উপসর্গ ।। নবম শ্রেণি বাংলা ব্যাকরণ

উপসর্গ ।। নবম শ্রেণি বাংলা ব্যাকরণ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে বাংলা ব্যাকরণের অন্তর্গত উপসর্গ সম্পর্কে বিষদ আলোচনা ‘উপসর্গ ।। নবম শ্রেণি বাংলা ব্যাকরণ’ পোষ্টে প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই উপসর্গ ।। নবম শ্রেণি বাংলা ব্যাকরণ আলোচনার মধ্য দিয়ে উপসর্গ সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

উপসর্গ ।। নবম শ্রেণি বাংলা ব্যাকরণঃ 

১) উপসর্গ কাকে বলে?

উঃ উপসর্গ হল অব্যসূচক শব্দাংশ যা ধাতু বা শব্দমূলের পূর্বে বসে ধাতুর অর্থের পরিবর্তন ঘটায় এবং নতুন নতুন অর্থযুক্ত শব্দের সৃষ্টি করে।

যেমন- প্র, পরা, অপ, সম নি, অনা ইত্যাদি।

 

২) উপসর্গ কত প্রকার ও কী কী?

উঃ বাংলা উপসর্গকে আমরা তিনটি ভাগে বিভক্ত করতে পারি। যথা- ক) সংস্কৃত উপসর্গ খ) বাংলা উপসর্গ গ) বিদেশি উপসর্গ।

 

৩) সংস্কৃত উপসর্গ কাকে বলে?

উঃ সংস্কৃত ভাষায় যে উপসর্গগুলি ব্যবহার করা হয় তাদের সংস্কৃত উপসর্গ বলা হয়ে থাকে। সংস্কৃতে মোট ২০টি উপসর্গ আছে।

যেমন- প্র, পরা, অপ, সম্‌, নি ইত্যাদি।

 

৪) ২০টি সংস্কৃত উপসর্গ কোনগুলি?

উঃ ২০টি সংস্কৃত উপসর্গ হল- প্র, পরা, অপ, সম্‌, নি, অব, অনু, নির্‌, দূর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অভি, অতি, অপি, উপ, আ।

 

৫) বাংলা  উপসর্গ কাকে বলে?

উঃ বাংলা ভাষার নিজস্ব কতগুলি উপসর্গ আছে, তাদের বাংলা উপসর্গ বলা হয়।

যেমন- অ, অনা, আ, কু, বি, সু ইত্যাদি।

 

৬) বিদেশি উপসর্গ কাকে বলে?

উঃ বহুদিন ধরে বিদেশি ভাষার কিছু উপসর্গ বাংলা শব্দভান্ডারে প্রবেশ করেছে, তাদের বিদেশি উপসর্গ বলা হয়।

যেমন- ফুল, হাফ, মিনি, ফি, বদ ইত্যাদি।

 

৭) উপসর্গ শব্দের অর্থ কী?

উঃ উপসর্গ শব্দের অর্থ পূর্বে বসে নতুন শব্দ সৃষ্টি করা।

 

৮) উপসর্গের কাজ কী?

উঃ উপসর্গের কাজ হল ধাতু বা শব্দমূলের অর্থের পরিবর্তন, সংকোচন বা প্রসারণ এবং শব্দার্থের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ ঘটিয়ে নতুন অর্থযুক্ত শব্দ সৃষ্টি করা।

 

৯) উপসর্গ ও অনুসর্গের পার্থক্য লেখো। 

উঃ উপসর্গ ও অনুসর্গের পার্থক্যগুলি নিম্নরূপ- 

ক) যেসব অব্যয়সূচক শব্দের নিজস্ব কোনো অর্থ নেই, কিন্তু অন্য শব্দের আগে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ সৃষ্টি করে, তাকে উপসর্গ বলে।
অন্যদিকে, যে সব অব্যয়সূচক শব্দ বিশেষ্য ও সর্বনামের পরে বসে বিভক্তির ন্যয় কাজ করে, সেগুলোকে অনুসর্গ বলে।
খ) উপসর্গ নামবাচক বা কৃদন্ত শব্দের আগে বসে।
অন্যদিকে, অনুসর্গ বিশেষ্য ও সর্বনাম শব্দের পরে বসে। 
গ) উপসর্গ শব্দের সাথে যুক্ত হয়।
অন্যদিকে, অনুসর্গ স্বাধীনভাবে বাক্যে বসে।
ঘ) উপসর্গ পৃথকভাবে বাক্যে ব্যবহূত হতে পারে না।
অন্যদিকে, অনুসর্গ পৃথকভাবে বাক্যে ব্যবহৃত হয়। 
ঙ) উপসর্গের কোন অর্থ নেই।
অন্যদিকে, অনুসর্গের নিজস্ব অর্থ আছে। 
চ) উপসর্গ মূল শব্দের অর্থ পরিবর্তন করে।
অন্যদিকে, অনুসর্গ মূল শব্দের অর্থ ঠিক রাখে। 
ছ) উপসর্গের কাজ নতুন শব্দ গঠন করা।
অন্যদিকে, অনুসর্গের কাজ বাক্যে অন্যন্য পদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা। 
জ) উপসর্গ বিভক্তির কাজ করে না।
অন্যদিকে, অনুসর্গ বিভক্তির কাজ করে। 
১০) উপসর্গ ও প্রত্যয়ের পার্থক্য লেখো। 
উঃ উপসর্গ ও অনুসর্গের পার্থক্যগুলি নিম্নরূপ- 
ক) উপসর্গ শব্দ বা ধাতুর পূর্বে যুক্ত হয়।
অপরদিকে, প্রত্যয় শব্দ বা ধাতুর পরে যুক্ত হয়।
খ)  উপসর্গের অংশবিশেষ লোপ পায় না।
অপরদিকে, প্রত্যয়ের অংশবিশেষ লুপ্ত হতে পারে।
গ) উপসর্গ যুক্ত হবার ফলে মূল ধাতু বা শব্দের কোনো রকম ধ্বনি পরিবর্তন ঘটে না।
অপরদিকে, প্রত্যয় যুক্ত হবার ফলে মূল শব্দ বা ধাতুটির ধ্বনি পরিবর্তন ঘটতে পারে।
ঘ) উপসর্গ শব্দ বা ধাতুর অর্থকে প্রভাবিত করতে পারে।
অপরদিকে, প্রত্যয় শুমাত্র নতুন শব্দ গঠন করে। 
১১) বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিদেশি উপসর্গগুলি মূলত কোন ভাষা থেকে এসেছে?
উঃ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গগুলি প্রধানত ইংরেজি ও ফারসি ভাষা থেকে এসেছে। 
১২) উপসর্গ শব্দ নয় কেন?
উঃ উপসর্গ ধাতু বা শব্দের পূর্বে বসে তাকে অবলম্বন করে অর্থবৈচিত্র্য আনে। আর একারণেই উপসর্গকে শব্দ বলা যায় না। 
১৩) কোন দুটি সংস্কৃত উপসর্গ স্বাধীন অব্যয়রূপে ব্যবহৃত হয়?
উঃ প্রতি ও অতি। 
১৪) উপসর্গ কোন পদ?
উঃ অব্যয়। 
১৫) দেশি ও বিদেশি উপসর্গ সর্বদা কোন কোন পদের পূর্বে বসে?
উঃ বিশেষ্য ও বিশেষণ। 
১৬) অনুসর্গ কাকে বলে? 

প্রথম ইউনিট টেষ্টের বাংলা সাজেশন দেখতে এই লেখাতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

নবম শ্রেণি বাংলা নোটঃ 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

 

You cannot copy content of this page

Need Help?