সুয়েজখালে হাঙর শিকার প্রবন্ধের প্রশ্নের উত্তর

সুয়েজখালে হাঙর শিকার প্রবন্ধের প্রশ্নের উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সুয়েজখালে হাঙর শিকার প্রবন্ধের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই সুয়েজখালে হাঙর শিকার প্রবন্ধের প্রশ্নের উত্তর ভালো করে অনুশীলন করলে পরীক্ষায় বিশেষ সুবিধা লাভ করবে। ইতিপূর্বে সুয়েজখালে হাঙর শিকার প্রবন্ধের বড়ো প্রশ্নের উত্তরও শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সেই প্রশ্নের উত্তরগুলি শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোট বিভাগ থেকে দেখতে পারবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।

সুয়েজখালে হাঙর শিকার প্রবন্ধের প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনার লেখকদের জাহাজ কত তারিখ রেড সি পার হয়?

উঃ সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনার লেখকদের জাহাজ ১৪ জুলাই রেড সি পার হয়।

২) স্বামী বিবেকান্দের জাহাজ কত তারিখে সুয়েজ বন্দরে পৌঁছােয়?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দের জাহাজ ১৪ জুলাই সুয়েজ বন্দরে পৌঁছােয়।

৩) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার-এ লেখকদের জাহাজ সুয়েজ বন্দরে থেমেছিল কেন?

উঃ সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার’-এ জাহাজ সুয়েজ বন্দরে থেমেছিল কারণ জাহাজটিতে সেই বন্দরে নামাবার মাল ছিল।

৪) “কাজেই দোতরফা ছোঁয়াছুঁয়ির ভয়।”— দুই তরফাটা কে কে?

উঃ উল্লিখিত দুই তরফের মধ্যে জাহাজের কর্মী যাত্রী একতরফ আর বন্দরের মানুষজন আর-এক তরফ।

৫) “মাল নামবে, কিন্তু সুয়েজের কুলি জাহাজ ছুঁতে পারবে না।”- কেন?

উঃ কুলি জাহাজ ছুঁতে পারবে না, কারণ সুয়েজের কুলির মাধ্যমে জাহাজের কর্মী বা যাত্রীদের প্লেগ রােগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

৬) “জাহাজে খালাসি বেচারাদের আপদ আর কি!”- আপদটা কী?

উঃ প্লেগের ভয়ে বন্দরের কুলিদের মাল নামানাের কাজ করাটা জাহাজের খালাসিদের কাছে আপদ।

৭) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় প্লেগের ভয়ে জাহাজের খালাসিদের কোন্ অতিরিক্ত কাজ করতে হয়েছিল?

উঃ খালাসিদের জাহাজের মালগুলি বয়ে নিয়ে জাহাজের ক্রেনে তুলতে হয়েছিল, যে কাজ বন্দরের কুলিরা করে।

৮) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় সুয়েজ বন্দরে কীভাবে জাহাজের মাল খালাস করা হয়েছিল?

উঃ জাহাজের খালাসিরা জাহাজ থেকে বয়ে নিয়ে মালগুলি জাহাজের ক্রেনে ফেললে ক্রেন সেগুলি বন্দরে দাঁড়ানাে নৌকোয় ফেলছিল এবং সেই নৌকা থেকে বন্দরের কুলিরা মালগুলি তীরে নিয়ে যাচ্ছিল।

৯) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় সুয়েজ বন্দরে কোম্পানির এজেন্ট জাহাজের কাছে কীভাবে এসেছিলেন?

উঃ সুয়েজ বন্দরে কোম্পানির এজেন্ট জাহাজের কাছে ছােটো লঞ্চ করে এসেছিলেন।

১০) “ওঠবার হুকুম নেই”—কার, কোথায় ওঠবার হুকুম নেই?

উঃ কোম্পানির এজেন্টের জাহাজে ওঠবার হুকুম নেই।

১১) “কাপ্তেনের সঙ্গে জাহাজে-নৌকোয় কথা হচ্ছে।”- কার?

উঃ “কাপ্তেনের সঙ্গে জাহাজে-নৌকায় কথা হচ্ছে”- কোম্পানির এজেন্টের।

১২) “কাপ্তেনের সঙ্গে জাহাজে-নৌকায় কথা হচ্ছে।”- কে জাহাজ এবং কে নৌকায় রয়েছেন?

উঃ জাহাজের কাপ্তেন জাহাজে এবং কোম্পানির এজেন্ট নৌকায় রয়েছেন।

১৩) “এখানে ইউরােপের আরম্ভ।” -কোথায়?

উঃ সুয়েজ বন্দরে ইউরােপের আরম্ভ।

১৪) “এখানে ইউরােপের আরম্ভ।”- কেন?

উঃ সুয়েজ খালের উত্তরে ভূমধ্যসাগর এবং তারই উত্তরে ইউরােপ মহাদেশ আছে বলে ‘সুয়েজ বন্দর থেকেই ইউরােপের আরম্ভ’ বলা হয়েছে।

১৫) “স্বর্গে ইদুরবাহন প্লেগ পাছে ওঠে”-কাকে স্বর্গ বলা হয়েছে?

উঃ উদ্ধৃত অংশটিতে ইউরােপকে ‘স্বর্গ’ বলা হয়েছে।

১৬) “স্বর্গে ইদুর বাহন প্লেগ পাছে ওঠে”- গ্লেগকে ‘ইঁদুর- বাহন বলা হয়েছে কেন?

উঃ ইঁদুরই প্লেগ-রােগের জীবাণুর বহনকারী বা বাহন এবং ইদুরের মাধ্যমেই প্লেগ রােগ মানবশরীরে প্রবেশ করে বলে প্লেগকে স্বামী বিবেকানন্দ রচিত ‘সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার প্রবন্ধে ইঁদুর-বাহন বলা হয়েছে।

১৭) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় প্লেগের জীবাণু শরীরে ঢােকার কতদিনের মধ্যে সেই রােগের উপসর্গ দেখা দেয়?

উঃ প্লেগের জীবাণু শরীরে ঢােকার ১০ দিনের মধ্যে রােগের উপসর্গ দেখা দেয়।

১৮) “তাহলে আর নেপল্সেও লােক নাবানাে হবে না,”-  নেপলস্ কোথায়? 

উঃ ইতালির বিখ্যাত বন্দর-নগরী হল নেপলস্, যার বর্তমান নাম নেপােলি (Nepoli)।

১৯) “তাহলে আর নেপল্সেও লােক নাবানাে হবে না”- কোন্ ক্ষেত্রে তা হবে?

উঃ জাহাজের যাত্রী-কর্মীরা যদি কোনােভাবে সুয়েজ বন্দরের মিসরি আদমি অর্থাৎ মিশরের লােককে ছুঁয়ে ফেলেন, তবেই।

২০) “কিন্তু মিসরি আদমিকে ছুঁলেই আবার দশদিন আটক”- দশদিনই কেন?

উঃ প্লেগ-জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার খুব বেশি হলে দশম দিনে সে-রােগের উপসর্গ পুরােপুরি প্রকাশিত হয় বলেই ‘দশ দিন’ আটক থাকার কথা বলা হয়েছে।

২১) “মার্সাইতেও নয়”- মার্সেই কোথায়?

উঃ ফ্রান্সের বিখ্যাত বন্দর নগরী হল মার্সাই।

২২) “কাজেই ধীরে ধীরে মাল নাবাতে সারাদিন লাগবে।”- ধীরে ধীরে মাল নামানাের কারণ কী?

উঃ জাহাজের কর্মীদের সঙ্গে বন্দরের লােকজনের ছোঁয়াছুঁয়ি এড়াতেই ধীরে ধীরে জাহাজের মাল নামানাে হচ্ছিল।

২৩) “কাজেই ধীরে ধীরে মাল নাবাতে সারাদিন লাগবে।”- কোথা থেকে কোথায় মাল নামানাে হচ্ছিল?

উঃ জাহাজ থেকে সুয়েজ বন্দরে মাল নামানাে হচ্ছিল।

২৪) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় কী হলে তবেই রাত্রিতে জাহাজ অনায়াসেই খাল পার হতে পারে?

উঃ যদি জাহাজের সামনে বৈদ্যুতিক আলাের ব্যবস্থা থাকে, তবেই রাত্রিতে জাহাজ অনায়াসেই খাল পার হতে পারে।

২৫) “কিন্তু সে আলাে পরাতে গেলে,”— কোন্ আলাে, কোথায় পরানাের কথা বলা হয়েছে?

উঃ জাহাজের সামনে বৈদ্যুতিক আলাে পরানাের কথা বলা হয়েছে।

২৬) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় কোন্ ক্ষেত্রে ‘সুয়েজের লােককে জাহাজ ছুঁতে হবে?

উঃ জাহাজের সামনে বৈদ্যুতিক আলাে পরাতে গেলে সুয়েজের লােককে জাহাজ ছুঁতে হবে।

২৭) “ব্যাস-দশ দিন কারাটীন (quarantine)।”— কারাটীন কী?

উঃ সংক্রামক ব্যাধির প্রসার রােধ করার জন্য জাহাজের ও বন্দরের মানুষদের পৃথক করা বা উভয়ের মেশামেশি নিষিদ্ধ করাকেই বলে কারাঁটীন বা কোয়র্যান্টিন্ (quarantine)।

২৮) “ব্যাস-দশ দিন কারাঁটীন (quarantine)।”- কোন্ ক্ষেত্রে এমনটা হওয়ার কথা লেখক বলেছেন?

উঃ জাহাজে বৈদ্যুতিক আলাে লাগাতে গেলে সুয়েজবন্দরের লােকজনকে যেহেতু জাহাজ ছুঁতে হবে, তাই সেক্ষেত্রে দশ দিন কারাঁটীন পালন করতে হবে।

২৯) “কাজেই রাতেও যাওয়া হবে না”— কী পার হয়ে কোন্ সাগরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে?

উঃ উদ্ধৃত অংশটিতে সুয়েজখাল পার হয়ে ভূমধ্যসাগরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

৩০) “কাজেই রাতেও যাওয়া হবে না,”- কেন রাতে যাওয়া যাবে না?

উঃ রাতে চালাতে গেলে জাহাজের সামনে বৈদ্যুতিক আলাে লাগানাের প্রয়ােজন। কিন্তু সেই আলাে লাগাবে সুয়েজ- বন্দরের লােকজন, তাই প্লেগের ভয়ে রাতে জাহাজ চালানাের ব্যবস্থা করতে পারে না জাহাজ কর্তৃপক্ষ।

৩১) “কাজেই রাতেও যাওয়া হবে না”- দিনেই বা যাওয়া হবে না কেন?

উঃ প্লেগের ভয়ে ছোঁয়াছুঁয়ি এড়িয়ে মাল নামাতে যেহেতু জাহাজের সারাদিন লাগবে, তাই সেদিন দিনেরবেলা আর জাহাজের যাওয়া হবে না।

৩২) “চব্বিশ ঘণ্টা এইখানে পড়ে থাকো”— কোথায়?

উঃ সুয়েজ বন্দরে চব্বিশ ঘণ্টা পড়ে থাকার কথা বলা হয়েছে।

৩৩) “চব্বিশ ঘণ্টা এইখানে পড়ে থাকো”— কোন্ চব্বিশ ঘণ্টা?

উঃ ১৪ জুলাই সকাল থেকে ১৫ জুলাই সকাল পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টা জাহাজের সুয়েজ বন্দরে পড়ে থাকার কথা এখানে বলা হয়েছে।

৩৪) “এটি বড়ো সুন্দর প্রাকৃতিক বন্দর”- কোনটি?

উঃ সুয়েজ বন্দর খুবই সুন্দর একটি প্রাকৃতিক বন্দর।

৩৫) সুয়েজখালে :হাঙ্গর শিকার রচনায় সুয়েজ বন্দরের জলে কোন্ দুই প্রকার প্রাণী ভেসে বেড়াতে দেখা যায়?

উঃ সুয়েজ বন্দরের দলে অসংখ্য মাছ আর হাঙর ভেসে বেড়াতে দেখা যায়।

৩৬) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনা অনুসারে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি হাঙর কোন্ দুই বন্দরে দেখা যায়?

উঃ ইজিপ্টের সুয়েজ বন্দরে এবং অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বন্দরে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি হাঙর দেখা যায়।

৩৭) “বাগে পেলেই মানুষকে খেয়েছে।”- কার কথা এখানে বলা হয়েছে?

উঃ প্রশ্নোধৃত অংশটিতে হাঙরের কথা বলা হয়েছে।

৩৮) “প্রায় তিন দিকে বালির টিপি আর পাহাড়” – কার?

উঃ সুয়েজ বন্দরের প্রায় তিন দিকে বালির টিপি আর পাহাড়।

৩৯) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় উল্লিখিত কোন্ দুই প্রাণীর ওপর মানুষের ‘জাতক্রোধ’?

উঃ সাপ ও হাঙরের ওপর মানুষের ‘জাতক্রোধ’।

৪০) “মানুষও বাগে পেলে ওদের ছাড়ে না।”- কাদের?

উঃ মানুষও বাগে পেলে সাপ এবং হাঙরদের ছাড়ে না।

৪১) “সকালবেলা খাবার-দাবার আগেই শানা গেল”- কী শােনা গেল?

উঃ সকালবেলায়, খাবার-দাবার আগেই শােনা গেল যে, জাহাজের পেছনে বড়াে বড়াে হাঙর ভেসে বেড়াচ্ছে।

৪২) লেখকরা কখন এই সংবাদ পেয়েছিলেন যে, “জাহাজের পিছনে বড়াে বড়াে হাঙ্গর ভেসে ভেসে বেড়াচ্চে”?

উঃ সকালবেলায়, প্রাতরাশের আগেই জাহাজের পেছনে বড়াে বড়াে হাঙর ভেসে বেড়ানাের খবর পেয়েছিলেন সুয়েজখালে ; হাঙ্গর শিকার এর লেখক।

৪৩) সুয়েজখালে :হাঙ্গর শিকার রচনায় লেখক স্বামী বিবেকানন্দ আগেরবার সুয়েজ বন্দরে হাঙর দেখতে পাননি কেন?

উঃ লেখক স্বামী বিবেকানন্দ আগেরবার হাঙর দেখতে পাননি তার কারণ সেবার সুয়েজ বন্দরে জাহাজ শহরের গায়ে দাঁড়িয়েছিল এবং তাও অল্পসময়ের জন্য।

৪৪) “হাঙ্গরের খবর শুনেই, আমরা তাড়াতাড়ি উপস্থিত।”— বক্তা কোথায় উপস্থিত হলেন?

উঃ হাঙরের খবর শুনেই স্বামী বিবেকানন্দ ও তাঁর সহযাত্রীরা জাহাজের পেছনের দিকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাদে উপস্থিত হলেন।

৪৫) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় হাঙরের খবর শুনে জাহাজের পেছনদিকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাদে গিয়ে লেখক কী দেখলেন?

উঃ হাঙরের খবর শুনে জাহাজের পেছনদিকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাদে গিয়ে লেখক স্বামী বিবেকানন্দ দেখলেন যে বারান্দা ধরে দলে দলে নারী-পুরুষ-শিশু মুখ বাড়িয়ে সুয়েজখালের জলে ভেসে থাকা হাঙর দেখছে।

৪৬) “মনটা বড়ােই ক্ষুন্ন হল”— কেন?

উঃ জাহাজের পেছনে বড়াে বড়াে হাঙরের ভেসে বেড়ানাের কথা শুনে যথাস্থানে গিয়ে হাজির হয়ে লেখক স্বামী বিবেকানন্দ যখন দেখলেন যে হাঙরগুলাে দুরে সরে গেছে, তখন তার মনটা ক্ষুন্ন হয়েছিল।

৪৭) “আমরা যখন হাজির হলুম”— কারা?

