শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচক্ষু গল্পের আলোচনা এবং জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
জ্ঞানচক্ষু গল্পের রচনা উৎসঃ
আমাদের পাঠ্য “জ্ঞানচক্ষু” গল্পটি বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্পসংকলন গ্রন্থ থেকে চয়ন করা হয়েছে।
বিষয় সংক্ষেপঃ
জ্ঞানচক্ষু গল্পের বিষয়বস্তু নিম্নের ভিডিওতে আলোচনা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ভিডিওটি প্লে করে এই গল্পের সমগ্র বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে পারবেঃ
জ্ঞানচক্ষু গল্পের শব্দার্থঃ
মার্বেল– কাচ বা পাথরের গোলাকার বস্তু, যা দিয়ে খেলা যায়। পাঠ্য গল্পে চোখ বিস্ময়ে গোলাকৃতি হওয়াকে বোঝানো হয়েছে।
দেদার– প্রচুর
ঘটাপটা– জাঁকজমক
জ্ঞানচক্ষু– অন্তর্দৃষ্টি
নিছক– একেবারে
অহরহ– প্রায়শই
পুলকিত– আনন্দিত
রত্ন– বহুমূল্য মাণিক্য
জহুরি– যিনি রত্নের মূল্য নির্ণয় করেন
কারেকশান– সংশোধন
ঠাট্টা– মজা
আহ্লাদ– আনন্দ
সন্ধ্যাতারা– ছোটদের পত্রিকা
সম্পাদক– যিনি পত্রিকা সম্পাদনা করেন
বিহ্বল– আত্মহারা
কৃতার্থ– ধন্য
দুদ্দাড়িয়ে– ব্যস্ত হয়ে
মুরুব্বি– অভিভাবক ভাব
টুকলিফাই– নকল করা
রোস– অপেক্ষা করা
হাঁ করে থাকা– প্রত্যাশায় অপেক্ষা
কথাশিল্পী– যে সাহিত্যিক গল্প, উপন্যাস ইত্যাদি লেখেন
ঠাট্টা-তামাশা– মজা করা
বিষণ্ণ– দুঃখিত
বুকের রক্ত ছলকে ওঠে– আনন্দের অনুভূতি
অলৌকিক ঘটনা– লৌকিক জগতে যা ঘটে না
শোরগোল– হইচই
চোখ বোলায়– দ্রুত পড়ে যাওয়া
চমৎকার– খুব ভালো
নেহাত কাঁচা– অপরিণত
আত্মপ্রসাদ– সন্তোষ
প্রসন্নতা– সন্তুষ্টি
আহ্লাদ– আমোদ বা আনন্দ
আনকোরা– সম্পূর্ণ নতুন
আগাগোড়া– প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত
পাকা হাতের কলমে– দক্ষ হাতে
পায়া ভারী হয়ে গেল– নিজের কৃতিত্বের অহংকার প্রকাশ
অপমান– অসন্মান
জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে MCQ প্রশ্নের উত্তরঃ
১) নতুন মেসোমশাই হলেন একজন- ক) বই প্রকাশক খ) চিকিৎসক গ) লেখক ঘ) গায়ক
২) তপনের মেসোমশাই কোন পত্রিকায় তপনের লেখা ছাপানোর কথা বলেছিলেন?- ক) ধ্রুবতারা খ) শুকতারা গ) সন্ধ্যাতারা ঘ) রংমশাল
৩) ছোটমাসি আর তপনের বয়সের ব্যবধান প্রায়- ক) বছর চারেক খ) বছর আটেক গ) বছর সাতেক ঘ) বছর পাঁচেক
৪) ঠাট্টাতামাশার মধ্যে তপন ক-টি গল্প লিখেছে?- ক) একটি-দুটি খ) দুই-তিনটি গ) তিনটি-চারটি ঘ) চারটি-পাঁচটি
৫) “পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে”- অলৌকিক ঘটনাটি হল- ক) এক লেখকের সঙ্গে তপনের ছোটমাসির বিয়ে হয়েছে খ) বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী গ) তপনের লেখা গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে ঘ) তপন দেখল ছাপানো গল্পের একটি লাইনও তার নিজের নয়
৬) হাজার হাজার ছেলের হাতে যেটা ঘুরবে তা হল- ক) ফুটবল খ) কবিতা গ) তপনের লেখা গল্প ঘ) ব্যাট
৭) শ্রী তপন কুমার রায়ের লেখা গল্পটির নাম হল- ক) সন্ধ্যাতারা খ) অনুভূতি গ) প্রথম দিন ঘ) শেষরাতে
৮) “ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে”- ‘ও কথাটি’ হল- ক) গল্প লেখা খ) তপন একজন গল্পলেখক গ) কারেকশনের কথা ঘ) তপনের গল্প কারেকশন করে দেওয়ার কথা
৯) ছোটোমেসো পান করেন- ক) চা খ) কফি গ) সরবত ঘ) ডাবের জল
১০) “বাবা, তোর পেটে এত!”- কথাটি বলেছেন- ক) তপনের মা খ) ছোটোমাসি গ) ছোটোমামা ঘ) মেজোকাকু
জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে SAQ প্রশ্নের উত্তরঃ
১) “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেলো”- কোন কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেলো?
উঃ তপনের নতুন ছোটো মেসোমশাই গল্প লেখেন এবং তাঁর লেখা গল্প ছাপাও হয়- একথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে যায়।
২) “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিলো তপনের”- কোন বিষয়ের কথা বলা হয়েছে?
উঃ লেখকেরাও যে তপনের বাবা, ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতো একজন সাধারণ মানুষ এই বিষয়ে সন্দেহ ছিলো তপনের।
৩) কাকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়?
উঃ লেখক নতুন ছোটো মেসোকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল।
৪) “ছোটমাসি সেইদিকেই ধাবিত হয়”- কোন দিকে?
উঃ তপনের লেখা গল্প নিয়ে তাঁর ছোটো মাসি ছোটো মেসোর দিকে ধাবিত হয়।
৫) “একটু কারেকশন করে ইয়ে করে দিলে ছাপতে দেওয়া চলে”- কে, কী ছাপানোর কথা বলেছেন?
উঃ তপনের নতুন ছোটো মেসোমশাই তপনের লেখা গল্প প্রথম দিন ছাপানোর কথা বলেছে।
৬) “এইসব মালমশলা নিয়ে বসে”- কীসের কথা বলা হয়েছে?
উঃ তপনের সমবয়সীদের রাজা-রানি, খুন-জখম-অ্যাক্সিডেন্ট বা অনাহারে মৃত্যুর মতো বিষয়গুলি নিয়ে গল্প লেখার কথা বলা হয়েছে।
৭) তপনের গল্প পড়ে ছোটমাসি কী বলেছিল?
উঃ ছোটোমাসি জানতে চেয়েছিল যে তপন কোনো জায়গা থেকে গল্পটি ‘টুকলিফাই’ করেছে কিনা।
৮) বুকের রক্ত কেন ছলকে ওঠে তপনের?
উঃ ছোটো মেসো ও মাসি সন্ধ্যাতারা পত্রিকা হাতে তাদের বাড়িতে বেড়াতে এলে তার লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপা হয়েছে এই আশায় তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে।
৯) “সূচিপত্রেও নাম রয়েছে”- সূচিপত্রে কী লেখা ছিল?
উঃ সূচিপত্রে তপনের লেখা গল্পের নাম লেখা ছিল “প্রথম দিন”।
১০) “ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে”- কথাটি কী ছিল?
উঃ তপনের আনকোরা হাতের লেখা গল্প তার ছোটো মেসো ‘কারেকশন’ করে দেওয়ায় গল্পটি সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপা হয়েছে- এই কথাটি ছড়িয়ে পড়েছিল।
১১) “গল্প ছাপানো হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না”- উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত হতে না পারার কারণ কী?
