রাধারাণী গল্পের প্রশ্ন উত্তর ।। Radharani Golper Prosno Uttor

রাধারাণী গল্পের প্রশ্ন উত্তর ।। Radharani Golper Prosno Uttor

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য রাধারাণী গল্পের প্রশ্ন উত্তর ।। Radharani Golper Prosno Uttor প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই রাধারাণী গল্পের প্রশ্ন উত্তর ।। Radharani Golper Prosno Uttor অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

রাধারাণী গল্পের প্রশ্ন উত্তর ।। Radharani Golper Prosno Uttor: 

রাধারাণী গল্পের আলোচনা শুনতে নিম্নের ভিডিওটি দেখতে হবেঃ 

রাধারাণী গল্প থেকে গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) রাধারাণী রথ দেখতে গিয়েছিল- মাহেশে

২) রাধারাণীর বয়স- দশ এগারো বছর

৩) মাহেশের রথ হয়েছিল- শ্রাবণ মাসে 

৪) রাধারাণীর মায়ের সঙ্গে মোকদ্দমা হয়েছিল- এক জ্ঞাতির 

৫) রাধারাণীদের সপত্তি ছিল- প্রায় দশ লক্ষ টাকা 

৬) রাধারাণীর মা আপিল করেছিলেন- প্রিবি কাউন্সিলে 

৭) রাধারাণীর মা অসুস্থ হয়েছিল- রথের দিন

৮) রাধারাণী মালা গেঁথেছিল- বনফুলের 

৯) রাধারাণি কাঁদতে কাঁদতে- আছাড় খচ্ছিল

১০) রাধারাণির কাছে মালা ছিল- এক পয়সার 

১১) রাধারাণীর ঘাড়ের উপর এসে পড়েছিল- আগন্তুক 

১২) আগন্তুককে রাধারাণীর মনে হয়েছিল- দয়ালু 

১৩) রাধারাণী মালার মূল্য পেয়েছিল- চার পয়সা 

১৪) অন্ধকারে পয়সাটি- চকচক করছিল

১৫) পদ্মলোচন সাহা হাতে করে এনেছিল- একজোড়া নতুন কুঞ্জদার শান্তিপুরে কাপড় 

১৬) পদ্মলোচন চার টাকার কাপর মুনাফাসহ- আট টাকা সাড়ে চোদ্দো আনায় বিক্রি করেছিল 

১৭) ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে রাধারাণী কুড়িয়ে পেয়েছিল- একখানা নোট 

১৮) নোটে যার নাম লেখা ছিল তিনি হলেন- রুক্মিণীকুমার রায় 

১৯) নোটখানি তারা- তুলে রেখেছিল 

২০) তারা দরিদ্র কিন্তু- লোভী নয় 

 

উপরের প্রশ্নের উত্তরগুলি কতোটা তৈরি হয়েছে তা যাচাই করতে নিম্নের MCQ প্রশ্নের মক টেস্টটি প্রদান করো 

রাধারাণী MCQ TEST 

রাধারাণী গল্প থেকে গুরুত্বপূর্ণ SAQ প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) রাধারাণী কোথায় রথ দেখতে গিয়েছিল?

উঃ মাহেশে

২) রাধারাণীর বয়স কত ছিল?

উঃ দশ-এগারো 

৩) রাধারাণীর আত্মীয় বলতে কে ছিল?

উঃ তার মা 

৪) রাধারাণীদের কত টাকার সম্পত্তি ছিল?

উঃ দশ লক্ষ টাকার 

৫) রথের মেলায় রাধারাণী কি নিয়ে গিয়েছিল?

উঃ বনফুলের মালা 

৬) কখন বৃষ্টি শুরু হয়েছিল?

উঃ রথের টান অরধেক হতে না হতেই 

৭) রাধারাণীদের বাড়ি কোথায় ছিল?

উঃ শ্রীরামপুরে 

৮) আগন্তুক তার নাম কী বলেছিল?

উঃ রুক্মিণীকুমার রায়  

৯) রুক্মিণীকুমার মালার দাম কত দিয়েছিল?

উঃ চার পয়সা

৭) রাধারাণী ভিজে কাপড় পরেছিল কেন?

উঃ তার আর কাপড় ছিল না 

৮) রাধারাণী কিভাবে ঘরে আগুন জ্বেলেছিল?

উঃ চকমকি পাথর ঠুকে 

৯) কাপড় বিক্রেতার নাম কী ছিল?

উঃ পদ্মলোচন সাহা 

১০) পদ্মলোচন সাহা কী এনেছিল?

উঃ একজোড়া নতুন কুঞ্জদার শান্তিপুরে কাপড় 

১১) পদ্মলোচন সাহা চার টাকার কাপড় মুনাফাসহ কততে বিক্রি করেছিল?

উঃ আট টাকা সাড়ে চোদ্দ আনায় 

১২) নোটে কার নাম লেখা ছিল?

উঃ রাধারাণী আর রুক্মিণীকুমার রায়ের 

১৩) ‘বিধবা হাইকোর্টে হারিল’- এখানে কোন মামলার কথা বলা হয়েছে ?

উঃ জ্ঞাতির সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে রাধারাণীর মায়ের যে মামলা হয়েছিল এখানে সেই মামলায় কথাই বলা হয়েছে।

১৪) হাইকোর্টে মামলায় হেরে যাওয়ার ফলে রাধারাণীদের কী অবস্থা হয়েছিল ?

উঃ হাইকোর্টে মামলায় হেরে যাওয়ার ফলে ডিক্রি জারি করে রাধারাণীদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল।

১৫) হাইকোর্টে হেরে যাওয়ার পরে রাধারাণীদের দিন কীভাবে কাটত ?

উঃ হাইকোর্টে হেরে গিয়ে বাড়ি থেকে উৎখাত হয়ে রাধারাণীর মা কুটিরে থাকেন এবং দৈহিক পরিশ্রমে কোনোরকমে তাদের দিন কাটে।

১৬) রাধারাণীর মা কখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ?

উঃ রথের আগে রাধারাণীর মা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

১৭) ‘সুতরাং আর আহার চলে না’- এই না চলার কারণ কী বলে তোমার মনে হয় ?

উঃ রাধারাণীর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাঁর আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে খাবার জোগাড়ের অবস্থা আর থাকে না।

১৮) রাধারাণী গল্পে কোন্ মাসের উল্লেখ আছে ?

উঃ রাধারাণী গল্পে শ্রাবণ মাসের উল্লেখ আছে।

১৯) রাধারাণী মায়ের পথ্যের জন্য কী করেছিল ?

উঃ মায়ের পথ্য সংগ্রহের জন্য রাধারাণী বনফুল তুলে মালা গেঁথে রথের মেলায় বিক্রি করতে গিয়েছিল।

২০) রাধারাণী একা রথের মেলায় গিয়েছিল কেন ?

উঃ রাধারাণী বনফুলের মালা বিক্রি করে মা-র পথ্য সংগ্রহ করবে বলে মাহেশের রথের মেলায় গিয়েছিল।

২১) ‘রথের হাট শীঘ্র ভাঙিয়া গেল’- কেন ?

উঃ রথের হাট প্রবল বৃষ্টির কারণে শীঘ্রই ভেঙে গিয়েছিল।

২২) ‘মালা কেহ কিনিল না’- মালা না কেনার কারণ কী ছিল ?

উঃ রথের দড়ির টান অর্ধেক হতে না হতেই প্রবল বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে গেলে মালা কেনার লোক থাকে না।

২৩) ‘লোক আর জমিল না’- কোথায় লোক জমেনি ?

উঃ রথের মেলায় লোক জমেনি।

২৪) ‘তদপেক্ষাও রাধারাণীর চক্ষু বারিবর্ষণ করিতেছিল’- কী সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে ?

উঃ শ্রাবণের মুশলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে তুলনা করে রাধারাণীর চোখের জল ঝরার কথা বলা হয়েছে।

২৫) ‘এক্ষণে উচ্চৈঃস্বরে কাঁদিল’- কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে ?

উঃ অন্ধকারে বাড়ি ফেরার সময় কোনো একজন রাধারাণীর ঘাড়ের উপরে পড়ায় রাধারাণী উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে ওঠে।

২৬) ‘কিন্তু কণ্ঠস্বর শুনিয়া রাধারাণীর রোদন বন্ধ হইল’- কেন এমন হয়েছিল ?

উঃ রাধারাণী সেই অপরিচিত কণ্ঠস্বরের মধ্যে একজন দয়ালু মানুষকে আবিষ্কার করেছিল বলে তার কান্না বন্ধ হয়েছিল।

২৭) ‘রাধারাণী রোদন বন্ধ করিয়া বলিল’- রাধারাণী কী বলেছিল ?

উঃ রাধারাণী কান্না বন্ধ করে বলেছিল সে দুঃখী লোকের মেয়ে এবং তার মা ছাড়া কেউই নেই।

২৮) ‘তুমি আমার হাত ধরো’- এ কথা বলার কারণ কী ?

উঃ বক্তা এ কথা বলেছিল কারণ, হাত না ধরলে পিছল পথে রাধারাণীর পড়ে যাবার সম্ভাবনা ছিল।

২৯) ‘রাধারাণী বড়ো বালিকা’- কীভাবে এই ধারণা হয়েছিল ?

উঃ পথিক প্রথমে রাধারাণীর গলার আওয়াজে এবং পরে তার হাতের ছোঁয়ায় বুঝতে পারেন রাধারাণী খুবই ছোটো একটি মেয়ে।

৩০) ‘আমি একছড়া মালা খুঁজিতেছিলাম’- পথিক চরিত্রটি মালার সন্ধান করছিল কেন ?

উঃ পথিক চরিত্রটি তার গৃহদেবতাকে পরানোর জন্য মালার সন্ধান করছিল।

৩১) পথিক চরিত্রটি তার মালা কিনতে না পারার পক্ষে কী যুক্তি দিয়েছিল ?

উঃ পথিক চরিত্রটি বলেছিল যে রথের হাট তাড়াতাড়ি ভেঙে যাওয়ায় সে মালা কিনতে পারেনি।

৩২) ‘রাধারাণীর আনন্দ হইল’- রাধারাণীর আনন্দের কারণ কী ছিল ?

উঃ রথের মেলায় পরিচয় হওয়া পথিক যখন রাধারাণীর বনফুলের মালাটি কিনতে চায় তখনই রাধারাণীর আনন্দ হয়েছিল।

৩৩) সমভিব্যাহারী মালার দাম কত দিয়েছিলেন ?

উঃ সমভিব্যাহারী মালার দাম দিয়েছিল চার পয়সা। পরে অবশ্য দেখা যায় সে পয়সার বদলে টাকা দিয়েছিল।

৩৪) ‘এ যে বড়ো বড়ো ঠেকচে’- কীসের সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে ?

উঃ রাধারাণীকে মালার দাম হিসেবে পথিক চার পয়সা দিলে তা অন্ধকারে তার কাছে অনেক বড়ো মনে হয়।

৩৫) ‘তুমি ভুলে টাকা দাও নাই তো?’- কেন বক্তা এ কথা বলেছে ?

উঃ মালার দাম হিসেবে দেওয়া পয়সার আকৃতি এবং অন্ধকারেও তার ঔজ্জ্বল্য দেখে বক্তা রাধারাণী প্রশ্নোদ্ধৃত মন্তব্যটি করে।

৩৬) ‘তাই চকচক করচে’- বক্তা এই চকচক করার কী কারণ বলেছিল ?

উঃ বক্তা পথিক চরিত্রটি বলেছিল যে নতুন কলের পয়সা হওয়ায় মুদ্রা দুটি চকচক করছে।

৩৭) ‘তখন ফিরাইয়া দিব’- কখন ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ?

উঃ ঘরের আলোয় ভালোভাবে দেখে পথিকের দেওয়া মুদ্রাটি টাকা হলে তা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

৩৮) ‘তারপর প্রদীপ জ্বালিয়ো’- তারপর বলতে বক্তা কীসের পর প্রদীপ জ্বালাতে বলেছেন ?

উঃ রাধারাণী রচনাংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতিটিতে বক্তা তারপর বলতে ঘরে গিয়ে রাধারাণীর ভেজা কাপড় ছাড়ার পর বুঝিয়েছেন।

৩৯) ‘আমি ভিজা কাপড়ে সর্বদা থাকি’- কেন বক্তা সর্বদা ভিজে কাপড়ে থাকে ?

উঃ বক্তা রাধারাণীর মাত্র দুটি কাপড় থাকায় সে সবসময় ভিজে কাপড়ে থাকে।

৪০) ‘আমার ব্যামো হয় না’- কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে ?

উঃ মাত্র দুটি কাপড় থাকায় রাধারাণীকে সবসময় ভিজে কাপড়ে থাকতে হয়। এই প্রসঙ্গেই এ কথাটি বলা হয়েছে।

৪১) ‘আগুন জ্বালিতে কাজে কাজেই একটু বিলম্ব হইল’- এই বিলম্ব হওয়ার কারণ কী ?

উঃ ঘরে তেল না থাকায় চালের খড় পেড়ে চকমকি ঠুকে আগুন জ্বালাতে গিয়ে রাধারাণীর বিলম্ব হয়।

৪২) ‘আলো জ্বালিয়া রাধারাণী দেখিল’- কী দেখল ?

উঃ আলো জ্বেলে রাধারাণী দেখেছিল পথিক যা পয়সা বলে দিয়েছিল, তা আসলে টাকা।

৪৩) ‘তখন রাধারাণী বাহিরে আসিয়া তল্লাশ করিয়া দেখিল যে’- রাধারাণী কী দেখেছিল ?

উঃ রাধারাণী দেখেছিল যে তাকে যে ব্যক্তি টাকা দিয়েছিলেন তিনি আর দরজার বাইরে নেই, চলে গেছেন।

৪৪) ‘আমরাও ভিখারি হইয়াছি’- বক্তা কেন এমন উক্তি করেছেন ?

উঃ মামলা-মোকদ্দমায় রাধারাণীর মা সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন। এই অবস্থায় পথিকের দ্বারা বুনোফুলের মালার দাম হিসেবে দেওয়া টাকা গ্রহণের যৌক্তিকতা বোঝাতে তিনি মন্তব্যটি করেন।

৪৫) ‘বড়ো শোরগোল উপস্থিত করিল’- এই শোরগোলের কারণ কী ?

উঃ রাধারাণীদের কুটিরের দরজার ঝাঁপ ঠেলে কাপুড়ে মিনসে পদ্মলোচনের আসার ফলে এই শোরগোল হয়েছিল।

৪৬) ‘তিনিই বুঝি আবার ফিরিয়া আসিয়াছেন’- কার কথা এখানে বলা হয়েছে ?

উঃ বনফুলের মালার দাম হিসেবে রাধারাণীকে পয়সার বদলে টাকা দিয়েছিলেন যিনি সেই পথিকের কথা এখানে বলা হয়েছে।

৪৭) ‘পোড়ারমুখো কাপুড়ে মিনসে !’- কাকে বলা হয়েছে ? 

উঃ কাপড়ের ব্যবসায়ী পদ্মলোচন সাহাকে পোড়ারমুখো কাপুড়ে মিনসে বলা হয়েছে।

৪৮) পদ্মলোচন রাধারাণীকে কী কাপড় এনে দিয়েছিল ?

উঃ পদ্মলোচন রাধারাণীকে একজোড়া নতুন কুঞ্জদার শান্তিপুরী কাপড় এনে দিয়েছিল।

৪৯) পদ্মলোচনকে পথিক কী বলেছিল ?

উঃ পদ্মলোচনকে পথিক দুটি কাপড়ের দাম নগদে মিটিয়ে দিয়ে সেগুলি তিনি রাধারাণীকে পৌঁছে দিতে বলেছিলেন।

৫০) রাধারাণীর পরিবারের সঙ্গে পদ্মলোচনের পরিচয় কবে থেকে ?

উঃ রাধারাণীর পরিবারের সঙ্গে পদ্মলোচনের পরিচয় রাধারাণীর বাবার আমল থেকে।

৫১) কাপুড়ে মিনসে রাধারাণীর পিতার সময় কীরূপ মুনাফা নিতেন ?

উঃ কাপুড়ে মিনসে পদ্মলোচন রাধারাণীর পিতার আমলে চার টাকার কাপড়ের দাম শপথ করে আট টাকা সাড়ে বারো আনা নিয়ে তার সঙ্গে আরও দু-আনা মুনাফা নিতেন।

৫২) ‘প্রসন্ন মনে দোকানে ফিরিয়া গেলেন’- এই প্রসন্নতার কারণ কী ?

উঃ পদ্মলোচন রুক্মিণীকুমারের কাছ থেকে চার টাকার কাপড়ের দাম আট টাকা সাড়ে চোদ্দো আনা আদায় করে প্রসন্ন হয়েছিল।

৫৩) রাধারাণী প্রাপ্ত টাকা ভাঙিয়ে কী করেছিল ?

উঃ রাধারাণী বাজারে গিয়ে প্রাপ্ত টাকা ভাঙিয়ে মায়ের পথ্য তৈরির জিনিসপত্র ও প্রদীপের তেল কিনেছিল।

৫৪) রাধারাণী ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে কী খুঁজে পেয়েছিল ?

উঃ রাধারাণী ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে একটি কাগজ কুড়িয়ে পেয়েছিল, যেটি ছিল আসলে একটি নোট।

৫৫) রাধারাণীর কুড়িয়ে পাওয়া নোটে কী লেখা ছিল ?

উঃ রাধারাণীর কুড়িয়ে পাওয়া নোটে রাধারাণীর নাম এবং দাতা রুক্মিণীকুমার রায়ের নাম লেখা ছিল। 

 

রাধারাণী গল্পের সংক্ষিপ্ত (৩ নম্বরের) প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) ‘তাহাতেই মার পথ্য হইবে’- রাধারাণী কীভাবে মায়ের পথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করেছিল ? 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের জনক, সাহিত্যসম্রাট “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “রাধারাণী” উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদটি আমাদের পাঠ্য “রাধারাণী” স্বরূপ গৃহীত হয়েছে। 

রাধারাণীর প্রচেষ্টাঃ

রাধারাণীর বিধবা মা অসুস্থ হওয়ায় তাদের পরিবারের উপার্জনের উপায় বন্ধ হয়ে যায়। মায়ের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পথ্য জোগাড় করার জন্য বালিকা রাধারাণী কিছু বনেরফুল তুলে, তা দিয়ে মালা গাথে এবং সেই মালা রথের মেলা উপলক্ষে বসা হাটে বিক্রি করে পয়সা রোজগার করে মায়ের পথ্য বা ওষুধ জোগাড় করার কথা ভাবে। 

২) ‘অগত্যা রাধারাণী কাঁদিতে কাঁদিতে ফিরিল’- কোন পরিস্থিতিতে কাঁদতে কাঁদতে রাধারাণী বাড়ির পথ ধরল ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের জনক, সাহিত্যসম্রাট “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “রাধারাণী” উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদটি আমাদের পাঠ্য “রাধারাণী” স্বরূপ গৃহীত হয়েছে। 

ঘটনার বিবরণঃ 

রাধারাণী তার অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কেনার অর্থ জোগাড়ের উদ্দ্যেশে মাহেশের রথের মেলায় বনফুলের মালা বিক্রির উদ্দেশ্যে গিয়েছিল। কিন্তু ‘রথের টান’ অর্ধেক হওয়ার সাথে সাথে বৃষ্টি নামে এবং লোকের ভিড় কমে যায়। এরপর সন্ধ্যে নামলেও রাধারানীর মালা অবিকৃত অবস্থায় থেকে যায়। রাতের অন্ধকার নামলে হতোদ্যম রাধারানী ভগ্নহৃদয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির পথ ধরে।

 

৩) ‘সকাতরে বলিল মা! এখন কী হবে?’- কোন পরিস্থিতিতে রাধারাণী একথা বলেছিল ? উত্তরে তার মা কী বলেছিলেন ? 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের জনক, সাহিত্যসম্রাট “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “রাধারাণী” উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদটি আমাদের পাঠ্য “রাধারাণী” স্বরূপ গৃহীত হয়েছে। 

প্রসঙ্গঃ

রাধারানী অচেনা ব্যক্তির সাথে বাড়ি ফিরে আসার পর আবিষ্কার করে আগন্তুক রাধারানীকে পয়সার বদলে টাকা দিয়েছে, এরপর সে বাড়ির বাইরে এসে আগন্তুকের সন্ধানে বিফল হয়। এরপর কিংকর্তব্যবিমূঢ় রাধারানী তার মাকে আলোচ্য উক্তিটি করে।

মা’র প্রত্যুত্তরঃ

প্রশ্নোক্ত উক্তির পরিবর্তে রাধারানীর মা, তাকে বলে – “কি হবে বাছা! সে কি আর না জেনে টাকা দিয়েছে? সে দাতা, আমাদের দুঃখ সুনিয়ে দান করিয়াছে – আমরাও ভিখারি হইয়াছি, দান গ্রহণ করিয়া খরচ করি”।

 

৪) ‘অগত্যা রাধারাণী কাদিতে কাঁদিতে ফিরিল’- রাধারাণীর কেঁদে কেঁদে ফেরার কারণ ব্যাখ্যা করো।

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের জনক, সাহিত্যসম্রাট “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “রাধারাণী” উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদটি আমাদের পাঠ্য “রাধারাণী” স্বরূপ গৃহীত হয়েছে। 

রাধারাণীর কেঁদে কেঁদে ফেরার কারণঃ 

রাধারাণী বুনোফুলের মালা গেঁথে রথের মেলায় গিয়েছিল, তা বিক্রি করে মার পথ্য সংগ্রহ করতে। কিন্তু রথ অর্ধেক টানা হওয়ার পরেই প্রবল বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে যায়। রাধারাণী তবুও মেলায় ভিড় আরও জমবে এবং তার মালাও বিক্রি হবে এই আশায় বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে। কিন্তু রাত হওয়ার পরেও বৃষ্টি না থামায় তার আশা ভেঙে যায়। মালা বিক্রি না হওয়ায় রাধারাণী অন্ধকারে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির পথ ধরল। 

 

৫) ‘কিন্তু আর আহারের সংস্থান রহিল না’- এই সংস্থান না থাকার কারণ আলোচনা করো।

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের জনক, সাহিত্যসম্রাট “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “রাধারাণী” উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদটি আমাদের পাঠ্য “রাধারাণী” স্বরূপ গৃহীত হয়েছে। 

সংস্থান না থাকার কারণঃ 

একজন জ্ঞাতির সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে মামলায় রাধারাণীর বিধবা মা হাইকোর্টে হেরে যায়। জ্ঞাতি ডিক্রি জারি করে তাদের পিতৃপুরুষের ভিটে থেকে উচ্ছেদ করে দশ লক্ষ টাকার সম্পত্তির দখল নেয়। খরচ এবং পাওনা শোধ করতে বাকি সব অর্থ চলে যায়। গয়না ইত্যাদি বিক্রি করে রাধারাণীর মা প্রিভি কাউন্সিলে আপিল করলেও খাবার জোগাড়ের অবস্থা তাদের আর থাকে না।

 

৬) ‘রাধারাণীর বিবাহ দিতে পারিল না!’- রাধারাণীর বিবাহ দিতে না পারার কারণ আলোচনা করো।

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের জনক, সাহিত্যসম্রাট “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “রাধারাণী” উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদটি আমাদের পাঠ্য “রাধারাণী” স্বরূপ গৃহীত হয়েছে। 

রাধারাণীর বিয়ে না দিতে পারার কারণঃ 

সম্পত্তির অধিকার নিয়ে এক জ্ঞাতির সঙ্গে মামলায় হেরে যাওয়ায় রাধারাণীর বিধবা মার প্রায় দশ লক্ষ টাকার সম্পত্তি হাতছাড়া হয়। নগদ টাকা যেটুকু ছিল তা পাওনা শোধ ইত্যাদিতে ব্যয় হয়ে যায়। গয়নাগাটি বিক্কি করে রাধারাণীর মা প্রিভি কাউন্সিলে আপিল করায় তারা আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে যায়। এই দারিদ্র্যের কারণেই দৈহিক পরিশ্রম করে কোনো রকমে বেঁচে থাকা রাধারাণীর মার পক্ষে রাধারাণীর বিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

৭) ‘তাহাদিগের অবস্থা পূর্বে ভালো ছিল’- পরবর্তীকালে তাদের দুর্দশার কারণ কী ? 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের জনক, সাহিত্যসম্রাট “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “রাধারাণী” উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদটি আমাদের পাঠ্য “রাধারাণী” স্বরূপ গৃহীত হয়েছে। 

তাদের দুর্দশার কারণঃ

পিতৃহারা রাধারাণী বড়ো ঘরের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও একটি মামলার কারণে তাঁর বিধবা মা সর্বস্বান্ত হয়, দশ লক্ষ টাকার সম্পত্তি সবই বাদীপক্ষ কেড়ে নেয় এবং তাঁদেরকে গৃহচ্যুত করে। এমন অবস্থায় তাঁদের সকল অন্ন-সংস্থানের কোনো উপায় থাকে না। এটিই ছিল তাদের দুর্দশার কারণ।

 

৮) ‘সুতরাং আর আহার চলে না’- কাদের প্রসঙ্গে এই উক্তি ? তাদের আহার বন্ধের উপক্রম হল কেন ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের জনক, সাহিত্যসম্রাট “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “রাধারাণী” উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদটি আমাদের পাঠ্য “রাধারাণী” স্বরূপ গৃহীত হয়েছে। 

যাদের কথা বলা হয়েছেঃ 

রাধারানী এবং তার বিধবা মার কথা বলা হয়েছে। 

তাদের আহার বন্ধের উপক্রমের কারণঃ 

জ্ঞাতিপক্ষের কাছে মামলায় হেরে সর্বস্বান্ত হয় রাধারানী এবং তার বিধবা মাতা। এর পর শারীরিক পরিশ্রম করে কোনোরকমে তাদের গ্রাসাচ্ছাদন চলতে থাকে। কিন্তু এর কিছুদিন পরে, রাধারানীর মা ‘ঘোরতর’ ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে, তার কায়িক পরিশ্রমের উপায় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তাদের আহারাদির ব্যবস্থাও বিপন্ন হয়।

 

৯) ‘কণ্ঠস্বর শুনিয়া রাধারাণীর রোদন বন্ধ হইল’- কার কণ্ঠস্বর শুনে কেন রাধারাণীর রোদন বন্ধ হয়েছিল ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের জনক, সাহিত্যসম্রাট “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “রাধারাণী” উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদটি আমাদের পাঠ্য “রাধারাণী” স্বরূপ গৃহীত হয়েছে। 

রাধারাণী যার কন্ঠস্বর শুনেছিলঃ 

প্রশ্নোক্ত অংশে পথিকের গলার আওয়াজ শুনে রাধারাণীর কান্না বন্ধ হয়েছিল।

রাধারাণীর রোদন বন্ধ হওয়াঃ 

রথের মেলায় বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে যাওয়ার কারণে মালা বিক্রি না হওয়ায় রাধারাণী যখন কাঁদছে, অন্ধকারে কেউ তার ঘাড়ের উপরে এসে পড়ে। ভয়ে রাধারাণী উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে ওঠে। তখন সেই অপরিচিত ব্যক্তি প্রশ্ন তার পরিচয় জানতে চান, চেনা লোক না হলেও গলার আওয়াজেরাধারাণী দয়ালু মানুষের উপস্থিতিই যেন বুঝতে পেরেছিল। তাই তার কান্না বন্ধ হয়েছিল।

 

১০) ‘তুমি দাঁড়াও, আমি আলো জ্বালি’- এই আলো জ্বালার কারণ আলোচনা করো। 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের জনক, সাহিত্যসম্রাট “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “রাধারাণী” উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদটি আমাদের পাঠ্য “রাধারাণী” স্বরূপ গৃহীত হয়েছে। 

আলো জ্বলার কারণঃ 

প্রবল বৃষ্টিতে রথের মেলা ভেঙে যাওয়ায় রাধারাণীর মালা বিক্রি হয়নি। এর ফলে রাধারাণী কাঁদতে কাঁদতে অন্ধকার পথে ফেরার সময় এক পথিকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সে রাধারাণীর মালাটি চার পয়সা দিয়ে কিনে নেয়। কিন্তু রাধারাণীর সন্দেহ হয় যে তাকে দেওয়া মুদ্রাগুলি বড়ো এবং চকচক করছে। পথিক ‘ডবল পয়সা’, ‘নূতন কলের পয়সা’ ইত্যাদি বললেও নির্লোভ রাধারাণী বাড়িতে গিয়ে তা আলোয় পরীক্ষা করে নেওয়ার কথা জানায়।

 

১১) ‘মা! এখন কী হবে?’- এ কথা বলার কারণ কী ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের জনক, সাহিত্যসম্রাট “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “রাধারাণী” উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদটি আমাদের পাঠ্য “রাধারাণী” স্বরূপ গৃহীত হয়েছে। 

মন্তব্যের কারণঃ

মালার দাম হিসেবে পথিক রাধারাণীকে চার পয়সা দেওয়ার পরেও রাধারাণীর সন্দেহ হয় পথিক পয়সার বদলে টাকা দিয়েছে।পথিক অস্বীকার করলেও রাধারাণী বাড়িতে গিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে সেটি দেখার কথা বলে এবং পথিককে ততক্ষণ অপেক্ষা করতে বলে। রাধারাণী চকমকি ঠুকে আগুন জ্বেলে দেখে তার অনুমান ঠিক। পথিক তাকে টাকাই দিয়েছে। কিন্তু বাইরে এসে দেখে যে পথিক চলে গিয়েছে। এই অবস্থাতে রাধারাণী অসহায় হয়ে মায়ের কাছে জানতে চায় যে সেই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত।

 

১২) ‘তাহারা দরিদ্র, কিন্তু লোভী নহে’- মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো।

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের জনক, সাহিত্যসম্রাট “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “রাধারাণী” উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদটি আমাদের পাঠ্য “রাধারাণী” স্বরূপ গৃহীত হয়েছে। 

মন্তব্যের ব্যাখ্যাঃ 

রথের মেলা থেকে ফেরার পথে রাধারাণীর সঙ্গে একজনের পরিচয় হয় রাধারাণীকে সাহায্যের জন্য সে তার কাছ থেকে মালা কেনে, তার জন্য কাপড় পাঠানোর ব্যবস্থা করে, এমনকি নিজের ও রাধারাণীর নাম লেখা একটি নোটও তাদের ঘরে রেখে যায়। কিন্তু রাধারাণীরা দরিদ্র হলেও লোভ নয়। সেই ব্যক্তি তাদের জন্য যা দিয়েছিল, তাই যথেষ্ট ছিল। এই উপকারীর উপকারের চিহস্বরূপ সেই নোটটি তারা খরচ করেনি।

 

১৩) ‘নোটখানি তাহারা ভাঙাইল না’- নোটখানি কারা কেন ভাঙাল না ?

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের জনক, সাহিত্যসম্রাট “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “রাধারাণী” উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদটি আমাদের পাঠ্য “রাধারাণী” স্বরূপ গৃহীত হয়েছে। 

নোটখানি যারা ভাঙায়নিঃ 

রাধারাণী আর তার মা পথিকের ফেলে যাওয়া নোটটি ভাঙায়নি। 

নোটখানি না ভাঙানোর কারণঃ 

রাধারাণী এবং তার মা পথিক রুক্মিণীকুমার রায়ের ফেলে যাওয়া নোটটি ভাঙায়নি তার কারণ এর আগে মালার দাম হিসেবে তিনি যে টাকা দিয়েছিলেন তাতেই তাদের প্রয়োজন মিটে গিয়েছিল। নোটটি তাদের প্রয়োজন ছিল না। তাই তারা নোটটি তুলে রাখল। কেননা তারা দরিদ্র হলেও লোভী ছিল না।

 

রাধারাণী গল্প থেকে বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ

১) “তাহারা দরিদ্র, কিন্তু লোভী নহে”- তাৎপর্য লেখো। ৫ 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের জনক, সাহিত্যসম্রাট “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “রাধারাণী” উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদটি আমাদের পাঠ্য “রাধারাণী” স্বরূপ গৃহীত হয়েছে; যেখান থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হরেছে।