উঃ সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার’ রচনার লেখক স্বামী বিবেকানন্দ এবং তার কয়েকজন সহযাত্রীর কথা উদ্ধৃত অংশে বলা হয়েছে।

৪৮) “আমরা যখন হাজির হলুম”— কোথায় হাজির হলেন? 

উঃ জাহাজের পেছনের দিকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাদে হাজির হলেন স্বামী বিবেকানন্দ ও তার সঙ্গীসাথীরা।

৪৯) “আমরা যখন হাজির হলুম”— হাজির হওয়ার পর কী দেখা গেল?

উঃ সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনার লেখক স্বামী বিবেকানন্দ উদ্দিষ্ট স্থানে হাজির হওয়ার পর দেখা গেল যে, হাঙরগুলাে জাহাজের কাছ থেকে সরে গেছে।

৫০) “কিন্তু দেখি যে”- কী দেখা গেল?

উঃ দেখা গেল যে, সুয়েজখালে গাঙ্ধাড়ার মতাে দেখতে একপ্রকার মাছ দলে দলে ভেসে বেড়াচ্ছে।

৫১) “জলে গাঙধাড়ার মতাে একপ্রকার মাছ ঝাঁকে ঝাঁকে ভাসছে”— গাঙধাড়ার মতাে মাছ কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?

উঃ গ্রামবাংলার মাছ গাঙধাড়া খাল-বিল-পুকুর এবং নদী নালায় সাধারণত দেখতে পাওয়া যায়, কদাচিৎ দেখা যায় মােহনা বা সমুদ্রে।

৫২) “জলে গাঙধাড়ার মতাে একপ্রকার মাছ ঝাঁকে ঝাকে ভাসছে”- গাঙধাড়া মাছ কেমন দেখতে?

উঃ সরু লম্বা ঠোঁটের মতাে চোয়ালবিশিষ্ট, লম্বা নলের আকৃতির মাছ গাঙ্ধারার রং রুপােলি এবং শরীরের দু-দিকে হালকা সবুজ লম্বা রেখা থাকে।

৫৩) “মাঝে মাঝে এক একটা বড়াে মাছ”— কাদের মাঝে বড়াে মাছটিকে দেখা গিয়েছিল?

উঃ জলে গাঙ্ধাড়ার মতাে যে মাছগুলি দলে দলে ভেসে বেড়াচ্ছিল এবং আর-একপ্রকার খুব ছােটো মাছের দল জলে থিক্ থিক্ করছিল—সেই দুইপ্রকার দলবদ্ধ মাছের মাঝে বড়াে মাছটিকে দেখা গিয়েছিল।

৫৪) “মাঝে মাঝে এক একটা বড়াে মাছ”— সেই মাছের চেহারা কেমন ছিল?

উঃ অনেকটা ইলিশ মাছের মতাে চেহারা ছিল সেই বড়াে মাছটির।

৫৫) “মাঝে মাঝে এক একটা বড়াে মাছ”— সেই মাছ কী করছিল?

উঃ সেই বড়াে মাছটি তিরের মতাে দ্রুতগতিতে এদিক-ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছিল।

৫৬) “মনে হল বুঝি উনি হাঙ্গরের বাচ্চা”— কোন্ মাছকে হাঙরের বাচ্চা বলে মনে হয়েছিল?

উঃ বনিটো মাছকে হাঙরের বাচ্ছা বলে মনে হল।

৫৭) “অনেকটা ইলিশ মাছের চেহারা।”- কার কথা বলা হয়েছে?

উঃ উদ্ধৃত অংশে বনিটো মাছের কথা বলা হয়েছে।

৫৮) “কিন্তু জিজ্ঞাসা করে জানলুম”— কী জানলেন?

উঃ লেখক স্বামী বিবেকানন্দের যে মাছকে ‘হাঙ্গরের বাচ্চা বলে মনে হয়েছিল, সেই মাছের নাম বনিটো এই কথাটিই লেখক জানতে পেরেছিলেন।

৫৯) “ওঁর নাম বনিটো।”- বনিটো কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?

উঃ প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরেই বিভিন্ন প্রজাতির বনিটো দেখতে পাওয়া যায়।

৬০) “ওঁর নাম বনিটো।”- বনিটো কোন্ প্রজাতির মাছ?

উঃ বনিটো ম্যাকারেল প্রজাতির মাছ।

৬১) “পূর্বে ওঁর বিষয় পড়া গেছলাে বটে”— কার বিষয়ে?

উঃ লেখক স্বামী বিবেকানন্দ বনিটো মাছের বিষয়ে পড়েছিলেন।

৬২) “তাও পড়া ছিল।”— কী পড়েছিলেন লেখক?

উঃ বনিটো মাছের শুটকি দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ থেকে হুড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে যে রপ্তানি হয়, সেকথা পড়েছিলেন লেখক স্বামী বিবেকানন্দ।

৬৩) “তাও শােনা আছে।”- কী শােনা ছিল?

উঃ বনিটো মাছের ফ্যাটসমৃদ্ধ মাংস গাঢ় লাল ও খুব সুস্বাদু তা লেখক স্বামী বিবেকানন্দের শােনা ছিল।

৬৪) মালদ্বীপ থেকে বনিটো মাছ কীসে করে বিভিন্ন দেশে আমদানি হয়?

উঃ মালদ্বীপ থেকে বনিটো মাছ হুড়ি বা নৌকায় করে বিভিন্ন দেশে আমদানি হয়।

৬৫) “এখন ওর তেজ আর বেগ দেখে খুশি হওয়া গেল।”- কার?

উঃ উদ্ধৃত অংশে বনিটো মাছের কথা বলা হয়েছে।

৬৬) “তার প্রত্যেক অঙ্গভঙ্গি দেখা যাচ্ছে।”- কার?

উঃ উদ্ধৃত অংশে বলা হয়েছে বনিটো মাছের অঙ্গভঙ্গি দেখা যাচ্ছে।

৬৭) “তার প্রত্যেক অঙ্গভঙ্গি দেখা যাচ্চে।”- কেন সেটা সম্ভব হয়েছিল?

উঃ লােহিত সাগরের জল কাচের মতাে স্বচ্ছ ছিল বলেই সেই জলে বনিটো মাছের প্রত্যেকটি অঙ্গভঙ্গি প্রত্যক্ষ করতে পেরেছিলেন ‘সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার’ রচনার লেখক স্বামী বিবেকানন্দ।

৬৮) ‘বিশ মিনিট, আধঘণ্টাটাক’ ধরে কী দেখে চলেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ?

উঃ ‘বিশ মিনিট, আধঘণ্টা-টাক’ ধরে বনিটো মাছের ছুটোছুটি এবং কিলবিল করা ছােটো মাছেদের দেখে চলেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।

৬৯) “ক্রমে তিতিবিরক্ত হয়ে আসছি”—কতক্ষণ পর তিতিবিরক্ত হলেন স্বামী বিবেকানন্দ?

উঃ তিন কোয়ার্টার অর্থাৎ ঘণ্টার সিকিভাগের তিনগুণ সময় বা ৪৫ মিনিট পরে তিতিবিরক্ত হলেন ‘সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনার লেখক স্বামী বিবেকানন্দ।

৭০) “এমন সময়ে একজন বললে”— কোন্ সময়?

উঃ জাহাজের পেছনের ছাদে হাঙর দেখার আশায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট দাঁড়িয়ে স্বামী বিবেকানন্দ যখন বনিটোসহ অন্যান্য ছােটো মাছ দেখে তিতিবিরক্ত হন, তখনকার কথা এখানে বলা হয়েছে।

৭১) “এমন সময় একজন বললে”— কী বললে?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দের সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় জনৈক ব্যক্তি জলের দিকে নির্দেশ করে বলেছিল, ওই ওই!”

৭২) “দশ-বারাে জনে বলে উঠল”- এই দশবারােজনের পরিচয় কী?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় উল্লিখিত জাহাজটির দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রী ছিলেন প্রশ্নোক্ত ‘দশ বারােজন’।

৭৩) “দশ বারােজন বলে উঠল”— কী বলে উঠল?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দের সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় আলােচ্য অংশে দশ বারােজন বলে উঠেছিল, ওই আসছে, ওই আসছে।

৭৪) “চেয়ে দেখি”- চেয়ে কী দেখলেন লেখক স্বামী বিবেকানন্দ?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ চেয়ে দেখলেন যে, জলের পাঁচ-সাত ইঞ্চি ভিতরে বিরাট আকারের এক কালাে বস্তু বেশ কিছুটা দূর থেকে লেখকদের জাহাজের দিকেই ভেসে আসছে।

৭৫) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় প্রথম হাঙরটি জলের কতটা ভিতর থেকে ভেসে এগিয়ে আসছিল?

উঃ সুয়েজখালে :হাঙ্গর শিকার রচনায় প্রথম হাঙরটি জলের পাঁচ-সাত ইঞ্চি ভিতর দিয়ে ভেসে এগিয়ে আসছিল।

৭৬) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনার দ্বিতীয় হাঙরটার মাথাটা কেমন ছিল?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজ খালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় উল্লিখিত দ্বিতীয় হাঙরটির মাথাটা ছিল থ্যাবড়া বা চ্যাপ্টা।

৭৭) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনার প্রথম হাঙরটা কীরকম চালে এগিয়ে আসছিল?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজ খালে : হাঙ্গর শিকার রচনার প্রথম হাঙরটি গদাইলশকরি বা গম্ভীর চালে এগিয়ে আসছিল।

৭৮) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনার প্রথম হাঙরটির মধ্যে বনিটোর কোন্ বৈশিষ্ট্য অনুপস্থিত ছিল?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনার প্রথম হাঙরটির মধ্যে বনিটোর ‘সোঁ সোঁ’ চলনবৈশিষ্ট্য অনুপস্থিত ছিল।

৭৯) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনার লেখক কোন্ হাঙরটিকে বলেছেন ‘বিভীষণ মাছ’?

উঃ সুয়েজখালেঃ হাঙ্গর শিকার রচনার লেখক স্বামী বিবেকানন্দ প্রথম হাঙরটিকে বলেছেন ‘বিভীষণ মাছ’।

৮০) “আর আগে আগে দু-একটা ছােটো মাছ”- এই ছােটো মাছের নাম কী?

উঃ প্রশ্নে উল্লিখিত ছােটো মাছটি হল পাইলট ফিশ বা আড়কাটী মাছ।

৮১) “আর কতকগুলাে ছােটো মাছ তার পিঠে গায়ে পেটে খেলে বেড়াচ্চে”— কোন্ মাছ?

উঃ প্রশ্নে উল্লিখিত অংশে হাঙর-চোষক মাছের কথা বলা হয়েছে।

৮২) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় উল্লিখিত আড়কাটী মাছ বা পাইলট ফিশ কী করে?

উঃ আড়কাটী বা পাইলট ফিশ হাঙরের আগে আগে চলে হাঙরকে শিকার দেখিয়ে দেয় এবং পরিবর্তে হাঙরের খাদ্যবস্তুর সামান্য কিছু অংশ প্রসাদ হিসেবে পায়।

৮৩) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় উল্লিখিত ‘কিন্তু হাঙরের সে মুখ-ব্যাদান দেখলে কী মনে হয়?

উঃ সুয়েজখালেঃ হাঙ্গর শিকার রচনায় উল্লিখিত পাইলট ফিশ বা আড়কাটী মাছ যে হাঙরের প্রসাদ পেতে খুব বেশি সফল হয় না, তা হাঙরের মুখ-ব্যাদান দেখলে মনে হয়।

৮৪) “তা বােধ হয় না।”- কী বােধ হয় না লেখকের?

উঃ পাইলট ফিশ বা আড়কাটী মাছ যে হাঙরের প্রসাদ নিতে বা পেতে বেশি সফল হয়, তা স্বামী বিবেকানন্দের বােধ হয় না।

৮৫) সুয়েজখালেঃ হাঙ্গর শিকার রচনায় হাঙর-চোষক মাছ জলে কীভাবে থাকে?

উঃ হাঙর-চোষক মাছ সবসময় হাঙরের আশেপাশে ঘােরে, তার পিঠে-পেটে-গায়ে-ঘাড়ে খেলে বেড়ায় অথবা সেখানে লেগে থাকে।

৮৬) সুয়েজখালেঃ হাঙ্গর শিকার রচনায় হাঙর-চোষক মাছের বুকের কাছে কী থাকে?

উঃ হাঙর-চোষক মাছের বুকের কাছে চার ইঞ্চি লম্বা ও দুই ইঞ্চি চওড়া চ্যাপটা, গােল, জুলি কাটা একটা জায়গা থাকে। 

৮৭) “সেই জায়গাটা ওই মাছ, হাঙ্গরের গায়ে দিয়ে চিপসে ধরে”— কোন্ জায়গাটা?

উঃ চার ইঞ্চি লম্বা ও দুই ইঞ্চি চওড়া চ্যাপটা, গােল, জুলি-কাটা যে জায়গাটা হাঙর-চোষক মাছের বুকের কাছে থাকে, সেই জায়গার কথাই প্রশ্নোধৃত অংশে বলা হয়েছে।

৮৮) সুয়েজখালেঃ হাঙ্গর শিকার রচনায় হাঙরের গায়ের পােকামাকড় খেয়ে কোন্ মাছ বাঁচে?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজখালেঃ হাঙ্গর শিকার রচনায় উল্লিখিত হাঙর-চোষক মাছ হাঙরের গায়ের পােকামাকড় খেয়ে বাঁচে।

৮৯) “এই দুই প্রকার মাছ পরিবেষ্টিত না হয়ে চলে না।”- কোন্ দুইপ্রকার মাছ?

উঃ প্রশ্নোধৃত অংশে ‘সুয়েজখালে: হাঙ্গর শিকার রচনায় উল্লিখিত পাইলট ফিশ বা আড়কাটী মাছ এবং চোষক বা হাঙর-চোষক মাছেদের কথা বলা হয়েছে।

৯০) “আর এদের, নিজের সহায়-পারিষদ জ্ঞানে কিছু বলেনও না।”- কে, কাদের কিছু বলেন না?

উঃ হাঙর পাইলট ফিশ (বা আড়কাটী মাছ) এবং হাঙর চোষক—এই দুই জাতের মাছেদের কিছু বলে না।

৯১) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় হাঙর কাদের নিজের সহায় পারিষদ মনে করে?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় উল্লিখিত পাইলট ফিশ বা আড়কাটী মাছ এবং চোষক বা হাঙর-চোষক—এই দুই জাতের মাছকে হাঙর ‘নিজের সহায় পারিষদ’ মনে করে।

৯২) “এই মাছ একটা ছােটো হাতসুতােয় ধরা পড়ল।”— কোন্ মাছ?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় উল্লিখিত হাঙর-চোষক মাছ একটা ছােটো হাতসুতােয় ধরা পড়েছিল।

৯৩) “তার বুকে জুতাের তলা একটু চেপে দিয়ে পা তুলতেই” কী হল?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় উল্লিখিত হাঙর-চোষক মাছের বুকে জুতাের তলা একটু চেপে পা তুলতেই মাছটি লেখকের জুতাের সঙ্গে চিপসে উঠতে লাগল।

৯৪) “তার তত উৎসাহের সীমা নেই।”- কার?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনাটিতে উল্লিখিত জাহাজের সেকেন্ড ক্লাস-এর যাত্রীদের মধ্যে যিনি ছিলেন ফৌজি লােক’, তাঁরই উৎসাহের সীমা ছিল না।

৯৫) “কোথা থেকে জাহাজ খুঁজে একটা ভীষণ বড়শির জোগাড় করলে,”- এখানে কার কথা বলা হয়েছে?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় জাহাজটির দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রীদের মধ্যে যে উৎসাহী ফৌজি লােক ছিলেন, তার কথা প্রশ্নোষ্বৃত অংশে বলা হয়েছে।

৯৬) “কোথা থেকে জাহাজ খুঁজে একটা ভীষণ বঁড়শির জোগাড় করলে,”- বড়শিটি কেমন ছিল?

