“খেয়া” কবিতা থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নোটে টাচ/ক্লিক করে সেই বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।
১) “এই খেয়া চিরদিন চলে নদী স্রোতে”- প্রাসঙ্গিকতা উল্লেখ করে তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। ৫
উৎসঃ
বিশ্বকবি “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” রচিত “চৈতালি” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “খেয়া” কবিতা থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
প্রাসঙ্গিকতাঃ
মানব জীবনকে এক বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে অবলোকন করে কবি উপলব্ধি করেছেন, মানবসভ্যতার বিবর্তন নানান উত্থান-পতন ও সৃষ্টি-ধ্বংসের মধ্য দিয়ে ঘটে চলে। এই বিবর্তনের পাশাপাশি তিনি নিসর্গসৌন্দর্যের আবহমানতাকে খেয়াতরি, নদীস্রোত তথা গ্রাম্য মানুষদের আসা-যাওয়ার প্রতীকে প্রতীকায়িত করেছেন। যার পরিচয় আমরা উদ্ধৃত অংশের মধ্যেও লাভ করি।
তাৎপর্যঃ
নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা দুটি গ্রামের মানুষের নিরন্তর আনাগোনাকে পর্যবেক্ষণ করে কবি তার কবিতায় তাদের কথা তুলে ধরেছেন-
“কেহ যায় ঘরে, কেহ আসে ঘর হতে।”
জীবন-মৃত্যুর প্রতীক দুটি গ্রামের মাঝে পারাপারকারী মানুষেরা কেউ নিজের ঘরে প্রত্যাবর্তন করে, আবার কেউ বা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে। তাদের নিরন্তর চলাকেই প্রত্যক্ষ করেছেন কবি।
মানব জীবন হলো বহমান নদীর ন্যায়। জীবনভর মানুষকে তাই পারাপার করতে চলতে হয়। পুরাতন যুগের অবসান ঘটে, নতুন যুগের আগমন হয়। পৃথিবীর সকল হিংসা, হানাহানি, সংঘাতের উর্দ্ধে প্রকৃতির সুনিবিড় ছায়া ঘেরা গ্রাম্য পরিবেশে যাত্রীদল খেয়া নৌকার চলনকে গতি প্রদান করে চলে যুগ-যুগান্তর ধরে।
সভ্যতার বিবর্তনের ইতিহাসের এই ধ্রুব সত্যটিকেই কবি তার “খেয়া” কবিতার প্রশ্নোক্ত অংশটির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
“নতূন নতূন কত গড়ে ইতিহাস”- প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাৎপর্য লেখো।
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে
“পৃথিবীতে কত দ্বন্দ্ব কত সর্বনাশ”- ‘দ্বন্দ্ব’ ও ‘সর্বনাশ’ বলতে কী বোঝ? এই দ্বন্দ্ব ও সর্বনাশ পৃথিবীতে কীসের ভূমিকা পালন করেছে? তাঁর সঙ্গে খেয়া নৌকার যোগ কোথায়?
“উঠে কত হলাহল, উঠে কত সুধা”- ‘হলাহল’ ও ‘সুধা’ শব্দদ্বয়ের প্রাসঙ্গিকতা বিচার করো। সভ্যতার ইতিহাসে ‘শব্দদ্বয়’ কোন্ ভূমিকা পালন করেছে?
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে