রাধারাণী গল্পের শব্দভান্ডার ।। নবম শ্রেণি বাংলা প্রজেক্ট
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা প্রজেক্টের জন্য ‘রাধারাণী গল্পের শব্দভান্ডার ।। নবম শ্রেণি বাংলা প্রজেক্ট’ প্রদান করা হলো। এই ‘রাধারাণী গল্পের শব্দভান্ডার ।। নবম শ্রেণি বাংলা প্রজেক্ট’ পোস্টে রাধারাণী গল্পের তৎসম, অর্ধ-তৎসম, তদ্ভব, দেশি, বিদেশি শব্দের তালিকা প্রদান করা হলো।
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন।
রাধারাণী গল্পের শব্দভান্ডার ।। নবম শ্রেণি বাংলা প্রজেক্টঃ
আলোচনার প্রথমে আমরা শব্দভান্ডার সম্পর্কে ধারণা লাভ করে নেবো –
শব্দভান্ডারঃ
পৃথিবীর যেকোনো ভাষার মূল সম্পদ হলো তার শব্দ ভান্ডার। ব্যক্তি ভাষার শব্দ ভান্ডার বলতে সেই ভাষায় লিখিত অলিখিত সমস্ত শব্দকেই বোঝায়। যে ভাষার শব্দভাণ্ডার যত বেশি সমৃদ্ধ সেই ভাষা তত বেশি ঐতিহ্যময়।
যে কোনো ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে প্রধানত তিনটি উপায়—
ক) উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত- প্রাচীন শব্দের সাহায্যে;
খ) অন্য ভাষা থেকে গৃহীত- কৃতঋণ শব্দের সাহায্যে;
গ) নতুন ভাবে সৃষ্ট শব্দের সাহায্যে।
ক) তদ্ভব শব্দঃ
সংস্কৃত থেকেই প্রাকৃত ভাষার মধ্য দিয়ে সামান্য রূপান্তরিত হয়ে কিছু শব্দ বাংলায় চলে এসেছে, সেগুলিকে বলা হয় তদ্ভব শব্দ। যেমন-
কর্ম (সংস্কৃত) > কম্ম (প্রাকৃত) > কাম (বাংলা)
উপাধ্যায় (সং) > উপাজঝাও (প্রা) > ওঝা (বাংলা)
চন্দ্র (সং) > চন্দ (প্রা) > চান্দ (অপভ্রংশ) > চাঁদ (বাংলা)
খ) তৎসম শব্দঃ
বৈদিক বা সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় সরাসরি গৃহীত শব্দগুলিকে বলা হয় তৎসম শব্দ। যেমন-
শ্রদ্ধা, ভক্তি, পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, অন্ন, পাপ, পুণ্য ইত্যাদি।
গ) অর্ধতৎসম শব্দঃ
নব্য ভারতীয় আর্য ভাষার গৃহীত বহু তৎসম শব্দ লোকের মুখে বিকৃতভাবে উচ্চারিত হয়, সেগুলিকে বলা হয় অর্ধ-তৎসম শব্দ। যেমন-
ভক্তি > ভক্তি
রত্ন > রতন
শক্তি > শকতি
ক্ষুধা > ক্ষিদে ইত্যাদি।
২) আগন্তুক শব্দঃ
অস্ট্রিক, দ্রাবিড়, মোঙ্গল প্রভৃতি গোষ্ঠীর ভাষা থেকে এবং ইন্দো-ইউরোপীয় গোষ্ঠীর অন্যান্য শাখার বিভিন্ন ভাষা থেকে আগত শব্দ গুলিকে বলা হয় আগন্তুক শব্দ।
আগন্তুক শব্দের শ্রেণীবিভাগঃ
আগন্তুক শব্দগুলিকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে। যথা-
ক) দেশি শব্দ
খ) বিদেশি শব্দ
গ) প্রাদেশিক শব্দ।
নিম্নে এদের বিষয়ে আলোচনা করা হলো-
ক) দেশি শব্দঃ
আর্যরা এ দেশে আসার পূর্বে যে সমস্ত প্রাচীন ভাষা প্রচলিত ছিল সেইসব ভাষার বহু শব্দ কখনো সরাসরি আবার কখনো প্রাকৃতের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে সেগুলো দেশি শব্দ। যেমন-
দ্রাবিড় গোষ্ঠীর শব্দ- উলু, ঘড়া, খাল, মেটে, অকাল ইত্যাদি।
অস্ট্রিক গোষ্ঠীর শব্দ- কম্বল, উচ্ছে, ঝিঙে, খোকা, পুরি, ঢেঁকি ইত্যাদি।
মোঙ্গল গোষ্ঠীর শব্দ- ঠাকুর, চরুট ইত্যাদি।
খ) বিদেশি শব্দঃ
বাংলা ভাষায় আগত বিদেশী আগন্তুক শব্দ গুলি এসেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় কারণে। যেমন-
আরবিঃ
আইন, আদালত, কেচ্ছা, কয়েদি, শয়তান, আসামি হাজির, মতলব, গরিব, তামাম, তামাসা, জাহাজ, হুকুম, তাবিজ, কেতাব, সমাজ, ফসল, ফাজিল, তুফান, নমাজ, আল্লা, খুদা ইত্যাদি।
ফারসিঃ
চশমা, চাকরি, কোমর, বেচারা, রাস্তা, কলম, কালি, দোয়াত, ময়দান, খুন, লাল, দোয়াত, সবজি, সাদা, ময়দা, দোকান, মোজা, মরশুম, কারিগর, কারখানা, দরখাস্ত রাস্তা, শিশি, সিন্দুক, রুমাল, রওনা, বিলেত প্রভৃতি।
ফরাসিঃ
কাফে, রেস্তোরাঁ, কার্তুজ, কূপন ইত্যাদি।
পোর্তুগিজঃ
আতা, আনারস, আলমারি, আলপিন, পিস্তল, পেয়ারা, পেরেক, আলকাতরা, পেঁপে, কামরা, কামিজ, সাবান, তোয়ালে, গামলা, বালতি, জানালা, চাবি, বোতল, ইত্যাদি।
ওলন্দাজঃ
ইস্কাপন, রুইতন, হরতন, তুরুপের, ইস্ক্রুপ ইত্যাদি।
গ্রীকঃ
সুরঙ্গ, কেন্দ্র, দাম ইত্যাদি।
জার্মানিঃ
নাৎসি, কিন্ডারগার্ডেন, নাজি ইত্যাদি।
চিনাঃ
চা, চিনি, লুচি, লিচু ইত্যাদি।
জাপানিঃ
রিকশা, সুনামি, হাসনুহানা, টাইফুন ইত্যাদি।
বর্মিঃ
লুঙ্গি, ঘুঘনি ইত্যাদি।
তুর্কিঃ
আলখাল্লা, উর্দু, উজবুক, কুলি, কাঁচি, চাকু, দারেগা, বাবা, বন্দুক, বারুদ, বোম, বিবি, বাহাদুর ইত্যাদি।
রুশঃ
বলশেভিক, সোভিয়েত, স্পুটনিক, ভদকা ইত্যাদি।
অস্ট্রেলিয়াঃ
ক্যাঙ্গারু, বুমেরাং ইত্যাদি।
মিশরীয়ঃ
ফ্যারাও, মিছরি ইত্যাদি।
পেরুঃ
কুইনিন ইত্যাদি।
ইতালীয়ঃ
ম্যাজেন্টা ইত্যাদি।
স্পেনীয়ঃ
তামাক ইত্যাদি।
ইংরাজিঃ
পেন, পেনসিল, চক, ডাস্টার, স্টেশন, ট্রেন, বাস, ট্রাম, প্লেন, মোটর, রেল, অফিস,স্কুল, কলেজ, লাইব্রেরি, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, মাষ্টার, সিনেমা, থিয়েটার, অফিস, ব্যাঙ্ক ইত্যাদি।
রাধারাণী গল্পের শব্দভান্ডারঃ
রাধারাণী গল্পের শব্দভান্ডার তালিকা নিম্নে প্রদান করা হলো-
তৎসম শব্দ |
জ্ঞাতি |
সংস্থান |
সন্ধ্যা |
প্রদীপ |
ব্যক্তি |
বিষণ্ণ |
আশ্রয় |
পিচ্ছিল |
রুগ্ণ |
বিদেশি শব্দ |
দোকান (ফরাসি) |
ওয়াশিলাত (আরবি) |
মুনাফা (আরবি) |
ডিক্রি (ইংরেজি) |
নগদ (আরবি) |
আপিল (ইংরেজি) |
তল্লাশ (আরবি) |
বাজার (ফারসি) |
মোকদ্দমা (আরবি) |
তদ্ভব শব্দ |
হাত |
দাম |
অর্ধ-তৎসম শব্দ |
ব্যামো |
বাংলা বিষয়ে অধ্যায়ভিত্তিক MCQ প্রশ্নের MOCK TEST প্রদান করতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
দ্বিতীয় ইউনিট টেষ্টের বাংলা সাজেশন দেখতে নিম্নের লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
- বাংলা ব্যাকরণের আলোচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে প্রদান করা প্রবন্ধ রচনাগুলি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক MCQ TEST প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে
- শিক্ষালয় ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সাজেশন দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে
শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার নোট, সাজেশন, প্রশ্নপত্র ও মক টেষ্টের সুবিধা গ্রহণ করতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করে বিষদ তথ্য জেনে নাওঃ