একাদশ শ্রেণি বাংলা নীলধ্বজের প্রতি জনা

একাদশ শ্রেণি বাংলা নীলধ্বজের প্রতি জনা

“একাদশ শ্রেণি বাংলা নীলধ্বজের প্রতি জনা” কবিতা থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নোটে টাচ/ক্লিক করে সেই বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

একাদশ শ্রেণি বাংলা নীলধ্বজের প্রতি জনাঃ 

উনিশ শতকের নবজাগরণের অন্যতম দিক হল নারী জাগরণ, স্ত্রীশিক্ষার প্রসার ও নারী-স্বাধীনতার উন্মেষ। বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা কবি “মাইকেল মধুসুদন দত্ত” তাঁর “বীরাঙ্গনা” (১৮৬২) পত্রকাব্যটিতে সেই নারী-জাগরণকেই তুলে ধরতে চেয়েছেন। রোমান কবি ওভিদের “Heroides” বা “Epistles of the Heroines” দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে পুরানের ১১জন নারীর দ্বারা স্বামী বা প্রেমাস্পদের কাছে পত্র রচনার আঙ্গিকে তিনি তাঁর এই পত্রকাব্যটি রচনা করেছেন। বন্ধু রাজনারায়ণ বসুকে একদা তাই কবি পত্র মারফত এই কাব্যের কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, “Heroic Epistle from the most noted pouranic women to their lovers or lords.”  কবি তাঁর এই কাব্যটি নারীমুক্তি আন্দোলনের পুরোধাপুরুষ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে উৎসর্গ করেছিলেন। 

আমাদের পাঠ্য “নীলধ্বজের প্রতি জনা” পত্রটি “মাইকেল মধুসূদন দত্তের” এই “বীরাঙ্গনা” পত্রকাব্যের ১১ সংখ্যক কবিতা। নিম্নের ভিডিওগুলিতে সমগ্র কবিতাটি প্রতিটি লাইন ধরে আলোচনা করা হয়েছে। 

কবিতা থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্নের উত্তরঃ

♣ “নীলধ্বজের প্রতি জনা” কবিতার কবি কে? 

উঃ- মাইকেল মধুসূদন দত্ত

♣ “নীলধ্বজের প্রতি জনা” পত্রের উৎস লেখো। 

উঃ- বীরাঙ্গনা পত্রকাব্য  

♣ “নীলধ্বজের প্রতি জনা” কাহিনীটি মহাভারতের কোন পর্বে আছে?

উঃ- অশ্বমেধ পর্বে   

♣ “নিবাইতে এ শোকাগ্নি ফাল্গুনির লোহে”– ‘ফাল্গুনি’ বলতে বোঝানো হয়েছে- 

উঃ- অর্জুনকে 

♣ “এই তো সাজে তোমারে ক্ষত্রমণি তুমি”– এখানে ‘ক্ষত্রমণি’ বলতে বোঝানো হয়েছে-

উঃ- নিলধ্বজকে 

♣ “টুট কিরীটীর গর্ব আজি রণস্থলে”– ‘কিরীটী’ বলতে বোঝানো হয়েছে- 

উঃ- অর্জুনকে 

♣ “অন্যায় সমরে মূঢ় নাশিল বালকে”- এখানে বালক বলতে বোঝানো হয়েছে- 

উঃ জনা পুত্র প্রবীরকে

♣ “তব সিংহাসনে বসিছে পুত্রহা রিপু”- এখানে “পুত্রহা রিপু” বলতে বোঝানো হয়েছে-

উঃ- অর্জুনকে 

♣ ‘ক্ষত্রিয়ধর্ম্ম এই কি নৃমণি?’– এখানে ‘নৃমণি’ বলা হয়েছে–

উঃ- রাজা নীলধ্বজকে 

♣ ‘নরনারায়ন–জ্ঞানে শুনিনু পূজিছ’– ‘নরনারায়ন’ বলা হয়েছে–

উঃ- অর্জুনকে 

♣ “কুলটা যে নারী”- এখানে ‘কুলটা’ বলা হয়েছে-

উঃ- কুন্তীকে

♣ “পান্ডব-কীর্ত্তন গান গায়েন সতত”-  এই কীর্তন গান গেয়েছেন যিনি- 

উঃ- ঋষি দ্বৈপায়ন   

♣ “সত্যবতীসূত-বিখ্যাত জগতে”– এখানে কার কথা বলা হয়েছে? 

উঃ- ব্যাসদেব 

♣ “কুলাচার্য্য তিনি কু-কুলের?”– এখানে ‘কুলাচার্য্য’ বলা হয়েছে –

উঃ- দ্বৈপায়ন ঋষিকে

♣ “শাশুড়ির যোগ্য বধূ”- এখানে যোগ্য বধূ বলা হয়েছে- 

উঃ- দ্রৌপদীকে

♣ “শাশুড়ির যোগ্য বধূ”- এখানে ‘শাশুড়ি’ হলেন- 

উঃ- কুন্তী

♣ “ভাবি যদি পাঞ্চালী কথা”- এখানে ‘পাঞ্চালী’ বলা হয়েছে–

উঃ- দ্রৌপদীকে

♣ “দহিল খান্ডব দুষ্ট______সহায়ে”- শূণ্যস্থান পুরণ করো। 

উঃ- কৃষ্ণের

♣ “কিন্তু বৃথা এ গঞ্জনা/গুরুজন তুমি”- এখানে গুরুজন বলতে বোঝানো হয়েছে- 

উঃ- রাজা নীলধ্বজকে 

♣ “ক্ষত্রকুলবালা আমি, ক্ষত্রকুল-বধূ”- এখানে ক্ষত্রকুলবধূ হলেন- 

উঃ- জনা

 ♣ “ছাড়িব এ পোড়া প্রাণ জাহ্নবীর জলে”- ‘জাহ্নবী’ শব্দের অর্থ হল- 

উঃ- গঙ্গা

♣ অশ্বমেধ যজ্ঞাশ্ব ধরেছিলেন-

উঃ- যুবরাজ প্রবীর

♣ “হ্রেষা” – শব্দের অর্থ –

উঃ- ঘোড়ার ডাক

♣ “প্রতিবিধিৎসিতে” শব্দের অর্থ- 

উঃ- প্রতিবিধান করতে

♣ “শুন্ড”- শব্দের অর্থ–

উঃ- শুঁড়

♣ “সেবিছ যতনে তুমি অতিথি রতনে”– অতিথি রতন হলেন- 

উঃ- অর্জুন

♣ “এ পাষণ্ড পাণ্ডু রথী”- পাণ্ডু রথী হলেন- 

উঃ- পার্থ

♣ “মিস্টালাপে তুষিছ কি তুমি কর্ণ তার সভাতলে”- তিনি যার কর্ণ তুষ্ট করছেন-

উঃ- পার্থের

♣ “নবনারায়ন-জ্ঞানে শুনিনু , পুজিছ___” – যাকে পূজা করা হয়েছে –

উঃ- পার্থকে

♣ “কে না জানে তারে , স্বৈরিণী ?’ – যাকে স্বৈরিণী বলা হয়েছে- 

উঃ- কুন্তীকে 

♣ “সত্যবতীসূত ব্যাস বিখ্যাত জগতে!”– ব্যাস কে? 

উঃ- দ্বৈপায়ন

♣ “ধীবরী জননী, পিতা ব্রাহ্মণ!” কার জননী  ধীবরী এবং পিতা ব্রাহ্মন? 

উঃ- দ্বৈপায়নের

♣ “লোকমাতা রমা কি হে এক ভ্রষ্টা রমণী?”- ভ্রষ্টা রমণী কে ?

উঃ- দ্রৌপদী

♣ ছদ্মবেশে লক্ষ রাজে ছলিল দুর্মতি স্বয়ম্বরে “- কে ছলনা করল–

উঃ- অর্জুন

♣ “দহিল খাণ্ডব দুষ্ট কৃষ্ণের সহায়ে” – কে খাণ্ডব দহন করেছে? 

উঃ- অর্জুন

♣ “কি কুছলে নরাধম বধিল তাহারে , দেখ স্মরি?’ নরাধম হলেন- 

উঃ- অর্জুন

♣ “নাশিল বর্বর তারে”– কাকে নাশ করল?

উঃ- কর্নকে

♣ “চণ্ডালের পদধূলি ব্রাহ্মণের ভালে ?” যাকে চণ্ডালের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে- 

উঃ- অর্জুনকে

♣ “চণ্ডালের পদধূলি ব্রাহ্মণের ভালে?” যাকে ব্রাহ্মণের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে–

উঃ- নীলধ্বজকে 

♣ “আশার লতারে ছিঁড়িলি?”– কে আশার লতা ছিঁড়েছে? 

উঃ- প্রবীর

♣ “শোধিলি কি রে তুই এইরূপে মাতৃধার?”- কে মাতৃ ধার শোধ করেছে? 

উঃ- প্রবীর

♣ “যাচি চিরবিদায় ও পদে”– যার উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে- 

উঃ- নীলধ্বজের

কবিতা থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ

১) ‘ভুলিব এ জ্বালা, এ বিষম জ্বালা দেব, ভুলিব সত্বরে”- বক্তা কে? বক্তা এখানে কোন্‌ জ্বালা ভুলতে চেয়েছেন? শেষপর্যন্ত কীভাবে এই জ্বালা থেকে তিনি মুক্তি খুঁজেছেন? ১+১+৩=৫

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক “মাইকেল মধুসূদন দত্ত” রচিত “বীরাঙ্গনা” পত্রকাব্যের একাদশ সংখ্যক পত্র “নীলধ্বজের প্রতি জনা” থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।

বক্তাঃ

উদ্ধৃতাংশের বক্তা হলেন মাহেশ্বরী পুরীর রাজা নীলধ্বজের মহিষী ক্ষত্রকূলবালা ও ক্ষত্রকূলবধূ জনা।

বক্তার জ্বালাঃ

জনা তার প্রিয় পুত্র যুবরাজ প্রবীরের মৃত্যুশোকের জ্বালা ভুলতে চেয়েছেন।

বক্তার পরিণতিঃ

প্রিয় পুত্রের অকাল মৃত্যুতে শোকাহত মাতা জনা আশা প্রকাশ করেছিলেন তার স্বামী নীলধ্বজ পুত্র প্রবীরের হত্যাকারী পার্থকে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করবেন। রাজতোরণে রণবাদ্য, হাতি ও ঘোড়ার গর্জন, আকাশে রাজপতাকা উড়তে দেখে এবং রাজসৈন্যদের রণহুংকার শুনে জনা ক্ষণিকের জন্য আনন্দিত হয়ে উঠেছিলেন-

“সাজিছ কি, নররাজ, যুঝিতে সদলে-

প্রবীর পুত্রের মৃত্যু প্রতিবিধিৎসিতে,-”

কিন্তু স্বামী নীলধ্বজ পার্থকে নরনারায়ণ জ্ঞানে রাজসভায় আহ্বান করে সুমিষ্ট বার্তালাপে তাকে সন্তুষ্ট করতে সচেষ্ট হলে অভিমানিনী জনা তার স্বামীর প্রতি ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন-

“না ভেদি রিপুর বক্ষঃ তীক্ষ্ণতম সরে

রণক্ষেত্রে, মিষ্টালাপে তুষিছ কি তুমি

কর্ণ তার সভাতলে?”

তবে এসব কিছুকেই জনা নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস বলে মনে করে অভিমানের বশবর্তী হয়ে আত্মবিসর্জনের মধ্য দিয়েই মুক্তির সন্ধান করতে চেয়েছেন-

“ছাড়িব এ পোড়া প্রাণ জাহ্নবীর জলে”

পুত্রশোকের মহাজ্বালা এভাবেই অভিমানিনী জনা ভুলে যাবার বাসনা ব্যক্ত করেছেন।

কবিতা থেকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ 

“কি কুছলে নরাধম বধিল তাহারে”- কাকে বধ করার বলা হয়েছে? ‘নরাধম’ কাকে বলা হয়েছে? ‘কুছল’টি কী?

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“দহিল খান্ডব দুষ্ট কৃষ্ণের সহায়ে / শিখন্ডীর সহকারে কুরুক্ষেত্র রণে”- খান্ডব দহন ও শিখন্ডী সম্মন্ধে পৌরাণিক সত্য লেখো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“মহারথী প্রথা, এই কি, মহারথী”- তাৎপর্য আলোচনা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“নীলধ্বজের প্রতি জনা” কবিতায় জনা অর্জুনের কাপুরুষতার কী কী দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন?

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“সত্যবতীসূত ব্যাস বিখ্যাত জগতে”- তাৎপর্য আলোচনা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“কি লজ্জা ! দুঃখের কথা, হায় কোব কারে”- তাৎপর্য আলোচনা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“কিন্তু বৃথা এ গঞ্জনা”- বক্তা কে? তিনি কাকে গঞ্জনা দিতে চেয়েছেন? কেন তার মনে হয়েছে এই গঞ্জনা বৃথা?

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“নীলধ্বজের প্রতি জনা” কবিতায় জনার ক্রুদ্ধ অভিমানী স্বর কীভাবে ফুটে উঠেছে?

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“নীলধ্বজের প্রতি জনা” কবিতায় জনার চরিত্র আলোচনা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

জনা কি প্রকৃতই বীরাঙ্গনা? আলোচনা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

“মিথ্যা কথা, নাথ”- বক্তা কোন কথাকে ‘মিথ্যা’ বলেছেন? কীভাবে তিনি নিজের বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠা করেছেন?

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

 

একাদশ শ্রেণির বাংলা বিষয়ের গল্প, কবিতা, সাহিত্যের ইতিহাস ও ভাষা থেকে MCQ প্রশ্নের উত্তর সমাধান করতে নিম্নের লিংকে টাচ/ক্লিক করতে হবে

sikkhalaya click here

একাদশ শ্রেণি বাংলা মক টেষ্ট 

class eleven bengali notes একাদশ শ্রেণি বাংলা নোট 

class eleven pol science mcq mock test একাদশ শ্রেণি রাষ্ট্রবিজ্ঞান মক টেষ্ট 

online mcq quiz

সাধারণ জ্ঞান কুইজ

computer learning & mobile knowledge কম্পিউটার ও মোবাইল সংক্রান্ত জ্ঞান 

শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেল 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ sikkhalaya

You cannot copy content of this page

Need Help?