ধরাতল কবিতার প্রশ্ন উত্তর

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা ধরাতল কবিতার প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই ধরাতল কবিতার প্রশ্ন উত্তর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পাঠ্য কবিতাটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারবে।

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।

ধরাতল কবিতার প্রশ্ন উত্তরঃ

১) কবি রবীন্দ্রনাথের লেখা একটি গীতিনাট্যের নাম লেখো।

উঃ কবি রবীন্দ্রনাথের লেখা একটি গীতিনাট্যের নাম চণ্ডালিকা’।

২) তোমাদের পাঠ্য কবিতাটি তাঁর কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া ?

উঃ আমাদের পাঠ্য কবিতাটি তাঁর চৈতালি’ নামক অবস্থা থেকে নেওয়া।

৩) কবির মনে আজ কী ভাবনা এসেছে ?

উঃ কবির মনে আজ ছোটো ছোটো গীত ও কথার ভাবনা এসেছে।

৪) যেতে যেতে নদী তীরে কবির চোখে কোন্ দৃশ্য ধরা পড়েছে ?

উঃ যেতে যেতে নদী তীরে কবির চোখে সবুজ পৃথিবীর দৃশ্য ধরা পড়েছে।

৫) সবাই প্রতি মুহূর্তে কী কথা বলছে ?

উঃ সবাই প্রতি মুহূর্তে চলে যাবার কথা বলছে।

৬) যা কিছু দেখে তাকেই করি ভালোবাসেন কেন ?

উঃ নদীপথে যেতে যেতে অল্প সময়ের জন্য যা কিছু দেখেন তাকেই ভালোবাসেন।

৭) কবি কাদের ভাই বোনের সঙ্গে তুলনা করেছেন ?

উঃ কবি সুখ-দুখেকে ভাই বোনের সঙ্গে ভুলনা করেছেন।

৮) গ্রামগুলি দেখে কবির কি মনে হয়েছে ?

উঃ গ্রামগুলিকে দেখে তাঁর মনে হয়েছে সেখানে প্রেম তাদেরকে ঘিরে রয়েছে।

৯) পৃথিবীর দিকে তাকালে কবির কি মনে হয় ?

উঃ পৃথিবীর দিকে তাকালো কবির মনে হয়,ভালো মন্দ হল সূলে, ভালো ভাবার নিয়েই এই পৃথিবী ভালো।

১০) পদপরিবর্তনঃ

শ্যামলিয়া– শ্যামল

দুঃখিত– দুঃখ

সুখ– সখী

কারুণ‍্য– করুণ

ছায়া– ছায়াময়

গ্ৰাম– গ্ৰাম‍্য

উৎসুক– উৎসুক‍্য

আলো– আলোকিত

১১) শব্দ মেলানোঃ

উঃ

বাহিয়া > বেয়ে

মোর > আমার

হেরি >দেখি

প্রাণ > পরাণ

১২) বিপরীতার্থক শব্দ দিয়ে বাক্য রচনাঃ

ভালো-মন্দ = ভালো-মন্দ বিবেচনা করে কাজ করা উচিৎ।

অন্ধকার-আলো = ছায়াবৃত্তে অন্ধকার-আলো পরিবেশ দেখা যায়।

ভাই-বোন = রাখি শুধুমাত্র ভাই-বোনের উৎসব নয়।

১৩) ‘আমি যেন চলিয়াছি বাহিয়া তরণী’—এখানে ‘যেন’ শব্দটি কেন ব্যবহার হয়েছে লেখো।

উঃ কবি কল্পনা করছেন যে তিনি নৌকো বেয়ে চলেছেন। কিন্তু বাস্তবে কবি নৌকো বেয়ে যাননি, তাই এখানে ‘যেন’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন কবি।

১৪) ছবির কল্পনার নৌকাযাত্রায় কী কী দৃশ্য তিনি দেখেছেন ?

উঃ কবির কল্পনায় নৌকাযাত্রায় তিনি নদীর কূলে কূলে সবুজ ধরণি দেখেছেন। ছায়াময় গ্রামগুলিকে কীভাবে প্রেম ঘিরে রেখেছে তা দেখেছেন। সবকিছুই অণকালের দৃষ্টিতে ধরা দেয় বলে তিনি ভালোবেসে ছোটো ছোলে জিনিসগুলিকে প্রত্যক্ষ করেন।

১৫) সুখ-দুঃখকে কবির ভাইবোন মনে হয়েছে কেন ?

উঃ এই বাস্তব পৃথিবীতে ভাইবোন মিলেমিশে পাশাপাশি বাস করে। সুখ ও দুঃখ নিয়েই এই পৃথিবী। কোনো মানুষই এককভাবে সুখ বা দুঃখ ভোগ করে না। সুখ-দুঃখের মিলনেই জীবন পরিপূর্ণ, আনন্দময়। তাই সুখ-দুঃখকে কবির ভাইবোন মনে হয়েছে।

১৬) ‘মনে হয় সব নিয়ে এ ধরণী ভালো’- কখন পৃথিবীকে ভালো মনে হয় ? এরকম মনে হওয়ার কারণ কী ?

উঃ সুখ ও দুঃখ নিয়েই এই পৃথিবী। এরা পরস্পর একে অপরের পাশে অবস্থান করে আমরা যখন সুখের ন্যায় দুঃখকে জীবনের অপরিহার্য পরিণতি বলে মেনে নিতে পারব তখনই পৃথিবীকে ভালো মনে হবে। বাস্তব পৃথিবীর মানুষ সুখকে যতটা সহজে মেনে নিতে পারে দুঃখকে জীবনে বরণ করে নিতে দ্বিধাবোধ করে। সুখের আশাতেই মানুষ বুকে বল বাঁধে, বেঁচে থাকে। কিন্তু সুখ-দুঃখ মানুষের জীবনে চাকার মতো ঘুরে আসে। যেমন সুখ জীবনে আসে তেমন দুঃখও জীবনে আসে। এই সত্যটিকে মেনে নিয়ে মানুষ জীবনপথে এগিয়ে গেলে অবশ্যই এই পৃথিবীকে ভালো মনে হবে।