“নিরুদ্দেশ” গল্প থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নোটে টাচ/ক্লিক করে সেই বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।
১) “অধিকাংশ নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনের ইতিহাসই এই”-উক্তিটি কার? নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের ইতিহাস বিবৃত করো। ১+৪=৫
উৎসঃ
আধুনিক ছোটগল্পকার “প্রেমেন্দ্র মিত্র” রচিত “সামনে চড়াই” গল্পসংকলনের অন্তর্গত “নিরুদ্দেশ” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
বক্তাঃ
গল্পের কথক সংবাদপত্রের পাতায় সাত-সাতটা নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন দেখে বন্ধু সোমশকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
বিজ্ঞাপনের ইতিহাসঃ
কথকের বর্ণনা অনুসারে বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান, মায়ের প্রশ্রয়ে থিয়েটার দেখতে গিয়ে বাড়ি ফিরতে দেরি করলে তার পিতার ক্রোধের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তিনি বলেন, “পয়াসাগুলো আমার খোলামকুচি কিনা, তাই নবাবপুত্তুর যা খুশি তাই করছেন। দূর করে দেবো, এবার দূর করে দেবো।”
বাড়ির এই উতপ্ত পরিস্থিতিতে গুণধর পুত্র বাড়ি ফিরলে বাবা তার রাগকে সমলে রাখতে না পেরে বলে ফেলেন, “এমন ছেলের আমার দরকার নেই- বেরিয়ে যা।” অভিমানী ছেলে তার পিতার অন্যান্য আদেশ অমান্য করলেও এই কথাটিকে আপ্তবাক্য বলে স্বীকার করে নিয়ে গৃহত্যাগী হয়।
পুত্রের অবর্তমানে মা আহার-নিদ্রা ত্যাগ করলে বাবা একপ্রকার বাধ্য হয়েই খবরের কাগজে পুত্রের নিরুদ্দেশের খবর ছাপাতে দিয়ে বলেন, “একটু ভালো করে লিখে দেবেন। ওর মা কাল থেকে জলগ্রহণ করেনি।”
কিন্তু সেই বিজ্ঞাপন প্রকাশের পূর্বেই দেখা যায় ছেলে তার কিছু বই নিতে বাড়ি ফিরলে মায়ের অভিমান দূর করতে ও পিতার ভালোবাসার পরিচয় লাভ করে বাড়িতেই থেকে যায়।
মূল্যায়ণঃ
উপরোক্ত কাহিনিটি তার বন্ধু সোমেশকে শুনিয়ে কথক তাই বলে ওঠেন, “অধিকাংশ নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনের ইতিহাসই এই।”
“এই বিজ্ঞাপনের পেছনে অনেক সত্যকার ট্র্যাজেডি থাকে”- এই সত্যকার ট্র্যাজেডির পরিচয় দাও।
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে