
ভাষাবৈচিত্র্য ও বাংলা ভাষা থেকে এখানে বিবিধ নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট লিংকে টাচ/ক্লিক করে সেই বিষয়ের নোটগুলি দেখতে পারবে।
একাদশ শ্রেণির বাংলা বিষয়ে ভাষা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ভাষা অংশের একটি বিভাগ হলো বিশ্বের ভাষা ও ভাষা পরিবার। একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় তোমাদের ভাষা থেকে MCQ, SAQ ও ৫ নম্বরের বড়ো প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। একাদশ শ্রেণিতে বাংলা বিষয়ে ভালো ফলাফল করতে এই অংশটি খুব ভালো করে তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এখানে বিশ্বের ভাষা ও ভাষা পরিবার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন ও তাদের উত্তর প্রদান করা হলো।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু MCQ প্রশ্নের উত্তরঃ
১) ভাষার আঞ্চলিক রূপকে বলা হয়- উপভাষা
২) বাংলা ভাষায় উপভাষার সংখ্যা- পাঁচটি
৩) কলকাতায় যে আঞ্চলিক উপভাষা প্রচলিত তাঁর নাম- রাঢ়ী
৪) অভিশ্রুতি যে উপভাষার বৈশিষ্ট্য- রাঢ়ী
৫) বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের প্রধান উপভাষা- রাঢ়ী
৬) রাঢ়ী উপভাষার সঙ্গে সাদৃশ্য দেখা যায়- বরেন্দ্রী উপভাষার
৭) বরেন্দ্রী উপভাষা প্রচলিত আছে- দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, রাজশাহিতে
৮) অপিনিহিতির ব্যবহার বেশি দেখা যায়- বঙ্গালী উপভাষায়
৯) যে যে বাংলা উপভাষাগুলির মধ্যে বিস্তার খুব বেশি সেগুলি হল- রাঢ়ী ও বঙ্গালী
১০) বাংলাদেশের ঢাকা অঞ্চলে যে উপভাষা প্রচলিত তা হল- বঙ্গালী
১১) বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় যে উপভাষা প্রচলিত তা হল- বঙ্গালী
১২) জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় প্রচলিত- কামরূপী উপভাষা
১৩) কামরূপী উপভাষার অপর নাম- রাজবংশি
১৪) ঝাড়খন্ডী উপভাষার নামকরণ করেছেন- ডঃ সুকুমার সেন
১৫) একই উপভাষা যখন সমগ্র উপভাষা অঞ্চলে মান্যতা পায়, তখন তাকে বলে- মান্য উপভাষা
১৬) মান্য বাংলা ভাষা যে আঞ্চলিক উপভাষা নিয়ে তৈরি হয়েছে তা হল- রাঢ়ী
১৭) এক-একটি উপভাষার অভ্যন্তরের আঞ্চলিক পার্থক্যকে বলে- বিভাষা
১৮) উনিশ শতকে লিখিত ভাষা ছিল- সাধুভাষা
১৯) ‘সাধুভাষা’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন- রামমোহন রায়
২০) সাধুভাষার রূপ গড়ে তুলেছিলেন- মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালংকার
২১) ‘বেদান্ত গ্রন্থ’-এর লেখক হলেন- রামমোহন রায়
২২) ‘আলালের ঘরের দুলাল’ গ্রন্থের লেখক হলেন- প্যারীচাঁদ মিত্র
২৩) যে পত্রিকাকে অবলম্বন করে চলিতভাষা সাহিত্যের অঙ্গনে স্থান পায়- সবুজপত্র
২৪) তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের প্রাধান্য রয়েছে এমন ভাষারীতি- সাধু
২৫) মান্য চলিত ভাষাও শেষ পর্যন্ত একটি- উপভাষা
……. শিক্ষালয়ের পক্ষ থেকে কিছু দিন অন্তর অন্তর এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হবে। শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের আপডেটগুলি পেতে নিয়মিত ফলো করো শিক্ষালয় ওয়েবসাইটটিকে।
বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ
১) সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্যগুলি কী কী?
উত্তরঃ
বাংলা গদ্য ভাষাকে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। যথা- সাধু ভাষা এবং চলিত ভাষা।
সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্যঃ
সাধু ভাষা এবং চলিত ভাষার পার্থক্যগুলি ক্রমান্বয়ে আলোচিত হল-
♣ সাধুভাষায় তৎসম অর্থাৎ সংস্কৃত শব্দ বেশি ব্যবহার করা হয়। চলিত ভাষায় তদ্ভব শব্দের সংখ্যাই বেশি ব্যবহৃত হয়।
♣ সাধুভাষায় সর্বনামের পূর্ণরূপ ব্যবহার করা হয়। যেমন– তাহার, যাহার ইত্যাদি। কিন্তু চলিত ভাষায় সর্বনামের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করা হয়। যেমন– তার, যার ইত্যাদি।
♣ সাধুভাষায় ক্রিয়াপদের পুর্ণরূপ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু চলিত ভাষায় ক্রিয়াপদের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহৃত হয়। যেমন– যাইতেছেন (সাধু ভাষা), যাচ্ছেন (চলিত ভাষা)।
♣ সাধুভাষায় বাক্যের পদবিন্যাস হয় কর্তা–কর্ম–ক্রিয়া। কিন্তু চলিত ভাষায় এই নিয়ম সর্বদা মানা হয় না। যেমন– গানটা গেয়ে শোনাও তো আমাকে তুমি (চলিত)।
♣ সাধুভাষায় সমাসবদ্ধ পদের সংখ্যা বেশি। কিন্তু চলিত ভাষায় সমাসবদ্ধ পদের অনেক কম। আপাদমস্তক (সাধু ভাষা)।
♣ সাধুভাষায় বানানের ক্ষেত্রে শব্দের মূলরূপটি মেনে চলা হয়। কিন্তু চলিত ভাষায় তৎসম শব্দগুলির বানানও হ্রস্ব হয়ে যায়। যেমন– পাখি, রুপো ইত্যাদি (চলিত ভাষা)।
সুতরাং, আলোচনার মাধ্যমে আমরা সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার প্রধান পার্থক্যগুলি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে পারলাম।
ভাষাবৈচিত্র ও বাংলা ভাষা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের (SAQ) উত্তর।
উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে