দশম শ্রেণি বাংলা পথের দাবী

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে দশম শ্রেণি বাংলা পথের দাবী গল্পের আলোচনা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নগুলির উত্তর সমাধান করলে উপকৃত হবে। 

শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের সকল প্রকার আপডেট লাভ করতে মোবাইল স্ক্রিনের বা’দিকের নিম্নের অংশে থাকা বেল আইকনটিতে (🔔) টাচ করে শিক্ষালয় ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে রাখুন। 

দশম শ্রেণি বাংলা পথের দাবী গল্পের আলোচনা নিম্নের ভিডিওটিতে প্রদান করা হলোঃ

দশম শ্রেণি বাংলা পথের দাবী গল্প থেকে গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্নের উত্তরঃ  

১) তেলের খনির কারখানার মিস্ত্রিরা চাকরির উদ্দেশ্যে গিয়েছিল- রেঙ্গুন

২) গিরীশ মহাপাত্রের পায়ে যে ফুল মোজা ছিল , তার রং- সবুজ

৩) গিরীশ মহাপাত্রের বুকপকেটের রুমালে আঁকা ছিল- বাঘ

৪) “দয়ার সাগর! পরকে সেজে দি, নিজে খাইনে।” বক্তা- জগদীশবাবু

৫) নিমাইবাবু জগদীশবাবুকে নজর দিতে বলেছিলেন- রাত্রের মেল ট্রেনটার দিকে 

৬) গিরীশ মহাপাত্রের চোখ দু’টি ছিল- গভীর জলাশয়ের মতো

৭) “লোকটি কাশিতে কাশিতে আসিল”- লোকটির বয়স- ত্রিশ -বত্রিশ 

৮) “কিন্তু বুনোহাঁস ধরাই যে এদের কাজ;” বক্তা হলেন-  রামদাস তলোয়রকর 

৯) “তুমি তো ইউরোপিয়ান নও।” কথাটি বলেছিলেন- রেঙ্গুনের সাব-ইন্সপেক্টর 

১০) “টিফিনের সময় উভয়ে একত্র বসিয়া জলযোগ করিত।” উভয়ে বলতে বোঝানো হয়েছে- অপূর্ব ও রামদাসকে 

 

দশম শ্রেণি বাংলা পথের দাবী গল্প থেকে MCQ প্রশ্নের মক টেষ্ট প্রদান করতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

 

দশম শ্রেণি বাংলা পথের দাবী গল্প থেকে গুরুত্বপূর্ণ SAQ প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) গিরীশ মহাপাত্রের ট্র্যাক ও পকেট থেকে কী বার হয়েছিল ?

উঃ  বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উপন্যাসিক “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “পথের দাবী” উপন্যাসের অন্তর্গত আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনায় গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাক থেকে একটা টাকা আর গণ্ডা ছয়েক পয়সা এবং পকেট থেকে একটা লোহার কম্পাস, মাপ করবার কাঠের একটা ফুটরুল, কয়েকটা বিড়ি, একটা দেশলাই ও একটা গাঁজার কলকে বার হয়েছিল।  

 

২) “অপূর্ব রাজি হইয়াছিল” – অপূর্ব কোন বিষয়ে রাজি হয়েছিল ?  

উঃ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উপন্যাসিক “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “পথের দাবী” উপন্যাসের অন্তর্গত আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনায় রামদাসের স্ত্রী একদিন অপূর্বকে অনুরোধ করেছিল যে, যতদিন অপূর্বের মা কিংবা বাড়ির আর কোনো আত্মীয়া নারী এদেশে এসে বাসার উপযুক্ত ব্যবস্থা না করছে, ততদিন তার হাতেই যৎসামান্য মিষ্টান্ন তাকে প্রতিদিন গ্রহণ করতে হবে।  

 

৩) “তারপর সকালে গেলাম পুলিশকে খবর দিতে ”- কে, কেন পুলিশকে খবর দিতে গিয়েছিল ? 

উঃ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উপন্যাসিক “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “পথের দাবী” উপন্যাসের অন্তর্গত আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনায় অপূর্বর ঘরে আগের দিন রাতে চুরি হয়ে যাওয়ায় সে পুলিশকে খবর দিতে গিয়েছিল। 

 

৪) ভামো যাওয়ার যাত্রাপথে ট্রেনে অপূর্ব বিরক্ত হয়েছিল কেন ?  

উঃ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উপন্যাসিক “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “পথের দাবী” উপন্যাসের অন্তর্গত আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনায় ভামো যাওয়ার যাত্রাপথে পুলিশের লোক অপূর্বর তিন বার ঘুম ভাঙিয়ে নাম ও ঠিকানা লিখে নেয় বলে সে বিরক্ত হইয়েছিল। 

 

৫) “মনে হলে দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে যাই”- কোন কথা মনে করে অপূর্বর এই মনোবেদনা ? 

উঃ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উপন্যাসিক “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “পথের দাবী” উপন্যাসের অন্তর্গত আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনায় অপূর্বকে বিনা দোষে ফিরিঙ্গি ছোঁড়ারা লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দিলে অপূর্ব স্টেশনমাস্টারের কাছে অভিযোগ জানিয়েও প্রত্যাখ্যাত হয় এবং সেখানে উপস্থিত লোকেরাও তাকে সহযোগিতা করেনি। আর সে কথা মনে করেই অপূর্বর এই মনোবেদনা। 

 

৬) “ইত্যবসরে এই ব্যাপার” – কোন ব্যাপারের কথা বলা হয়েছে ?  