উঃ কুয়ােয়-পড়া ঘটি তুলতে বাঁকানাে লােহার দণ্ডের যে বড়াে আঁকশি দড়ি বেঁধে কুয়ােয় ফেলা হত, উল্লিখিত বড়শিটি আকারে ছিল তারই ‘ঠাকুরদাদা’, অর্থাৎ তার চেয়ে অনেক বড়াে।

৯৭) “সে কুয়াের ঘটি তােলার ঠাকুরদাদা।”- সে বলতে কাকে বােঝানাে হয়েছে?

উঃ দ্বিতীয় শ্রেণির ফৌজি যাত্রীটি হাঙর শিকারের উদ্দেশ্যে সারা জাহাজ খুঁজে যে ভীষণ আকৃতির বড়শি জোগাড় করেছিলেন, ‘সে’ হল সেই বড়শিটিই।

৯৮) সুয়েজখালেঃ হাঙ্গর শিকার রচনায় হাঙর ধরার বিশাল বড়শি কী দিয়ে বাঁধা হয়েছিল?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত ‘সুয়েজখালে: হাঙ্গর শিকার রচনায় সেরখানেক শুয়ােরের মাংস বড়শিটির সঙ্গে ভালাে করে জড়িয়ে বাঁধা হয়েছিল।

৯৯) সুয়েজখালেঃ হাঙ্গর শিকার রচনায় মাংসের টোপ-সহ বড়শি থেকে কত দূরে কাঠের ফাতনা লাগানাে হয়েছিল?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় মাংসের টোপসহ বড়শি থেকে চার হাত দূরে কাঠের ফাতনা লাগানাে হয়েছিল।

১০০) সুয়েজখালেঃ হাঙ্গর শিকার রচনায় হাঙরের টোপ হিসেবে কী দেওয়া হয়েছিল?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় হাঙরের টোপ হিসেবে সেরখানেক ‘আসল ইংরেজি শুয়ােরের মাংস দেওয়া হয়েছিল। 

১০১) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় হাঙরের বড়শির ফাতনা কী ছিল?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় হাঙরের বড়শির ফাতনা ছিল একখানা মস্ত কাঠ।

১০২) “আমরা আসা পর্যন্ত চৌকি দিচ্ছিল,”— কোথায়?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় সুয়েজ-বন্দর দাঁড়িয়ে থাকা জাহাজের নীচে একটা জল-পুলিশের নৌকা চৌকি দিচ্ছিল।

১০৩) “আমরা আসা পর্যন্ত চৌকি দিচ্ছিল”—“আমরা বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে?

উঃ ‘সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় সুয়েজ-বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা জাহাজটিতে অবস্থানরত উল্লিখিত রচনাটির লেখক স্বামী বিবেকানন্দ ও তার সহযাত্রীদের কথা এখানে বলা হয়েছে।

১০৪) “আমরা আসা পর্যন্ত চৌকি দিচ্ছিল,”- কে চৌকি দিচ্ছিল?

উঃ সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় উল্লেখ করা হয়েছে। যে জল-পুলিশের একটা নৌকা চৌকি দিচ্ছিল।

১০৫) “আমরা আসা পর্যন্ত চৌকি দিচ্ছিল”—চৌকি দেওয়ার কারণ কী?

উঃ প্লেগ-ভয়ে ভীত বন্দরের মানুষজনের সঙ্গে জাহাজটির যাত্রীদের যাতে কোনােরকম ছোঁয়াছুঁয়ি না হয়, তা দেখার জন্যই চৌকি বা পাহারা দেওয়া হচ্ছিল।

১০৬) “সেই নৌকোর উপর আবার দুজন দিব্বি ঘুমুচ্ছিল”- কোন্ নৌকার ওপর?

উঃ লেখকের জাহাজটি সুয়েজ বন্দরে পৌঁছেলে সেই জাহাজের নীচে জল-পুলিশের যে নৌকাটি চৌকি দিচ্ছিল, সেই নৌকার কথা বলা হয়েছে।

১০৭) “যাত্রীদের যথেষ্ট ঘৃণার কারণ হচ্ছিল”— কারা?

উঃ সুয়েজ বন্দরে দাঁড়ানাে জাহাজটিকে চৌকি দিতে দাঁড়িয়ে থাকা জল-পুলিশের নৌকায় যে দুজন দিব্যি ঘুমােচ্ছিলেন, তাদের কথাই প্রশ্নোধৃত অংশে বলা হয়েছে।

১০৮) “এক্ষণে তারা বড় বন্ধু হয়ে উঠল।”- কারা?

উঃ সুয়েজ বন্দরে দাঁড়ানাে জাহাজটিকে চৌকি দিতে দাঁড়িয়ে থাকা জল-পুলিশের নৌকায় যে দুজন দিব্যি ঘুমোচ্ছিলেন, তাঁদের কথাই প্রশ্নোদধ্ধৃত অংশে বলা হয়েছে।

১০৯) “হাঁকাহাঁকির চোটে আরব মিঞা চোখ মুছতে মুছতে উঠে দাঁড়ালেন।”—হাঁকাহাঁকির কারণ কী?

উঃ যে বিরাটাকৃতি বড়শি জলে ফেলা হয়েছিল, কড়িকাঠরূপী তার ফাতনাটাকে বড়শি-টোপসহ কিছুটা দূরে সরিয়ে দেবার অনুরােধ করার জন্যই জাহাজের উৎসাহী যাত্রীরা হাঁকাহাঁকি করছিলেন।

১১০) “কোমর আঁটবার জোগাড় করছেন,”— কখন?

উঃ ‘সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় জল-পুলিশের নৌকোটিতে ঘুমিয়ে থাকা আরবি পুলিশ দুটি জাহাজযাত্রীদের হাঁকাহাঁকি শুনে কিছু একটা হাঙ্গামা হয়েছে মনে করে কোমর আঁটবার জোগাড় করছিলেন।

১১১) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় ফাতনাকে লেখক কার সঙ্গে তুলনা করেছেন?

উঃ সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় লেখক স্বামী বিবেকানন্দ ফাতনাকে কড়িকাঠের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

১১২) “ফাতনাটাকে তাে দূরে ফেললেন;”— কারা?

উঃ সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় জাহাজটির নীচে দাঁড়িয়ে থাকা জল-পুলিশের নৌকোর আরবি পুলিশ দুটি জাহাজের যাত্রীদের অনুরােধে ফাতনাটিকে দূরে ফেললেন।

১১৩) “ফাতনাটাকে তাে দূরে ফেললেন;”— কীভাবে?

উঃ সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় উল্লিখিত জনৈক আরবি পুলিশ নিশ্বাস ছেড়ে, একটা প্রাণখােলা হাসি হেসে তারপর একটা বড়াে লতাডালের আগা দিয়ে ঠেলে ফাতনাটাকে দূরে ফেললেন।

১১৪) “সচকিতনয়নং পশ্যতি তব পন্থানাং”— এর অর্থ কী?

উঃ প্রশ্নোষ্ধৃত অংশটির অর্থ “সচকিত চোখে তােমার পথের দিকে তাকিয়ে আছি।”

১১৫) “সে চিরকাল যা করে”—কার কথা বলা হয়েছে?

উঃ যার আগমনের অপেক্ষায় মানুষ ধড়ফড় করে, তার কথাই প্রশ্নোধৃত অংশে বলা হয়েছে।

১১৬) “কী একটা ভেসে উঠল,”- কোথায় কী ভেসে উঠল?

