বাংলা প্রবাদ প্রবচন ।। Bangla Probad Probochon

বাংলা প্রবাদ প্রবচন ।। Bangla Probad Probochon

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা প্রবাদ প্রবচন ।। Bangla Probad Probochon ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট বাক্য রচনা প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই বাংলা প্রবাদ প্রবচন ।। Bangla Probad Probochon অনুশীলন করলে তারা উপকৃত হবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

বাংলা প্রবাদ প্রবচন ।। Bangla Probad Probochon:  

প্রশ্ন:- অতিলোভে তাঁতি নষ্ট। (বেশি লোভ করে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনা)

উত্তর:- রাতারাতি বড়োলোক হওয়ার আশায় চিটফান্ডে টাকা রেখে অনেকেরই অতি লোভে তাঁতি নষ্ট হয়েছে।

প্রশ্ন:- আঙুল ফুলে কলাগাছ। (হঠাৎ বড়োলোক হওয়া) 

উত্তর:- যুদ্ধের বাজারে দু-নম্বরি ব্যাবসা করে অনেকেই আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে।

প্রশ্ন:- উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে। (একের দোষ অন্যের ওপর) 

উত্তর:- দোষ করল শ্রেয়া আর মার খেল দিয়া—একেই বলে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে।

প্রশ্ন:- গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল। (অন্যে না চাইলেও নিজেকে জাহির করা) 

উত্তর:- পাড়াপ্রতিবেশী ঘোর বিরক্ত হলেও নিশিকান্তবাবু এলাকার সব ব্যাপারে নাক গলিয়ে চলেছেন—এ যেন গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল।

প্রশ্ন:- ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে। (অন্যের বিপদে খুশি হওয়া) 

উত্তর:- ছেলেকে নিয়ে নাজেহাল অজয়বাবুকে দেখে কমলবাবু হাসছেন, কিন্তু উনি বোঝেন না, ওঁর ছেলেও বড়ো হচ্ছে—একেই বলে ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে।

প্রশ্ন:- চোখে সরষে ফুল দেখা। (দিশেহারা হওয়া) 

উত্তর:- প্রশ্নপত্রের মধ্যে একটাও জানা প্রশ্ন খুঁজে না পেয়ে চোখে সরষে ফুল দেখতে লাগলাম।

প্রশ্ন:- ধরি মাছ না ছুঁই পানি। (দায়িত্ব না নিয়ে কার্যসিদ্ধি করা) 

উত্তর:- ধরি মাছ না ছুঁই পানি স্বভাবের মানুষদের ওপর কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকা যায় না। 

প্রশ্ন:- বাঘে-গোরুতে এক ঘাটে জল খায়। (ভয়ানক দাপট) 

উত্তর:- প্রভাবশালী জমিদার নিশিকান্তবাবুর নামে আউশগ্রামে একসময় বাঘে-গোরুতে এক ঘাটে জল খেত। 

প্রশ্ন:- অতি চালাকের গলায় দড়ি। (চালাকি করে অন্যকে ঠকালে নিজেকেও বিপদগ্রস্ত হতে হয়) 

উত্তর:- অনাদিবাবু চালাকি করে সবার থেকেই ঘুস আদায় করলেও ঘুস চাইতে গিয়ে পুলিশ অফিসার সুরেশবাবুর হাতে ধরা পড়লেন- তাহলে অতি চালাকের গলায় দড়ি। কথাটা মিথ্যে নয়।

প্রশ্ন:- ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়। (অন্যের ক্ষতি করলে নিজেরও ক্ষতি হয়) 

উত্তর:- আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে ছেলেগুলো কালীপুজোর প্যান্ডেলে অবিরাম মাইক বাজাতে থাকলে পাড়ার লোকেরা রুখে দাঁড়াল- একেই বলে, ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়।

প্রশ্ন:- এক ঢিলে দুই পাখি মারা। (একবারের চেষ্টায় দুই স্বার্থসিদ্ধি) 

