অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। দশম শ্রেণির মাধ্যমিক দিতে চলা শিক্ষার্থীরা এই অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর সমাধানের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য কবিতাটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্ন উত্তর অনুশীলনের দ্বারা তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার প্রশ্ন উত্তরঃ 

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতা থেকে MCQ প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতার কবি হলেন- জয় গোষ্মামী 

২) ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতাটি গৃহীত হয়েছে যে কাব্যগ্রন্থ থেকে- পাতার পোশাক 

৩) ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতাটি যে শ্রেণির- নিসর্গ বিষয়ক 

৪) ‘পাতার পোশাক’ কাব্যগ্রন্থের জন্য কবি জয় গোষ্মামী যে পুরষ্কার পেয়েছেন- বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পুরষ্কার 

৫) ‘পাতার পোশাক’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে- ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে 

৬) ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতার স্তবক সংখ্যা- ৩টি 

৭) ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতার মোট পংক্তি সংখ্যা- ১৮টি 

৮) ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতার স্তবকে পংক্তি বিন্যাস- ৫-৬-৭ 

৯) ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় ‘অস্ত্র’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে- ৬বার 

১০) ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় ‘গান’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে- ৭বার 

১১) অস্ত্র রাখতে হবে- পায়ে

১২) হাত নাড়িয়ে কবি তাড়ান- বুলেট 

১৩) কবি গানের বর্ম পরেছেন- অস্ত্র প্রতিরোধ করতে 

১৪) কবি গান জানেন- একটা-দুটো 

১৫) কবি তার জানা গানকে তুলনা করেছেন- খড়কুটো 

১৬) কবি গানের গায়ে মোছেন- রক্ত 

১৭) ‘বর্ম’ শব্দের অর্থ- দেহাবরণ 

১৮) মাথায় কত- শকুন বা চিল

১৯) কবির সম্বল শুধু একটা- কোকিল 

২০) কবি ‘শকুন’ বা ‘চিল’ বলতে বুঝিয়েছেন- সভ্যতা ধ্বংসকারী শক্তিকে 

২১) বর্ম খুলে আদুড় গায়ে দাঁড়িয়ে থাকে- ঋষিবালক 

২২) ‘আদুড়’ কথার অর্থ- অনাবৃত 

২৩) গান দাঁড়াল- ঋষিবালকের মতো 

২৪) ঋষিবালকের মাথায় গোঁজা ছিল- ময়ূরপালক 

২৫) তোমায় নিয়ে বেড়াবে গান- নদীতে, দেশগাঁয়ে 

উপরের প্রশ্নের উত্তরগুলি তৈরি হয়েছে কিনা যাচাই করতে নিম্নের MCQ TEST -টি প্রদান করো

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান MCQ TEST

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতা থেকে SAQ প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত?

উঃ কবিতাটি কবি জয় গোস্বামীর লেখা ‘পাতার পোশাক’ (১৯৯৭) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

 

২) ‘অস্ত্র রাখাে পায়ে’ – কেন কবির এই আহ্বান?

উঃ আধুনিককালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি জয় গোস্বামীর এই আহ্বান।

 

৩) ‘গানের বর্ম আজ পরেছি গায়ে’- কেন?

উঃ বুলেটের আক্রমণ প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে কবি গানের বর্ম গায়ে পরেছেন।

 

৪) ‘মাথায় কত শকুন বা চিল’ – এর দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছেন?

উঃ শকুন ও চিল বলতে কবি যুদ্ধবাজ অশুভ শক্তিকে বুঝিয়েছেন। 

 

৫) কবি কোথায় অস্ত্র রাখতে বলেছেন?

উঃ কবি গানের পায়ে অস্ত্র রাখতে বলেছেন। 

 

৬) ‘তােমায় নিয়ে বেড়াবে গান’ – কোথায় কোথায় বেড়াবে?

উঃ গান মানুষকে নির্মল প্রকৃতির শীতল ছায়ায় ঘেরা দেশ-গাঁয়ে নিয়ে বেড়াবে।

 

৭) ‘গান দাঁড়াল ঋষিবালক’- এই ঋষিবালক কীসের প্রতীক?

উঃ আলোচ্য কবিতায় ‘ঋষিবালক’ হল পবিত্রতার প্রতীক। 

 

৮) আলোচ্য কবিতায় কে সহস্র উপায়ে গান বাঁধবে বলে কবি উল্লেখ করেছেন?

উঃ একটি কোকিল সহস্র উপায়ে গান বাঁধবে বলে কবি উল্লেখ করেছেন।

 

৯) ‘আমি এখন হাজার হাতে পায়ে’- কথাটির অর্থ কী?

উঃ ‘হাজার হাতে পায়ে’ বলতে কবি হাজার হাজার মানুষের সমবেত প্রয়াসের কথা বলেছেন। সকলকে নিয়ে কবি যুদ্ধের মোকাবিলা করতে এগিয়ে যাবেন। 

 

০) ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় উল্লেখিত যেকোনো তিনটি পাখির উল্লেখ করো।

উঃ শকুন, চিল, কোকিল পাখির উল্লেখ রয়েছে। 

১১) ‘অস্ত্র ফ্যালো, অস্ত্র রাখো’ – কোথায় অস্ত্র ফেলার কথা বলা হয়েছে?

উঃ কবি জয় গোস্বামী ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় গানের পায়ে অস্ত্র ফেলার অর্থাৎ আত্মসমর্পণ করার কথা বলেছেন।

১২) অস্ত্র রাখো বলার অর্থ কী?

উঃ অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতায় ‘অস্ত্র রাখো’ কথাটি বলার মাধ্যমে কবি অস্ত্র সমর্পণের কথা বলেছেন।

১৩) কবি অস্ত্রকে কোথায় সমর্পণ করতে বলেছেন?

উঃ কবি জয় গোস্বামী গানের পায়ের কাছে অস্ত্রকে সমর্পণ করতে বলেছেন।

১৪) কবি গানকে কীভাবে ব্যবহার করেন?

উঃ কবি সমস্ত অশান্তি ও অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতে গানকে বর্মের মতো শরীরে পরে থাকেন।

১৫) হাজার হাতে পায়ে কবি কী করেন?

উঃ হাজার হাতে পায়ে অর্থাৎ হাজার হাজার মানুষের সাথে দলবদ্ধ হয়ে কবি এগিয়ে আসেন, উঠে দাঁড়ান, লড়েন অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে।

১৬) গানের বর্ম পরিধান করে কবি কোন্ কাজ করতে সক্ষম?
উঃ অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতায় কবি জানিয়েছেন যে, গানের বর্ম পরে তিনি হাত নাড়িয়ে বুলেট তাড়াতে পারেন।

১৭) ‘আঁকড়ে ধরে সে-খড়কুটো’- কবি ‘খড়কুটো’ বলতে কী বুঝিয়েছেন?

উঃ কবি ‘খড়কুটো’ বলতে তাঁর জানা একটা-দুটো গানের কথা বলেছেন।

 

১৮) ‘মাথায় কত শকুন বা চিল’- শকুন এবং চিলেরা কীসের প্রতীক?

উঃ ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় উল্লেখিত শকুন এবং চিলেরা যুদ্ধবাজদের হিংস্রতা এবং নৃশংসতার প্রতীক।

১৯) ‘আমার শুধু একটা কোকিল’- কোকিল কীসের প্রতীক?

উঃ জয় গোস্বামী রচিত ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কোকিল মানুষের অন্তর্গত সৃজনশীলতার প্রতীক।

২০) গানের গায়ে কবি কী করেন?

উঃ গানের গায়ে কবি রক্ত ও যাবতীয় হিংস্রতা মোছেন।

২১) ‘আমার শুধু একটা কোকিল’- কোকিলটি কী করে?

উঃ বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে চারপাশের নৃশংসতা ও হিংস্রতার মধ্যে কোকিলটি হাজার উপায়ে গান বাঁধে, শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়।

২২) ‘রক্ত মুছি শুধু গানের গায়ে’- কথাটির অর্থ কী?

উঃ জয় গোস্বামী রচিত ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি মনে করেন হিংসা, রক্তাক্ততা থেকে মুক্ত করতে পারে গান বা শিল্পসৃষ্টি।

২৩) ‘অস্ত্র ফ্যালো অস্ত্র রাখো’- কোথায় অস্ত্র ফেলার কথা বলা হয়েছে?

উঃ কবি জয় গোস্বামী তাঁর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় গানের পায়ে অস্ত্র রাখার কথা বলা বলেছেন।

২৪) ‘বর্ম খুলে দ্যাখো’- বর্ম খুললে কী দেখা যায়?

উঃ কবির কথা অনুযায়ী, বর্ম খুললে দেখা যায় গান ঋষিবালকের মতো দাঁড়িয়ে আছে।

২৫) ‘গান দাঁড়াল ঋষিবালক’- এ কথা বলার অর্থ কী?

উঃ গান শুধু প্রতিবাদের বাহন নয়, যুদ্ধের শেষে গানের মধ্যে স্নিগ্ধতা ও শান্তিও খুঁজে পাওয়া যায়। আর তখন গান হয়ে যায় ‘ঋষিবালক’-এর মতো স্নিগ্ধ ও শান্ত।

 

২৬) ‘গান দাঁড়াল ঋষিবালক’- ঋষিবালকের মাথায় কী ছিল?

উঃ যে গানকে কবি জয় গোস্বামী ‘ঋষিবালক’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন, তার মাথায় ময়ূরপালক গোঁজা ছিল।

২৭) ‘তোমায় নিয়ে বেড়াবে গান’- কোথায় বেড়াবে?

উঃ নদীতে এবং দেশ-গ্রামে গানের সঙ্গে শ্রোতার বেড়ানোর কথা কবি উল্লেখ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে গান ও তার সুরের আন্তর্জাতিক বিস্তারের কথা বলা হয়েছে।

২৮) ‘তোমায় নিয়ে বেড়াবে গান’- কথাটির অর্থ কী?

উঃ গানের কথা ও সুরের হাত ধরেই শ্রোতা সারা বিশ্বের সাথে পরিচিত হন,-এ-কথাই বোঝানো হয়েছে উদ্ধৃত পঙ্ক্তিতে।

২৯) ‘তোমায় নিয়ে বেড়াবে গান / নদীতে, দেশগাঁয়ে’ – কীভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে তুমি মনে করো?

উঃ পৃথিবীতে যুদ্ধের অবসান ঘটলে গান আর প্রতিবাদের বাহন নয়, মানুষের মানসিক বিস্তারের ও শুদ্ধতার বাহক হয়ে ওঠে, তখনই গানের হাত ধরে মানুষ দেশের সীমা অতিক্রম করে বিশ্বনাগরিক হয়ে ওঠে।

৩০) ‘অস্ত্র’ ও ‘গান’ শব্দ দুটি কবিতায় কতবার করে আছে?

উঃ কবি জয় গোস্বামী তাঁর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় ‘অস্ত্র’ শব্দটি ছ্-বার এবং ‘গান’ শব্দটি সাতবার ব্যবহার করেছেন।

 

৩১) অস্ত্রের বিরুদ্ধে কবি প্রতিবাদের মাধ্যম কাকে করেছেন?   

উঃ কবি ‘জয় গোষ্মামী’ ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় অস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাধ্যম রূপে গানকে তুলে ধরেছেন। 

 

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার সংক্ষিপ্ত (৩ নম্বরের) প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) ‘আমি এখন হাজার হাতে পায়ে/এগিয়ে আসি, উঠে দাঁড়াই’- কে, কেন এগিয়ে আসেন ?

উৎসঃ 

কবি “জয় গোষ্মামী” রচিত “পাতার পোশাক” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতাটি বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এক আশ্চর্য দলিল। 

যাদের এগিয়ে আসার কথা বলা হয়েছেঃ 

কবিতায় শান্তিকামী, যুদ্ধবিরোধী সাধারণ মানুষের এগিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে।

এগিয়ে আসার কারণঃ

অস্ত্রের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী মনুষের প্রতিবাদের ভাষা। মানুষের মিলিত প্রতিরোধ যে-কোনো অস্ত্রকে আটকাতে পারে। যে মানুষেরা অস্ত্রের উপর নির্ভরশীল তাদের কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে, অস্ত্র আসলে মানবতার বিরোধী। অস্ত্র নয়, মনুষের সঙ্গে মানুষের সুসম্পর্কই এই পৃথিবীর শেষ সত্য। সেই অজস্র শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের শক্তিতেই তিনি শক্তিশালী হয়ে এগিয়ে আসেন।

 

২) কবিতায় কবি ‘হাত নাড়িয়ে বুলেট তাড়াই’ বলতে কি বুঝিয়েছেন ? 