উঃ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উপন্যাসিক “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “পথের দাবী” উপন্যাসের অন্তর্গত আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনায় অপূর্ব অফিসে থাকায় এবং তেওয়ারিও বর্মা নাচ দেখতে যাওয়ার জন্য বাড়ি জনহীন ছিল। আর এইসময় অপূর্বর বাসায় চুরি হয়ে যায়। প্রশ্নোক্ত অংশে তার ঘরে এই চুরির ব্যাপারটির কথাই বলা হয়েছে। 

 

৭) “আমারও তো তাই বিশ্বাস” বক্তার কী বিশ্বাস ? 

উঃ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উপন্যাসিক “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “পথের দাবী” উপন্যাসের অন্তর্গত আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনায় স্টেশনে দেখা হওয়ায় গিরীশ মহাপাত্র অপূর্বকে বলেছিল কপালের লেখা কখনো খণ্ডাবে না। অপূর্বও তখন এই কথায় সম্মতি জানিয়ে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করে। 

 

৮) “ও নিয়ম রেলওয়ে কর্মচারীর জন্য”- কোন নিয়ম ? 

উঃ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উপন্যাসিক “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “পথের দাবী” উপন্যাসের অন্তর্গত আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনায় ফার্স্ট ক্লাসের প্যাসেঞ্জারকে রাত্রে বিরক্ত করা যায় না বলায় জনৈক পুলিশ অপূর্বর উদ্দেশ্যে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করে। 

 

৯) “কিন্তু বুনোহাঁস ধরাই যে এদের কাজ”- বক্তা ‘বুনোহাঁস’ বলতে কী বুঝিয়েছেন ?  

উঃ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উপন্যাসিক “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত “পথের দাবী” উপন্যাসের অন্তর্গত আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনায় পুলিশের চোখে যারা রাজদ্রোহীরূপে সন্দেহভাজন গল্পে তাদের ‘বুনোহাঁস’ বলা হয়েছে। 

 

দশম শ্রেণি বাংলা পথের দাবী গল্প থেকে বড়ো প্রশ্নের উত্তরঃ 

১) ‘পথের দাবী’ গদ্যাংশ অবলম্বনে রামদাস তলওয়ারকরের চরিত্রের পরিচয় দাও। ৫

উৎসঃ

   বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাকার “শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়” রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস “পথের দাবী” থেকে আমাদের পাঠ্য “পথের দাবী” রচনাংশটি গ্রহণ করা হয়েছে।

রামদাস তলওয়ারকরের পরিচয়ঃ

এই গল্পের অন্যতম একটি সহায়ক চরিত্র হলো রামদাস তলওয়ারকর।সে অপূর্বর সহকর্মী। পেশায় রামদাস তলওয়ারকর একজন অ্যাকাউন্টেন্ট। তার চরিত্রের বিবিধ বৈশিষ্ট্যাবলী ক্রমান্বয়ে আলোচিত হলো-

সহমর্মীতাঃ

  রামদাস তলওয়ারকরের চরিত্রের একটি প্রধান গুণ হলো তার সহমর্মীতাবোধ। অপূর্বর ঘরে চুরি হওয়া, ইউরোপীয়দের কাছে তার অপমানিত হওয়া, স্টেশনমাস্টারের অমানবিক আচরণ তাকে অপূর্বর প্রতি সহমর্মী করে তুলেছে। তাই সে ব্যাথিত চিত্তে বলেছে- “কৈ এ ঘটনা তো আমাকে বলেন নি?”

পরোপকারীঃ

  রামদাস তলওয়ারকর ছিলেন একজন পরোপকারী ব্যক্তি। একাকী অপূর্বর জন্য তাঁর স্ত্রী জলযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।আবার অপূর্ব যখন ভামো যাবার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে তখন রামদাস সব কিছু দেখে রাখার অঙ্গীকার করেছে।

বাস্তববোধঃ

  বাস্তববুদ্ধি সম্পন্ন রামদাস তলওয়ারকর অপূর্ব যখন স্বদেশপ্রেমের কথা বলেছে তখন তাকে সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সচেতন করে বলেছে- “বাবুজি, এ-সব কথা বলার দুঃখ আছে।”

বিচক্ষণতাঃ

  রেল স্টেশনে ছদ্মবেশধারী গিরিশ মহাপাত্রের সম্পর্কে আমরা বিচক্ষণ রামদাস তলওয়ারকরকে কৌতুহলী হতে লক্ষ্য করি।তাই তার কপালে আমরা চিন্তার ভাঁজ দেখতে পাই।

  অতএব, গল্প ঘটনায় রামদাস তলওয়ারকর এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে সার্থক চরিত্রের মর্যাদা প্রাপ্ত হয়েছে।

দশম শ্রেণি বাংলা পথের দাবী গল্প থেকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরঃ 

‘পথের দাবী’ রচনাংশ অবলম্বনে অপূর্ব চরিত্রটি আলোচনা করো।   ৫

উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

“পথের দাবী” গদ্যাংশ অবলম্বনে গিরীশ মহাপাত্রের চরিত্রের পরিচয় দাও। ৫

উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

“পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে নিমাইবাবুর সম্মুখে হাজির করা হইল”- এরপর পুলিশস্টেশনে কী পরিস্থিতি তৈরি হল,তা পাঠ্যাংশ অনুসরণে আলোচনা করো। ৫

উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

“বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোলোয়ানাই বজায় আছে”- বাবুটি কে? তার স্বাস্থ্য এবং ষোলয়ানা শখের পরিচয় দাও। ১+৪  

উত্তর দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

শিক্ষালয়ের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবেঃ sikkhalaya

 

You cannot copy content of this page