দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা শব্দার্থতত্ত্ব

দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা শব্দার্থতত্ত্ব

“দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা শব্দার্থতত্ত্ব” থেকে এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নোট প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা শব্দার্থতত্ত্ব -এর নির্দিষ্ট নোটে টাচ/ক্লিক করে দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা শব্দার্থতত্ত্ব-এর নোটগুলি দেখতে পারবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা শব্দার্থতত্ত্বঃ 

দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা শব্দার্থতত্ত্ব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছোটপ্রশ্নের উত্তরঃ 

১) সমার্থকতা কী?

উঃ ‘সমার্থকতা’ শব্দের অর্থ হল অর্থের অভিন্নতা। দুই বা ততােধিক শব্দের মধ্যে অর্থগত সাদৃশ্য থাকলে তাকে বলা হয় সমার্থকতা।

২) শব্দার্থের উৎকর্ষ বলতে কী বােঝ?

উঃ কোনাে শব্দ যখন তার ব্যুৎপত্তিগত অর্থে অর্থাৎ আদি অর্থে ব্যবহৃত না হয়ে অন্য কোনাে উন্নত অর্থে প্রচলিত হয়ে যায়, তখন তাকে বলা হয় শব্দার্থের উৎকর্ষ বা শব্দার্থের উন্নতি।

যেমন- ‘সম্ভ্রান্ত’ শব্দের আদি অর্থ ‘সম্যকরূপে ভ্রান্ত’, কিন্তু প্রচলিত অর্থ ‘মর্যাদাসম্পন্ন’।

৩) শব্দার্থের অপকর্ষ কাকে বলে?

উঃ শব্দ যখন তার আদি বা ব্যুৎপত্তিগত অর্থে ব্যবহৃত না হয়ে, অন্য কোনাে অবনত বা নিম্নমানের অর্থে প্রচলিত হয়, তখন তাকে বলে শব্দার্থের অপকর্ষ বা শব্দার্থের অবনতি।

যেমন- ‘মহাজন’ শব্দের আদি অর্থ ‘মহৎ ব্যক্তি’, কিন্তু প্রচলিত অর্থ ‘সুদখাের ঋণদাতা’।

৪) ‘সন্দেশ’ শব্দের আদি অর্থ ও বর্তমান অর্থ লেখাে। 

উঃ ‘সন্দেশ’ শব্দের আদি অর্থ ‘সংবাদ’ এবং বর্তমান অর্থ ‘মিষ্টান্ন-বিশেষ’। 

৫) ‘থিসরাস’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী?

উঃ ‘থিসরাস’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল রত্নাগার।

৬) থিসরাস কে, কবে রচনা করেন?

উঃ পিটার মার্ক রজেট ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে থিসরাস রচনা ও সংকলন করলেও, তা প্রকাশিত হয় ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে।

৭) একটি বাংলা থিসরাসের উদাহরণ দাও।

উঃ একটি বাংলা থিসরাস হল, অশােক মুখােপাধ্যায় সম্পাদিত ও সাহিত্য সংসদ প্রকাশিত ‘সমার্থ শব্দকোষ’।

৮) অর্থগত দিক থেকে শব্দের পারস্পরিক সম্পর্ক কী কী রূপে হতে পারে?

উঃ শব্দের সঙ্গে শব্দের যে অর্থ সম্পর্ক তা মূলত তিনটি রূপে হতে পারে। এগুলি হল-

(১) সমার্থকতা (২) বিপরীতার্থকতা এবং (৩) ব্যাপকার্থকতা।

৯) গঠনগত সাদৃশ্য আছে অথচ অর্থে বিপরীতধর্মী- এমন বাংলা শব্দের উদাহরণ দাও।

উঃ সমান-অসমান,

জয়-পরাজয়,

আদর-অনাদর প্রভৃতি। 

১০) শব্দার্থতত্ত্বের আলােচ্য বিষয় কী?

উঃ শব্দার্থতত্ত্বের আলােচ্য বিষয় মানবভাষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দের অর্থ এবং তার ক্রিয়াকর্ম।

১১) শব্দার্থকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

উঃ শব্দার্থকে সাধারণ এবং নিদর্শন- এই দুইভাগে ভাগ করা যায়।

১২) সাধারণ শব্দার্থ বলতে কী বােঝায়?

উঃ সাধারণ শব্দার্থ বলতে শব্দের প্রকৃত অর্থ অর্থাৎ অভিধানগত অর্থকেই বােঝায়।

১৩) নির্দেশন বলতে কী বােঝ ?

উঃ কোনাে বিশেষ শব্দ এবং শব্দটি যে বিশেষ বস্তুর নির্দেশকারী, তার মধ্যেকার সম্পর্ককে বলা হয় নির্দেশন। স্বাভাবিকভাবেই সব শব্দের নির্দেশন থাকে না।

১৪) ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্ব কাকে বলে?

উঃ সময়ের সঙ্গে ভাষার শব্দার্থের পরিবর্তন যে শব্দার্থতত্ত্বে আলােচিত হয়, তাকে বলে ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্ব।

১৫) শব্দভিত্তিক শব্দার্থতত্ত্ব কাকে বলে?

উঃ স্বতন্ত্র শব্দের অর্থবিশ্লেষণ এবং একাধিক শব্দের অর্থভিত্তিক সম্পর্ক যে শব্দার্থতত্বে আলােচিত হয়, তা শব্দভিত্তিক শব্দার্থতত্ত্ব।

১৬) প্রয়ােগমূলক শব্দার্থতত্ত্ব কাকে বলে?

উঃ ভাষার অর্থের ওপর তার প্রসঙ্গের প্রভাব আলােচিত হয় যে শব্দার্থতত্ত্বে, তাকে বলে প্রয়ােগমূলক শব্দার্থতত্ত্ব বা প্রয়ােগতত্ত্ব।

১৭) উপাদানমূলক শব্দার্থতত্ত্ব কী?

উঃ কোনাে শব্দের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র উপাদানগুলিকে বিশ্লেষণ করে সেই শব্দ এবং অন্যান্য শব্দের সঙ্গে তার সম্পর্কের যথাযথ ধারণা পাওয়া যায় যে শব্দার্থতত্ত্বে, তাইই উপাদানমূলক শব্দার্থতত্ত্ব।

১৮) শব্দার্থ উপাদান কাকে বলে?

উঃ শব্দের অর্থ আলােচনা করার সময় শব্দের অর্থকে ভেঙে যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অর্থ উপাদানে ভাগ করা হয়, তার প্রতিটিই হল শব্দার্থ উপাদান বা শব্দার্থগত বিষয়শ্রেণি।

১৯) বিষয়মূলক শব্দার্থতত্ত্বের মূল বিষয় কী?

উঃ বিষয়মূলক শব্দার্থতত্ত্বের মূল বিষয় হল ভাষার অর্থের আলোচনার ক্ষেত্রে তার প্রসঙ্গ বা পরিপ্রেক্ষিতটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২০) সমার্থক শব্দ কাকে বলে?

উঃ একাধিক শব্দের মধ্যে অর্থগত অভিন্নতা বা সাদৃশ্য থাকলে, সেই শব্দগুলিকে একসঙ্গে সমার্থক শব্দ বলা হয়।

যেমন- দিন, দিবস, দিবা। 

২১) বিপরীতার্থক শব্দ কাকে বলে?

উঃ দুটি শব্দের মধ্যে অর্থের বৈপরীত্য থাকলে তাদের একসঙ্গে বিপরীতার্থক শব্দ বলা হয়।

যেমন- সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা। 

২২) কী কী পদ্ধতিতে কোনাে শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ সৃষ্টি করা হয়?

উঃ তিনটি পদ্ধতিতে শব্দের বিপরীতার্থকতা সৃষ্টি করা যায়। যথা- 

ক) নেতিবাচক উপসর্গ যােগে- যেমনঃ বৃষ্টি-অনাবৃষ্টি

খ) ইতিবাচক ও নেতিবাচক উপসর্গযােগে- যেমনঃ সচল-অচল

গ) স্বতন্ত্র শব্দপ্রয়ােগে- যেমনঃ ভালাে-মন্দ। 

২৩) ব্যাপকার্থকতা বা অর্থান্তরভুক্তি কী?

উঃ কোনাে শব্দের মধ্যে অন্য একাধিক শব্দের অর্থ অন্তর্ভুক্ত থাকলে তাকে বলা হয় ব্যাপকার্থকতা বা অর্থান্তরভুক্তি।

২৪) অধিনাম ও উপনাম কাকে বলে ?

উঃ ব্যাপকার্থকতা বা অর্থান্তরভুক্তি তত্ত্বে বাঁদিকে থাকা ব্যাপকতর অর্থযুক্ত শব্দগুলিকে অধিনাম এবং ডানদিকের ক্ষুদ্রতর অর্থযুক্ত শব্দগুলিকে উপনাম বলা হয়।

২৫) একটি সংস্কৃত থিসরাসের উদাহরণ দাও।

উঃ একটি সংস্কৃত থিসরাসের উদাহরণ হল ‘অমরকোষ’।

২৬) শব্দার্থ পরিবর্তনকে কটি ভাগে ভাগ করা যায়?

