অদল বদল গল্পের প্রশ্ন উত্তর

অদল বদল গল্পের প্রশ্ন উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা অদল বদল গল্পের প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই অদল বদল গল্পের প্রশ্ন উত্তর সমাধানের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য অদল বদল গল্প সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভে সমর্থ হবে। শিক্ষার্থীরা এই অদল বদল গল্পের প্রশ্ন উত্তর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

অদল বদল গল্পের প্রশ্ন উত্তরঃ  

অদল বদল গল্পের MCQ প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) ‘হোলির দিনের পড়ন্ত বিকেল’- হোলি যে ঋতুতে হয়- বসন্ত

২) ‘পড়ন্ত’ শব্দের অর্থ হল- শেষ হয়ে আসছে এমন

৩) পান্নালাল প্যাটেল ছিলেন- গুজরাটি ভাষার লেখক

৪) নিম গাছের নীচে গাঁয়ের একদল ছেলে জড়ো হয়ে খেলছিল- ধুলো ছোড়াছুড়ি

৫) ‘অদল বদল’ গল্পের দুই বন্ধু হল- অমৃত ও ইসাব

৬) অমৃত ও ইসাবের কাছে নতুন যে জিনিসটি ছিল- জামা

৭) অমৃত ও ইসাব পড়ত- একই স্কুলে একই ক্লাসে

৮) দুজনের বাবা পেশায় ছিলেন- চাষি

৯) অমৃতের ছিল- বাবা-মা দু’জনই 

১০) ইসাবের বাড়িতে ছিল- শুধু বাবা

১১) দুজনের একরকম পোশাক দেখে অমৃত ও ইসাবকে বলা হয়েছিল- কুস্তি করতে

১২) অমৃত তার বাবা-মাকে জ্বালিয়েছিল- নতুন জামার জন্য

১৩) ‘শোনামাত্র অমৃত ফতোয়া জারি করে দিল’- ‘ফতোয়া’ শব্দের অর্থ হল- বিধান 

১৪) ‘তাহলে তোমার কপালে কী আছে মনে রেখো’- এখানে কপালে আছে বলতে বলা হয়েছে- প্রহার

১৫) ইসাবের জামা ছিঁড়ে যাবার কারণ- তাকে খেতে কাজ করতে হত

১৬) ‘ও মরিয়া হয়ে বলল’- এখানে ‘ও’ হল- অমৃত

১৭) অমৃত যেখানে লুকিয়ে ছিল- ইসাবের বাবার গোয়ালঘর

১৮) ‘এরপর উনি গিয়ে ইসাবের বাবার গোয়ালঘর থেকে লুকিয়ে থাকা অমৃতকে বাড়ি নিয়ে এলেন’- উনি বলতে বোঝানো হয়েছে- অমৃতের মা

১৯) অমৃত একেবারেই গররাজি ছিল- ইসাবের সঙ্গে কুস্তি লড়তে

২০) ছেলেছোকরার দঙ্গল অমৃতকে কুস্তির উদ্দেশ্যে নিয়ে গেল- খোলা মাঠে

২১) যে ছেলেটি অমৃতকে কুস্তি লড়তে ডেকেছিল- কালিয়া

২২) ‘ইসাবের মেজাজ চড়ে গেল’- কারণ- ইসাব অমৃতকে খুব ভালোবাসত

২৩) ‘সবাই যে যেদিকে পারে পালিয়ে গেল’- কারণ- কালিয়ার বাবা-মা তাদের মারবে

২৪) ইসাবের জামার কাপড় ছিঁড়ে গিয়েছিল- ছ’ইঞ্চি 

২৫) ‘ওরা ভয়ে কাঠ হয়ে গেল’- ওদের ভয় পাওয়ার কারণ- বাবার হাতে মার খাওয়া

২৬) ‘এমন সময়ে শুনতে পেল’- ইসাবের বাবা ইসাবকে ডাকছেন

২৭) গ্রাম প্রদান তাদের নাম দিয়েছিলেন- অদল বদল

২৮) অমৃতের নাম হয়েছিল- অদল

২৯) ইসাবের নাম হয়েছিল- বদল 

৩০) গল্পে উল্লিখিত খাঁটি জিনিসটি হল- মায়ের ভালোবাসা

৩১) অমৃতের মাকে ডাকা হয়েছে যা বলে- বাহালি বৌদি 

৩২) ইসাবের বাবার নাম- হাসান 

৩৩) অদল বদল গল্পটি বাংলায় তর্জমা করেছেন- অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত

৩৪) ‘একটা বুদ্ধি খেলে গেল’- বুদ্ধি খেলেছিল যার মাথায়- অমৃত 

৩৫) ইসাবের জামার পকেট ছিঁড়েছিল- কালিয়া 

উপরের প্রশ্নের উত্তরগুলি কতোটা তৈরি হয়েছে তা যাচাই করতে নিম্নের MCQ TEST -টি প্রদান করো

অদল বদল MCQ TEST

অদল বদল গল্পের SAQ প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) ‘সব দিক থেকেই একরকম।’ – কোন্ বিষয়ে একরকম?

উঃ অমৃত ও ইসাব হোলির দিনে যে নতুন জামাগুলি পরেছিল সেগুলির রঙ, মাপ ও কাপড় একরকম ছিল।

 

২) ‘তফাত শুধু এই যে’- কী বিষয়ে তফাত?

উঃ অমৃতের বাবা-মা এবং তিন ভাই ছিল কিন্তু ইসাবের বাবা ছাড়া আর কেউ ছিল না।

 

৩) ‘মা ওকে অনেক বুঝিয়েছিল’ – কী বলে বুঝিয়েছিল?