উৎসঃ

কবি “জয় গোষ্মামী” রচিত “পাতার পোশাক” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতাটি বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এক আশ্চর্য দলিল। 

তাৎপর্যঃ 

যুদ্ধবিরোধী এই কবিতার মূল বক্তব্য হল- মানবতার কাছে সাম্রাজ্যবাদের আত্মসমর্পণ। সম্ভবত কবি জয় গোস্বামী হাত নাড়ানোকে রূপক অর্থে লেখার সাথে তুলনা করেছেন। কবি মনে করেছেন গানের মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে মানবতার জাগরণ হবে এবং তা দিয়ে যুদ্ধের প্রতীক ‘বুলেট’ থামিয়ে দেওয়া বা কবির ভাষায় তাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।

 

৩) ‘গানের বর্ম আজ পরেছি গায়ে’- কবির এই মন্তব্যের তাৎপর্য আলোচনা করো। 

উৎসঃ

কবি “জয় গোষ্মামী” রচিত “পাতার পোশাক” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতাটি বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এক আশ্চর্য দলিল। 

তাৎপর্যঃ

যে কোনো অশুভ প্রচেষ্টার প্রতিরোধের এই কাজে সংগীত একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। গানের মধ্য দিয়ে যেমন আনন্দ আর সুন্দরের বিকাশ ঘটে, মন শুদ্ধ হয়ে ওঠে, ঠিক সেরকমই গান হয়ে উঠতে পারে প্রতিবাদের বাহনও। তাই বুলেট অর্থাৎ যুদ্ধকে বাধা দিতে কবি গানকেই বর্মের মতো ব্যবহার করেন।

 

৪) ‘আঁকড়ে ধরে সে-খড়কুটো’- কবি কাকে ‘খড়কুটো’ বলেছেন ? তাকে আঁকড়ে ধরতে চেয়েছেন কেন ?

উৎসঃ

কবি “জয় গোষ্মামী” রচিত “পাতার পোশাক” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতাটি বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এক আশ্চর্য দলিল। 

খড়কুটোর পরিচয়ঃ

অস্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গানকে কবি আঁকড়ে ধরতে চেয়েছেন। বিশ্বজুড়ে চলতে থাকা হিংসা ও হানাহানির বিরুদ্ধে কবির সম্বল মাত্র একটি-দুটি গান। এই স্বল্পতা বোঝাতেই কবি ‘খড়কুটো’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

আঁকড়ে ধরতে চাওয়ার কারণঃ

ডুবন্ত মানুষ কিছু আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। যদি সেটা খড়কুটোও হয়, তবে তাকেই সে অবলম্বন ভেবে আঁকড়ে ধরে। কবিও মনে করেছেন, গানই হল হিংস্রতার এই পৃথিবীতে মানুষের চেতনা বদলানোর মাধ্যম। এই গান আদতে জীবনের গান। কবির কাছে মাত্র একটা-দুটো গান আছে, যাদের আঁকড়ে ধরেই বাঁচতে চান তিনি।

 

৫) “রক্ত মুছি শুধু গানের গায়ে” -পঙক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

উৎসঃ

কবি “জয় গোষ্মামী” রচিত “পাতার পোশাক” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতাটি বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এক আশ্চর্য দলিল। 

তাৎপর্যঃ

আলোচ্য কবিতায় কবি মানবতার কথা বলেছেন। মানব সভ্যাতায় ‘গান’ হল সৃজনশীলতার প্রতীক। তাই ‘গান’ শব্দটি তিনি মানবতার অর্থে ব্যবহার করেছেন। তিনি চেয়েছেন গানের মাধ্যমে সকল সাম্রাজ্যবাদী এবং যুদ্ধবাদী শক্তির মনে শুভবুদ্ধির উদয় হোক তারা তাদের হিংস্রতা ও বর্বরতা গানের মুছে ফেলুক।

 

৬) ‘মাথায় কত শকুন বা চিল’- উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। 

উৎসঃ

কবি “জয় গোষ্মামী” রচিত “পাতার পোশাক” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতাটি বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এক আশ্চর্য দলিল। 

প্রসঙ্গঃ

যুদ্ধবাজ আগ্রাসী মানুষদের কথা বলতে গিয়েই কবি আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।

তাৎপর্যঃ

কবি দেখেছেন, স্বার্থপর মানুষেরা যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায় মেতে উঠেছে। মনুষ্যত্বকে ধ্বংস করে তারা নিজেদের ক্ষমতা ও স্বার্থকে প্রতিষ্ঠা করতে সবসময় উদ্যোগী। লোভী চিল-শকুনের মতো তারা সমাজের মাথার ওপরে ঘুরে বেড়ায়। এই শকুন বা চিলরূপী যুদ্ধবাজ শক্তিগুলির বিরুদ্ধেই কবি গানের অস্ত্র ধারণ করেছেন।

 

৭) ‘আমার শুধু একটা কোকিল’- বক্তা কে ? এ কথার মধ্যে দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন ?