উঃ শব্দার্থ পরিবর্তনকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা-

ক) শব্দার্থের প্রসার

খ) শব্দার্থের সংকোচ

গ) শব্দার্থের রূপান্তর। 

২৭) শব্দার্থের প্রসার বা বিস্তার বলতে কী বােঝায়?

উঃ সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে শব্দের পূর্বতন অর্থের সাথে নতুন অর্থ যুক্ত হলে তাকে বলে অর্থের বিস্তার বা প্রসার।

যেমন- ‘পরশু’ শব্দের অর্থ ‘আগামীকালের পরদিন’ ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ‘গতকালের আগের দিন’ যুক্ত হয় এই অর্থের সঙ্গে।  

২৮) শব্দার্থের সংকোচ বলতে কী বােঝ? 

উঃ সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে কোনাে শব্দের মূল অর্থটি সংকুচিত হয়ে গেলে তাকে শব্দার্থের সংকোচ বলে। যেমন- ‘অন্ন’ শব্দের আদি অর্থ ‘খাদ্য’ কিন্তু শব্দটির অর্থ সংকোচনের ফলে এর বর্তমান অর্থ হয়েছে ‘ভাত’।

২৯) শব্দার্থের রূপান্তর কাকে বলে?

উঃ কোনাে শব্দের অর্থ-পরিবর্তনে আদি অর্থের সঙ্গে পরিবর্তিত নতুন অর্থের কোনাে যােগসূত্র পাওয়া না গেলে তাকে শব্দার্থের রূপান্তর বলে।

যেমন- ‘দারুণ’ শব্দের আদি অর্থ ছিল ‘কাষ্ঠনির্মিত’। কিন্তু শব্দটির অর্থের রূপান্তরের ফলে বর্তমান অর্থ হয়েছে ‘অত্যন্ত’। 

৩০) শব্দার্থতত্ত্বের দুটি শাখার নাম লেখাে।

উঃ শব্দার্থতত্ত্বের দুটি শাখা। যথা- ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্ব এবং শব্দভিত্তিক শব্দার্থতত্ত্ব।

৩১) ‘শব্দার্থের রূপান্তর’ অন্য কী নামে পরিচিত?

উঃ ‘শব্দার্থের রূপান্তর’-এর অন্য নাম হল শব্দার্থ সংশ্লেষ বা শব্দার্থের আমূল পরিবর্তন।

৩২) শব্দার্থের পরিবর্তন বলতে কী বােঝ?

উঃ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শব্দের অর্থের যে পরিবর্তন ঘটে, তাকেই বলা হয় শব্দার্থের পরিবর্তন।

৩৩) ‘দারুণ’ শব্দের অর্থ কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে? 

উঃ ‘দারুণ’ শব্দের আদি অর্থাৎ ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ‘কাণ্ঠনির্মিত’। এরপর অর্থ প্রসারণের ফলে হয় ‘কাষ্ঠনির্মিত বস্তুর মতাে শক্ত’ এবং তারপর হয় ‘অত্যন্ত শক্ত’। এরপর অর্থ সংকোচনের ফলে প্রচলিত অর্থ দাঁড়ায় ‘অত্যন্ত’।

৩৪) সম্পূর্ণ নতুন শব্দযােগে তৈরি দুটি বিপরীতার্থক শব্দের উদাহরণ দাও।

উঃ সম্পূর্ণ নতুন শব্দযােগে তৈরি দুটি বিপরীতার্থক শব্দের উদাহরণ হল- সুখ-দুঃখ এবং ভালাে-মন্দ।

৩৫) ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্বের আলােচ্য বিষয় কী?

উঃ সময়ের সাথে সাথে ভাষার অর্থের পরিবর্তন পর্যালােচনা করাই ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্বের আলােচ্য বিষয়।

দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা শব্দার্থতত্ত্ব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বড়োপ্রশ্নের উত্তরঃ  

শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছোটপ্রশ্নের উত্তর আলোচনা।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা কয়টি ভাগে বিভক্ত ও কী কী? তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

থিসরাস সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

অর্থগত দিক থেকে শব্দের পারস্পরিক সম্পর্কের বিভিন্নতা আলোচনা করো।

উত্তর জানতে এখানে টাচ/ক্লিক করতে হবে

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ sikkhalaya

You cannot copy content of this page

Need Help?