উঃ জাহাজ থেকে প্রায় দুশাে হাত দূরে ভিস্তির মতাে আকৃতির একটি হাঙর ভেসে উঠল।

১১৭) “হাঙ্গরটা যে ভড়কে যাবে”- হাঙরটা যাতে না ভড়কায়, সেজন্য বক্তা কী করতে বলেছিলেন?

উঃ হাঙরটা যাতে না ভড়কায় সেজন্য বক্তা সাদা টুপিওয়ালা যাত্রীদের টুপিগুলাে নামাতে বলেছিলেন।

১১৮) “সোঁ করে সামনে এসে পড়লেন।”- কার কথা বলা হয়েছে?

উঃ ‘বাঘা’ নামক হাঙরের কথা বলা হয়েছে। 

১১৯) “সোঁ করে সামনে এসে পড়লেন”—এই আগমনের সঙ্গে লেখক কার তুলনা দিয়েছেন?

উঃ লেখক স্বামী বিবেকানন্দ হাঙরের সোঁ করে সামনে এসে পড়াকে পালতােলা নৌকার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

১২০) “গতস্য শােচনা নাস্তি”— কথাটির অর্থ কী?

উঃ গতস্য শােচনা নাস্তি কথাটির অর্থ হল যা গেছে, তার জন্য শােক করতে নেই।

১২১) “আবার সেটা ছিল ‘বাঘা”- কোনটা?

উঃ যে হাঙরটা প্রথম টোপ মুখে নিয়েছিল, কিন্তু যাত্রীদের টানাটানিতে তা উগরে দিয়ে পালিয়ে যায়, সেই হাঙরটির কথা বলা হয়েছে।

১২২) আবার সেটা ছিল বাঘা বাঘা নামের কারণ কী?

উঃ সুয়েজখালেঃ হাঙ্গর শিকার রচনায় হাঙরটির গায়ে বাঘের মতাে কালাে ডােরা কাটা ছিল বলে তাকে বাঘা বলে অভিহিত করা হয়েছে।

১২৩) “কিন্তু নেহাত হতাশ হবার প্রয়ােজন নেই”- হতাশ হবার কারণটা কী ছিল?

উঃ সুয়েজখালে হাঙ্গর শিকার রচনায় ‘বাঘা নামক হাঙরটি টোপ গিলেও টানাটানিতে টোপটাকে উগরে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় জাহাজযাত্রীরা হতাশ হয়েছিলেন।

১২৪) “কিন্তু নেহাত হতাশ হবার প্রয়ােজন নেই”- কেন লেখক একথা বলেছেন?

উঃ টোপ ফেলে পালানাে হাঙর ‘বাঘা’র গা ঘেঁষেই আর একটা প্রকান্ড, থ্যাবড়ামুখাে হাঙর ‘থ্যাবড়া টোপের দিকেই এগিয়ে আসছিল বলে স্বামী বিবেকানন্দ এ কথা বলেছেন।

১২৫) “আহা হাঙ্গরদের ভাষা নেই!”—হাঙরদের ভাষা থাকলে কী হত বলে লেখকের ধারণা?

উঃ হাঙরদের ভাষা থাকলে বাঘা নামের হাঙরটি নিশ্চিতভাবেই থ্যাবড়া নামের নবাগত হাঙরকে তার পেটের খবর দিত।

১২৬) “কিন্তু কী শক্ত হাড়!”- শক্ত হাড় আসলে কী?

উঃ হাঙর ধরার বড়শির সঙ্গে দেওয়া কড়িকাঠ-সদৃশ কাঠের বড়াে টুকরােকেই শক্ত হাড় বলে সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনার লেখক স্বামী বিবেকানন্দ উল্লেখ করেছেন।

১২৭) “সেও প্রাচীনবয়সসুলভ অভিজ্ঞতা সহকারে…”- ‘সে’ কে?

উঃ এখানে ‘সে’ হল থ্যাবড়ামুখাে দ্বিতীয় হাঙরটি, সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনার লেখক স্বামী বিবেকানন্দ যার নাম দিয়েছেন ‘থ্যাবড়া’।

১২৮) “সেও প্রাচীনবয়সসুলভ অভিজ্ঞতা সহকারে..”- কী উপদেশ দিত?

উঃ সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় স্বামী বিবেকানন্দ লিখেছেন থ্যাবড়া, বাঘাকে চ্যাং মাছের পিত্ত, কুঁজো ভেটকি মাছের প্লিহা, ঝিনুকের ঠান্ডা জুস ইত্যাদি সমুদ্রজ মহৌষধের কোনাে-একটা ব্যবহারের উপদেশ দিত।

১২৯) “আগন্তুক হাঙ্গরকে অবশ্যই দেখাত”- কিভাবে, কি দেখত?

উঃ ‘বাঘা’ নামক হাঙরটি তার কোমর-পর্যন্ত বিস্তৃত মুখমণ্ডল উদঘাটিত করে তার দাঁত ও চোয়ালের অবস্থা দেখত।

১৩০) “কিন্তু যখন ওসব কিছুই হল না”- ওসব কিছু না হওয়ার সম্ভাব্য কারণ দুটি কী?

উঃ এখানে ওসব অর্থাৎ যে দুটি হাঙরের দেখা হয়েছিল, তাদের মধ্যে কথা হয়নি, কারণ—হয় হাঙরদের ভাষা নেই, নতুবা থাকলেও জলের মধ্যে সে কথা বলা সম্ভব ছিল না।

১৩১) “ততদিন সে ভাষার ব্যবহার কেমন করে হয়?”—কোন্ ভাষার কথা বলা হয়েছে?

উঃ হাঙরদের ভাষা সম্বন্ধে লেখক বিবেকানন্দ বলেছেন, হাঙরদের সমাজে ভাষা থাকলেও যেহেতু জলের মধ্যে কথা বলা যায় না, তাই যতদিন পর্যন্ত না হাঙরসমাজে লিপির উদ্ভাবন হচ্ছে, ততদিন তা ব্যবহৃত হতে পারবে না।

১৩২) “অথবা বাঘা মানুষ-ঘেঁষা হয়ে মানুষের ধাত পেয়েছে”- মানুষের ধাত পেলে বাঘা কী করত?

উঃ মানুষের ধাত পেলে বাঘা আমি একাই ঠকবাে?’ ভেবে আসল খবর থ্যাবড়াকে কিছুই বলত না এবং মুচকি হেসে থ্যাবড়ার কুশল সংবাদ নিয়ে সরে পড়ত।

১৩৩) আসল ইংরেজি শুয়ােরের মাংস, কালাে প্রকাণ্ড বড়শির চারি ধারে বাঁধা, জলের মধ্যে কার মতাে দোল খাচ্ছিল?

উঃ প্রশ্নোক্ত বস্তুটি নানা রঙের পােশাকে সজ্জিত গােপিদের মধ্যে থাকা, দোদুল্যমান কৃয়ঠাকুরের মতাে জলের মধ্যে দোল খাচ্ছিল।

১৩৪) “মােদ্দা-কাছির কাছে কাছে থেকো।”- লেখক কী কারণে একথা বলেছেন?

উঃ যাতে হাঙর টোপ গিললে তাকে সবাই মিলে টেনে তুলতে পারে, সেজন্য সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনার লেখক স্বামী বিবেকানন্দ একথা বলেছেন।

১৩৫) “অমনি পড়ল টান”— কখন টান পড়ল?

উঃ থ্যাবড়া নামক দ্বিতীয় হাঙরটি চিৎ হয়ে শুয়ে আড়াআড়িভাবে টোপ গিলে নিয়ে তারপর ধীরেসুস্থে সেটি উদরস্থ করে যেই চলে যেতে উদ্যত হল, তখনই টান পড়ল।

১৩৬) “উলটো উৎপত্তি!”- কী কারণে উলটো উৎপত্তি ঘটল? 

উঃ থ্যাবড়া নামের হাঙরটি টোপ গিললে যখন সবাই দড়ি ধরে টানতে শুরু করল, তখন অবাক হয়ে যখন সে মুখ ঝাড়া দিয়ে টোপটিকে ঝেড়ে ফেলতে উদ্যত হল, তখনই উলটো উৎপত্তি ঘটল।

১৩৭) “উলটো উৎপত্তি!”- উলটো উৎপত্তিটা কী?

