আগুন নাটকে সতীশ চরিত্র

আগুন নাটকে সতীশ চরিত্র

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের (www.sikkhalaya.in) পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার প্রদান করতে চলা শিক্ষার্থীদের জন্য আগুন নাটকে সতীশ চরিত্র আলোচনাটি প্রদান করা হলো। একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই আগুন নাটকের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরটি তৈরি করলে তাদের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষায় বিশেষভাবে উপকৃত হবে। 

আগুন নাটকে সতীশ চরিত্র : 

১) আগুন নাটকে সতীশ চরিত্রটি আলোচনা করো। ৫ 

উৎসঃ 

নাট্যকার ‘বিজন ভট্টাচার্য’ রচিত ‘আগুন’ নাটকের তৃতীয় দৃশ্যে আমরা সতীশ চরিত্রটির পরিচয় লাভ করি। নাটকের স্বপ্ল পরিসরে আমরা সতীশ চরিত্রের যে সকল বৈশিষ্ট্যের সন্ধান পাই তা নিম্নে আলোচিত হল- 

অসহায়ত্বঃ

নাটকের অন্যান্য দৃশ্যের চরিত্রদের ন্যায় সতীশও সুতীব্র খাদ্য সংকটে জর্জরিত। স্ত্রী-কন্যার ভরণ-পোষণের জন্য প্রয়োজনীয় চাল ডালের সংস্থান করতেও সে বিফল হয়। বাড়ির মেয়ে বউ দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও দোকান থেকে চাল জোগাড়ে ব্যার্থ হয়- “কাল সারাটা দিন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফুলকি আর ওর মা তো শুধু হাতে ফিরে এসেছে”। এমনকি সহকর্মী জুড়োনকে উদ্দেশ্য করেও তাকে বলতে শোনা যায়- “এই চাল ডালের কী উপায় করি রে বলতো!” 

আশাবাদীঃ

আশাবাদী সতীশ ভাবে যে, কারখানা থেকে তাদের জন্য চাল ডালের ব্যবস্থা করা হবে। তার কন্ঠে আমরা শুনতে পাই- “যেমন হয়েছে শালা কোম্পানি, তিনমাস হল রোজই চাল ডাল দিচ্ছে”। 

হতাশাগ্রস্তঃ

আশাবাদের পাশাপাশি সতীশের কন্ঠস্বরে আমরা হতাশারও প্রতিচ্ছবি উপলব্ধি করতে পারি। আর তাই জুড়োনকে উদ্দেশ্য করে তাকে বলতে শোনা যায়- “কোম্পানির ভরসা করব না, দোকানের ভরসা করব না, সে গাঁটের পয়সার কি ভরসা করব না, তো কাকে করি বোল!” 

অমানবিকঃ

প্রতিকূল পরিস্থিতি সতীশকে করে তুলছে অমানবিক। তার স্ত্রী ক্ষিরির কর্কশ কথাগুলি তাকে উত্তেজিত করে তোলে। সে বলে ওঠে- “তোর সে মুখের সাজা কিন্তু আমি একদিন আচ্ছা করে দিয়ে দেবো”। এমনকি তাকে লাথি মারতেও সতীশ দ্বিধা করে না। 

মূল্যায়নঃ

অতএব আলোচনার পরিশেষে আমরা বলতে পারি, সতীশ চরিত্রটি তার বিবিধ চারিত্রিক গুণাবলি দ্বারা পাঠকের সম্মুখে যেন এক জীবন্ত রূপ গ্রহণ করেছে। 

একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা বিষয়ের সকল প্রশ্নের উত্তর দেখতে এই লিঙ্কটি অনুসরণ করতে হবে 

You cannot copy content of this page