উঃ অমৃতের মা অমৃতকে বুঝিয়েছিল যে, ইসাবকে ক্ষেতে কাজ করতে হয় বলে তার জামা ছিঁড়ে গেছে কিন্তু অমৃতের জামাটা প্রায় নতুনের মতো আছে।

 

৪) ‘ও স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিল’ – কেন এমন করেছিল?

উঃ ইসাবের মতো জামা না পেয়ে অমৃত স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।

 

৫) ‘ইসাবের মেজাজ চড়ে গেল।’ -কী কারণে তার মেজাজ চড়ে ছিল?

উঃ কারণ, কালিয়া একপ্রকার জোর করেই অমৃতের সঙ্গে কুস্তি শুরু করে দিয়েছিল।

 

৬) ‘কিন্তু আমাকে বাঁচানোর জন্য তাে আমার মা আছে।’ – কেন এই উক্তি?

উঃ ইসাবের ছেঁড়া জামা দেখে তার বাবা তাকে মারলে বাঁচাবার মতো কেউ ছিল না। কিন্তু অমৃত জানতো যে, তার বাবা তাকে মারলে মা গিয়ে তাকে বাঁচাবে। 

 

৭) ‘ছেলেরাও কী ঘটেছে জেনে চ্যাঁচাতে লাগল।’- কী বলে ছেলেরা চ্যাঁচাচ্ছিল?

উঃ ছেলেরা ‘অদল-বদল, অদল-বদল’ বলে চ্যাঁচাচ্ছিল।

 

৮) কোন্ ঘটনার জন্য ইসাবের বাবা অমৃতকে জড়িয়ে ধরেছিল?

উঃ ইসাবের বাবা অমৃত-ইসাবের জামা অদল-বদলের ঘটনার সাক্ষী ছিল। সেইজন্য সে অমৃতকে জড়িয়ে ধরেছিল।

 

৯) “পাঠানের গল্প শােনার জন্য ঘিরে দাঁড়াল।” – কারা ঘিরে দাঁড়াল?

উঃ পাড়াপড়শী মায়ের দল ঘিরে দাঁড়াল।

 

১০) ‘অমৃতের জবাব আমাকে বদলে দিয়েছে।’ – কোন জবাব?

উঃ ইসাবের প্রশ্নের উত্তরে অমৃত জবাব দিয়েছিল যে তার বাড়িতে মা আছে এবং তার বাবা তাকে মারতে এলে মা গিয়ে বাঁচাবে। এখানে এই জবাবের কথা বলা হয়েছে।

 

১১) ‘গল্প শুনে তাঁদেরও বুক ভরে গেল।’ – কে কোন্ গল্প বলেছিল?

উঃ ইসাবের বাবা ইসাব ও অমৃতের জামা অদল-বদলের গল্প বলেছিল।

 

১২) ‘উনি ঘােষণা করলেন’- কী ঘােষণা করেছিলেন?

উঃ উনি অর্থাৎ গ্রাম-প্রধান ঘোষণা করেছিলেন যে, এরপর থেকে অমৃতকে অদল এবং ইসাবকে বদল বলে ডাকা হবে।

 

১৩) ‘এই আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠল।’ – কোন্ আওয়াজের কথা বলা হয়েছে?

উঃ ‘অমৃত-ইসাব অদল বদল, অদল বদল’- এই আওয়াজের কথা বলা হয়েছে।

 

১৪) ‘অদলবদল’ গল্পটি কে বাংলায় তর্জমা করেন।

উঃ ‘অদলবদল’ গল্পটি বাংলায় তর্জমা করেন অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত।

 

১৫) ‘তা দুজনকে কী করে সামলাবেন?’- এখানে কোন দুজনের কথা বলা হয়েছে?

উঃ এখানে দুজন বলতে অমৃত এবং ইসাবের কথা বলা হয়েছে।

 

১৬) ‘সে ওদের আনন্দ মাটি করার জন্য বলল’- ‘সে’ কে?

উঃ একটি ছেলে ওদের জামা বদলানো দেখেছিল। ‘সে’ বলতে এখানে তার কথা বলা হয়েছে।

 

১৭) ‘সে ওদের আনন্দ মাটি করার জন্য বলল’- সে কী বলল?

উঃ সে বলল, ‘তোরা অদল-বদল করেছিস, হুম্।’

 

১৮) ‘এখন ব্যাপারটা ঘোরালো হয়ে পড়েছে’- কোন ব্যাপারের কথা বলা হয়েছে?

উঃ কালিয়া ও ইসাবের কুস্তির কথা বলা হয়েছে।

 

১৯) ‘ওরা ভয়ে কাঠ হয়ে গেল’- ওরা কেন ভয়ে কাঠ হয়ে গেল?

উঃ ওরা অর্থাৎ অমৃত আর ইসাব ভয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিল; কারণ কালিয়ার সঙ্গে কুস্তি লড়তে গিয়ে ইসাবের জামার পকেট ও ছ’ইঞ্চি পরিমাণ কাপড় ছিঁড়ে গিয়েছিল। 

 

২০) ‘হঠাৎ অমৃতের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল’- বুদ্ধিটা কীরকম ছিল? 

উঃ অমৃত ইসাবের ছেঁড়া জামাটা পরে নিজেরটা ইসাবকে দিয়েছিল।  

 

২১) হোলির দিনের কোন্ সময়ের কথা গল্পে তুলে ধরেছেন লেখক?

উঃ হোলির দিনের পড়ন্ত বিকেলের কথা গল্পে তুলে ধরেছেন লেখক।

 

২২) নিমগাছের নীচে একদল ছেলে জড়ো হয়ে কী করছিল ?

উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে নিমগাছের নীচে গায়ের একদল ছেলে জড়ো হয়ে ধুলো ছোড়াছুড়ি খেলছিল।

 

২৩) হাত ধরাধরি করে কারা গ্রামের ছেলেদের কাছে এল ?

উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে হাত ধরাধরি করে অমৃত ও ইসাব গ্রামের ছেলেদের কাছে এল।

 

২৪) “সব দিক থেকেই একরকম।”—কী সবদিক থেকে একরকম?

উঃ ইসাব আর অমৃতের গায়ের জামার রং, মাপ ও কাপড় সবদিক থেকেই একরকম।

 

২৫) অমৃতের বাড়িতে বাবা-মা ও অমৃত ছাড়া আর কে আছে?

উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃতের বাড়িতে বাবা-মা ও অমৃত ছাড়া আর তিন ভাই রয়েছে।

 

২৬) ইসাবের বাড়িতে ইসাব ছাড়া আর কে আছে?

উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে ইসাবের বাড়িতে ইসাব ছাড়া আর তার বাবা আছে।

 

২৭) ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে ইসাবের কী হয়েছে?

উঃ পান্নালাল প্যাটেলের ‘অদল বদল’ গল্পে গরিব চাষির ছেলে ইসাব ক্ষেতে কাজ করতে যায়, তাই তার জামা ছিড়ে যায়।

 

২৮) অমৃত তার জামাটি কীভাবে ছিঁড়ে ফেলে?

উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃতকে তার মা জামা দেয় না। তাই সে তার জামার একটা ছেড়া জায়গায় আঙুল ঢুকিয়ে আরও ছিড়ে ফেলে।

 

২৯) অমৃত জামা পাওয়ার জন্য শেষ পর্যন্ত কী করতে রাজি ছিল?

উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে দেখা যায়, জামা পাওয়ার জন্য অমৃত শেষ পর্যন্ত মার খেতেও রাজি হয়।

 

৩০) “শোনা মাত্র অমৃত ফতোয়া জারি করে দিল…।”—অমৃত কী ফতোয়া জারি করেছিল?

উঃ অমৃত ফতোয়া জারি করেছিল যে, ঠিক ইসাবের মতো জামাটি না-পেলে সে স্কুলে যাবে না।

 

৩১) “মা ওকে অনেক বুঝিয়েছেন…।”—কার মা, কাকে, কী বুঝিয়েছেন?

উঃ অমৃতের মা অমৃতকে বুঝিয়েছেন যে, ইসাবকে খেতে কাজ করতে হয় বলে তার জামা ছিড়ে গেছে, কিন্তু তারটা তো প্রায় নতুনই রয়েছে।

 

৩২) “অমৃত এতেও পিছপা হতে রাজি নয়।”—এতেও’বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উঃ ‘এতেও’বলতে নতুন জামা নেওয়ার ব্যাপারে অমৃতের মার হাতে অমৃতের মার খাওয়ার কথাকে বোঝানো হয়েছে।

 

৩৩) “কিন্তু অত সহজে হাল ছাড়ার পাত্রও সে নয়।”—হাল না ছেড়ে সে কী কী করেছিল ?

উঃ হাল না-ছেড়ে সে স্কুলে যাওয়া বন্দ করে দিল, খাওয়া ছেড়ে দিল এবং রাত্রে বাড়ি ফিরতে রাজি হল না।

 

৩৪) সুন্দর সাজগোজ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অমৃতের কী ইচ্ছে হয়নি?

উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পের অন্যতম চরিত্র অমৃত। সুন্দর সাজগোজ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে জামাকাপড় নোংরা করতে তার ইচ্ছে হয়নি।

 

৩৫) “কালিয়া জিতেছে, অমৃত হেরে গেছে, কী মজা, কী মজা।”—এ কথা কে বলেছে?

উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে ছেলের দল আনন্দে চিৎকার করে এ কথা বলেছে।

 

৩৬) অমৃতকে যখন তার বাবা মারতে যায়, তখন তাকে কে বাঁচায়?

উঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃতকে যখন তার বাবা মারতে যায়, তখন তাকে তার মা বাঁচায়।

 

৩৭) ইসাবের বাবা বাড়ির সামনের দাওয়ায় বসে কী করছিলেন?

উঃ ইসাবের বাবা বাড়ির সামনের দাওয়ায় খাটিয়ায় বসে হুঁকো খাচ্ছিলেন।

 

৩৮) অমৃত ও ইসাবের ভালোবাসার গল্প শুনে গ্রামবাসীর প্রতিক্রিয়া কীরূপ হয়?

উঃ অমৃত ও ইসাবের ভালোবাসার গল্প শুনে গ্রামবাসীদের বুক গর্বে ভরে যায়।

 

৩৯) “ওদের তখন বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হওয়ার জোগাড়…।”- ওদের বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল কেন?

উঃ ওদের বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল কারণ, ওরা জানে ইসাবের বাবা ছেড়া শার্ট দেখা মাত্র ওর গায়ের চামড়া তুলে নেবেন।

 

৪০) “কিন্তু ওর কপাল ভালো…।”—কার, কী কারণে কপাল ভালো ছিল?

উঃ অমৃতের কপাল ভালো ছিল, কারণ দিনটা ছিল হোলির দিন, তাই সে সময় সবাই জানে কিছুটা ধস্তাধস্তি টানাটানি হয়েই থাকে।

 

৪১) “উনি ভুরু কুঁচকোলেন।”—কে, কেন ভুরু কুঁচকেছিলেন?

উঃ অমৃতর মা অমৃতর ছেড়া জামা দেখে ভুরু কুঁচকেছিলেন।

 

৪২) “এতে দুজনেরই ভয় কেটে গেল…।”—ভয় কেটে যাওয়ায় তারা কী করল? 

উঃ ভয় কেটে যাওয়ায় তারা আবার হাত ধরাধরি করে গ্রামের ধারে হোলির সময়কার বাজি আর বুড়ির বাড়ি পোড়ানো দেখতে গেল। 

 

৪৩) “আবেগ ভরা গলায় হাসান বললেন…।”—আবেগ ভরা গলায় হাসান ভাই কী বলেছিলেন?

উঃ আবেগভরা গলায় হাসান ভাই বলেছিলেন, অমৃতের মতো ছেলে পেলে তিনি একুশ জনকেও পালন করতে রাজি আছেন। 

 

অদল বদল গল্পের সংক্ষিপ্ত (৩ নম্বরের) প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) ‘ছেলেদুটোর সবই একরকম, তফাত শুধু এই যে’- ছেলে দুটি কে কে ? তাদের মধ্যে তফাত কোথায় ? 

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

ছেলে-দুটোর পরিচয়ঃ 

এখানে ছেলেদুটো বলতে অমৃত ও ইসাব নামের দুই হরিহর আত্মা বন্ধুর কথা বলা হয়েছে।

তাদের মধ্যে থাকা তফাৎঃ 

গ্রামের দুটি ছোট ছেলে অমৃত ও ইসাবের মধ্যে বন্ধুত্ব প্রগাঢ়। তারা একই স্কুলে, একই ক্লাসে পড়ে। রাস্তার মোড়ে তাদের সমনা-সামনি তাদের বাড়ি, তাদের দুজনের বাবাই পেশায় চাষি, তাদের জমির পরিমাণও প্রায় এক, কিন্তু তাদের মধ্যে তফাত কেবল একটি জায়গায়; ইসাবের পরিবারে কেবলমাত্র তার বাবা আছেন, অপরদিকে অমৃতের পরিবারে মা-বাবা এবং তিন ভাই রয়েছে।

 

২) ‘ও স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিল’- ‘ও’ কে ? স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছিল কেন ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

‘ও’ বলতে যাকে বোঝানো হয়েছেঃ 

এখানে ‘ও’ বলতে গল্পের প্রধান দুই চরিত্রের অন্যতম অমৃতের কথা বলা হয়েছে।

স্কুলে যাওয়া বন্ধ করার কারণঃ 

ইসাবের জামা ছিঁড়ে যাবার কারণে এবং অনেক বায়না ও মার সহ্য করে ইসাব একটি নতুন জামা হাতে পেয়েছে। এরফলে তার বন্ধু অমৃত তার বাড়িতে নতুন জামা কিনে দেবার কথা বলে। কিন্তু অমৃতের মা নতুন জামা কিনে দিতে রাজী না হলে, অমৃত হাল না ছেড়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এটাই ছিল অমৃতের স্কুলে না যাওয়ার কারণ।

 

৩) ‘অমৃত সত্যি তার বাবা-মাকে খুব জ্বালিয়েছিল’- অমৃতের এরূপ আচারণের কারণ ব্যাখ্যা করো।

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

অমৃতের আচরণের কারণঃ 

অমৃত ও ইসাবের বন্ধুত্ব ছিল গভীর। দুই বন্ধুর রুচিগত ও মানসিকতার মিলও ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই কারণে ইসাব নতুন জামা কিনলে অমৃতও বায়না জুড়েছিল, তারও ওই একই রকম নতুন জামা চাই। অমৃতের মা ছেলের এই আবদারকে প্রশ্রয় দিতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু ইসাবের মতো জামা কেনার ইচ্ছে অমৃতকে এতটাই তাড়িত করেছিল যে, সে কোনো কথা শুনতে রাজি ছিল না। এই কারণেই অমৃত তার বাবা-মাকে খুব জ্বালিয়েছিল।

 

৪) ‘অমৃত এতেও পিছপা হতে রাজি নয়’- অমৃত কখন কেন পিছপা হতে রাজি হয়নি ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

অমৃতের পিছপা হতে না চাওয়ার কারণঃ 

অমৃত তার বন্ধু ইসাবের মতো নতুন জামা নেবে বলে মায়ের কাছে বায়না জুরেছিল। কিন্তু অমৃতের মা ছেলেকে অকারণে নতুন জামা কিনে দিতে রাজি ছিলেন না এবং নানাভাবে তাকে বিরত করার চেষ্টা করছিলেন। শেষে বাধ্য হয়েই তিনি বলেছিলেন, ইসাব নতুন জামা পাওয়ার জন্য বাবার হাতে মার খেয়েছিল, তাই সে-ও কি একইভাবে মার খেতে প্রস্তুত? অমৃত তখন জামা কিনতে অত্যন্ত উদ্‌গ্রীব ছিল বলে মায়ের এই প্রস্তাবেও সে সায় দিয়েছিল।

 

৫) ‘ইসাবের সঙ্গে কুস্তি লড়তে তো একেবারেই গররাজি’- কে কেন কুস্তি লড়তে ‘গররাজি’ ছিল ? 

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

উদ্দিষ্ট ব্যক্তিঃ 

এখানে ইসাবের বন্ধু অমৃতের কথা বলা হয়েছে।

তার ‘গররাজি’ হবার কারণঃ

ইসাব এবং অমৃত ছিল ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দোলের দিন তারা, তাদের নতুন জামা পরে ঘুরতে বেড়লে তাদের কিছু বন্ধু কুস্তি লড়ার কথা বলে। তারা নতুন জামা পরে ছিল এবং তারা খুব ভালো বন্ধু বলে তারা কোনমতেই একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতে চায় নি। এই কারণেই, অমৃত ইসাবের সঙ্গে লড়তে রাজী ছিল না।

 

৬) ‘হঠাৎ অমৃতের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল’- অমৃতের মাথায় কী বুদ্ধি খেলে গিয়েছিল ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

অমৃতের মাথায় খেলে যাওয়া বুদ্ধিঃ 

দোলের দিন অমৃত ও ইসাব একই ধরণের দুটি জামা পরে বেড়াতে বেরিয়েছিল। কিন্তু পথে অন্য ছেলেদের সাথে মারামারির ফলে ইসাবের জামার পকেট ছিঁড়ে যায়। ইসাবের বাবা ছিলেন রাগি প্রকৃতির, ইসাবের নতুন জামা অকারণে ছিঁড়ে গেছে জানতে পারলে তিনি ইসাবকে মারবেন এই আশঙ্কায় ইসাব ভয় পায়। এই সময়ে অমৃতের মাথায় একটি বুদ্ধি আসে, যেহেতু তাদের দুজনের জামা একই রকমের তাই অমৃত নিজের জামা ইসাবের সাথে পরিবর্তন করে নিতে চায়, যাতে ইসাবের বাবা জামা ছেঁড়ার কথা বুঝতে না পারেন।

 

৭) ‘কিন্তু আমাকে বাঁচানোর জন্য তো আমার মা আছে’ – কার উক্তি ? উক্তিটির মধ্য দিয়ে তার চরিত্রের কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

বক্তাঃ 

উদ্ধৃত মন্তব্যটির বক্তা অমৃত। 

উক্তির আলোকে বক্তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যঃ 

দোলের দিন মারামারির ফলে ইসাবের জামার পকেট ছিঁড়ে যায়, বাড়িতে বাবার হাতের মারের থেকে বাঁচানোর জন্য অমৃত নিজের জামা ইসাবের সাথে বদল করতে চায়। ইসাব এর পরিবর্তে বলে যে, ছেঁড়া জামা দেখলে অমৃতকেও তার বাড়িতে শাস্তি পেতে হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই অমৃত ইসাবকে বলে যে তার মা আছে, ফলে বাড়িতে ইসাবের মতো তাকে বকুনি খেতে হবে না। এই কথার মধ্য দিয়ে অমৃতের বন্ধুবৎসলতা এবং সহমর্মীতার দিকটি সুপ্রকাশিত হয়েছে।

 

৮) ‘উনি দশ বছরের অমৃতকে জড়িয়ে ধরলেন’- ‘উনি’ কে ? কেন অমৃতকে উনি জড়িয়ে ধরলেন ? 

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

‘উনি’ বলতে যাকে বোঝানো হয়েছেঃ  

এখানে ‘উনি’ বলতে ইসাবের বাবার কথা বলা হয়েছে।

অমৃতকে জড়িয়ে ধরার কারণঃ 

মারামারির ফলে ইসাবের জামা ছিঁড়ে গেলে ইসাব যাতে বাড়িতে বাবার কাছে মার না খায়, তাই অমৃত ও ইসাব জামা অদল বদল করে। আড়াল থেকে অমৃতের এই ঘটনা ইসাবের বাবা লক্ষ্য করে। অমৃতের উদার ব্যবহার এবং বন্ধুপ্রীতি তার কঠিন মনকে প্রভাবিত করে দেয় এবং তিনি আনন্দে অমৃতকে জড়িয়ে ধরেন।

 

৯) ‘অমৃতের অত জোর দিয়ে বলার কারণ ছিল’- অমৃত জোর দিয়ে কী বলেছিল ? তার জোর দেবার কারণ কী ছিল ? 

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

অমৃত জোর দিয়ে যা বলেছিলঃ 

অমৃত জোর দিয়ে বলেছিল যে, সে কুস্তি লড়তে চায় না।

তার জোর দেবার কারণঃ 

অমৃত অনেক কষ্ট, অনেক সাধ্যসাধনা করে বাবার কাছ থেকে ইসাবের মতো নতুন জামা পেয়েছিল। বাড়ি থেকে বেরোবার সময় তার মা তাকে সাবধান করে দিয়েছিলেন যে, সে যদি নতুন জামাটি ময়লা করে অথবা ছিঁড়ে ফেলে তাহলে তার কপালে অশেষ দুঃখ আছে। এই কারণেই অমৃত জোর দিয়ে তার অনীহা জ্ঞাপন করেছিল।

 

১০) ‘তামাশা করে হলেও এখন ব্যাপারটা ঘোরালো হয়ে পড়েছে’- কোন ব্যাপার, কীভাবে ‘ঘোরালো’ হয়ে পড়েছিল ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

ব্যাপারটির পরিচয়ঃ 

হোলির দিন পড়ন্ত বিকেল বেলা নতুন জামাকাপড় পরে অমৃত ও ইসাব বাইরে বেরোলে কিছু ছেলে তাদের পরস্পরকে কুস্তি লড়তে নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারা সেই নির্দেশ অমান্য করে।

ব্যাপারটি যেভাবে ‘ঘোরালো’ হয়ে পড়েঃ

কালিয়া নামের একটি ছেলে অমৃতকে খোলা মাঠে এনে মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয়। বন্ধুর এরূপ অসহায়তা দেখে ইসাব চুপ করে না থেকে কালিয়াকে কুস্তি লড়তে বলে এবং লড়াইয়ের শুরুতে তাকে ল্যাং মারতেই কালিয়া হাত-পা ছড়িয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে চ্যাঁচাতে থাকে। এইভাবে তামাশা বা মজার ছলে কুস্তিপর্বটি আরম্ভ হলেও ধীরে ধীরে তা জটিল বা ‘ঘোরালো’ আকার ধারণ করেছিল। 

 

১১) ‘এই বলে সে অমৃতকে খোলা মাঠে নিয়ে এল’- অমৃতকে কেন খোলা মাঠে আনা হয়েছিল ? খোলা মাঠে আনার পর কী ঘটনা ঘটেছিল ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

অমৃতকে খোলা মাঠে আনার কারণঃ

কালিয়া নামের একটি ছেলে চেয়েছিল অমৃতের সঙ্গে কুস্তি লড়তে। অমৃত রাজি না হলেও সে তাকে কুস্তি লড়ার জন্য খোলা মাঠে নিয়ে এসেছিল।

পরবর্তী ঘটনাঃ 

মাঠে নিয়ে এসে কালিয়া অমৃতকে কুস্তি লড়তে বাধ্য করে এবং অমৃতকে ছুঁড়ে মাটিতে ফেলে দেয়। বন্ধু অমৃতর এই অপমানে ইসাব রেগে যায়। বন্ধুর হারের শোধ নিতে ইসাব নিজে কালিয়াকে তার সঙ্গে লড়তে বলে আর তাকে সে কুস্তিতে হারিয়ে দেয়।

 

১২) ‘ইসাবের মেজাজ চড়ে গেল’- ইসাবের মেজাজ চড়ে গিয়েছিল কেন ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

ইসাবের মেজাজ চড়ে যাবার কারণঃ 

ইসাব ও অমৃত খুব ভালো বন্ধু ছিল। একে অন্যের বিপদে সবসময় এগিয়ে যেত। তাদের জামাকাপড়, বাড়ির অবস্থা সব কিছুতেই ছিল মিল। হোলির পড়ন্ত এক বিকেলে এই দুই বন্ধু নতুন জামা পড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তখনই কালিয়া নামের একটি ছেলে অমৃতকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কুস্তি লড়তে বাধ্য করে আর তাকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। বন্ধুর এই লাঞ্ছনায় ইসাব রেগে গিয়েছিল।

 

১৩) ‘অমৃত আর ইসাবও রণভূমি ত্যাগ করল’- কাকে রণভূমি বলা হয়েছে ? তারা কেন সেই রণভূমি ত্যাগ করেছিল ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

রণভূমির পরিচয়ঃ

কালিয়া নামের ছেলেটি অমৃতকে কুস্তি লড়ার জন্য যে খোলা মাঠে নিয়ে গিয়েছিল সেই মাঠটাকেই ‘রণভূমি’ বলা হয়েছে।

রণভূমি ত্যাগের কারণঃ

কালিয়া অমৃতকে কুস্তি লড়তে গিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার পরে ইসাব আর স্থির থাকতে পারে না। সে নিজেই নেমে পড়ে কুস্তি লড়তে। কালিয়াকে সে হারিয়েও দেয়। কিন্তু কালিয়ার বাবা-মা এসে সেখানে উপস্থিত ছেলেদের মারতে পারে এই ভয়ে তারা সবাই পালিয়ে যায়। সবাই চলে যাবার পর অমৃত আর ইসাবও মাঠ ত্যাগ করে চলে যায়।

 

১৪) ‘ওদের তখন বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হবার জোগাড়’- কখন, কী কারণে ওদের বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হবার জোগাড় হয়েছিল ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

সময়কালঃ

বন্ধু অমৃতের সঙ্গে হওয়া অপমানের বদলা নিতে ইসাব কালিয়ার সঙ্গে কুস্তি লড়েছিল। সেই কুস্তিতে কালিয়া হেরে গেলেও ইসাবের নতুন জামাটা ছিঁড়ে যায়। জামাটা কতটা ছিঁড়েছে তা পরীক্ষা করার সময় ওরা শুনতে পেল ইসাবের বাবা ইসাবকে ডাকছেন। তখনই তাদের এই অবস্থা হয়।

বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হওয়ার কারণঃ

জামা ছেঁড়ার জন্য ইসাবের বাবা ওর চামড়া তুলে নেবেন, এই চিন্তা করে ওদের দুজনের বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হবার জোগাড় হয়েছিল।

 

১৫) ‘এতে দু’জনেরই ভয় কেটে গেল’- দু’জন কে কে ? কী কারণে ওদের ভয় কেটে গেল ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

দুজনের পরিচয়ঃ

উদ্ধৃত অংশে ‘দুজন’ বলতে অমৃত আর ইসাবকে বোঝানো হয়েছে। 

ভয় কেটে যাওয়ার কারণঃ

ইসাবের সঙ্গে জামা অদলবদল করলেও বাড়ি ফিরে ছেঁড়া জামা দেখে অমৃতের মা কী বলবেন সেটা ছিল অমৃত-ইসাব দুজনেরই ভয়ের কারণ। কিন্তু দিনটা হোলির হওয়ায় একটু ধস্তাধস্তি টানাহ্যাঁচড়া চলেই। তাই অমৃতের মা ভুরু কোঁচকালেও শেষপর্যন্ত জামা ছেঁড়ার জন্য অমৃতকে মাফ করে দিলেন। তিনি একটা ছুঁচ-সুতো নিয়ে ছেঁড়া জামাটা রিফু করে দিলেন। এতে দুজনেরই ভয় কেটে গেল।

 

১৬) ‘ওঁর শান্ত গলা শুনে ওদের চিন্তা হলো’- ‘ওঁর’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে ? শান্ত গলা শুনে চিন্তা হওয়ার কারণ কী ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