তাৎপর্যঃ

রাধারাণী ও তার মা তার পিতার মৃত্যুর পরবর্তিতে জ্ঞাতির কাছে মামলা মোকদ্দমায় পরাজিত হয়ে ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে অসহায়ভাবে জীবন অতিবাহিত করতে বাধ্য হয়। অসুস্থ মায়ের ওষুধ ও পথ্যের জন্য রাধারাণী বনফুলের মালা গেঁথে মাহেশের রথের মেলায় বিক্রি করতে নিয়ে যায়। কিন্তু প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে মালা বিক্রি করতে না পেরে যখন সে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি প্রত্যাবর্তন করছিল তখন তার সাথে এক পথিকের সাক্ষাৎ ঘটে।

তার দুখ-কাহিনি শুনে পথিক তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয় এবং তার থেকে সেই বন ফুলের মালা চার পয়সায় কিনে নেয়।কিন্তু রাধারাণী ঘরে ঢুকে আলো জ্বালিয়ে দেখে যে পথিক তাকে পয়সার পরিবর্তে টাকা প্রদান করেছে। এরপর কাপড়ের ব্যবসায়ী পদ্মলোচন সাহাকে দিয়ে তিনি রাধারাণীর জন্য কাপড়ও কিনে পাঠিয়ে দেন। এরপরে রাধারাণী ঘর ঝার দেবার সময় একটি নোট খুঁজে পায়, যেখানে পথিকের নাম রুক্মিণীকুমার রায় লেখা ছিল এবং সে রাধারাণীর নামও লেখা ছিল।

কিন্তু সেই নোটটি তারা ভাঙায় নি।তারা রুক্মিণীকুমার রায়ের সন্ধান করে এবং তাকে না পেয়ে সেই নোটটি তুলে রাখে, “নোটখানি তাহারা ভাঙাইল্‌ না- তুলিয়া রাখিল।” অর্থের প্রয়োজন তাদের থাকলেও তারা তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করবে না। এর থেকেই তাদের নির্লোভী মানসিকতার পরিচয় আমরা লাভ করি।

 

২) ‘আমরাও ভিখারি হইয়াছি, দান গ্রহণ করিয়া খরচ করি’- বক্তার এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট গল্পাংশ অবলম্বনে আলোচনা করো। 

উৎসঃ

বাংলা সাহিত্যের জনক, সাহিত্যসম্রাট “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “রাধারাণী” উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছদটি আমাদের পাঠ্য “রাধারাণী” স্বরূপ গৃহীত হয়েছে। 

বক্তাঃ

গল্পাংশে রাধারাণীর মা এই উক্তিটি করেছেন।

মন্তব্যের প্রেক্ষাপটঃ 

রাধারাণীর পরিবার একসময় খুবই সম্পন্ন ছিল। কিন্তু রাধারাণীর বাবার মৃত্যুর পরে এক জ্ঞাতির সঙ্গে সম্পত্তি সম্পর্কিত বিবাদে জড়িয়ে গিয়ে, হাইকোর্টে হেরে মামলার খরচ ও ওয়াশিলাত অর্থাৎ ক্ষতিপূরণ দিতে, প্রিভি কাউন্সিলে আবেদন করতে রাধারাণীর মা নিঃস্ব হয়ে যান। রাধারাণীর মা একটা কুটিরে আশ্রয় নিয়ে শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে দিন কাটাতে থাকেন। মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়। উপোস করে দিন কাটানো শুরু হয়। অসুস্থ মায়ের পথ্য সংগ্রহের উদ্দেশে রাধারাণী বনফুলের মালা গেঁথে রথের মেলায় বিক্রি করতে গেলেও বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে যাওয়ায় তার মালা বিক্রি হয় না। ফেরার পথে এক পথিক সব শুনে চার পয়সায় মালাটি কিনে নেয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে পথিককে বাইরে দাড়াতে বলে সে আগুন জ্বালিয়ে যখন দেখে তাকে পয়সার বদলে টাকা দেওয়া হয়েছে, তখন বাইরে বেরিয়ে সে পথিককে খুঁজে পায় না | বিভ্রান্ত হয়ে রাধারাণী তার মায়ের কাছে পরামর্শ চাইলে মা বলেন যে, দাতা অর্থ দিয়েছেন এবং দরিদ্র বলেই তাদের তা গ্রহণ করে খরচ করা ছাড়া অন্য উপায় নেই |

 

রাধারাণী গল্প থেকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বড়ো প্রশ্নের উত্তর শুধুমাত্র শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সাবস্ক্রাইবারদের জন্যঃ  

রাধারাণী রচনাংশ অবলম্বনে সেকালের সমাজজীবনের পরিচয় দাও।

‘রাধারানী’ গল্প অনুসারে রাধারানীর চরিত্র আলোচনা করো। ৫ 

উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

নবম শ্রেণির সকল বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক PDF NOTE দেখতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করো 

bangla pdf note

নবম শ্রেণি বাংলা নোটঃ 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

You cannot copy content of this page

Need Help?