উত্তর:- দিদির ছেলের বিয়েতে কলকাতা গিয়ে আমার এক ঢিলে দুই পাখি মারা হল; বিয়েও দেখলাম, আবার কলকাতাও ঘুরলাম। 

প্রশ্ন:- খাল কেটে কুমির আনা। (নিজের দোষে বিপদ ডেকে আনা) 

উত্তর:- বিধবা অসহায় পিসিকে নিজের সংসারে স্থান দিয়ে রিমা খাল কেটে কুমির | এনেছে। ওঁর যা কুঁদুলে স্বভাব, সংসারে ভাঙন ধরিয়ে ছাড়বেন। 

প্রশ্ন:- ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো। (অবহেলার অথচ কাজের পাত্র) 

উত্তর:- আনন্দের দিনে মামার কথা মনে কর না ঠিকই, কিন্তু দরকারে অদরকারে ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো এই মামাকেই কাজে লাগে।

প্রশ্ন:- ঝোপ বুঝে কোপ মারা। (অবস্থার সুযোগ নেওয়া) 

উত্তর:- প্রবল বৃষ্টিতে রাস্তায় জল হওয়ার জন্য রিকশাওলারাও ঝোপ বুঝে কোপ মারছেন, দশ টাকা ভাড়ার পথ যেতে তিরিশ টাকা চাইছেন। 

প্রশ্ন:- ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়। (সিংহভাগই মন্দ) 

উত্তর:- পৃথিবীতে স্বার্থপর মানুষের সংখ্যাই বেশি, নিঃস্বার্থ মানুষ চাইলে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। 

প্রশ্ন:- ডুবে ডুবে জল খাওয়া। (চুপিচুপি কার্যসিদ্ধি করা) 

উত্তর:- আজ বুঝতে পারলাম, আমার বাড়িতে বাস করে তুমি গোপনে শত্রুপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছ, তা এই ডুবে ডুবে জল খাওয়া কত দিনের।

প্রশ্ন:- ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। (অভ্যাস পরিবর্তিত হয় না) 

উত্তর:- নীতাদেবী মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেও সবাইকে ভালো মন্দ রান্না করে খাওয়াচ্ছেন, আসলে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে।

প্রশ্ন:- পাকা ধানে মই দেওয়া। (সুসম্পাদিত কাজ পণ্ড করা) 

উত্তর:- তুমি দেখছি আমার সব কাজেই খুঁত ধরো, আমি তোমার কোন্ পাকা ধানে মই দিয়েছি।

প্রশ্ন:- ফুলের ঘায়ে মূর্ছা যাওয়া। (সামান্য পরিশ্রমেই কাতর হয়ে পড়া) 

উত্তর:- সকাল থেকে দু-পদ রান্না করেই তোমার দেখছি ঘাম ছুটে গেল, তুমি কি ফুলের ঘায়ে মূর্ছা যাও না কি।

প্রশ্ন:- বিষ নেই তার কুলোপানা চকর। (ক্ষমতাহীন ব্যক্তির আস্ফালন) 

উত্তর:- পাশের বাড়ির নীহার বৌ-ছেলে-মেয়েকে দু-বেলা খেতে দিতে পারে না, ওদিকে বৌ চাকরি করতে চাইলে বাবুর মানে লাগে বিষ নেই তার কুলোপানা চক্কর।

প্রশ্ন:- ভাঙবে তবু মচকাবে না। (মনের জোরে সংকল্প রক্ষা) 

উত্তর:- চোরটি পুলিশের মার খেয়েও নিজের সঙ্গীদের নাম বলল না, ভাঙবে তবু মচকাবে না।

প্রশ্ন:- মশা মারতে কামান দাগা। (সামান্য কাজে বড়ো আয়োজন) 

উত্তর:- ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া তো কতই হয়, তা বলে এ নিয়ে থানা-পুলিশ করাকে আমি মশা মারতে কামান দাগা বলেই মনে করি।

প্রশ্ন:- রাখে হরি মারে কে। (ভাগ্য প্রসন্ন হলে কেউ মারতে হয়ে যায় পারে না) 

উত্তর:- গুজরাটের এই ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রচুর লোক প্রাণ হারালেও দীপু যে প্রাণ নিয়ে ফিরেছে, তাতে মনে হচ্ছে রাখে হরি মারে কে ? 

প্রশ্ন:- সাপের পাঁচ পা দেখা। (যা ইচ্ছে তা-ই করা) 

উত্তর:- বেশ কিছুদিন ধরে দেখছি, পড়াশোনায় তোমার তেমন মন নেই, যা ইচ্ছে তাই করে। বেড়াচ্ছ—সাপের পাঁচ পা দেখেছ না কি ? 

প্রশ্ন:- হবুচন্দ্র রাজার গরুচন্দ্র মন্ত্রী। (অকর্মণ্য ব্যক্তির একইরকম অযোগ্য দোসর) 

উত্তর:- প্রধানশিক্ষক আর সহকারী প্রধানশিক্ষকের কাজকর্মে এই নামকরা স্কুলটির শিক্ষাগত মান খুব কমে গেছে—সাথে কি আর লোকে বলে হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র ? 

প্রশ্ন:- নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। (দারিদ্র্যের অসহ অবস্থা)।

উত্তর:- রতনদের অভাব থাকলেও দু-বেলা দু-মুঠো খাবার জুটতো কিন্তু বন্যার পরে এখন তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় দশা হয়েছে।

প্রশ্ন:- অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট। (অধিক লোকের সমাগমে কার্য নষ্ট )।

উত্তর:- এবারের নববর্ষ উৎসব তেমন জমল না, অনেক বক্তা থাকার কারণে অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট হল।

প্রশ্ন:- গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না। (অতি ঘনিষ্ঠজনের গুণের কদর হয় না)।

উত্তর:- বিমলবাবু ভালো গান গাইলেও পাড়ার রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ডাক পান না, কারণ গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না।

প্রশ্ন:- রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়। (প্রতাপশালীদের সংঘর্ষে সাধারণের জীবন ধ্বংস হয়)।

উত্তর:- রাজনৈতিক নেতারা ভাষণ দিতে ব্যস্ত আর মরছে সাধারণ কর্মী সমর্থকরা, সর্বত্রই রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।

প্রশ্ন:- দুষ্ট গোরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। (খল ব্যক্তির বন্ধুত্বের থেকে বন্ধুহীন থাকা শ্রেয়)।

উত্তর:- পুরানো কাজের লোকটার দিন দিন চুরি করার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছিল, তাই সে চলে যাওয়ার পর অসীমার মনে হল দুষ্ট গোরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।

প্রশ্ন:- পিপীলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে। (পতনের পূর্বে মাত্রাধিক সক্রিয়তা)।

উত্তর:- অহংকার আর উচ্ছ্বাসের বাড়াবাড়িতে অতিষ্ঠ করে শেষে যখন স্বপনরা ফুটবল ম্যাচটা হেরে গেল তখন লোকের কথাই সত্যি হল— পিপীলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে।

প্রশ্ন:- কাজের মধ্যে দুই খাই আর শুই। (আলস্যময় জীবনচর্চার প্রতি ব্যঙ্গ)।

উত্তর:- নিবারণবাবুর মেজো ছেলেটি বাবার টাকার ভরসাতেই জীবন কাটাচ্ছে, তার কাজের মধ্যে দুই খাই আর শুই।

প্রশ্ন:- মারি তো গন্ডার, লুটি তো ভাঙার। (বড়ো কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করা)।

উত্তর:- পাড়ার দুর্গোৎসবের মিটিংয়ে এ বছরের খরচের পরিকল্পনা শুনে মনে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের মনোভাব যেন মারি তো গণ্ডার, লুটি তো ভাঙার।

অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের অন্যান্য আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

আমরা শনাক্ত করেছি যে আপনি বিজ্ঞাপন ব্লক করতে এক্সটেনশন ব্যবহার করছেন। এই বিজ্ঞাপন ব্লকার নিষ্ক্রিয় করে আমাদের সমর্থন করুন।

Powered By
Best Wordpress Adblock Detecting Plugin | CHP Adblock

You cannot copy content of this page

Need Help?