উৎসঃ

কবি “জয় গোষ্মামী” রচিত “পাতার পোশাক” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতাটি বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এক আশ্চর্য দলিল। 

বক্তাঃ

উল্লিখিত অংশটির বস্তা ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতার কবি জয় গোস্বামী স্বয়ং।

তাৎপর্যঃ

কবি তাঁর মাথার উপরে চিল শকুনের উড়ে চলা দেখেছেন। তার মধ্যে ‘একটা কোকিল’, যা আসলে কবির সৃজনশীল সত্তা, তা ধ্বংসের মধ্যে সৃষ্টির গান গাইতে পারে। ‘সহস্র উপায়ে’ তার গান, প্রেম বা প্রতিবাদ বা যে ধারাতেই তৈরি হোক না কেন, তা আসলে সুন্দরেরই প্রতিষ্ঠা ঘটায়।

 

৮) ‘গান বাঁধবে সহস্র উপায়ে’- কে গান বাঁধবে ? সহস্র উপায়ে গান বাঁধার তাৎপর্য কী ?

উৎসঃ

কবি “জয় গোষ্মামী” রচিত “পাতার পোশাক” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতাটি বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এক আশ্চর্য দলিল। 

যে গান বাঁধবেঃ

কবি বলেছেন, তাঁর শুধু একটা ‘কোকিল’ আছে। এই কোকিলই গান বাঁধবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

তাৎপর্যঃ

মধুর কণ্ঠের কোকিল সৌন্দর্যের প্রতীক। কোকিলের রূপক ব্যবহার করে কবি নিজের ভিতরের সৃজনশীল সত্তাকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। যে গানকে তিনি জীবনযুদ্ধের বর্ম করতে চেয়েছেন, নানান উপায়ে সেই গান বাঁধবে এই কোকিল। যাবতীয় অস্ত্রের হুংকারকে স্তব্ধ করে তা পৃথিবীতে শান্তির বার্তা নিয়ে আসবে।

 

৯) ‘গান দাঁড়াল ঋষিবালক/মাথায় গোঁজা ময়ূরপালক’- কোন কবিতার অংশ ? তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। 

উৎসঃ

কবি “জয় গোষ্মামী” রচিত “পাতার পোশাক” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতাটি বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এক আশ্চর্য দলিল। উদ্ধৃত অংশটি এই কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে। 

তাৎপর্যঃ

কবি এখানে মানবতার গানের মধ্যে দিয়ে যুদ্ধবাদী ভাবনার সমর্পণের কথা বলেছেন। কবি ‘ঋষিবালক’ শবটি রূপক অর্থে ব্যবহার করছেন। ‘ঋষিবালক’ কথার মধ্যে দিয়ে আমরা একই সঙ্গে তেজদীপ্ত অথচ সরল চেহারার কল্পনা করতে পারি। কবি মনে করেছেন মানুষের মনের সন্মিলিত মানবতা বোধ একদিন তার সর্বশ্রেষ্ঠ রূপ নেবে যা সাম্রাজ্যবাদী ভাবনাকে মানবতার কাছে আত্মসমর্পণে বাধ্য করবে।

 

১০) ‘তোমায় নিয়ে বেড়াবে গান’- এই কথার তাৎপর্য কী ?

উৎসঃ

কবি “জয় গোষ্মামী” রচিত “পাতার পোশাক” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতাটি বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এক আশ্চর্য দলিল। 

তাৎপর্যঃ

গান এবং সুরের হাত ধরে গোটা বিশ্বের সাথে মানুষের পরিচয় ঘটে। গান বস্তুত হৃদয়ের এক আশ্চর্য বিস্তার ঘটায়। গানের মাধ্যমেই সম্ভব হয় প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ, মানুষের কাছাকাছি পৌঁছোনো। কবি গানের এই শক্তি এবং সীমাহীন বিস্তারের দিকেই ইঙ্গিত করা হয়।

 

১১) ‘…অস্ত্র ফ্যালো, অস্ত্র রাখো গানের দুটি পায়ে’- কবি অস্ত্রকে গানের পায়ে রাখার কথা বলেছেন কেন ?

উৎসঃ

কবি “জয় গোষ্মামী” রচিত “পাতার পোশাক” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতাটি বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এক আশ্চর্য দলিল। 

অস্ত্রকে গানের পায়ে রাখার কারণঃ 

কবি সকল সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধবাজ শক্তিকে অস্ত্র ত্যাগ করতে বলেছেন। কবি অস্ত্রের বিপরীতে গানকে তুলে ধরেছেন, এই গান আসলে মানবতার গান। কবি আশা করেছেন যে সকল সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মনে একদিন শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা মানবতার খাতিরে অস্ত্র ত্যাগ করবে। তাই কবি এখানে গানের কাছে অস্ত্র ত্যাগ করার কথা বলেছেন।

 

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি অস্ত্র ফেলতে বলেছেন কেন? অস্ত্র পায়ে রাখার মর্মার্থ কী? 

উৎসঃ

        কবি “জয় গোষ্মামী” রচিত “পাতার পোশাক” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান” কবিতাটি বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এক আশ্চর্য দলিল। 

কবির অস্ত্র ফেলতে চাওয়ার কারণঃ

হিংস্রতায় পরিপূর্ণ এই পৃথিবীতে অস্ত্রের পিছনে দেদার অর্থ খরচ হচ্ছে; কিন্তু অন্যদিকে নিরন্ন ও কর্মহীন মানুষের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই অঙ্গ ফেলতে বলার কারণ চলেছে। সামাজিক বৈষম্য বাড়ছে ক্রমাগত। সমরাস্ত্রে সজ্জিত দেশগুলি নিজেদের প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য একতা, সৌভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার মতো চিরস্তন মূল্যবোধগুলিকে ধ্বংস করতে উদ্যত।

অস্ত্রের ব্যবহারে মানুষের মনুষ্যত্ব-বিরোধী মঙ্গল কামনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার নেতিবাচক দিকের চরমতম প্রকাশ ঘটে। তাই তাকে বিসর্জন দেওয়াই উচিত। এজন্যেই বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ কবি অস্ত্র ত্যাগ করে মানবজাতির মঙ্গল কামনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

অস্ত্র পায়ে রাখার মর্মার্থঃ

অস্ত্র কোনোদিন সভ্যতার নিয়ামক হতে পারে না। সে মানুষের হিংস্রতা, প্রভুত্ব ও ভীতি প্রদর্শনের হাতিয়ার রূপে প্রতিপন্ন হয়। তাই কবির কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলা যায়- অস্ত্র নয়, জয়ী হোক মানবতা। আর এই মানবতার উন্মেষ ঘটাতে, শুভ বুদ্ধির উদয় ঘটাতে, কবি মনে করেন সর্বপ্রথম অস্ত্রকে ত্যাগ করতে হবে। নিজের বিবেকবোধের চরণে অস্ত্রকে সমর্পণ করতে হবে-

“অস্ত্র ফ্যালো, অস্ত্র রাখো পায়ে”

এই অস্ত্র পায়ে রাখার অর্থ অস্ত্র ত্যাগ ও বিসর্জন। কবির মতে এই ত্যাগের মধ্য দিয়েই মানুষ তার নেতিবাচক প্রবৃত্তিকে অবদমন করতে পারবে।

 

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বড়ো প্রশ্নের উত্তর শুধুমাত্র শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সাবস্ক্রাইবারদের জন্যঃ

‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতার মূল বক্তব্য নিজের ভাষায় লেখো। ৫

অথবা, ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি অস্ত্র ফেলতে বলেছেন কেন? অস্ত্র পায়ে ফেলার তাৎপর্য লেখো। 

উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

‘অস্ত্র’ ও ‘গান’ কীভাবে পরস্পরের বিরোধী হয়ে উঠেছে তা কবি জয় গোষ্মামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা অবুসরণে লেখো। ৫ 

উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

দশম শ্রেণি বাংলা নোটঃ 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

You cannot copy content of this page

Need Help?