“ভাঙার গান” কবিতা থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নোটে টাচ/ক্লিক করে সেই বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।
‘ভাঙার গান’ কবিতা থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ MCQ ও SAQ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলোঃ
১) কাজী নজরুল ইসলামকে বলা হয়- বিদ্রোহী কবি
২) ‘ভাঙার গান’ কবিতাটির রচনাকাল- ১৯২২ খ্রিঃ
৩) ‘ভাঙার গান’ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে- ভাঙার গান
৪) যে নেতার বন্দিদশায় কবি ‘ভাঙার গান’ কবিতাটি রচনা করেন- দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ
৫) ‘ভাঙার গান’ যে চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত হয়েছে- জীবন থেকে নেওয়া
৬) ‘কারা’ বলতে বোঝায়- জেলখানা
৭) ‘লৌহ-কপাট’ বলতে বোঝায়- লোহার দরজা
৮) শিকল পূজার পাষাণ বেদিতে জমাট বেঁধে আছে- রক্ত
৯) “ওরে ও ________ ঈষাণ”- তরুণ
১০) ‘বিষাণ’ শব্দটির অর্থ হল- শিঙা
১১) ‘নিশান’ শব্দের অর্থ হল- পতাকা
১২) বাজনা বাজবে- গাজনের
১৩) গাজন অনুষ্ঠিত হয় যে মাসে- চৈত্র
১৪) যার ফাঁসির কথা শুনে কবির হাসি পায়- ভগবান
১৫) পাগলা ভোলাকে যা দিতে বলা হয়েছে- প্রলয় দোলা
১৬) “মার হাঁক”- কেমন ‘হাঁক’?- হৈদরী
১৭) হৈদরী হাঁক হলো- উচ্চস্বরে ডাক
১৮) মৃত্যুকে ডাকবে- জীবন পানে
১৯) “নাচে ওই ______”- কাল- বোশেখি
২০) তালা যেভাবে ভাঙতে বলা হয়েছে- লাথি মেরে
‘ভাঙার গান’ কবিতা থেকে বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ
১) “ওরে ও পাগলা ভোলা”- কবি কাদের কেন ‘পাগলা ভোলা’ বলেছেন? তাদের উদ্দেশ্যে কবির বার্তা কী? ২+৩=৫
উৎসঃ
বিদ্রোহী কবি “কাজী নজরুল ইসলাম” রচিত “ভাঙার গান” গ্রন্থের “ভাঙার গান” কবিতাটি কবি রচনা করেন ১৯২১ খ্রিঃ ডিসেম্বর মাসে।
যাদের পাগলা ভোলা বলা হয়েছেঃ
বিদ্রোহী কবি ইংরেজদের কারাগারে বন্দি বিপ্লবীদের প্রশ্নোক্ত অংশে ‘পাগলা ভোলা’ বলে সম্বোধিত করেছেন।
পাগলা ভোলা বলার কারণঃ
মহাদেব শিব ‘পাগলা ভোলা’ নামে পরিচিত। ধ্বংসের মাধ্যমে নতুনের সৃষ্টিকারী প্রলয়ংকর শিবের শক্তিতে কবি ইংরেজদের বন্দিশালায় আবদ্ধ বিপ্লবীদের উদবুদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন। দেবাদিদেব মহাদেবের মতোই তরুণ বিপ্লবীরা পরাধীনতার শৃঙ্খলের আগল ভেঙে দিয়ে স্বাধীনতার নব সূর্যদ্বয় ঘটাবে বলেই কবি প্রশ্নোক্ত উপমাটির সার্থক ব্যবহার করেছেন।