উঃ উলটো উৎপত্তিটা হল, থ্যাবড়া নামক হাঙর টোপ গেলার পর দড়িতে টান পড়ায় বিস্মিত হয়ে সেটাকে ঝেড়ে ফেলতে গেলে তার মুখে বড়শি গেঁথে গেল।

১৩৮) “থাম থাম আরব পুলিশ-মাঝি”—আরব পুলিশ মাঝিকে কী অনুরােধ করা হয়েছিল?

উঃ আরব পুলিশ-মাঝিকে অনুরােধ করা হয়েছিল বড়শিবিদ্ধ হাঙরের ল্যাজের দিকে একটা দড়ি বেঁধে দিতে।

১৩৯) দ্বিতীয় হাঙরটির ল্যাজের দিকে একটা দড়ি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল কেন?

উঃ মাথার দিকে বাঁধা একটা মাত্র দড়ি দিয়ে অতবড়াে একটা জন্তুকে সম্পূর্ণ অবিকৃত এবং অক্ষত অবস্থায় জল থেকে টেনে তােলা দায় বলে তার ল্যাজের দিকেও একটা দড়ি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

১৪০) “সাবধান হয়ে ভাই”—কাকে সাবধান হতে বলা হয়েছে?

উঃ প্রশ্নোষধ্ধৃত অংশে আরব পুলিশ-মাঝিকে সাবধান হতে বলা হয়েছে।

১৪১) “সাবধান হয়ে ভাই”—কোন্ ব্যাপারে সাবধান হওয়ার কথা বলা হয়েছে?

উঃ আরব পুলিশ-মাঝিটি যখন হাঙরটির ল্যাজের দিকে একটা বড়াে দড়ি বাঁধতে যাচ্ছিলেন, তখন হাঙরের ল্যাজের ঝাপটা থেকে তাঁকে সাবধান হতে বলেছিলেন বক্তা।

১৪২) “সাবধান হয়ে ভাই”— সাবধান হওয়া প্রয়ােজন কেন?

উঃ হাঙরের ল্যাজের ঝাপটায় ঘােড়ার পা ভেঙে দেওয়ার মতাে শক্তি থাকে বলেই বড়শিবিদ্ধ হাঙরটির লেজে দড়ি বাঁধার কাজে সাবধান হওয়া প্রয়ােজন।

১৪৩) “হাঙ্গরের পেটের নীচে দিয়ে ও ঝুলছে কী?”— কী ঝুলছে?

উঃ এখানে হাঙরের পেটের নীচে দিয়ে তার নাড়িভুড়ি ঝােলার কথা বলেছেন লেখক।

১৪৪) “যাক, ওটা কেটে দাও”—কোনটা কাটার কথা বলা হয়েছে?

উঃ হাঙরের পেটের নীচে ঝুলন্ত নাড়িভুড়িটা কেটে দেওয়ার কথা প্রশ্নোধৃত অংশে বলা হয়েছে।

১৪৫) “যাক, ওটা কেটে দাও”- ওটা কেটে দিতে বলার কারণ কী?

উঃ প্রশ্নোধৃত অংশে একথা বলা হয়েছে, কারণ হাঙরের ঝুলন্ত নাড়িভুড়ি কেটে দিলে হাঙরের ওজন অনেকটা কমে যাবে।

১৪৬) “বটে তাে”- বক্তা কে?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় জাহাজের দ্বিতীয় শ্রেণির যে ফৌজি লােকটি হাঙর শিকারে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী ও তৎপর ছিলেন, তিনিই বক্তা।

১৪৭) “বটে তাে”- বক্তা কোন্ কথা শুনে একথা বলেছেন?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত ‘সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার পাঠ্যাংশে হাঙরকে জাহাজে তােলা হলে সাবধানী যাত্রীরা ফৌজি লােকটিকে কড়িকাঠ দিয়ে হাঙরের মাথায় আঘাত করতে অনুরােধ করলে তিনি প্রশ্ন উদ্ধৃত উক্তিটি করেন।

১৪৮) “মেয়েরা আহা কী নিষ্ঠুর! মেরাে না ইত্যাদি চিৎকার করতে লাগল”- কখন?

উঃ গায়ে কাপড়ে রক্ত-মাখা অবস্থায় ফৌজি লােকটি যখন পুরুষযাত্রীদের অনুরােধে কড়িকাঠখানা দিয়ে হাঙরটির মাথায় দুম দুম করে আঘাত করতে থাকেন, তখন প্রশ্নোক্ত ঘটনাটি ঘটেছিল।

১৪৯) “অথচ দেখতেও ছাড়বে না”- এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে? 

উঃ জাহাজে তােলা মৃত হাঙরটির মাথায় যখন ফৌজি যাত্রীটি আঘাত করছিলেন, তখন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা যেসব মহিলা সেই নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদ করছিলেন, তাঁদের কথা এখানে বলা হয়েছে।

১৫০) “কেমন রক্তের নদী বইতে লাগল”—কখন?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত ‘সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় শিকার করা হাঙরটার পেট চেরা হলে রঙের নদী বইতে লাগল।

১৫১) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় হাওরের পেট চেরা হলে সেখান থেকে কী বেরল?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় উল্লিখিত ঘটনায় হাঙরের পেট চেরা হলে সেখান থেকে হাড়, মাংস, চামড়া এবং একরাশ কাঠের টুকরাে বের হল।

১৫২) “সেদিন আমার খাওয়াদাওয়ার দফা মাটি হলে গিয়েছিল।”- কেন?

উঃ স্বামী বিবেকানন্দ রচিত ‘সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনায় সব জিনিসের মধ্যেই লেখক স্বামী বিবেকানন্দ হাঙরের গন্ধ পাচ্ছিলেন বলে সেদিন তার খাওয়া-দাওয়া মাটি হয়ে গিয়েছিল।

১৫৩) সুয়েজখাল খনন করার ফলে কী সুবিধা হয়েছিল তা সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনা অবলম্বনে লেখাে।

উঃ সুয়েজখাল খনন করার ফলে তা ভূমধ্যসাগর এবং লােহিত সাগরকে যুক্ত করে ইউরােপ ও ভারতের পারস্পরিক ব্যাবসা বাণিজ্যের পথ সুগম করেছে।

১৫৪) প্রাচীনকালে ভারতবর্ষ থেকে কী কী জিনিস বহির্বিশ্বে যেত তা সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনা অবলম্বনে লেখাে।

উঃ প্রাচীনকালে সুতিবস্ত্র, তুলাে, পাট, নীল, গালা, চাল, হিরে, মােতি, রেশমিবস্ত্র, পশমিনা, কিংখাব, লবঙ্গ, এলাচ, মরিচ, জায়ফল, জয়িত্রি ইত্যাদি বহির্বিশ্বে যেত।

১৫৫) “এ সুয়েজখাল খাতস্থাপত্যের এক অদ্ভুত নিদর্শন।”- কে, খনন করেন এই খাল?

উঃ সুয়েজখাল খনন করেন ফর্ডিনেন্ড লেসেন্স নামক এক ফরাসি স্থপতি।

১৫৬) “নানাবিধ মসলার স্থান—ভারতবর্ষ।”—কোন্ কোন মশলার স্থান ভারতবর্ষ?

উঃ লবঙ্গ, এলাচ, মরিচ, জায়ফল, জয়িত্রি প্রভৃতি মশলার স্থান ভারতবর্ষ।

১৫৭) “এই বাণিজ্য দুটি প্রধান ধারায় চলত;”- ধারা দুটি কী কী?

উঃ ইউরােপ ও ভারতের পারস্পরিক বাণিজ্য স্থলপথে আফগানিস্তান, ইরাক হয়ে এবং জলপথে লােহিত সাগর হয়ে—এই দুটি ধারায় চলত।

১৫৮) ‘সিকন্দর শা ইরান-বিজয়ের পর’ কী করেছিলেন?

উঃ ইরান বিজয়ের পর সিকান্দার শা তার সেনাপতি নিয়ার্কুসকে সিন্ধুনদ হয়ে আরব সাগর পার হয়ে লােহিত সমুদ্র দিয়ে জলপথের সন্ধানে পাঠান।

১৫৯) রােম ধ্বংসের পর কোন্ কোন্ শহর ভারতীয় বাণিজ্যের প্রধান পাশ্চাত্য কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল?

উঃ রােম ধ্বংসের পর বােগদাদ অর্থাৎ বাগদাদ এবং ইতালির ভিনিস্ এবং জেনােয়া শহর ভারতীয় বাণিজ্যের প্রধান পাশ্চাত্য কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল।

১৬০) “সেই জন্যই আমেরিকার আদিম নিবাসীরা এখনও ইন্ডিয়ান নামে অভিহিত।”—কী জন্য?

উঃ ভারত আবিষ্কারে বেরিয়ে কলম্বাস উত্তর আমেরিকা মহাদেশে পৌঁছে ভুল করে সেখানকার আদিবাসীদের ইন্ডিয়ান বলে অভিহিত করেন বলে তারা এখনও (রেড) ইন্ডিয়ান নামে অভিহিত।

১৬১) বেদে সিন্ধুনদের কোন্ দুটি নাম পাওয়া যায়, তা সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনা অবলম্বনে লেখাে।

উঃ বেদে সিন্ধুনদের ‘সিন্ধু’ ও ‘ইন্দু’ এই দুই নামই পাওয়া যায়।

১৬২) “তাই থেকে ইণ্ডিয়া ইণ্ডিয়ান।”—কী থেকে?

উঃ বেদ-এ সিন্ধুনদের যে ‘সিন্ধু’ ও ‘ইন্দু’ নাম দুটি পাওয়া যায়, ইরানিরা তাকে ‘হিন্দু’ এবং গ্রিকরা ‘ইণ্ডুস’ বলত। তা থেকেই ‘ইণ্ডিয়া’ এবং ‘ইণ্ডিয়ান’ কথা দুটি তৈরি হয়েছে।

১৬৩) ভারতের প্রাচীন নদী সিন্ধুকে গ্রিক এবং ইরানিরা কী বলত?

উঃ ভারতের প্রাচীন নদী সিন্ধুকে গ্রিকরা ‘ইণ্ডুস’ এবং ইরানিরা ‘হিন্দু’ বলত।

১৬৪) “তাই ভারতের আর কদর নাই।”— কেন?

উঃ আমেরিকাসহ কয়েকটি দেশে বেশ কয়েকটি জিনিস ভারতের চেয়ে বেশি ভালােভাবে উৎপন্ন হচ্ছে বলেই ভারতের আর কদর নেই।

১৬৫) ‘একথা ইউরােপীয়েরা স্বীকার করতে চায় না’- কী স্বীকার করত চায় না?

উঃ বর্তমানে ইউরােপীয়দের যে ধন-ঐশ্বর্য, তার সূতিকাগার ছিল নেটিভপূর্ণ ভারতবর্ষ তা তারা স্বীকার করতে চায় না।

১৬৬) “যারা চাষাভূষা তাঁতি-জোলা, ভারতের নগণ্য মনুষ্য,” তাদের সম্বন্ধে লেখক বিবেকানন্দ কী বলেছেন?

উঃ ভারতের চাষাভুসাে, তাঁতি-জোলা ইত্যাদি মানুষদের সম্পর্কে বিবেকানন্দ বলেছেন যে তারাই আবহমানকাল ধরে নীরবে কাজ করে গেলেও উপযুক্ত পারিশ্রমিক পায়নি।

১৬৭) স্বামী বিবেকানন্দ কাদের ‘বিজাতিবিজিত, স্বজাতিনিন্দিত ছােটো জাত’ বলে অভিহিত করেছেন?

উঃ ভারতের চাষাভুসাে, তাঁতি-জোলা প্রভৃতি নগণ্য মানুষ, আবহমানকাল ধরে পরিশ্রম করলেও উপযুক্ত পরিশ্রমফল যারা পায়নি তাদেরই বিবেকানন্দ ‘বিজাতিবিজিত, স্বজাতিনিন্দিত ছােটো জাত’ বলে অভিহিত করেছেন।

১৬৮) সুয়েজখালেঃ হাঙ্গর শিকার রচনায় উল্লিখিত সুয়েজ খাল কীভাবে তৈরি করা হয়েছিল?

উঃ মিশরের ফেরাে বাদশাহের আমলে কতকগুলি লবণাক্ত জলা খননের দ্বারা সংযুক্ত করে ভূমধ্যসাগর ও লােহিতসাগর-স্পর্শী সুয়েজখাল তৈরি করা হয়েছিল।

১৬৯) ‘মুসলমান সেনাপতি অমরু মিসর বিজয় করে’ কী করেন?

উঃ মুসলমান সেনাপতি অমরু মিশর বিজয় করে সুয়েজখালের বালি তুলে এবং তার চেহারা পালটে দিয়ে তাকে নতুন করে গড়ে তােলেন।

১৭০) ‘ফরাসীদের পরামর্শে অধিকাংশ ফরাসী অর্থে এই খাত খনন করান’ কে?

উঃ তুরস্কের সুলতান উপাধিকারী সম্রাট-এর প্রতিনিধি হিসেবে মিশরের ‘খেদিব’ উপাধিধারী সম্রাট ইসমাইল ফরাসিদের পরামর্শে অধিকাংশ ফরাসি অর্থ সুয়েজখাত খনন করান।

১৭১) “এ খালের মুসকিল হচ্চে যে”- কী মুশকিল সুয়েজখালের? 

উঃ মরুভূমিপথে যাওয়ার জন্য সুয়েজখাল বারবার বালিতে পূর্ণ হয়ে যায় এটাই ছিল সুয়েজখালের মুশকিল।

১৭২) সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার রচনা অবলম্বনে সুয়েজখালটি সরু হওয়ায় জাহাজ চলাচলে কী অসুবিধা হত লেখাে?

উঃ সুয়েজখাল সরু হওয়ার জন্য তার মধ্য দিয়ে একবারে একটিমাত্র ছােটো বা মাঝারি রণতরি বা বাণিজ্য-জাহাজ চলতে পারত, বড়াে জাহাজের চলাচল প্রায় অসম্ভব ছিল।

১৭৩) “এটি রাজনৈতিক মীমাংসা”- কোনটি?

উঃ সুয়েজখাল কোম্পানির অধিকাংশ শেয়ার ইংরেজদের হাতে থাকলেও এ খালের সমস্ত কার্য ফরাসিরাই করে থাকে এটাই ছিল ইংরেজ এবং ফরাসিদের রাজনৈতিক মীমাংসা।

১৭৪) সুয়েজখাল কে খনন করেন? কোন্ কোন্ দেশ এই খালের মাধ্যমে বাণিজ্য করত?

উঃ সুয়েজখাল খনন করেন ফর্ডিনেন্ড লেসেন্স নামক এক ফরাসি স্থপতি। ইরাক, ইরান, গ্রিস, ইতালি প্রভৃতি দেশ এই খালের মাধ্যমে বাণিজ্য করত।

১৭৫) ভারতবর্ষের শ্রমজীবীদের স্বামীজি প্রণাম জানিয়েছেন কেন?

উঃ ভারতের শ্রমজীবী মানুষেরা যেভাবে নিঃস্বার্থ এবং কর্তব্যপরায়ণ হয়ে ‘অপার সহিষ্ণুতা, অনন্ত প্রীতি ও নির্ভীক কার্যকারিতায় নিজেদের কাজ করে যায় সেজন্যই স্বামীজি তাদের প্রণাম জানিয়েছেন।

সুয়েজখালে হাঙর শিকার প্রবন্ধের বড়ো প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবেঃ 

click here

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ sikkhalaya

You cannot copy content of this page

Need Help?