবী মানব বলার কারণঃ
সীতাপতি রামচন্দ্রকে লক্ষ্মীদেবী ‘মায়াবী মানব’ বলেছেন। কারণ মায়াবী না হলে প্রবল শক্তিশালী ইন্দ্রজিতের তীরে রামের মৃত্যু হলেও, তিনি কীভাবে পুনরায় দৈবপ্রভাবে পুনর্জীবন লাভ করেন! এই কারণে কাব্যাংশে রামকে ‘মায়াবী মানব’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
৬) ‘রক্ষ রক্ষঃকুল মান, এ কালসমরে, রক্ষঃ-চূড়ামণি’- বক্তা ‘রক্ষঃ-চূড়ামণি’ বলে কাকে সম্বোধন করেছেন? ‘কালসমর’ বলতে কী বোঝ?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
রক্ষঃ-চূড়ামণির পরিচয়ঃ
বক্তা ইন্দিরা সুন্দরী অর্থাৎ লক্ষ্মী দেবী ‘রক্ষঃ-চূড়ামণি’ বলে ইন্দ্রজিৎকে সম্বোধন করেছেন।
‘কালসমর’ বলতে যা বোঝানো হয়েছেঃ
‘কালসমর’ বলতে বোঝায় কাল রূপ সমর বা ভয়ংকর যুদ্ধ। এক্ষেত্রে রামচন্দ্রের সঙ্গে রাক্ষসদের ভয়ংকর প্রাণঘাতী যুদ্ধকে বোঝানো হয়েছে। ছদ্মবেশী দেবী লক্ষ্মী প্রমোদকাননে ইন্দ্রজিতের সামনে যখন হতাশার সুরে বীরবাহুর মৃত্যু, রাবণের যুদ্ধযাত্রার কথা বলছিলেন তখন ইন্দ্রজিৎ তা বিশ্বাস করতে পারেন নি। দেবী মায়াবী মানব রামচন্দ্রের জেগে ওঠা ও তাঁর দৈবী শক্তির পরিচয় দিতে শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
৭) ইন্দিরা সুন্দরীর বার্তা পেয়ে ইন্দ্ৰজিৎ কী কী করেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশে ‘ইন্দিরা সুন্দরী’ হলেন দেবী লক্ষ্মী।
ইন্দ্রজিতের উপর বার্তার প্রভাবঃ
ইন্দিরা সুন্দরীর বার্তা পেয়ে ইন্দ্রজিৎ প্রচণ্ড কোধে কুসুমদাম অর্থাৎ ফুলমালা ছিঁড়ে ফেলেন এবং সোনার অলংকার দূরে ছুঁড়ে ফেলে দেন। অশোক ফুল গাছের তলায় যেমন আভাময় হয়ে পড়ে থাকে, ঠিক তেমনই ইন্দ্রজিতের সেইসব সোনার অলংকার সোনা আভা ছড়িয়ে মাটিতে পড়ে থাকে।
৮) ‘ধিক মোরে’- কে, কেন নিজেকে ধিক্কার দিয়েছেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
বক্তাঃ
উদ্ধৃত অংশটির বক্তা কাব্যাংশের প্রধান চরিত্র রাবণ-পুত্র ইন্দ্রজিৎ বা মেঘনাদ।
ধিক্কার জানানোর কারণঃ
মেঘনাদ প্রমোদকাননে বিলাসব্যসনে মত্ত থাকার সময় প্রভাষার ছদ্মবেশে লক্ষ্মী এসে ইন্দ্রজিৎকে তার প্রিয় ভ্রাতা বীরবাহুর মৃত্যু এবং শোকস্তব্ধ রাবণের শত্ৰু রাঘব নিধনে ব্রতী হওয়ার কথা জানান। প্রিয় লঙ্কার এই দুর্দিনে ইন্দ্রজিৎ প্রমোদকাননে বামাদল মাঝে থেকে রাজধর্ম পালনে ব্যর্থ হয়েছেন বলে নিজেকে ধিক্কার জানিয়েছেন।
৯) ‘ঘুচাব ও অপবাদ’- বক্তা কোন অপবাদ, কীভাবে ঘোচাতে চেয়েছেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
বক্তা যেভাবে অপবাদ ঘোচাবেনঃ
বক্তা ইন্দ্ৰজিৎ প্রভাষা রাক্ষসীর বেশধারিণী লক্ষ্মীদেবীর মুখে ভাইয়ের মৃত্যুসংবাদ এবং রাবণের যুদ্ধপ্রস্তুতির কথা শুনে দ্রুত প্রমোদ উদ্যান ত্যাগ করে লঙ্কায় যাত্রা করতে উদ্যত হন। যখন তিনি বুঝলেন স্বর্ণলঙ্কার ঘোরতর দুর্দিনে তিনি বামাদল মাঝে বিলাসব্যসনে মত্ত, তখন নিজেকে তিনি ধিক্কার জানালেন ও শত্রুকুলের নিধন করবার প্রতিজ্ঞা করে সকল অপবাদ ঘোচাবেন বলে দৃঢ় সংকল্প নিলেন।
১০) বৃহন্নলারূপী কিরীটি কে? তাঁর কোন কীর্তির কথা পাঠে উল্লিখিত হয়েছে?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশে আমরা ‘বৃহন্নলারূপী কিরীটির পরিচয় লাভ করি।
বৃহন্নলারূপী কিরীটিঃ
বৃহন্নলারূপী কিরীটি হলেন তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন। অজ্ঞাতবাসকালে, বিরাট রাজার কন্যা উত্তরার নৃত্য-গীত শিক্ষিকারূপে নিযুক্ত অর্জুন বৃহন্নলাবেশ ধারণ করেন।
কীর্তির পরিচয়ঃ
অর্জুন যখন বৃহন্নলার ছদ্মবেশে বিরাট রাজার প্রাসাদে ছিলেন, সেসময় দুর্যোধন বিরাট রাজাকে পরাস্ত করে তাঁর সমস্ত কীর্তির পরিচয় গোধন হরণ করেন। তখন অর্জুন রাজপুত্র উত্তরের সারথিরূপে কৌরবদের সঙ্গে যুদ্ধ করে বিরাট রাজাকে বিপদ থেকে মুক্ত করেন। তাঁর সেই গোধন উদ্ধারের কীর্তির কথাই প্রশ্নে বর্ণিত হয়েছে।
১১) ‘সাজিলা রথীন্দ্রর্ষভ’- ‘রথীন্দ্রর্ষভ’ কে? তিনি কেমন ভাবে সাজলেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশ থেকে উল্লিখিত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
রথীন্দ্রর্ষভ বলতে যাকে বোঝানো হয়েছেঃ
‘রথীন্দ্রর্যভ’ শব্দের অর্থ ‘শ্রেষ্ঠ রথী’। এখানে ‘রথীন্দ্রর্যভ’ বলতে ইন্দ্রজিৎকে বোঝানো হয়েছে। প্রমোদকাননে বামাদল মাঝে ইন্দ্রজিৎ যখন বিলাসব্যসনে মত্ত ছিলেন, তখন লঙ্কার ঘোর দুর্দিনের খবর পেয়ে নিজেকে ধিক্কার জানান। শত্রুপক্ষকে বিনাশ করতে এই শ্রেষ্ঠ বীর তারকাসুর বিনাশকালে কার্তিকের মতো ও বিরাট রাজার গোধন রক্ষার সময় বৃহন্নলারূপী অর্জুনের মতো রণসাজে সজ্জিত হন।
১২) ‘ধরি পতি-কর-যুগ’- ‘পতি-কর-যুগ’ ধরে কে, কী বলেছিলেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশ থেকে উল্লিখিত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ
প্রশ্নোক্ত অংশে মেঘনাদ-পত্নী প্রমিলা তার ‘পতি-কর-যুগ’ ধরেছেন।
বক্তার মন্তব্যঃ
প্রভাষার ছদ্মবেশে আগতা দেবী লক্ষ্মীর কাছে লঙ্কার দুর্দিনের খবর পেয়ে ইন্দ্রজিৎ প্রমোদকানন থেকে লঙ্কার দিকে যাত্রা করতে উদ্যত হন। ইন্দ্রজিতের বিদায় প্রমীলাকে বিরহ বেদনায় আচ্ছন্ন করে। বিরহকাতর প্রমীলা কেঁদে ফেলেন এবং বলেন পতি বিনা কেমন করে তিনি প্রাণ রক্ষা করবেন। গহন বনের মধ্যে হাতিদের দলপতি যেভাবে বনলতাকে পদতলে স্থান দেয়, প্রমীলাও ঠিক সেইভাবে ইন্দ্রজিতের আশ্রয়ে থাকতে চেয়েছেন।
১৩) ‘কহিলা কাঁদিয়া ধনি’- ‘ধনি’ কে? তিনি কাঁদলেন কেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশ থেকে উল্লিখিত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
‘ধনি’-র পরিচয়ঃ
উদ্ধৃত অংশে ‘ধনি’ বলতে ইন্দ্ৰজিৎ-পত্নী প্রমীলাকে বোঝানো হয়েছে।
কাঁদার কারণঃ
ধাত্রী প্রভাষা বেশধারী লক্ষ্মী যখন স্বর্ণলঙ্কার দুর্দিন, ইন্দ্রজিতের ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ ও রাবণের যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতির খবর ইন্দ্রজিতের কাছে দিলেন, তখন তিনি প্রমোদকাননে নারীদের মাঝে বিলাসব্যসনে মত্ত ছিলেন। স্বর্ণলতা যেভাবে বড়ো গাছকে আঁকড়ে ধরে, সেভাবে প্রমীলা রক্ষকুলনিধি ইন্দ্রজিৎকে আঁকড়ে ধরে, তাঁর পথ রোধ করে কেঁদে ফেলেন। স্বামীর বিচ্ছেদ-বেদনায় পত্নীর কাতর ও ব্যথাতুর রূপটি প্রমীলার মধ্যে দিয়ে ফুটে ওঠে।
১৪) ‘কেমনে ধরিবে প্রাণ তোমার বিরহে’- কার উক্তি? কেন এমন উক্তি?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশ থেকে উল্লিখিত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
বক্তাঃ
ইন্দ্রজিৎ-পত্নী প্রমীলা প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটির বক্তা।
উক্তির কারণঃ
