ভাব সম্মিলন- বিদ্যাপতি ।। একাদশ শ্রেণি বাংলা
একাদশ শ্রেণি বাংলা সেমিষ্টার ২ এর অন্তর্গত ভাব সম্মিলন- বিদ্যাপতি ।। একাদশ শ্রেণি বাংলা পোষ্টটি করা হলো। একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই ভাব সম্মিলন- বিদ্যাপতি ।। একাদশ শ্রেণি বাংলা পোষ্ট দ্বারা বিশেষভাবে উপকৃত হবে।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
ভাব সম্মিলন- বিদ্যাপতি ।। একাদশ শ্রেণি বাংলাঃ
ভাব সম্মিলন – বিদ্যাপতি
কি কহব রে সখি আনন্দ ওর।
চিরদিনে মাধব মন্দিরে মোর।।
পাপ সুধাকর যত দুখ দেল।
পিয়া-মুখ-দরশনে তত সুখ ভেল।।
আঁচর ভরিয়া যদি মহানিধি পাই।
তব হাম পিয়া দূর দেশে না পাঠাই।।
শীতের ওঢ়নী পিয়া গীরিষির বা।
বরিষার ছত্র পিয়া দরিয়ার না।।
ভণয়ে বিদ্যাপতি শুন বরনারি।
সুজনক দুখ দিবস দুই-চারি।।
ভাব সম্মিলন- বিদ্যাপতি ।। একাদশ শ্রেণি বাংলা – আলোচনাঃ
একাদশ শ্রেণি বাংলা সেমিষ্টার ২ এর অন্তর্গত ভাব সম্মিলন- বিদ্যাপতি কবিতাটি পাঠের পরে এখন আমরা বিদ্যাপতির কবি পরিচয় ও তাঁর কবি প্রতিভা বিষয়ে আলোচনা করবো।
কবি-পরিচিতিঃ
বিদ্যাপতি বিহারের মিথিলা রাজ্যের দ্বারভাঙ্গা জেলার মধুবনি পরগনার অন্তর্ভুক্ত বিস্ফি গ্রামে এক ব্রাহ্মণ বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতার নাম গণপতি ঠাকুর। ১৪৫০ থেকে ১৪৭৭ খ্রিঃ মধ্যে কবি পরলোক গমন করেন।
বিদ্যাপতির দেশঃ
বিহারের অন্তর্গত দ্বারভাঙ্গা জেলার বিস্ফি গ্রামের অধিবাসী ছিলেন কবি বিদ্যাপতি।
কবি-প্রতিভাঃ
“মৈথিল কোকিল” নামে পরিচিত কবি বিদ্যাপতি সংস্কৃত, মৈথিলি, অবহট্ঠ প্রভৃতি ভাষায় পদ রচনা করেছিলেন। তবে তাঁর রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক পদগুলির জন্যই তাকে বাংলা সাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বৈষ্ণব পদাবলীর বয়ঃসন্ধি, অভিসার, মিলন, মান, মাথুর ও ভাবসম্মিলনের পদে রাধা চরিত্র-চিত্রণে তাঁর অপরিসীম কবি প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়। রাধার কৈশর থেকে যৌবনে উত্তীর্ণ হওয়ার সন্ধিলগ্নটিকে বর্ণনা করতে গিয়ে কবি লিখেছেন-
“কবহুঁ বান্ধয়ে কুচ কবহুঁ বিথারি।
কবহুঁ ঝাঁপয়ে অঙ্গ কবহুঁ উঘারি।।”
মনস্তাত্বিক রচনার পাশাপাশি নায়িকা রাধার রূপবর্ণনাতেও কবির দক্ষতার সমান পরিচয় পাওয়া যায়-
“যব গোধূলি সময় বেলি
ধনি মন্দির বাহির ভেলি।
নব জলধর বিজুরি-রেহা
দন্দ পসারি গেলি।।”
অভিসার পর্যায়ে বিদ্যাপতির রাধা কন্ঠে আমরা শুনতে পাই-
“লাখ লাখ যুগ হিয়ে হিয়ে রাখলুঁ
তব হিয়া জুড়ন না গেল।”
মাধবের মথুরা গমনকালে রাধার মর্মযন্ত্রণার পরিচয় দিতে গিয়ে বিদ্যাপতি যে পদ রচনা করেছেন তাতে তাঁর কবি প্রতিভার পূর্ণ পরিচয় আমরা লাভ করি-
“এ সখি হামারি দুখক নাহি ওর
এ ভরা বাদর মাহ ভাদর
শূন্য মন্দির মোর।”
কবি তাঁর শব্দ চয়ন, ছন্দ ব্যবহার, অলংকার প্রয়োগে শৈল্পিক মনের পরিচয় প্রদান করেছেন। একপদী, দ্বিপদী, ত্রিপদী ও চৌপদী বন্ধে রচিত তাঁর পদগুলি তাকে বৈচিত্র প্রদান করেছে। আসলে কবি বিদ্যাপতি আয়ত্ত করেছিলেন বাগর্থের সেই সার্থক মলন্রহস্য, যা যে কোন শ্রেষ্ঠ কবির সাফল্যের স্বর্ণকুঞ্চিকা।
বাংলা সাহিত্যে অন্তর্ভুক্তির কারণঃ
‘মৈথিলি কোকিল’ কবি বিদ্যাপতি বাংলা দেশের অধিবাসী ছিলেন না, বা তিনি বাংলা ভাষায় কোন পদও রচনা করেন নি। তথাপি বাংলা সাহিত্যে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখিত রয়েছে। এর কারণগুলি সম্পর্কে নিম্নে আলোকপাত করা হলো-
১) সেই সময় মিথিলা ছিল বিদ্যাশিক্ষার অন্যতম পীঠস্থান। তাই যেসকল বাঙালি শিক্ষার্থীরা সেখানে শিক্ষা গ্রহণ করতে যেত, তাদের দ্বারা বহু বিদ্যাপতির পদ বাংলাদেশে প্রচারিত হয়।
২) চৈতন্যদেব ছিলেন বিদ্যাপতির পদের গুণগ্রাহী। তাই বৈষ্ণব সমাজে বিদ্যাপতি সমাদৃত হন-
“বিদ্যাপতি জয়দেব চন্ডীদাসের গীত।
আস্বাদয়ে রামানন্দ স্বরূপ সহিত।।”
৩) রাধা-কৃষ্ণের প্রেম-বিষয়ক রচনা বাঙালি ভক্ত ও রসজ্ঞদের কাছে ছিল পরম আস্বাদনের বিষয়।
৪) বিদ্যাপতি রচিত ব্রজবুলি ভাষা বাংলা না হলেও, ভাষাগত মিল থাকায় তা বাঙালি পাঠক ও শ্রোতার মনোগ্রাহী হয়ে উঠেছিল।
৫) “শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত”, “পদকল্পতরু” প্রভৃতি গ্রন্থে বিদ্যাপতির অন্তর্ভুক্তির কারণে সমগ্র বৈষ্ণব সমাজ তাকে স্বীকৃতি জানায়।
উপরোক্ত কারণগুলির জন্য বিদ্যাপতি বাংলা সাহিত্যে এক অক্ষয় আসন অধিগ্রহণ করেছেন।
ভাব সম্মিলন- বিদ্যাপতি প্রশ্ন-উত্তরঃ
উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
একাদশ শ্রেণি বাংলা প্রথম সেমিস্টারের MCQ প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে
একাদশ শ্রেণি ইংরাজি প্রথম সেমিস্টারের MCQ প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে
একাদশ শ্রেণি রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম সেমিস্টারের MCQ প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে
একাদশ শ্রেণি শিক্ষাবিজ্ঞান প্রথম সেমিস্টারের MCQ প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে
একাদশ শ্রেণি ইতিহাস প্রথম সেমিস্টারের MCQ প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে
একাদশ শ্রেণি ভূগোল প্রথম সেমিস্টারের MCQ প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সব বিষয়ের সিলেবাস ও নম্বর বিভাজন দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