‘ওর’ বলতে যাকে বোঝানো হয়েছেঃ 

প্রশ্নোক্ত অংশে ‘ওঁর’ বলতে ইসাবের বাবা হাসানের কথা বলা হয়েছে। 

শান্ত গলা শুনে চিন্তার কারণঃ

অমৃত-ইসাব নিজেদের জামা বদলে নিলে পাড়ার ছেলেরা তাদের উদ্দেশ্য করে অদল-বদল বলে চিৎকার করতে থাকে। আর বাড়ির লোকের কাছে ব্যাপারটি জানাজানি হওয়ার ভয়ে ইসাব-অমৃত তখন সেখান থেকে পালাতে থাকে। এই সময়েই দাওয়ায় খাটিয়ায় বসে হুঁকো খেতে ব্যস্ত ইসাবের বাবা তাদের দুজনকে নিজের কাছে ডাকেন। ইসাবের বাবার শান্ত গলা শুনে তাই ওদের চিন্তা হয়েছিল।

 

১৭) ‘উনি দশ বছরের অমৃতকে জড়িয়ে ধরলেন’- ‘উনি’ কে ? কেন অমৃতকে উনি জড়িয়ে ধরলেন ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

‘উনি’ বলতে যাকে বোঝানো হয়েছেঃ 

প্রশ্নোক্ত অংশে ‘উনি’ বলতে ইসাবের বাবাকে বোঝানো হয়েছে।

অমৃতকে জড়িয়ে ধরার কারণঃ

ইসাবের জামা ছিঁড়ে যাওয়ায়, ইসাবকে তার বাবার মারের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অমৃত নিজের জামার সঙ্গে তার জামা বদলে নিয়েছিল। কারণ অমৃত বুঝেছিল তার বাবার মারের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য তার মা আছে কিন্তু ইসাবের মা নেই, তার রয়েছে শুধু বাবা। আড়াল থেকে অমৃতের মনের উদারতার এই পরিচয় পেয়ে আনন্দে ইসাবের বাবা অমৃতকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।

 

১৮) ‘বাহালি বৌদি, আজ থেকে আপনার ছেলে আমার’- ‘বাহালি বৌদি’ কে ? বক্তা কেন তাঁকে এ কথা বলেছেন ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

বাহালি বৌদির পরিচয়ঃ

বাহালি বৌদি হলেন অমৃতের মা।

এ কথা বলার কারণঃ

ইসাবের ছেঁড়া জামা নিজের গায়ে পরে নিয়ে অমৃত তাকে বাবার হাতে মার খাওয়া থেকে বাঁচিয়েছিল। কারণ সে জানত, ইসাবের মা নেই। অমৃতের মা আছেন, তিনিই অমৃতকে বাবার মারের হাত থেকে বাঁচাবেন। আড়াল থেকে জামা অদল-বদলের এই দৃশ্য দেখে ইসাবের বাবা মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। এত অল্প বয়সে অমৃতের এরকম বন্ধুপ্রীতি আর উদারতার পরিচয় পেয়েই তিনি আলোচ্য উক্তিটি করেছিলেন।

 

১৯) ‘অমৃতের মতো ছেলে পেলে আমি একুশজনকেও পালন করতে রাজি আছি’- বক্তা কে ? তাঁর এমন উক্তির কারণ কী ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

বক্তাঃ

ইসাবের বাবা হাসান পাঠান হলেন উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা।

এমন উক্তির কারণঃ

কালিয়ার সঙ্গে কুস্তি লড়তে গিয়ে ইসাবের জামা ছিঁড়ে গেলে অমৃত নিজের নতুন জামাটা ইসাবকে দিয়ে দেয়। সে তাকে বলে যে, তার মা তাকে বাবার হাতে মার খাওয়া থেকে বাঁচাবেন কিন্তু ইসাবের তো মা নেই। এ কথা ইসাবের বাবা আড়াল থেকে শুনেছিলেন। একটি ছোটোছেলের বন্ধুর প্রতি এই ভালোবাসা এবং এরকম বড়ো মনের পরিচয় পেয়েই ইসাবের বাবা উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন।

 

২০) ‘ও আমাকে শিখিয়েছে, খাঁটি জিনিস কাকে বলে’- ‘ও’ কে ? উদ্দিষ্ট ব্যক্তি ‘খাঁটি জিনিস’ বলতে কী বুঝিয়েছেন ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

‘ও’ বলতে যাকে বোঝানো হয়েছেঃ 

এখানে ‘ও’ বলতে ইসাবের অভিন্নহৃদয় বন্ধু অমৃতের কথা বোঝানো হয়েছে। 

‘খাঁটি জিনিস’ বলতে যা বোঝানো হয়েছেঃ 

কুস্তি খেলতে গিয়ে ইসাবের নতুন জামাটি ছিঁড়ে গেলে বাড়ি ফিরে বাবার কাছে মার খেতে হবে সেই ভয়ে ইসাব কাঠ হয়ে যায়। এই সময় অমৃত তার গায়ের জামা, যা ইসাবের জামার মতোই দেখতে, সেটি ইসাবকে দিয়ে নিজে সেই ছেঁড়া জামাটি পড়তে চায়। ইসাবের বাবা সমস্ত কিছু আড়ালে থেকে দেখবার পর রেগে না-গিয়ে অমৃতের সহৃদয় ও সহানুভূতিশীল সত্তার পরিচয় লাভ করে মুগ্ধ হন। অমৃতের এই নির্ভেজাল বন্ধুত্ব পরোপকারী, দয়ালু মনোবৃত্তিকেই তিনি আলোচ্য প্রসঙ্গে খাঁটি জিনিস বলে উল্লেখ করেছেন।

 

২১) ‘আজ থেকে আমরা অমৃতকে অদল আর ইসাবকে বদল বলে ডাকব’- উক্তিটির তাৎপর্য সংক্ষেপে বুঝিয়ে দাও। 

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

তাৎপর্যঃ 

অমৃত গভীর বন্ধুপ্রীতি এবং সহানুভূতির পরিচয় দিয়ে ইসাবকে তার বাবার মায়ের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ইসাবের ছেঁড়া জামাটি পড়ে তার বদলে ইসাবকে নিজের নতুন ও অক্ষত জামাটি পড়তে দিয়েছিল। সমস্ত রকম সংকীর্ণ ধর্মীয় ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে অমৃতের এই আচরণ সকলের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছিল। তাই এই খবরটি সারা পাড়া ঘুরে গ্রাম প্রধানের কানে গেলে তিনি অমৃত ও ইসাবের নিবিড় বন্ধুত্বকে এক অর্থে সম্মান জানাতে উক্ত ঘোষণাটি করেছিলেন। 

 

২২) ‘গল্প শুনে তাদেরও বুক ভরে গেল’- কোন গল্প ? তা শুনে বুক ভরে যাওয়ার কারণ কী ?

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি চয়ন করা হয়েছে। 

গল্পটির পরিচয়ঃ

অমৃত আর ইসাবের পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার গল্পের কথাই এখানে বলা হয়েছে।

গল্প শুনে বুক ভরে যাওয়ার কারণঃ

ইসাব আর অমৃত ছিল পরস্পরের বন্ধু। তাদের বন্ধুত্ব এতই নিবিড় ছিল যে, তারা একে অপরের জন্য প্রাণ দিতেও রাজি ছিল। আন্তরিকতাই তাদের বন্ধুত্বকে ‘খাঁটি সোনায় পরিণত করেছিল। জামা অদলবদলের ঘটনা তারই জ্বলন্ত উদাহরণ। উভয়ের এই অকৃত্রিম বন্ধুত্বের পরিচয় পেয়ে গর্বে পাড়াপ্রতিবেশীদের বুক ভরে গিয়েছিল।

 

অদল বদল গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) অদল বদল গল্পে অমৃত চরিত্রের পরিচয় দাও।  ৫

উৎসঃ 

গুজরাটি কথা সাহিত্যিক “পান্নালাল প্যাটেল”-এর লেখা “অদল বদল” গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র অমৃত নামের এক কিশোর। তার চরিত্রের যে সকল গুণাবলী আমাদের তার প্রতি আকর্ষিত করে সেগুলি ক্রমান্বয়ে আলোচিত হল-

জেদ

গল্প ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অমৃত খুব জেদি প্রকৃতির ছেলে। বন্ধু ইসাবের মতো হুবহু একই রকম জামা কেনার জেদ থেকে সে মার খেতেও রাজি। সে তার মাকে জানায়- “ঠিক আছে, আমাকে বেঁধে রাখো! মারো! কিন্তু তোমাকে ইসাবের মতো একটা জামা আমার জন্য জোগাড় করতেই হবে।”

শান্তিপ্রিয়তা

অমৃত জেদি হলেও শান্তিপ্রিয় স্বভাব তার চরিত্রের অপর একটি বিশেষ দিক। হোলির দিনে বন্ধু ইসাবের সঙ্গে বেড়াতে গেলে, কালিয়া তার সঙ্গে কুস্তি করতে চাইলেও অমৃত তাকে এড়িয়ে যেতে চেয়েছিল- “দেখ্‌ কালিয়া, আমি কুস্তি লড়তে চাই না, আমাকে ছেড়ে দে।”

বন্ধুপ্রীতি

বন্ধু ইসাবের প্রতি অমৃতের অকৃত্রিম ভালোবাসার পরিচয় পাওয়া যায়। কালিয়ার সঙ্গে কুস্তি লড়তে গিয়ে ইসাবের জামা ছিঁড়ে গেলে অমৃত নিজের জামা খুলে বন্ধুকে পরতে দেয়।

উপস্থিত বুদ্ধি

অমৃত চরিত্রের আর একটি অন্যতম গুণ হল তার বিচক্ষণতা ও উপস্থিত বুদ্ধি। ইসাবের জামা ছিঁড়ে গেলে অমৃত খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের মধ্যে জামা অদল বদল করে নেয়। সে বন্ধুকে বলে- “তোর জামা খুলে আমারটা পর।”

 অনুভূতি প্রবণতা

অমৃত চরিত্রের অনুভূতি-প্রবণতার পরিচয় পাওয়া যায়, বন্ধু ইসাব যে মাতৃহীন এবং তার বাবা তাকে মারলে তাকে বাঁচানোর কেউ নেই- এই বাস্তব সত্যটি উপলব্ধি করার মধ্য দিয়ে। তার কন্ঠে আমরা শুনতে পাই- “কিন্তু আমাকে বাঁচানোর জন্য তো আমার মা আছে।” অমৃতের এই সহানুভূতিশীল মানসিকতা ইসাবের বাবার‌ও চোখ খুলে দিয়েছিলো।

           অতএব, আলোচনার পরিশেষে বলা যায়, অমৃত চরিত্রটি তার সকল প্রকার চারিত্রিক গুণাবলী দ্বারা সকল পাঠকের হৃদয় জয় করতে সমর্থ হয়েছে।  

অদল বদল গল্প থেকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর শুধুমাত্র শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সাবস্ক্রাইবারদের জন্যঃ 

‘পান্নালাল প্যাটেলের অদল বদল গল্পে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক নতুন ছবি ধরা পড়েছে’- বক্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তরটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে

অদল বদল গল্পের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো। 

উত্তরটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

‘ও আমাকে শিখিয়েছে খাঁটি জিনিস কাকে বলে’- ‘খাঁটি জিনিস’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? তা কে, কাকে, কীভাবে শিখিয়েছে? 

উত্তরটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

দশম শ্রেণি বাংলা নোটঃ 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ে সহায়তা লাভ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ 

scijroy.in

 

You cannot copy content of this page

Need Help?