‘দ্বীপান্তরের বন্দিনী’ কে?

‘দ্বীপান্তরের বন্দিনী’ কে?

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বীপান্তরের বন্দিনী কবিতা থেকে ‘দ্বীপান্তরের বন্দিনী’ কে? এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরটি প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই ‘দ্বীপান্তরের বন্দিনী’ কে? প্রশ্নের উত্তরটি ভালো করে তৈরি করবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

‘দ্বীপান্তরের বন্দিনী’ কে?: 

১) ‘দ্বীপান্তরের বন্দিনী’ কে? ‘বন্দিনী’-কে মুক্ত করার জন্য কবির যে আকুলতা প্রকাশিত হয়েছে, তা কবিতা অবলম্বনে লেখো। ৫ 

উৎসঃ 

বিদ্রোহী কবি ‘কাজী নজরুল ইসলাম’ ‘দ্বীপান্তরের বন্দিনী’ কবিতার রচয়িতা।

দ্বীপান্তরের বন্দিনীর পরিচয়ঃ 

বিপ্লবের পূজারি ও বিদ্রোহী সত্তার অধিকারী ছিলেন কবি নজরুল। তিনি ‘বন্দিনী’ বলতে, দেশমাতার বিপ্লবী সন্তানদের কারাগারে বন্দির রুপকে, প্রকারান্তরে দেশমাতার বন্দিদশার কথাই বলতে চেয়েছেন।

কবির আকুলতাঃ

দেশপ্রেম ছিল নজরুলের রক্তে। দেশমাতার ‘বন্দিনী’ পরাধীন অবস্থা তাই আকুলতা তাঁকে বিচলিত করেছিল। নজরুলের লেখনীকে অবলম্বন করে দাসত্বে পীড়িত দেশবাসীকে তিনি মুক্তির স্বপ্নে উজ্জীবিত করে তুলতে চেয়েছিলেন। আর সেই আহ্বানে দেশবাসী যত উদ্বুদ্ধ হয়েছে, ব্রিটিশ শক্তি ততই ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের অত্যাচারের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। স্বয়ং নজরুলও কবিতা লেখার অপরাধে কারাবাসের যন্ত্রণা সহ্য করেছেন। কিন্তু দেশের জন্য কখনও শাসক ইংরেজের কাছে মাথা নত করেননি। তাই আন্দামানে দ্বীপান্তরিত তরুণ বিপ্লবীদের দুর্দশার সঙ্গে তিনি একাত্ম হয়ে উঠেছেন।

কবির মতে দেশমাতা সুদূর আন্দামানে বন্দিনী। অত্যাচারী ব্রিটিশ শক্তির অত্যাচারে একদিকে যেমন কমলরূপ বিপ্লবী প্রাণসত্তা ম্লান; তেমনি মুক্ত ও স্বাধীন চিন্তাকে তারা সান্ত্রি বসিয়ে কণ্ঠরোধ করতে ব্যস্ত। তবে মুক্তিকামী কবির আশা এবার রক্ষপুর ধ্বংস হবে। রক্ষপুর ধ্বংস হয়ে সেখানে মানবমুক্তির রূপকমল ফুটবে।

কবি তথাকথিত দেশপ্রেমিকদের ‘শৌখিন পূজারি’ আখ্যা দিয়ে তাদের বন্দিনি দেবীর শঙ্খে বৃথা ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন। কারণ শৃঙ্খলিত ভারত-ভারতীকে শৌখিন অঞ্জলির পরিবর্তে আত্মত্যাগের আরাধনায় মুক্ত করা প্রয়োজন। তখন সিংহ ও ব্যাঘ্ররূপী বিপ্লবকে আর পিঞ্জরবদ্ধ করা যাবে না। কবি বুঝতে পেরেছেন যুগান্তরের ধর্মরাজের আগমন আসন্ন। তাই তাঁকে স্বাগত জানাবার জন্য মানুষের দরবারে ঢাক, অঞ্জলি ও পাঞজন্য শাঁখ বাজাবার আহ্বান জানিয়েছেন।

দ্বীপান্তরের বন্দিনী কবিতার আরো প্রশ্নের উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ 

paid courses

You cannot copy content of this page

Need Help?