উঃ গল্পটি ছাপানোর জন্য ছোটো মেসোর কৃত্বিত্ব প্রচারিত হলে এবং কারেকশনের নামে তার গল্পটি একপ্রকার লিখে দেওয়ার কথা বাড়ির সকলের আচরণে প্রকাশিত হলে তপনের গুরুত্ব কমে যায় বলে গল্প প্রকাশিত হওয়ার যে আনন্দ তপনের হওয়ার কথা ছিলো তা হয় নি।
১২) “বাবা, তোর পেটে পেটে এত!”- কথাটি কে বলেছেন?
উঃ প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটির বক্তা হলেন তপনের মা।
১৩) দুঃখের মুহূর্তে তপনের সংকল্প কী ছিল?
উঃ দুঃখের মুহুর্তে তপন সংকল্প করে যে, যদি কখনও সে নিজের লেখা ছাপতে দেয় তবে সে নিজে গিয়েই দেবে, অপরের উপরে সে আর নির্ভরশীল থাকবে না।
জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ
১) “রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই”- ‘রত্ন’ ও ‘জহুরি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? উদ্ধৃত উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও। ২+৩=৫
উৎসঃ
বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখিকা “আশাপূর্ণা দেবী” রচিত “কুমকুম” গল্প সংকলনের অন্তর্ভুক্ত “জ্ঞানচক্ষু” গল্প থেকে প্রশ্নোক্ত তাৎপর্যপূর্ণ অংশটি চয়ন করা হয়েছে।
‘রত্ন’ ও ‘জহুরি’র পরিচয়ঃ
‘রত্ন’ শব্দটির অর্থ ‘জহর’ বা বহু মূল্যবান প্রস্তর। প্রশ্নোক্ত অংশে ‘রত্ন’ বলতে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন কুমার রায় অর্থাৎ তপনের লেখা ‘প্রথম দিন’ গল্পটিকে বোঝানো হয়েছে।
‘জওহর’শব্দটি এসেছে ‘জহর’ থেকে। বহুমূল্য রত্নের বিশুদ্ধতা যিনি পরীক্ষা করেন তাকে জহুরি বলা হয়। উদ্ধৃতাংশে ‘জহুরি’ বলতে তপনের লেখক ছোটমেসোমশাইকে বোঝানো হয়েছে।
তাৎপর্যঃ
একজন জহুরি তার নিজ দক্ষতার সাহায্যে রত্নের প্রকৃত মূল্য খুব সহজেই নির্ণয় করতে সক্ষম হন। তপনের ছোটমেসো একজন প্রফেসর ও দক্ষ লেখক। সাহিত্যবোধসম্পন্ন লেখক ছোটমেসো তপনের লেখা গল্পের প্রকৃত গুণমান উপলব্ধি করতে পারবেন বলেই তপনের মনে হয়েছে। জীবন সম্পর্কে স্বল্প অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তপনের মনে হয়েছে, স্বর্ণকার যেমন সোনা চেনেন এবং খুব সহজেই কোন্টি খাঁটি ও কোন্টি নকল তা নির্ণয় করতে পারেন, তেমনই লেখক ছোটমেসোও তার লেখা গল্পের প্রকৃত মান মূল্যায়ণ করতে সক্ষম হবেন।
“পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে!”-তপনের এমন মনে হওয়ার কারণটি লেখো।
‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।
“কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের”- কীভাবে তপনের প্রথম জ্ঞানচক্ষু খুলেছিল? তার সত্যিকারের জ্ঞানচক্ষু খুলেছিল কীভাবে?
“আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন”- ‘তার’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? ‘আজ’ বলতে কোন্ দিনটির কথা বলা হয়েছে? সেটি কী কারণে বক্তার কাছে সবচেয়ে দুঃখের দিন?
‘জ্ঞানচক্ষু’ অবলম্বনে তপনের চরিত্র আলোচনা করো।
দশম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের অন্যান্য গল্প, কবিতাগুলি থেকে MCQ প্রশ্নের উত্তর সমাধান করতে নিম্নের লিংকে টাচ/ক্লিক করতে হবে
দশম শ্রেণি ইতিহাস MCQ মক টেষ্ট
কম্পিউটার ও মোবাইল সংক্রান্ত জ্ঞান
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ
Answer gulo download hocche na
শিক্ষালয়ের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ধন্যবাদ। বিষয়টি অতি অবশ্যই দেখা হবে।