ইন্দ্ৰজিৎ ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশে দেবী লক্ষ্মীর কাছে স্বর্ণলঙ্কার দুর্দিনের খবর পেয়ে স্বর্ণলঙ্কার উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হন। এমন সময় পত্নী প্রমীলা তাঁর পথ রোধ করে দাঁড়ান। প্রমীলা স্বামীর কাছে, তাঁকে ত্যাগ করার কারণ জানতে চান। জানতে চান এই হতভাগিনি ইন্দ্ৰজিৎ-বিনা কেমনভাবে বেঁচে থাকবেন। ব্রততীকে মাতঙ্গ ত্যাগ করলেও যেমন যূথনাথ আশ্রয় দেয়, ঠিক তেমনভাবেই তিনি কোনোক্রমে ইন্দ্রজিতের পদাশ্রয়ে নিজ স্থান খুঁজেছেন। আসলে স্বামীবিরহে বিরহাতুরা এক পত্নীর অন্তরের রূপটি এই উক্তির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
১৫) প্রমীলার কথার উত্তরে মেঘনাদ কী বলেছিলেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশে আমরা প্রমীলা ও মেঘনাদের কথোপকথনের পরিচয় লাভ করি।
মেঘনাদের প্রত্যুৎত্তরঃ
প্রমোদ উদ্যানে প্রভাষার মুখে লঙ্কার দুর্দিনের কথা শুনে ইন্দ্রজিৎ লঙ্কার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে প্রমীলা তাঁর পথ রোধ করেন এবং প্রমোদ উদ্যান পরিত্যাগের কারণ জানতে চান। ইন্দ্রজিৎ তাকে বলেন, প্রমীলা মেঘনাদের প্রত্যুত্তর যে দৃঢ় বন্ধনে তাঁকে আবদ্ধ করে রেখেছেন তা চিরন্তন। তারই কল্যাণে রাঘবকে পরাস্ত করে দ্রুত ফিরে আসবেন বলে বিদায় নেন।
১৬) ‘কাপিলা লঙ্কা, কাপিলা জলধি !’- লঙ্কা কেঁপে উঠল কেন?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশ থেকে উল্লিখিত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
লঙ্কার কেঁপে ওঠার কারণঃ
কাব্যাংশে ছদ্মবেশী প্রভাষার কাছে লঙ্কার দুর্দিনের সংবাদ শুনে প্রমোদকানন ত্যাগ করে ইন্দ্রজিং শত্রুর হাত থেকে লঙ্কাকে রক্ষার্থে লঙ্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তাঁর এই আগমনকে আকাশপথে মৈনাক পর্বতের সোনার পাখাবিস্তার করে উজ্জ্বল করে তোলার সঙ্গে তুলনা করেছেন। লঙ্কার কেঁপে ওঠার ক্রুদ্ধ ইন্দ্রজিতের ধনুকের গুণ পরানো ও শর কারণ নিক্ষেপকে মেঘের মাঝে গরুড়ের গর্জনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এর ফলেই লঙ্কা ও সমুদ্র কেঁপে উঠেছে।
১৭) ‘এ মায়া, পিতঃ বুঝিতে না পারি’- কোন মায়ার কথা বলা হয়েছে?
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “মেঘনাদবধকাব্য”-এর অন্তর্গত “অভিষেক” কাব্যাংশ থেকে উল্লিখিত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
যে মায়ার কথা বলা হয়েছেঃ
কাব্যাংশে রামচন্দ্রের মায়াবলে পুনরায় জীবন ফিরে পাওয়ার প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হয়েছে। ধাত্রী প্রভাষা-রূপী দেবী লক্ষ্মী ইন্দ্রজিৎকে লঙ্কার ঘোরতর দুর্দিনের কথা জানান এবং মায়াবী রামচন্দ্রের। এ সংবাদ শোনামাত্র ইন্দ্রজিৎ প্রমোদ উদ্যান ত্যাগ মায়ার পরিচয় করে লঙ্কায় পিতা রাবণের কাছে উপস্থিত হলেন। রাজা রাবণ তখন নিজেই যুদ্ধযাত্রার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। এই অবস্থায় ইন্দ্রজিৎ রাবণকে রামচন্দ্রের পুনর্জীবন লাভের কারণ জানতে চাইলেন।
অভিষেক কবিতার সকল প্রশ্নের উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
দশম শ্রেণির অধ্যায়ভিত্তিক বাংলা প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে