বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো গল্পের MCQ প্রশ্নের উত্তর । একাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথম সেমিস্টার
একাদশ শ্রেণির প্রথম সেমিস্টার বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো গল্প থেকে MCQ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা পাঠ্য গল্পটি ভালো করে পড়ে নিয়ে এই বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নের উত্তরগুলি তৈরি করবে। ইতিপূর্বে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থীদের জন্য এমনই আরো কিছু একদশ শ্রেণির বাংলা MCQ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়েছে, যার লিঙ্ক নিম্নে দেওয়া হয়েছে।
বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো গল্পের MCQ প্রশ্নের উত্তর :
১) ‘আঁৎকে জেগে উঠেছিল সে তখন।’-তার আঁৎকে জেগে ওঠার কারণ- লোকেরা তার পাশটা পুড়িয়ে দিয়েছিল তপ্ত লোহায়।
২) ‘গন্ধগোকুল কিংবা শিয়ালটিয়াল হবে বোধ হয়।’ ‘গন্ধগোকুল’ হল- খট্টাশ জাতীয় প্রাণী।
৩) মরা কাঁকড়াগুলোকে পেলাইও সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল কারণ- ওর ধারণা কাঁকড়া পচা গন্ধে ওর নবজাত শিশুর জ্বর হয়েছিল।
৪) পেলাইও আর এলিসেন্দা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছল যে থুরথুরে বুড়ো কোনো ভিনদেশী জাহাজের নিঃসঙ্গ ভরাডুবি নাবিক, কারণ- বুড়োর খালাসিদের মতো গলা ফাটিয়ে দুর্বোধ্য ভাষায় কথা বলা।
৫) ওদের পড়োশিনীর মতে বুড়ো ‘দেবদূত’ ওদের শিশুটিকে নিয়ে যেতে পারেনি, কারণ- সে বৃষ্টির তোড়ে নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল।
৬) পরদিন ওরা ঠিক করল যে দেবদূতকে একটা ভেলায় খাবার আর জল দিয়ে বারদরিয়ায় ছেড়ে দেবে, কারণ- তাদের সন্তানের জ্বর সেরে যাওয়ায় তাঁরা খুশি হয়েছিল।
৭) পাত্রে গোনসাগা সন্দেহ করলেন সে বুড়ো আসলে এক জোচ্চোর, ফেরেব্বাজ, কারণ- বুড়ো ঈশ্বরের ভাষা অর্থাৎ লাতিন বোঝে না।
৮) ‘পৃথিবীকে কাঁপিয়ে দিচ্ছিল যে জাহাজডুবির বিশৃঙ্খলা, তার মধ্যে পেলাইও আর এলিসেন্দা অবশ্য তাদের ক্লান্তিতেই সুখী’, কারণ- ভিড় করে আসা জনতার প্রণামীতে তাদের ঘর ঠেসে গিয়েছিল।
৯) ‘আঁৎকে জেগে উঠেছিল সে তখন, তার ওই রুদ্ধ দুর্বোধ্য অচেনা ভাষায় চেঁচিয়ে প্রলাক বলেছিল, ‘চোখ ফেটে জল বেরিয়ে এসেছিল তার…’ কারণ- দর্শকদের কেউ তার শরীরে তপ্ত লোহার ছ্যাঁকা দিয়েছিল।
১০) ‘এইভাবেই পাদ্রে গোনসাগা তাঁর অনিদ্রা রোগ থেকে চিরকালের মতো রেহাই পেয়ে গেলেন’… কারণ– মাকড়সা-কন্যার আবির্ভাবে ‘দেবদূত’কে নিয়ে লোকজনের আগ্রহ একেবারে চলে গেলে পাদ্রে গোনসাগার দুশ্চিন্তা দূর হল।
১১) ‘দেবদূত এখন এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়ায়।’ কারণ- রোদে বৃষ্টিতে মুরগির খাঁচা পুরো ভেঙে পড়েছিল।
১২) একদিন সকালে এলিসেন্দা যখন পেঁয়াজকলির গুচ্ছ কাটছে, তখন আচমকা মনে হল হঠাৎ যেন দূর বারদরিয়ার এক ঝলক হাওয়া এসে ঢুকেছে রান্নাঘরে…’ কারণ- এলিসেন্দা দেখল দেবদূত তার ডানা ছড়িয়ে ওড়ার চেষ্টা করছে।
১৩) কে কখন দেবদূতকে প্রথম দেখল? – দুপুরবেলা পেলাইও দেখেছিল।
১৪) ওরা কীভাবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছল যে থুরথুরে বুড়ো মানুষটি কোনো নিঃসঙ্গ নাবিক?- তার খালাশিদের মতে রিনরিনে গলা শুনে।
১৫) বুড়োকে ভেলায় করে বারদরিয়ায় ছেড়ে দিয়ে আসার কথা ভেবেও কেন তা করতে পারলো না পেলাইও ও এলিসেন্দা?- পুরো পাড়া মুরগির খাঁচার সামনে জড়ো হয়ে দেবদ তকে নিয়ে তামাশা করেছিল।
১৬) দর্শকরা বন্দীর ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ধরনের জল্পনা কল্পনা করছিল?- বুড়োকে সারা জগতের পুরপিতা নাম দেওয়া উচিত।
১৭) পাত্রে গোনসাগা কখন বুড়োকে সন্দেহ করতে শুরু করলেন? – যখন তিনি বুঝলেন যে বুড়ো ঈশ্বরের ভাষাই বোঝে না।
১৮) পাদ্রে গোনসাগা কী বিষয়ে কৌতূহলীদের সাবধান করেছেন?- সাদাসিধে লোক হওয়ার ঝুঁকি কতটা।
১৯) বুড়োকে কী খেতে দেওয়া হয়েছিল? – ফলের খোসা ও ছোটো হাজরির উচ্ছিষ্ট।
২০) পাদ্রে গোনসাগা কাকে কেন চিঠি লিখবেন বলে জানালেন? – বিশপকে, বুড়ো দেবদূত কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ নিরসনের জন্য।
২১) ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীর মেয়েটি মাকড়সা হল কীভাবে? – বাবা-মার কথার অবাধ্য হয়ে।
২২) এলিসেন্দা কেন বলেছিল, ‘দেবদূতে থৈ-থৈ করা কোনো নরকে বাস করা কী যে জঘন্য কাণ্ড’?- কারণ দেবদূত যখন তখন বাড়ির যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াত।
২৩) দেবদূতের উড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে এলিসেন্দার কী মনে হয়?- এলিসেন্দা স্বস্তিবোধ করে, উদাসও হয়।
২৪) ‘বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো’ গল্পটির রচয়িতা হলেন – গাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ।
২৫) পেলাইওর স্ত্রীর নাম – এলিসেন্দা